তথাকথিত আহলে হাদীছ, সালাফীরা বিভিন্ন দলে ও মতবাদে বিভক্ত। তারা হক্বচ্যুত বাতিল ৭২ ফিরক্বার অন্তর্ভুক্ত সেটাও উনার বিরোধিতারই কারণে। আহলে হাদীছের তথা সালাফীদের ইমাম দাউদ গযনবী। অবশ্য তার অন্তরে ইমাম মুজতাহিদ আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের কিছুটা সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ ছিল। তিনি ইমামুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নাম মুবারক অত্যন্ত আদব সম্মানের সাথে নিতেন। বর্ণনাকারী বলেন, একদিন আমি উনার খিদমতে হাজির হলাম। ইতিমধ্যে আহলে হাদীছের ঐক্য ও সংগঠন নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। তিনি একপর্যায়ে বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,
اَمَّا أَبُو الْحَسَنِ عَلِيٌّ النَّقِيُّ عَلَيْهِ السَّلَامُ فَلَهٗ مِنَ الْأَبْنَاءِ سِتَّةً
অর্থ: “ইমামুল ‘আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আবুল হাসান সাইয়্যিদুনা হযরত আলী নক্বী আলাইহিস সলাম উনার মহাসম্মানিত আবনা’ (ছেলে) আলাইহিমুস সালাম উনারা ছিলেন মোট ৬ জন।” সুবহানাল্লাহ! (আশ শাজরাতুল মুবারকহ ১/২২)
উনারা হচ্ছেন-
১. ইমামুল হাদী ‘আশার মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আবূ মুহম্মদ সাইয়্যিদুনা হযরত হাসান আসকারী আলাইহিস সালাম।
২ সাইয়্যিদুনা হযরত মুহম্মদ আলাইহিস সালাম। তিনি বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন,
قَالَ رَجُلٌ رَأَيْتُ سَيِّدَنَا حَضْرَتْ اَلْاِمَامَ الْعَاشِرَ مِنْ اَهْلِ بَيْتِ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (سَيِّدَنَا حَضْرَتْ عَلِىَّ بْنَ مُحَمَّدٍ عَلَيْهِ السَّلَامُ) وَمَعَهٗ جِرَابٌ لَيْسَ فِيْهِ شَئٌّ فَقُلْتُ اَتَرٰى مَا تَصْنَعُ بِهٰذَا فَقَالَ اَدْخِلْ يَدَكَ فِيْهِ فَأَدْخَلْتُهَا فَمَا وَجَدْتُّ شَيْئًا فَقَالَ أَعِدْ فَأَعَدْتُ يَدِيْ فَإِذَا هُوَ مَمْلُوْءٌ دَنَانِيْرَ.
অর্থ: “এক ব্যক্তি বলেন, আমি (একদিন) সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল ‘আশির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে দেখলাম। উনার সাথে একটি খালি থলি ছিলো। আমি বললাম, ইয়া সাইয়্যিদী! আপনি এটা দিয়ে কি করেন? বাকি অংশ পড়ুন...
মুবারক নাম ও পরিচিতি:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও আহলে বাইত শরীফ উনার দশম ইমাম। উনার মূল নাম মুবারক হযরত আলী নক্বী আলাইহিস সালাম। তবে উনার মুবারক নাম এবং কুনিয়াত বা উপনাম মুবারক আমিরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিম, বাবুল ইলমে ওয়াল হিকাম, ইমামুল কাওনাইন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম এবং ইমামুল আউলিয়া, আ বাকি অংশ পড়ুন...
৮. পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার প্রতি আদব:
এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ الدِّيْنَ عِنْدَ اللهِ الْإِسْلَامُ
অর্থ: নিশ্চয়ই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট একমাত্র মনোনীত দ্বীন হচ্ছে সম্মানিত ইসলাম। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৯)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
هُوَ الَّذِيْ أَرْسَلَ رَسُولَهٗ بِالْهُدٰى وَدِيْنِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهٗ عَلَى الدِّينِ كُلِّهٖ وَكَفٰى بِاللهِ شَهِيْدًا
অর্থ: সেই মহান আল্লাহ পাক যিনি উনার সম্মানিত রসূল, নূরে মুজসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল বাকি অংশ পড়ুন...
কোন স্থান, এলাকা, ব্যক্তি, বস্তু যে কোন নামের খারাপ অর্থ থাকলে অথবা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের খিলাফ থাকলে সম্মানিত দ্বীন ইসলামে এর ফায়সালা রয়েছে। সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খ¦তামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এরূপ নামগুলো পাল্টিয়ে ভালো অর্থবোধক ও সুন্দর ছিফতযুক্ত নাম রাখতেন। এবং ইহা অবশ্যই জায়িয ও সুন্নত। অনেকে মনে করে থাকে, এরূপ নাম পাল্টানো শরীয়তে জায়িয আছে কি-না? মূলত শুধু জায়িযই নয় বরং সম্মানিত শরীয়ত উনার খিলাফ বা বিরোধী নামসমূহ পরিবর্তন বাকি অংশ পড়ুন...
