আমরা শরীরের রোগ নিরাময়ের জন্যে বিভিন্ন পদ্ধতিতে ওষুধ সেবন বা ব্যবহার করে থাকি, তার মধ্যে একটি অন্যতম পদ্ধতি হলো- “ইনজেকশন”। এ ইনজেকশন বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক বিশেষ পদ্ধতি, যা চিকিৎসার ক্ষেত্রে অপরিসীম গুরুত্ব বহন করছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার পাঁচটি ভিত্তির মধ্যে অন্যতম একটি ভিত্তি হলো, পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস উনার রোযা, যেটা উম্মতে হাবীবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের জন্যে ফরজে আইন করা হয়েছে। সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন তিনি উনার পবিত্র কালামুল্লাহ শর বাকি অংশ পড়ুন...
অথচ প্রায় সমস্ত আরবী লুগাত বা অভিধানগ্রন্থে- حُقْنَةٌ - اَلْـحُقْنَةُ - مِـحْقَنَةٌ- اِحْتِقَانٌ ইত্যাদি শব্দের উল্লেখ রয়েছে। যার সরাসরি অর্থ ইনজেকশন, সিরিঞ্জ ইত্যাদি। আর সেই حُقْنَةٌ (হুক্বনাতুন) থেকে اِحْتَقَنَ (ইহ্তাক্বানা) শব্দের উৎপত্তি হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ ‘আল ক্বামূসুল জাদীদ’ (আরবী-উর্দূ) লুগাত বা অভিধানগ্রন্থের বর্ণনা উল্লেখ করা হলোঃ
حُقْنَةٌ -‘হুক্বনাতুন’ অর্থ- ইনজেকশন, সিরিঞ্জ।
اِحْتِقَانٌ বাবে اِفْتِعَالٌ এর মাছদার বা ক্রিয়ামূল। অর্থ ইনজেকশন নেয়া। আর উক্ত বাব থেকে اِحْتَقَنَ শব্দটি এসেছে। এর অর্থ হলো, সে ইনজেকশ নিল।
আধুনিক আরবী-বাংলা অভিধানগ্রন বাকি অংশ পড়ুন...
সারা বিশ্বে একদিনে রোযা ও ঈদ পালন করার দাবীদাররা বিভ্রান্ত
সউদী আরবের আকাশে চাঁদ না দেখে যেমনি সম্মানিত হজ্জের সময় নির্ধারণ করা জায়িয নয়, তেমনি নিজস্ব উদয়স্থলে চাঁদ না দেখে সম্মানিত রোযা, ঈদ, অন্যান্য আমল পালন করাও জায়িয নয়। পৃথিবীর দুটি স্থানের সর্বোচ্চ সময়ের পার্থক্য ১২-১৪ ঘণ্টারও বেশি। সুতরাং কখনো এক দিনে পৃথিবীর সব দেশে রোযা ও ঈদ পালন করা সম্ভব নয়।
পৃথিবীর এমন অনেক স্থান আছে যেখানে সন্ধ্যা হলে অন্য স্থানে সকাল। আর আমরা জানি, সম্মানিত শরীয়ত উনার দিন শুরু হয় সন্ধ্যার পর থেকে। সুতরাং কোন স্থানের সন্ধ্যায় চাঁদ দেখে, যে স্থান বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলিম শরীফ উনার বিখ্যাত ব্যাখ্যাকার প্রখ্যাত মুহাদ্দিছ হযরত ইমাম নববী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ‘মুসলিম শরীফ উনার’ টিকায় এবং ইমাম তাহাবী ‘দুররুল মুখতার’ কিতাবের হাশিয়াতে লিখেন-
عَلَيْكُمْ يَا مَعْشَرَ الْـمُؤْمِنِيْنَ اِتِّبَاعُ الْفِرْقَةِ النَّاجِيَةِ الْـمُسَمَّاةِ بِأَهْلِ السُّنَّةِ وَالْـجَمَاعَةِ فَأِنَّ نَصْرَةَ اللهِ وَحِفْظهٗ وَتَوْفِيْقَهٗ فِيْ مُوَافِقَتِهِمْ وَخَذَلًالَّهٗ وَسَخْطَهٗ وَمَقْتَهٗ فِيْ مُـخَالِفَتِهِمْ وَهٰذِهِ الطَّائِفَةُ النَّاجِيَةُ قَدْ اِجْتَمَعَتِ الْيَوْمَ فِيْ مَذْهَبِ أَرْبَعٍ وَهُمُ الْـحَنَفِيُّوْنَ وَالْـمَالِكِيُّوْنَ وَالشَّفِعِيُّوْنَ وَالْـحَنَبِلِيُّوْنَ رَحِـمَهُمُ اللهُ وَمَنْ كَانَ خَارِجًا مِّنْ هٰذِهِ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
এখানে “উলিল আমর” বলতে ইমাম, মুজতাহিদ ও আউলিয়া-ই-কিরামগণকেই বুঝানো হয়েছে। সুতরাং “উলিল আমর” যেমন ক্বিয়ামত পর্যন্ত পৃথিবীতে থাকবেন, তদ্রুপ ইজতিহাদের দরজাও ক্বিয়ামত পর্যন্ত খোলা থাকবে। আর ইজমা ক্বিয়াস এ ইজতিহাদেরই অন্তর্ভুক্ত।
অতএব, পৃথিবীতে ক্বিয়ামত পর্যন্ত যত নতুন সমস্যারই উদ্ভব হোক না কেন, তার ফায়সালা অবশ্যই পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, পবিত্র ইজমা শরীফ ও পবিত্র ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে করতে হবে।
