সুওয়াল: রোযা অবস্থায় বমি করলে রোযা ভঙ্গ হবে কি?
জাওয়াব: পবিত্র রোযা রাখা অবস্থায় বমি করার ব্যাপারে কয়েকটি ছূরত কিতাবে বর্ণিত হয়েছে। বমি করাটা সাধারণতঃ দু’প্রকারের হয়ে থাকে- (১) ইচ্ছাকৃত, (২) অনিচ্ছাকৃত।
কেউ যদি ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে বমি করে, তাহলে তার পবিত্র রোযা ভঙ্গ হবে। আর ইচ্ছাকৃত অল্প বমি করলে পবিত্র রোযা ভঙ্গ হবে না। অনিচ্ছাকৃতভাবে মুখ ভরে বমি হোক অথবা অল্প বমি হোক, তাতে পবিত্র রোযা ভঙ্গ হবে না। কেউ যদি ইচ্ছাকৃত মুখ ভরে অথবা অল্প বমি গিলে ফেলে, তাতে তার পবিত্র রোযা ভঙ্গ হবে। আর যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে অল্প বমি ভিতরে চলে চায়, তাতে পব বাকি অংশ পড়ুন...
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُنِىَ الْاِسْلَامُ عَلٰى خَـمْسٍ شَهَادَةِ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَنَّ مُـحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ وَاِقَامِ الصَّلٰوةِ وَاِيْتَاءِ الزَّكٰوةِ وَالْـحَجِّ وَصَوْمِ رَمَضَانَ.
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ভিত্তি পাঁচটি বিষয় বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ
উনার তারিখ ও নসবনামা:
সাইয়্যিদুল আউলিয়া, গাউছুল আ’যম, আওলাদে রসূল হযরত বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ৪৭১ হিজরী সনে তৎকালীন ইরানের পবিত্র জিলান নগরে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার সম্মানিত পিতা উনার নাম মুবারক আওলাদে রসূল হযরত সাইয়্যিদ আবু সালেহ মুসা জঙ্গীদোস্ত রহমতুল্লাহি আলাইহি (যেহেতু তিনি যুদ্ধপ্রিয় ছিলেন সেহেতু উনাকে জঙ্গীদোস্ত বলা হয়)। উনার সম্মানিতা মাতা উনার নাম মুবারক হযরত সাইয়্যিদাহ উম্মুল খায়ের আমাতুল জাব্বার ফাতিমা রহমতুল্লাহি আলাইহা। তিনি সম্মানিত প বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার পবিত্র সূরা ইউনুস শরীফ উনার ৫৭-৫৮ আয়াত শরীফে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءتْكُم مَّوْعِظَةٌ مِّن رَّبِّكُمْ وَشِفَاء لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ .قُلْ بِفَضْلِ اللّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُواْ هُوَ خَيْرٌ مِّمَّا يَجْمَعُونَ
অর্থ: “হে মানবজাতি! অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন মহান নছিহতকারী, অন্তরের পরিশুদ্ধতাদানকারী, হিদায়েত দানকারী ও ঈমানদারদের জন্য রহমত দানকারী। (ইয়া হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলে দিন, তারা যে মহান আল্লাহ তায় বাকি অংশ পড়ুন...
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُنِىَ الْاِسْلَامُ عَلٰى خَـمْسٍ شَهَادَةِ اَنْ لَّا اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَنَّ مُـحَمَّدًا رَّسُوْلُ اللهِ وَاِقَامِ الصَّلٰوةِ وَاِيْتَاءِ الزَّكٰوةِ وَالْـحَجِّ وَصَوْمِ رَمَضَانَ.
অর্থ : “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার ভিত্তি পাঁচটি বিষয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র মাহে রমাদ্বান শরীফ উনার মধ্যে মু’মিন-মুসলমানের করণীয় বিষয়াবলী
মহিমান্বিত মাসসমূহের মধ্যে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ অন্যতম। এ পবিত্র মাস উনার মধ্যে ইবাদত-বন্দেগীর ফযীলত অন্যান্য মাসের চেয়ে বহুগুণ বেশি। এ মাস উনার মধ্যে বেশি বেশি তওবা-ইস্তিগফার, ইবাদত-বন্দেগী করে তাক্বওয়া হাছিলের মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেজামন্দি-সন্তুষ্টি হাছিল করাই সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য।
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ উনার মধ্যে ইবাদতের ফযীলত সম্পর্কে পবিত্র হা বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ فَارَقَ الْـجَمَاعَةَ شِبْرًا فَقَدْ خَلَعَ رِبْقَةَ الْإِسْلَامِ
অর্থ: “যে ব্যক্তি মুসলমানদের বড় জামায়াত হতে এক বিঘত পথও সরে যাবে অর্থাৎ কিছু আমল হতে কিছুক্ষণের জন্য সরবে, সে অবশ্যই তার গর্দান হতে পবিত্র ইসলাম উনার রশি ফেলে দিল।” নাঊযুবিল্লাহ! (আবূ দাউদ শরীফ)
ইমামুল আইম্মাহ, ইমামুল মুসলিমীন, মুহ্ইউস সুন্নাহ, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন,
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মাক্বাম মুবারক
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
** ইমাম আহমদ বিন হাম্ বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বীনের প্রতি দৃঢ়তা:
হযরত মুহম্মদ আসলাম তুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস উনাদের প্রতি, দ্বীনের রাস্তায় চরম দৃঢ় ছিলেন। কোন অবস্থাতেই তিনি কুফরী-শেরেকী ও নাহক্বের কাছে নতি স্বীকার করেননি। উনাকে সে সময়কার শাসকবর্গ বলেছিল, “আপনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনাকে মখলুক (সৃষ্ট বস্তু) বলে স্বীকার করুন।” তিনি বললেন, “আমি এরূপ দ্বীন বিরোধী উক্তি কিছুতেই করতে পারবো না।” এতে ক্রুদ্ধ হয়ে সে সময়কার শাসনকর্তা উনাকে দুই বৎসরকাল পর্যন্ত জেলে আটকিয়ে রাখে। তিনি জেলে থেকে প্রতি জুমুয়াবার জুমুয়ার পূর্বে বাকি অংশ পড়ুন...












