(খ) খোসার হলেই হালাল নয়।
খোসার হচ্ছে হিব্রু শব্দ এর অর্থ ইহুদীদের নিয়ম অনুসারে যা হালাল। ইহুদীরা শুকোরের গোশ খায়না ফলে যে প্রোডাক্টগুলো শুকরের গোশত মুক্ত সেখানে তারা কয়েকটি সিম্বল ব্যবহার করে যেমন ট, ক ইত্যাদি। ফলে সাধারন মুসলমানগণ কোন খোসার সিম্বলযুক্ত প্রোডাক্ট দেখলে তারা সেটা হালাল মনে করে খেয়ে নেনে কারণ তারা এইভেবে নিশ্চিত হন যে কমপক্ষে তাতে শুকোরের গোশত নেই। কিন্তু কেবল শুকোরের গোশত থাকলেইতো হারাম হয় না।
খোসারের নিয়মের সাথে সম্মানিত শরীয়তের নিয়মের কোন মিল নেই। কারণ ইহুদীদের একেক রাবাই অনুযায়ী একেক রকম খোসারের ব্যখ্ বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
এখন উনার যিনি আওলাদ, লখতে জিগার তিনি তো সেই রকমই করবেন। সুবহানাল্লাহ! উনারা তো সব দান-খয়রাত করে দিয়েছেন। এখন তো মেহমানদারী করতে হবে। এখন উনারা যে সম্পূর্ণ মহান আল্লাহ পাক খালিক্ব মালিক রব উনার উপর তাওয়াক্কুল করতেন-
مَنْ يَّتَوَكَّلْ عَلَى اللهِ فَهُوَ حَسْبُهٗ
যিনি মহান আল্লাহ পাক উনার উপর ভরসা বা তাওয়াক্কুল করেন, মহান আল্লাহ পাক তিনি সেই ব্যক্তি উনার জন্যে যথেষ্ট। মহান আল্লাহ পাক তিনি সবসময় প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, দেখ- উনারা কিন্তু দুনিয়াবী কোন মাল-সামানার মুহ্তাজ নন। উনারা সরাসরি আমার মুহ্তাজ। সুবহানাল্লাহ! এখন হযরত ই বাকি অংশ পড়ুন...
২. নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে পবিত্র আদব:
এ প্রসঙ্গে খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ
অর্থ: “খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি রসূল ব্যতীত অন্য কিছু নন।” সুবহানাল্লাহ! (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৪৪)
এ প্রসঙ্গে পবিত্র আক্বাইদ উনার কিতাবে বর্ণিত রয়েছে-
مُـحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَبِيُّهٗ وَعَبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ وَصَفِيُّهٗ وَن বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুশমন, ইসলাম ও মুসলিম বিদ্বেষী কাট্টা কাফির আবু রাফে’কে মূলোৎপাটনের ঈমানদীপ্ত কাহিনী
হযরত বারা ইবনে আযিব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা খাযরাজ গোত্রের কিছু লোক কাট্টা ইয়াহুদী আবু রাফে’কে হত্যার জন্য হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুমতি প্রার্থনা করলেন। আবু রাফে’র ষড়যন্ত্র ও শত্রুতার বিষয়ে পূর্ব থেকেই হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অবগত ছিলেন। সুতরাং তিনি খাযরাজ গোত বাকি অংশ পড়ুন...
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী এবং দেশব্যাপী লাইব্রেরী প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ
১৫০০ শতকের সুমহান মুজাদ্দিদ, হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি উনার বাল্যকাল থেকেই কিতাব সংগ্রহ করে যাচ্ছেন। সে কারণে উনার সুমহান আম্মাজান হযরত উম্মু মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহাস সালাম (আমাদের সম্মানিত দাদীজান ক্বিবলা আলাইহাস সালাম) তিনি হযরত মুজাদ্দিদে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার কিতাব কেনা এবং তা রাখার জন্য আলমারি বানিয়ে দেয়া সহ বিশেষ ব্যবস্থা নিতেন। সুবহানাল্লাহ! আলমারির সংখ্যা সহস্রের ঘরে পৌঁছে যাবার পথে আর কিতাব সংখ্যা লক্ষের ঘরে পৌঁছেছে অনেক আগেই। কত ট বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
উনাদের যে মর্যাদা-মর্তবা, খুছূছিয়ত-বৈশিষ্ট্য কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের জীবনী মুবারক-এ রয়েছে, সুলত্বানুল হিন্দ হযরত খাজা গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি, আরও অনেকেই। উনারা জায়নামায তুললে দেখেছেন তার নীচে অনেক স্বর্ণ, মণি-মুক্তা, হীরা-জহরত-এর নহর চলছে অর্থাৎ এটা একটা উনাদের কারামতের অন্তর্ভুক্ত। এই যে কারামতের বিষয়টা এ বিষয়টা কিন্তু প্রথম প্রদর্শন করিয়েছেন দেখিয়েছেন কে? স্বয়ং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহ বাকি অংশ পড়ুন...
