সাধারণত তিনভাবে দোয়া কবুল হয়। এ প্রসঙ্গে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, দুয়া তিনভাবে কবুল হয়ে থাকে। (১) বান্দা যা চেয়ে থাকে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে সরাসরি সেটা দিয়ে দেন। তখন বান্দা সহজেই বুঝতে পারে যে তার দোয়া কবুল হয়েছে। (২) বান্দা যেটা চেয়ে থাকে, মহান আল্লাহ পাক তিনি সরাসরি সেটা দেন না বরং বান্দার জন্য তার চেয়েও যেটা বেশি জরুরী সেটা দিয়ে থাকেন, যার কারণে বান্দা বুঝতে পারে না যে তার দোয়া কবুল হলো বা হলো না। (৩) মহান আল্লাহ পাক তিনি বান্দা-বান্দির দুয়ার ফলে দুনিয়াতে কোনো বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র শবে বরাত শরীফ হচ্ছে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার বিশেষ রাত্রিসমূহের মধ্যে একটি ফযীলতপূর্ণ রাত্রি। যা পবিত্র শা’বান মাস উনার চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাত্রি। শবে বরাত (شب برات) শব্দ উনার অর্থ হচ্ছে ভাগ্য রজনী, মুক্তির রাত বা নাজাতের রাত।
شب ফার্সী শব্দ, যার অর্থ রাত বা রজনী। আর برات শব্দটি আরবী, ফার্সী ও উর্দূ ভাষাতে ব্যবহৃত হয়। আরবীতে بَـرَاءَةٌ শব্দের অর্থ নাজাত বা মুক্তি। ফার্সীতে برات শব্দের অর্থ ভাগ্য। شب برات অর্থ ভাগ্য রজনী বা মুক্তির রাত।
‘শবে বরাত’ বাক্যাংশটি যদিও বাহ্যত আরবী ও ফার্সীর সমন্বয়ে গঠিত। তবুও তা ফার্সী ভাষা। কেননা, ফা বাকি অংশ পড়ুন...
ছহীহ হাদীছ শরীফ দ্বারা শবে বরাত প্রমাণিত। রেজালবিদগণ সনদ ছহীহ হওয়ার ব্যাপারে একমত। বিশ্ববিখ্যাত হাদীছ শরীফের কিতাব “ইবনে হিব্বানে” ছহীহ সনদসহ বর্ণনা করেছেন-
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُعَافَى الْعَابِدُ بِصَيْدَا ، وَابْنُ قُتَيْبَةَ وَغَيْرُهُ ، قَالُوا: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ خَالِدٍ الأَزْرَقُ ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خُلَيْدٍ عُتْبَةُ بْنُ حَمَّادٍ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، وَابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ يُخَامِرَ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَطْلُعُ اللهُ إِلَى خَلْقِهِ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلاَّ لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ
অর্ বাকি অংশ পড়ুন...
মুহম্মদ ইবনে ইসহাক আল মক্কী আল ফাকেহী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২৭২) মক্কা মদীনায় যে শবে বরাত পালন হতো তা তদীয় আখবারে মক্কা গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন:
"وأهل مكة فيما مضى إلى اليوم إذا كان ليلة النصف من شعبان ، خرج عامة الرجال والنساء إلى المسجد ، فصلوا ، وطافو¬¬ا ، وأحيوا ليلتهم حتى الصباح بالقراءة في المسجد الحرام ، حتى يختموا القرآن كله ، ويصلوا ، ومن صلى منهم تلك الليلة مائة ركعة يقرأ في كل ركعة بـ الحمد ، و قل هو الله أحد عشر مرات ، وأخذوا من ماء زمزم تلك الليلة ، فشربوه ، واغتسلوا به ، وخبؤوه عندهم للمرضى ، يبتغون بذلك البركة في هذه الليلة ، ويروى فيه أحاديث كثيرة" (أخبار مكة للفاكهي أبو عبد الله محمد بن إسحاق بن العباس المكي الفاكهي
অর্থ: অতীত থেকে বর্তমানকাল মক্কাবাসী নারী পুরু বাকি অংশ পড়ুন...
সামগ্রিকভাবে সকল উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনারা সুমহান মর্যাদা এবং অনুপম বৈশিষ্ট্যের অধিকারিনী এবং সম্মানিতা। তবে উনাদের প্রত্যেকেরই পৃথকভাবে কিছু কিছু খাছ খাছ বৈশিষ্ট্য রয়েছেন।
বর্ণিত আছে যে, সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীকা আলাইহাস সালাম তিনি সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আর রাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতেন। তিনি বলতেন,
إنها إبنة أبيها
অর্থ: উম্মুল মু’মিনীন হযরত হাফছা আলাইহাস সালাম তিনি সত্যিই উনার পিতা উনার মেয়ে অর্থাৎ উনার সম্মানিত পিতা সাইয়্যিদুনা হযরত বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিল ফিরকারা বলে থাকে- পবিত্র লাইলাতুম মুবারাকাহ বা লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান পবিত্র শবে বরাত শরীফ বিদয়াত। খইরুল কুরুনে কেউ পবিত্র শবে বরাত শরীফ পালন করেন নাই। কেউ এ রাতে ইবাদত-বন্দেগী করেন নাই। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!
