(১)
ইয়া সারিয়া! আল-জাবাল। ইয়া সারিয়া! আল জাবাল। পবিত্র মসজিদে নববী শরীফ উনার জুমুয়ার খুতবা মুবারক পাঠ করা অবস্থায় আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি হঠাৎ করে এরূপ অপ্রাসঙ্গিক বাক্য মুবারক উচ্চারণ করায় উপস্থিত সবাই অবাক বিস্মিত। আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি যথারীতি উনার পবিত্র খুতবা মুবারক পাঠ করতে থাকেন।
পবিত্র খুতবা উনার মাঝে হঠাৎ আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উন বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার মুহব্বত ঈমান এবং উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কুফরী।”
সঙ্গতকারণেই উনার শান মুবারক সম্পর্কে অবগত হওয়া সকলের জন্য ফরয। নিম্নে উনার সংক্ষিপ্ত সাওয়ানেহে উমরী মুবারক আলোচনা করা হলো।
মুবারক নসবনামা:
আমিরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন, সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে নসবগতভাবে সম্পৃক্ত বাকি অংশ পড়ুন...
বেহেশতের প্রতিটি দরজা মুবারক সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনাকে আহবান করবে। উম্মতের মধ্যে তিনি সর্বপ্রথম বেহেশতে প্রবেশ করবেন। এতোসব মর্যাদাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও তিনি বলতেন, “আফসুস! আমি যদি গাছ হতাম, যা কেটে ফেলা হয়।” অনেক সময় বলতেন, “আমি যদি ঘাস হতাম, যা পশু খেয়ে ফেলতো।” আবার কোনো সময় বলতেন, “আমি যদি কোনো মু’মিনের গায়ের পশম হতাম।” সুবহানাল্লাহ!
(১)
একদিন তিনি জঙ্গলে গিয়ে একটি জানোয়ারকে বসা অবস্থায় দেখতে পেয়ে এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন, “হে জানোয়ার! তুমি কত সুখে-শান্তিতে আছো, খাও, পান করো, বৃক্ষের ছায়ায় বিচরণ বাকি অংশ পড়ুন...
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهٗ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ أَوَّلَ النَّاسِ يُقْضٰى يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَيْهِ رَجُلٌ اُسْتُشْهِدَ فَأُتِىَ بِهٖ فَعَرَّفَهُ نِعَمَهٗ فَعَرَفَهَا قَالَ فَمَا عَمِلْتَ فِيهَا قَالَ قَاتَلْتُ فِيكَ حَتّٰى اُسْتُشْهِدْتُّ. قَالَ كَذَبْتَ وَلَكِنَّكَ قَاتَلْتَ لِأَنْ يُّقَالَ جَرِىءٌ. فَقَدْ قِيلَ.ثُمَّ أُمِرَ بِهٖ فَسُحِبَ عَلٰى وَجْهِهٖ حَتّٰى أُلْقِىَ فِى النَّارِ.
وَرَجُلٌ تَعَلَّمَ الْعِلْمَ وَعَلَّمَهٗ وَقَرَأَ الْقُرْآنَ فَأُتِىَ بِهٖ فَعَرَّفَهُ نِعَمَهٗ فَعَرَفَهَا قَالَ فَمَا عَمِلْتَ فِيهَا قَالَ تَعَلَّمْتُ الْعِلْمَ وَعَلَّمْتُهٗ وَقَرَأْتُ فِيك বাকি অংশ পড়ুন...
বিলাদত শরীফ: ২২ হিজরী।
বিছাল শরীফ: ১১০ হিজরী।
বয়স মুবারক: ৮৮ বছর।
পরবর্তী জীবনের বিভিন্ন ঘটনা:
এ ঘটনায় শামাউন অনুতপ্ত হয়ে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে আরজ করল, হে হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি! সত্তর বছর বয়স পর্যন্ত আমি অগ্নির উপাসনায় কাটিয়ে দিলাম। এখন মাত্র কয়েকটি শ্বাস অবশিষ্ট আছে। এ অবস্থায়ও যদি কোন উপায় থাকে তাহলে সময় বিনষ্ট না করে আমাকে বলুন। হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, তোমার উদ্ধার পাওয়ার এখনও একটি মাত্র উপায় আছে। তা হচ্ছে দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করা। শামাউন বলল, যদি আপনি আমাকে এ মর্মে একখা বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
এখন উনার আওলাদ যাঁরা যমীনে এসেছেন, দু’জন হচ্ছেন খাছ- হযরত ইমামুছ ছানী আলাইহিস সালাম, হযরত ইমামুছ ছালিছ আলাইহিস সালাম। উনাদের আওলাদ যাঁরা রয়েছেন উনারাই হচ্ছেন আওলাদে রসূল। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আওলাদগণ যমীনে ক্বিয়ামত পর্যন্ত অবস্থান করবেন। এটা হচ্ছে উনার একটা বিশেষ খুছূছিয়ত মুবারক। সমস্ত মানুষ তাদের বংশধারা, নসবনামা জারি থাকে ছেলের মাধ্যম দিয়ে। কিন্তু নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল হুযূর প বাকি অংশ পড়ুন...
