মহান আল্লাহ পাক তিনি তো মুসলমানদের রহমত দিতে চান, কিন্তু মুসলমান সেই রহমত থেকে মাহরূম হচ্ছে কেন? যেহেতু সে মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ নির্দেশ মুবারক, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদেশ নির্দেশ মুবারক পালন করে না। এটা ফিকির করতে হবে। মুসলমানদেরকে মুসলমান হতে হবে, ঈমানদেরকে ঈমানদার হতে হবে, কুফরীর মধ্যে থাকতে পারবে না। ইহুদী-নাছারাকে সে অনুসরণ করতে পারবে না। একটা ইহুদী, নাছারা, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী, মুশরিক কোনদিন শবে বরাত প বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার খাছ ওলী তথা যামানার লক্ষ্যস্থল ওলীআল্লাহ উনাদের মর্যাদা-মর্তবা বেমেছাল। সমুদ্রের মাছ, গর্তের পিপীলিকা, আকাশ-বাতাস, তরুলতা, সমস্ত সৃষ্টি, কায়িনাত সবকিছুই উনাদের জন্য দোয়া করতে থাকে। গাউছুল আ’যম, সাইয়্যিদুল আউলিয়া, মুহিউদ্দীন, হযরত বড়পীর ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেছেন, কোন চাঁদ উদিত হয় না, কোন সূর্য অস্ত যায় না আমার অনুমতি ব্যতীত। এতো গেল কায়িনাত চলার ক্ষেত্রে উদাহরণ। আর মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে মক্ববুল বান্দা হওয়ার ক্ষেত্রে এ ধরনের ওলীআল্লাহ উনাদের অনুমোদন লাভ তথা নেক দৃষ্টি লাভের প্রয়োজনীয়তা ততোধিকভ বাকি অংশ পড়ুন...
পর্দা পালন করা সম্পর্কেও বহু আয়াত শরীফ এবং হাদীছ শরীফ বর্ণিত আছে। যেমন পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُمْ ۚ ذٰلِكَ أَزْكٰى لَهُمْ ۗ اِنَّ اللهَ خَبِيْرٌ بِمَا يَصْنَعُوْنَ. وَقُلْ لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوْجَهُنَّ وَلَا يُبْدِيْنَ زِيْنَتَهُنَّ.
অর্থ: (আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি মু’মিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতার কারণ। নিশ্চয়ই মহান আল্ বাকি অংশ পড়ুন...
যাকাত উছূলকারীদের ফযীলত
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ رَافِعِ بْنِ خَدِيْجٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَ سَـمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ الْعَامِلُ عَلٰى الصَّدَقَةِ بِالْـحَقِّ كَالْغَازِى فِى سَبِيْلِ اللهِ حتّٰى يَرْجِعَ اِلٰى بَيْتِهٖ.
অর্থ : হযরত রাফে’ ইবনে খাদীজ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ন্যায়নিষ্ঠার সাথে সম্মানিত যাকাত উছূলকারী কর্মী বাড়িতে ফিরে আসা পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক উনার রাস্তায় জিহাদকারী গাযীর ন্যায়। বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অনেক হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার অনেক পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে এ কথাগুলো বারবার বলেছেন। যিনি নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, যিনি রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি যা এনেছেন, তিনি যা বলেছেন সেটার প্রতি ঈমান আনতে হবে। সেটা যদি বিশ্বাস কেউ না করে, এ অবস্থায় ইনতিকাল করে তাহলে তার জায়ঠিকানা হচ্ছে জাহান্নাম। নাউযুবি বাকি অংশ পড়ুন...
তিনি কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারকে পরওয়া করতেন না:
যে সকল মহান ব্যক্তিত্ব মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের মা’রিফাত-মুহব্বত মুবারক, তাওয়াল্লুক-নিছবত মুবারক, নৈকট্য মুবারকের তালাশী বা আশাবাদী উনাদের তিরস্কার, ভয়-ভীতি ইত্যাদির পরওয়া করা উচিত নয়। শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নির্দেশ মুতাবিক একান্ত নিবিষ্ট মনে আপন পথে চলা কর্তব্য। আর এটাই মু’মিন-মু’মিনাগণের অন্যতম খুছূছিয়াত বা বৈশিষ্ট্য। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يُجَاهِدُوْنَ فِى سَبِيْل বাকি অংশ পড়ুন...