অথচ ইতিহাস সাক্ষী- খাইরুল কুরুনে পবিত্র লাইলাতুম মুবারাকাহ বা লাইলাতুন নিছফি মিন শা’বান পবিত্র শবে বরাত শরীফ পালন হয়েছে। আজ থেকে প্রায় ১২শ বছর আগে মুহম্মদ ইবনে ইসহাক আল মক্কী আল ফাকেহী রহমতুল্লাহি আলাইহি (ওফাত ২৭২ হিজরী) কর্তৃক পবিত্র মক্কা শরীফ উনার আমল ও ইতিহাস নিয়ে রচিত কিতাব “আখবারুল ম বাকি অংশ পড়ুন...
এটা খুব ফিকির করতে হবে। এরা অজান্তেই সুক্ষ্মভাবে মুসলমানদের ঈমানটা নষ্ট করে দিচ্ছে। মুসলমানরা সেটা ফিকির করে না। সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন যে দেখো, কুফরী করলে কোন রেহাই নেই। কুফরী করার পর যদি মারা যাও যমীন থেকে আসমান পরিমাণ স্বর্ণও যদি কাফফারা দাও, যেটা তোমাদের পক্ষে কখনও সম্ভব নয় তারপরেও যদি তোমরা দাও সেটা কিন্তু গ্রহণ করা হবে না। খুব ফিকির করতে হবে। মুসলমানকে মুসলমান হিসেবে ফিকির করতে হবে। একজন মুসলমানের জন্য ইসলামের যে বিষয়টা রয়েছে সেটা তাকে ফিকির করতে হবে। একটা শিখ ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট হয়, তাদের জেনারেল হয়, তাদের বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি যে উনার কালাম পাক উনার প্রিয়তম রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি নাযিল করেছেন উনার হিফাযতের জিম্মাদারী স্বয়ং তিনি নিজে গ্রহণ করেছেন। এ পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ যমীনে নাযিল হওয়ার পূর্বে আসমানে “লওহে মাহফূযে” হিফাযত করেছেন। অতঃপর সেখান থেকে পৃথিবীর আকাশে “বাইতুল ইজ্জতে” অতঃপর সেখান হতে কোনরূপ পরিবর্তন-পরিবর্ধন ব্যতিরেকে সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত অবস্থায়, হুবহু আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
বিশেষ নিয়ামত প্রাপ্তি:
মহান আল্লাহ পাক তিনি যাকে ইচ্ছা তাঁকে বিশেষ নিয়ামত ও অনুগ্রহরাজি দান করে থাকেন। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاللهُ يَخْتَصُّ بِرَحْمَتِهٖ مَنْ يَّشَاءُ
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক তিনি যাঁকে ইচ্ছা উনাকে উনার খাছ (বিশেষ) রহমত বা দয়া-অনুগ্রহ দিয়ে থাকেন।” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০৫)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
ذٰلِكَ فَضْلُ اللهِ يُؤْتِيْهِ مَنْ يَّشَاءُ
অর্থ: “এটা মহান আল্লাহ পাক উনার বিশেষ দয়া-অনুগ্রহ। তিনি যাঁকে ইচ্ছা উনাকে তা দান করে থাকেন।” (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- হযরত আবু হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “চোখের ব্যভিচার হলো দৃষ্টি করা, কানের ব্যভিচার হলো শ্রবণ করা, মুখের ব্যভিচার হলো কথা বলা, হাতের ব্যভিচার হলো স্পর্শ করা, পায়ের ব্যভিচার হলো ধাবিত হওয়া, অন্তর চায় ও আকাঙ্খা করে এবং লজ্জাস্থান সেটাকে সত্য অথবা মিথ্যায় প্রতিপন্ন করে। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, কানযুল উম্মাল)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার কালাম প বাকি অংশ পড়ুন...
ছবি তোলা এবং পর্দা তরক করা মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের প্রকাশ্য নাফরমানী।
এ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে হাদীছ শরীফ উনার নির্দেশনা মুবারক রয়েছে। হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায়ও ইমাম-মুজতাহিদগণ উনাদের কিতাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন।
وَفِي الْبَحْرِ قَالُوا : وَأَشَدُّهَا كَرَاهَةً مَا يَكُونُ عَلَى الْقِبْلَةِ أَمَامَ الْمُصَلِّي ، ثُمَّ مَا يَكُونُ فَوْقَ رَأْسِهِ ثُمَّ مَا يَكُونُ عَنْ يَمِينِهِ وَيَسَارِهِ عَلَى الْحَائِطِ ، ثُمَّ مَا يَكُونُ خَلْفَهُ عَلَى الْحَائِطِ أَوْ السِّتْرِ.
অর্থ: আল্ বাহর” কিতাবে উল্লেখ আছে: মু বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, ইমামুল আউওয়াল মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদুনা হযরত কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহূ আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যখন পবিত্র শা’বান শরীফ মাস উনার মধ্য তারিখের রাত তথা পবিত্র শবে বরাত উপস্থিত হবে তখন তোমরা উক্ত রাতে সজাগ থেকে ইবাদত-বন্দেগী করবে এবং দিনের বেলা রোযা রাখবে। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি উক্ত রাতে সূর্যাস্তের সময় প বাকি অংশ পড়ুন...












