‘সিরাতুল মুস্তাক্বীম কি? উনার পরিচিতি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে বলি।
সিরাতুল মুস্তাক্বীম হচ্ছেন মুসলমান উনাদের তৈরী একটি আন্তর্জাতিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম। যেটাকে প্রচলিত ভাষায় ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম’ বা সোশ্যাল মিডিয়া বলা হয়।
‘সিরাতুল মুস্তাক্বীম’ নামকরণ প্রসঙ্গে-
আন্তর্জাতিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম ‘সিরাতুল মুস্তাক্বীম’ এই নামকরণ করেছেন যিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছহিবায়ে নেয়ামত, রহমতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনী বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উপর আমল:
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষা ও সংগ্রহ করেই ক্ষান্ত হননি, বরং বাস্তব জীবনে পালনের মাধ্যমেও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুকাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘আমি কোনো আলিমের কাছে যখনই বসেছি, অতঃপর বাড়িতে ফিরে সেসব শ্রুত পবিত্র হাদীছ শরীফ মুখস্থ করে ঐ পবিত্র হাদীছ শরীফগুলোর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত বা আমল না করা পর্যন্ত পুনরায় ঐ আলিমের বাকি অংশ পড়ুন...
যাকাত উছূলকারীদের সংকোচ করা উচিত নয়
সম্মানিত যাকাত, ফিত্বরা, উশর সহ যাবতীয় দান-ছদক্বা উছূল বা সংগ্রহের দায়িত্বে যারা নিয়োজিত থাকেন, উনাদের তা সংগ্রহ করতে গিয়ে কোন সংকোচ করা উনাদের জন্য উচিত নয়। কেননা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হওয়া সত্ত্বেও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কাছে যাকাত তলব করতে কোন সংকোচ বোধ করেননি।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
আর তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَمَآ اٰتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَـهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا ۚ وَاتَّقُوا اللهَ ۖ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ ◌
অর্থ : “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের জন্যে যা নিয়ে এসেছেন, তা আঁকড়ে ধর এবং যার থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, তার থেকে বিরত থাক এবং মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।” (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যেএ প্ বাকি অংশ পড়ুন...
খালী চোখে চাঁদ দেখে পবিত্র রমাদ্বান শরীফ
শুরু ও শেষ করা সম্মানিত শরীয়ত উনার নির্দেশ
বান্দার যাবতীয় ইবাদত-বন্দেগী, কর্মপদ্ধতি তথা সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার সর্বপ্রকার সম্মানিত আমলসমূহ আরবী মাসের তারিখ ও সময়ের সাথে সম্পৃক্ত। এক্ষেত্রে চাঁদের সংশ্লিষ্টতা অপরিহার্য। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিশেষ বিশেষ দিবস এবং আমলসমূহ বিভিন্ন মাসের সাথে সংশ্লিষ্ট। যেমন: সম্মানিত নামায, রোযা, হজ্জ, যাকাত, ঈদ, আশূরা, লাইলাতুল ক্বদর, লাইলাতুল বরাত, লাইলাতুর রগাইব, সর্বোপরি সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ পবিত্র ঈদে বিলাদতে রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাই বাকি অংশ পড়ুন...
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সাধারণভাবে ইলিম দেয়ার জন্য ১৩০ ফরযের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে উল্লেখিত ফরয বিষয়সমূহ ছাড়াও আরো অনেক ফরয রয়েছে।
উক্ত ১৩০ ফরযসমূহ হচ্ছে মুসলমানের পাঁচ রুকনে ৫ ফরয, চার কুরসীতে ৪ ফরয, চার মাযহাবে ৪ ফরয, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযে ৫ ফরয, পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের সতের রাকায়াতে ১৭ ফরয, ঈমানের ৭ ফরয, পাঁচ কলেমায় ৫ ফরয, উযূতে ৪ ফরয, গোসলে ৩ ফরয, তায়াম্মুমে ৩ ফরয, নামাযের পূর্বে আরকানে ৬ ফরয, নামাযের ভিতর আহকামে ৭ ফরয, ত্রিশ রোযায় ৩০ ফরয এবং ত্রিশ রোযার নিয়তে ত্রিশ ফরয; এই হলো মোট ১৩০ ফরয।
উক্ত ফরয বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ শাস্ত্রে অবদান:
তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষায় পারিবারিকভাবে উৎসাহিত হলেও উনার চেষ্টা-কোশেশ এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে অসাধ্য সাধন করেছেন। শয়নে স্বপনে সব সময় একই চিন্তা, কিভাবে তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষালাভ করবেন। মানুষ যখন অবসরে, তিনি তখন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার সন্ধানে। সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একবার ঈদের ছলাতে ইমাম যুহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে দেখে মনে করলেন, আজ মানুষ ঈদের আনন্দে ব্যস্ত, হয়তো ইমাম যুহরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে একাকী পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষার সু বাকি অংশ পড়ুন...