(সময়ের ভিন্নতার কারণে যদি ভিন্ন ভিন্ন সময়ে পবিত্র ঈদ পালন ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হয়, তাহলে অবশ্যই দিনের পার্থক্যের কারণেও ভিন্ন ভিন্ন দিনে পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে ও পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে)
সারাবিশে^ একই দিনে পবিত্র রোযা শুরু করতে হবে এবং পবিত্র ঈদ পালন করতে হবে। এমন কথা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফের কোথাও বলা হয় নাই। এমনকি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, তাবেয়ীন, তাবে-তাবেয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারাসহ সম্মানিত চার মাযহাবের এমন একজন ইমাম মুজতাহিদ কেউই এমন কথা বলেন নাই যে, “সারাবিশ্বে একই দিনে পব বাকি অংশ পড়ুন...
আসমাউর রিজালসমূহের কিতাব থেকে নফসানিয়াত অনুযায়ী বক্তব্য উল্লেখ করে ওহাবী সালাফীরা যেভাবে মানুষকে ধোঁকা দেয়:
برد بن سنان وثقه ابن معين ، والنساءي ، وضعفه ابن المديني قال ابو حاتم : ليس بالمتين. وقال مرة: كان صدوقا قدريا وقال ابو زرعة : لا بأس به وقال ابو داود، يرمي بلقدر
অর্থ: হযরত বুরাদ ইবনে সিনান রহমতুল্লাহি আলাইহি। উনার র্সম্পকে ইমাম ইবনে মুঈন ও হযরত নাসাঈ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা বলেন, তিনি ছিক্বাহ। হযরত ইবনে মাদীনী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, তিনি দুর্বল। হযরত আবু হাতিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, মজবুত নন । হযরত মুররা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, তিনি সত্যবাদী এবং শ বাকি অংশ পড়ুন...
জন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهٗ قَالَ وَالَّذِىْ نَفْسُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدِهٖ لاَ يَسْمَعُ بِىْ أَحَدٌ مِّنْ هٰذِهِ الْأُمَّةِ يَهُودِىٌّ وَلاَ نَصْرَانِىٌّ ثُمَّ يَمُوْتُ وَلَمْ يُؤْمِنْ بِالَّذِىْ أُرْسِلْتُ بِهٖ إِلاَّ كَانَ مِنْ أَصْحَابِ النَّارِ
হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম বাকি অংশ পড়ুন...
১. ইমাম মুহম্মদ ইবনে সীরীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
اِنَّ هٰذا الْعِلْمَ دِيْنٌ فَانْظُرُوْا عَمَّنْ تَأْخُذُوْنَ دِيْنَكُمْ
অর্থ: এই ইলিম (হাদীছ শরীফ) হচ্ছে সম্মানিত দ্বীন। কাজেই লক্ষ করুন কার কাছ থেকে দ্বীন গ্রহণ করছেন। (মুকাদ্দিমাতুল ছহীহ মুসলিম-১/১৪, সুনানুদ দারেমী-১/১২৪, আত তামহীদ-১/৪৬)
২. আমীরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ হযরত সুফিয়ান সাওরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
اَلْاِسْنَادُ سِلَاحُ الْمُؤْمِنِ اِذَا لَـمْ يَكُنْ مَّعَهٗ سِلَاحٌ فَبِاَىِّ شَىْءٍ يُّقَاتِلُ
অর্থ: সনদ মু’মিনের হাতিয়ার। সুতরাং তার কাছে যদি হাতিয়ারই না থাকে তাহলে সে কি দ্বারা জিহাদ করবে বা মোকাবেলা কর বাকি অংশ পড়ুন...