পরবর্তী জীবনের বিভিন্ন ঘটনা:
হযরত ইমাম আবু উমর রহমতুল্লাহি আলাইহি কোন এক গুনাহ্র কারণে সম্পূর্ণ পবিত্র কুরআন শরীফ ভুলে গিয়ে তীব্র যন্ত্রণা বোধ করে অস্থির হয়ে পাগলের মত হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট উপস্থিত হয়ে নিজের অবস্থা জানালেন। হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি বললেন, এখন হজ্জের সময়, কি করব? আচ্ছা যান, হানিফ নামক মসজিদে দুই বুযূর্গ ব্যক্তির সাক্ষাত পাবেন। সুযোগমত উনাদের কাছে মনের কথা বলবেন এবং আপনার নিজের জন্য দোআ করতে অনুরোধ করবেন। হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার উপদেশ মত হযরত ইমাম আবু উমর রহ বাকি অংশ পড়ুন...
একবার সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবি‘য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি কোনো কারণে লাগাতার তিন দিন রোযা রাখলেন। অতঃপর প্রথম দিন ইফতারী করার জন্য বন্দোবস্ত করলেন। ইফতার করবেন ঠিক সেই মুহূর্তে একজন মিসকীন উনার বাড়ির দরজায় এসে হাঁক দিয়ে বললো, আমাকে দয়া করে কিছু খাদ্য দান করুন, আমি কয়েকদিন থেকে ক্ষুধার্ত। তখন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবি‘য়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম তিনি ইফতারীর জন্য যা ব্যবস্থা করেছিলেন তা সবই সেই মিসকীনকে দান করে দিলেন। সুবহানাল্লাহ!
আবার দ্বিতীয় দিন রোযা রাখলেন। অতঃপর সেদিনও ইফ বাকি অংশ পড়ুন...
বিলাদত শরীফ: ২২ হিজরী।
বিছাল শরীফ: ১১০ হিজরী।
বয়স মুবারক: ৮৮ বছর।
পরবর্তী জীবনের বিভিন্ন ঘটনা:
বর্ণিত আছে যে, হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি সবসময় চিন্তায় নিমগ্ন থাকতেন। আর হযরত ইবনে সীরীন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে সব সময় হাসি-খুশি দেখা যেত। (তবাকাত)
হযরত আল-হাকাম বিন হাজাল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হযরত ইবনে সীরীন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বন্ধু ছিলেন। হযরত ইবনে সীরীন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিছাল শরীফের পর হযরত আল-হাকাম রহমতুল্লাহি আলাইহি খুবই চিন্তান্বিত হন। তিনি বলেন, আমি আমার ভাই হযরত ইবনে সীরীন রহমতুল্লাহি আলাইহি উ বাকি অংশ পড়ুন...
অনলাইন ভিত্তিক কার্যক্রম
প্যালটক (ছিরাতুল মুস্তাক্বীম, সিরাজাম মুনিরা, আন-নিসা, নূরুন আলা নূর রুম ইত্যাদি)
প্যালটকের আত্মপ্রকাশ ঘটে ১৯৯৮ সালের জুন মাসে। ভিডিওর মাধ্যমে বা ছাড়া আলাপচারিতা করার জন্যই কেবল ইন্টারনেটে এই ঈযধঃ জড়ড়স ঝবৎারপব শুরু হয়। কাফেরদের যেহেতু কোন আদর্শ নেই, আখিরাতের ভয় নেই, মৃত্যুর পর জবাবদিহিতারও চিন্তা নেই ফলে তাদের জীবন-যাপনে রয়েছে বেপরোয়া ভাব। অর্থহীন, অনৈতিক, অশ্লীল আলাপে তারা সময় নষ্ট করতে পারে কিন্তু মুসলমান উনাদের তা সাজে না। কিন্তু প্যালটকের প্রভাব গিয়ে পরে মুসলিম বিশ্বেও। আরব বিশ্বের যুবক-যুবতি বাকি অংশ পড়ুন...