ব্রিটিশ বেনিয়াদের পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতবর্ষের সংস্কৃত ভাষার কথিত প-িত সম্প্রদায় তাদের ‘সংস্কৃত’ কেন্দ্রীক ভাষা, সাহিত্য, ব্যাকরণ এবং পরিভাষা ও শব্দ তৈরি করে বাংলা ভাষাকে সংস্কৃতের মধ্যে ডুবিয়ে শেষ করে দিতে চেয়েছে। বাংলা ভাষা নিষিদ্ধকরণ, ব্রিটিশ আমলে বাংলা ভাষার সংস্কৃতকরণ তথা বিকৃতিকরণসহ বাংলা ভাষার উপর নানান রকম নিপীড়ন তারা চালিয়েছে।
যা একদিকে বাংলা ভাষার উপর আগ্রাসন, অন্যদিকে মুসলমানদের ঈমান-আক্বীদার জন্য হুমকীস্বরূপ। বহিরাগত সংস্কৃতের আগ্রাসী ও ঈমানবিধ্বংসী সেসব শব্দ ও পরিভাষাগুলোর মধ্যে এখানে কিছু শব্দ ও পরিভাষা বাকি অংশ পড়ুন...
কোনো রাবী সম্পর্কে জারাহ করলেই কি সেই রাবী বাতিল হয়ে যান?
উল্লেখ্য যে, কোন রাবীকে প্রত্যাখ্যাত করতে হলে তার কারনও স্পষ্ট উল্লেখ থাকতে হবে। রাবী নির্ভরযোগ্য নয় এটুকু বললেই হবে না। কেন গ্রহনযোগ্য নয় তার উপযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য কারন বলতে হবে। হযরত মুহাদ্দিছীনে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উছূল বর্ণনা করেছেন, ব্যাখ্যাহীন জারাহ গ্রহনযোগ্য নয়। মতভেদ, ভুলবশত মতপার্থক্য হতে পারে। কারো কারো কাছে একজন রাবী ছিক্বাহ অপর জনের কাছে ছিক্বাহ নয়। এ কারনে জারাহ করা হলে তার কারন উল্লেখ করা আবশ্যক।
হযরত ইমাম শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে স্পষ্ট বর্ণিত রয়েছে, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُـؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ قَالَتْ اِنَّـمَا الْاِفْطَارُ مِـمَّا دَخَلَ وَلَيْسَ مِـمَّا خَرَجَ وَفِـىْ رِوَايَةٍ اَلْفَطْرُ مِـمَّا دَخَلَ وَلَيْسَ مِـمَّا خَرَجَ.
অর্থ: “উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তি বাকি অংশ পড়ুন...
তামাম মাখলুকাতের মধ্যে খালিক্ব-মালিক রব মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি যেরূপ মর্যাদাবান- অন্যান্য মাস উনার তুলনায় পবিত্র রমাদ্বান শরীফ তদ্রুপ মর্যাদাবান। যেসব ওসীলাকে কেন্দ্র করে মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দাকে ক্ষমা করেন; তাদের প্রতি রহমত, বরকত, সাকীনা নাযিল করেন এবং তাদেরকে জাহান্নাম থেকে নাযাত দিয়ে সম্মানিত জান্নাতে দাখিল করেন- পবিত্র রমাদ্বান শরীফ তথা এ মাস উনার ইবাদত-বন্দিগী সেসবের মধ্যে এক অন্যতম ওসীলা।
পবিত্র রমাদ্বান মাস উনার প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাতের ও শেষ দশদিন নাযাতের। পবিত্র রমাদ্বান শ বাকি অংশ পড়ুন...
ছাত্রবৃন্দ:
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হলেন ইমামু দারিল হিজরা, অর্থাৎ সম্মানিত মদীনা শরীফ উনার ইমাম। অতএব সম্মানিত মদীনা শরীফ উনার ইমাম উনার ছাত্র হওয়ার দুর্লভ সৌভাগ্য কে না চায়। তাই উনার ছাত্র অগণিত। ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উল্লেখযোগ্য ১৬৬ জনের নাম বর্ণনা করেছেন। ইমাম খ¦তীব বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ৯৯৩ জন ছাত্রের নাম উল্লেখ করেন।
কয়েকজন প্রসিদ্ধ ছাত্রের নাম নিম্নে প্রদত্ত হলো:
১। ইমাম হযরত মুহম্মদ ইবনু ইদরীস আশ্ শাফিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি।
২. ইমাম হযরত সুফইয়ান ইবনু উয়ায়নাহ র বাকি অংশ পড়ুন...