মুরীদ বা সালিকের জন্য আদব-কায়দার প্রতি খেয়াল রাখা অবশ্য কর্তব্য। আদব অর্থ স্বাভাবিকতা। অর্থাৎ যা স্বাভাবিক তাই আদব। সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনাকে বলা হয় ‘ফিতরাত’ বা স্বাভাবিকতার দ্বীন। অর্থাৎ অন্য ভাষায় সম্মানিত দ্বীন ইসলাম আদব মুবারকেরই দ্বীন।
অপরদিকে তরীক্বত সম্পর্কে বলা হয়েছে যে-
اَلطَّرِيْقَةُ كُلُّهٗ اَدَبٌ
অর্থ:“তরীক্বতের সবটুকুই আদব।” (মাকতুবাত শরীফ, মাদারিজুস সালিকীন)
আরো বলা হয়েছে যে-
اَلتَّصَوُّفُ كُلُّهٗ اَدَبٌ
অর্থ: “তাছাওউফ সম্পূর্ণই আদবের অন্তর্ভুক্ত।” (মাকতুবাত শরীফ, মাদারিজুস সালিকীন ইত্যাদি) আদবের গুরুত্বের প্রতি খেয়াল বাকি অংশ পড়ুন...
বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি যদিও আবূ জাহেলের ছেলে ছিলেন, পরবর্তী সময় তিনি সম্মানিত ইসলাম কবুল করেছিলেন। একবার (হযরত ইকরামা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি তখনও মুসলমান হননি বা সম্মানিত ইসলাম কবুল করেননি) কুরাইশ নেতা আবূ জাহেল একটা আইন করলো- কোন ব্যক্তি যদি সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খ¦াতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে কোন প্রকার সম্পর্ক প্রকাশ করে বা সম্পর্ক স্থাপন করে, তার শাস্তি মৃত্যুদ-।
তার কিছুদিন পর দেখা গেল, হযরত ইক বাকি অংশ পড়ুন...
বিলাদত শরীফ: ২২ হিজরী।
বিছাল শরীফ: ১১০ হিজরী।
বয়স মুবারক: ৮৮ বছর।
উনার ক্বওল শরীফসমূহ
(তাযকিরাতুল আওলিয়া কিতাব থেকে উদ্ধৃত)
১১। হৃদয় কথা না বলা পর্যন্ত জ্ঞানী লোক চুপ করে থাকেন। যারা জ্ঞানী ও মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করেন উনারা হৃদয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার ইলহাম লাভ করেন। মহান আল্লাহ পাক উনার ইলহাম উনাদের জিহ্বায় উচ্চারিত হয় মাত্র।
১২। মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতের বান্দার দু’টি লক্ষণ আছে- (১) যে যে বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক উনার অসন্তুষ্টি রয়েছে, সেসব বিষয় থেকে তিনি ইন্দ্রিয়গুলোকে (চোখ) সংযত করে রাখেন। (২) যাতে মহান আল্লাহ পাক তিনি বাকি অংশ পড়ুন...
১০২নং পবিত্র হাদীছ শরীফ-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ الْفَارُوْقِ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهٗ قَالَ مَنْ يُّرِدِ اللهُ بِهَدْيِهٖ يُفَهِّمْهُ
অর্থ:“আমীরুল মু’নিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন খতামুন নাবিয়্যীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ব্যক্তি হিদায়েত চায় মহান আল্লাহ পাক তিনি তাকে দ্বীন ইসলাম সর্ম্পকে সঠিক বুঝ দান করেন।” (আস্ সাজযী, কানযুল উম্মাল শরীফ/২৮৭০৪)
১০৩নং পবিত্র হাদীছ শরীফ-
عَنْ حَضْرَتْ وَاثِلَ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র তাশাহহুদ শরীফ বা পবিত্র আত্তাহিইয়াতু শরীফ:
اَلتَّحِيَّاتُ لِلّٰهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيّـبَاتُ اَلسَّلَامُ عَلَيكَ اَيُّـهَا النَّبِىُّ وَرَحْـمَةُ اللهِ وَبَـرَكَاتُهٗ اَلسَّلَامُ عَلَينَا وَعَلٰى عِبَادِ اللهِ الصَّالِـحِيْنَ اَشْهَدُ اَنْ لَّآ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ وَاَشْهَدُ اَنَّ مُـحَمَّدًا عَـبْدُهٗ وَرَسُوْلُهٗ.
পবিত্র দুরূদ শরীফ:
اَللّٰهُمَّ صَلِ عَلٰى سَيِّدِنَا مَوْلٰنَا مُـحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا مَوْلٰنَا مُـحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى سَيِّدِنَا اِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا اِبْرَاهِيْمَ اِنَّكَ حَـمِيْدٌ مَّـجِيْدٌ. اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى سَيِّدِنَا مَوْلٰنَا مُـحَمَّدٍ وَّعَلٰى اٰلِ سَيِّدِنَا مَوْلٰنَا مُـحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى سَيِّدِنَا اِبْرَا বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
তখন যিনি খালিক্ব যিনি মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি বললেন, ঠিক আছে। যেহেতু মালাকুল মউত হযরত আযরায়ীল আলাইহিস সালাম তিনি বিষয়টা পালনের ব্যাপারে ওজরখাহী করছেন তাই স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক খালিক্ব মালিক তিনি বললেন, ঠিক আছে তাহলে আমি কুদরতীভাবে উনাকে নিয়ে আসবো। সত্যি স্বয়ং যিনি খালিক্ব মালিক মহান আল্লাহ পাক তিনি সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ হযরত আন নূরুর রবিআহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার রূহ মুবারক কুদরতীভাবে এনে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর বাকি অংশ পড়ুন...