এ অবস্থার প্রেক্ষিতে আমাদের বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে “রোযা অবস্থায় ইনজেকশন, ইনহেলার, স বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّـمَا النَّسِىءُ زِيَادَةٌ فِي الْكُفْرِ ۖ
অর্থ : নিশ্চয়ই সময়কে (মাসকে) আগ-পিছ করা কুফরীকে বৃদ্ধি করে দেয়। (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৭)
নাসী বলা হয় চাঁদ অনুযায়ী মাস গণনা না করে তারিখ আগ-পিছ করাকে। যা পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে সুস্পষ্ট কুফরী বলা হয়েছে। শুধু কুফরীই নয়, বরং তা কুফরীর বৃদ্ধিসাধন করে। নাঊযুবিল্লাহ! কেননা, চাঁদ যে দিন দৃশ্যমান হলো সেদিন থেকে তারিখ গণনা না করে যদি তার পর থেকে বা পূর্ব থেকে গণনা করা হয় তবে ওই মাসের চাঁদের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল আমল নির্দিষ বাকি অংশ পড়ুন...
‘সিরাতুল মুস্তাক্বীম কি? উনার পরিচিতি বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আকারে বলি।
সিরাতুল মুস্তাক্বীম হচ্ছেন মুসলমান উনাদের তৈরী একটি আন্তর্জাতিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম। যেটাকে প্রচলিত ভাষায় ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম’ বা সোশ্যাল মিডিয়া বলা হয়।
‘সিরাতুল মুস্তাক্বীম’ নামকরণ প্রসঙ্গে-
আন্তর্জাতিক বিশেষ যোগাযোগ মাধ্যম ‘সিরাতুল মুস্তাক্বীম’ এই নামকরণ করেছেন যিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, হাবীবাতুল্লাহ, ছহিবায়ে নেয়ামত, রহমতুল্লিল আলামীন, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনী বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার উপর আমল:
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফ শিক্ষা ও সংগ্রহ করেই ক্ষান্ত হননি, বরং বাস্তব জীবনে পালনের মাধ্যমেও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুকাইর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমি সাইয়্যিদুনা হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, ‘আমি কোনো আলিমের কাছে যখনই বসেছি, অতঃপর বাড়িতে ফিরে সেসব শ্রুত পবিত্র হাদীছ শরীফ মুখস্থ করে ঐ পবিত্র হাদীছ শরীফগুলোর মাধ্যমে মহান আল্লাহ পাক উনার ইবাদত বা আমল না করা পর্যন্ত পুনরায় ঐ আলিমের বাকি অংশ পড়ুন...
যাকাত উছূলকারীদের সংকোচ করা উচিত নয়
সম্মানিত যাকাত, ফিত্বরা, উশর সহ যাবতীয় দান-ছদক্বা উছূল বা সংগ্রহের দায়িত্বে যারা নিয়োজিত থাকেন, উনাদের তা সংগ্রহ করতে গিয়ে কোন সংকোচ করা উনাদের জন্য উচিত নয়। কেননা, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হওয়া সত্ত্বেও হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কাছে যাকাত তলব করতে কোন সংকোচ বোধ করেননি।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَ বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
আর তাই মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন,
وَمَآ اٰتَاكُمُ الرَّسُوْلُ فَخُذُوْهُ وَمَا نَـهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوْا ۚ وَاتَّقُوا اللهَ ۖ اِنَّ اللهَ شَدِيْدُ الْعِقَابِ ◌
অর্থ : “সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তোমাদের জন্যে যা নিয়ে এসেছেন, তা আঁকড়ে ধর এবং যার থেকে বিরত থাকতে বলেছেন, তার থেকে বিরত থাক এবং মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় কর, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি কঠিন শাস্তিদাতা।” (পবিত্র সূরা হাশর শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ৭)
আর পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যেএ প্ বাকি অংশ পড়ুন...