মুবারক নাম ও পরিচিতি:
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ইমামুম মিন আইম্মাতিল মুসলিমীন, যিকরান কাশিফ ইসরারিল ইমতিনাহী, মাহবুবে তরীন, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আ’শির মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও আহলে বাইত শরীফ উনার দশম ইমাম। উনার মূল নাম মুবারক হযরত আলী নক্বী আলাইহিস সালাম। তবে উনার মুবারক নাম এবং কুনিয়াত বা উপনাম মুবারক আমিরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিম, বাবুল ইলমে ওয়াল হিকাম, ইমামুল কাওনাইন, সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুল আউওয়াল কাররামাল্লাহু ওয়াজহাহু আলাইহিস সালাম এবং ইমামুল আউলিয়া, আ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত পিতা ও মাতা:
সুলতানুল হিন্দ, কুতুবুল মাশায়িখ, কুতুবুল বাররি ওয়াল বাহার, মুজাদ্দিদে যামান, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্মানিত পিতা ও মাতা উভয়ই ছিলেন বিশিষ্ট ওলীআল্লাহ। উনার সম্মানিত পিতা উনার নাম মুবারক হযরত সাইয়্যিদ গিয়াসুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি।
তিনি ছিলেন সে যুগের অন্যতম বিশিষ্ট আলিম ও যাহিদ এবং সর্বাধিক ইবাদত গুজার মহান ব্যক্তিত্ব। ইলিম, আক্বল ও সমঝের গভীরতার কারনে সবাই উনাকে সমাজের সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে গ্রহ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রমাদ্বান শরীফ মাস:
যদি আকাশ মেঘলা থাকে, তাহলে সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ মাসে শুধু একজন পুরুষ বা একজন মহিলা চাঁদ দেখলেই যথেষ্ট হবে। আর যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে তাহলে বহুসংখ্যক লোক চাঁদ দেখা আবশ্যক।
এ প্রসঙ্গে কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
وَإِذَا كَانَ بِالسَّمَاءِ عِلَّةٌ قَبِلَ الْإِمَامُ شَهَادَةَ الْوَاحِدِ الْعَدْلِ فِي رُؤْيَةِ الْـهِلَالِ رَجُلًا كَانَ أَوْ اِمْرَأَةً حُرًّا كَانَ أَوْ عَبْدًا.
অর্থ: আর যখন আকাশে কোন ত্রুটি থাকবে অর্থাৎ আকাশ যখন মেঘলা থাকবে, তখন ইমাম সম্মানিত রমাদ্বান শরীফ মাসের চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে একজন ন্যায় পরায়ণ ব্যক্তির সাক্ষি গ্রহণ করবেন, হোক সেই ব্য বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
এর মধ্যে অনেক ইবরত-নছীহত রয়েছে। একদিক থেকে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকের আঞ্জাম দেয়া ফরয-ওয়াজিব। আরেকদিক থেকে উনারা চিন্তিত। মহান আল্লাহ পাক তিনি বরদাশ্ত করলেন না। উনারা চিন্তিত থাকবেন এটা কি করে হতে পারে। উনাদেরকে চিন্তা মুক্ত করতে হবে সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি স্বয়ং হাদিয়া পাঠিয়ে দিলেন। সুবহানাল্লাহ! বিষয়টা কিন্তু খুব সূক্ষ্ম বিষয়। এর মধ্যে অনেক, লক্ষ-কোটি ইবরত নছীহত রয়েছে এবং উনারা য বাকি অংশ পড়ুন...
৫. হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের সাথে আদব:
এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاتَّبِعْ سَبِيلَ مَنْ أَنَابَ إِلَيَّ
অর্থ: “যে ব্যক্তি আমার প্রতি রুজু হয়েছেন উনাকে অনুসরণ করো।” (পবিত্র সূরা লুক্বমান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৫)
পবিত্র হাদীছে কুদসী শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ عَادَ لِيْ وَلِيًّا فَقَدْ آذَنْتُهٗ بِالحَرْبِ
অর্থ: “হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, খালিক্ব মালিক রব বাকি অংশ পড়ুন...
الْحَمْدُ لِلّـهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা রব্বুল আলামীন তথা সারা আলমের রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য। (পবিত্র সুরা ফাতিহা শরীফ, পবিত্র আয়াত শরীফ-১)
অর্থাৎ, মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই নিজেকে রব্বুল আলামীন হিসেবে ঘোষণা মুবারক করেছেন। আবার মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক শানে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا أَرْسَلْنَاكَ اِلَّا رَحْمَةً لِّلْعَالَمِينَ
অর্থ: আমি আপনাকে রহমতুল্লিল আলামীন তথা সারা আলমের জন্য সম্মানিত রহমত মুবারক হিসেবে প্রেরণ করেছি। (পবিত্র সুরা আম্ বাকি অংশ পড়ুন...












