পবিত্র হাদীছ শরীফ ও সীরাতগ্রন্থসমূহে বর্ণিত রয়েছে, একদিন একজন মহিলা ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা তিনি আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক খিদমতে আরজ করলেন, ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আমার সম্মানিত আহাল (স্বামী) জিহাদে গেছেন। আর আমি গত রাতে একটা স্বপ্ন দেখেছি। স্বপ্ন দেখার পর থেকে কোনক্রমেই ইতমিনান পাচ্ছি না।
আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনার সাথে পূর্ববর্তী সকল হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উপর ঈমান আনা ইসলামী আক্বীদার একটি মৌলিক শর্ত। তবে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আগমন মুবারক উনার দ্বারা পূর্ববর্তী সমস্ত শরীয়তকে বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে। মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ ۚ وَكَفَىٰ بِاللَّهِ شَهِيدًا
অর্থ: “ তিনি সেই সত্ত্বা মুবারক যিনি পূর্ববর্তী বাকি অংশ পড়ুন...
আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “আমার উম্মতের জন্য যদি কষ্ট না হতো তাহলে আমি, প্রত্যেক নামাযের পূর্বে মিসওয়াক করাকে ওয়াজিব করে দিতাম।” এই পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার দ্বারা আমরা বুঝতে পারলাম যে, মিসওয়াক করা খাছ সুন্নত উনার অন্তর্ভুক্ত। মিসওয়াক উনার অনেক ফাযায়িল-ফযীলত রয়েছে। যেমন উম্মুল মু’মিনীন হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “মিসওয়াক মৃত্যু ব্যতীত সমস্ত রোগের আরোগ্য দানকারী।” সুবহানাল্লাহ!
হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তি বাকি অংশ পড়ুন...
هُوَ الْأَوَّلُ وَالْاٰخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ ۖ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمٌ
অর্থ: “তিনিই প্রথম, তিনিই শেষ, তিনিই প্রকাশ্য, তিনিই গোপন, তিনিই সবকিছু সম্বন্ধে জ্ঞাত।”
উদ্ধৃত পবিত্র সূরা হাদীদ শরীফ উনার ৩ নং পবিত্র আয়াত শরীফখানা মহান আল্লাহ পাক উনার সুমহান শান মুবারক প্রকাশার্থে নাযিল হয়েছে।
উক্ত পবিত্র আয়াত শরীফখানা উনার হুবহু মিছদাক মহান আল্লাহ পাক উনার শ্রেষ্ঠতম ও মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনিও। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থ বাকি অংশ পড়ুন...
দ্বিতীয় মনগড়া পদ্ধতিতে মাস গণনার প্রমাণ:
অনেকেই মনে করে থাকে যে, সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার হয়তো চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করে, আসলে তা নয়। বিগত বছরগুলোতে মহাকাশ বিজ্ঞানীসহ সাধারণ মানুষের কাছে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে, যদি খালি চোখে চাঁদ দেখে আরবী মাস শুরু করাকে বিবেচনায় আনা হয়, তাহলে সউদী ওহাবী ইহুদী সরকার সঠিক তারিখে আরবী মাস শুরু করেনি।
চিত্র-১: “মাজলিশ-আল-ইফতা আল আ’লা” কর্তৃক জর্দান মহাকাশ বিষয়ক সংস্থাকে প্রেরিত টেলিগ্রামের নমুনা।
ঘটনাক্রমে সউদী ওহাবী ইহুদী সরকারের সর্বোচ্চ ধর্মীয় কাউন্সিল “মাজলিশ-আল-ইফতা আল আ’লা” থেকে জর্দান ম বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لعنة الله على الكاذبين
অর্থ: “মিথ্যাবাদীদের উপর মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। (পবিত্র সূরা আলে ইমরান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬১)
ইমামুল মুসলিমীন, ইমামুল মুহাদ্দিসীন, মুজাদ্দিদে মিল্লাত ওয়াদ দ্বীন সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমাতুল্লাহি আলাইহি উনার বিরোধিতাকারীরা সকলে মিথ্যাবাদী। হিংসার বশবর্তী হয়ে তারা উনার প্রতি মিথ্যা তোহমত দিয়ে থাকে। তাদের প্রতিহিংসার আগুন এতো দূর গড়েছিলো যে, তারা উনার বিরোধিতায় মিথ্যা হাদীছ শরীফ বর্ণনা করাও জায়িয বলেছে। নাউযুবিল্লাহ!
নুয়ায়িম ইবনে হাম্মাদ খুজায়ী বিরো বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
কাজেই সেই হিসেবে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিষয় সম্পূর্ণ আলাদা।
অতএব, উনাকে ব্যতীত উনার পরবর্তী যারা নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম রয়েছেন, উনাদের মধ্যে ফিকির করলে হযরত কালীমুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি একজন বিশিষ্ট ‘উলুল আযমি মিনার রসূল’ জলীলুল ক্বদর রসূল। কিতাবের দিক থেকে হোক, অন্যান্য দিক থেকে হোক। কিন্তু এতো বড় রসূল। এরপরও উনার না’লাইন শরীফ খুলে আসতে হলো। কারণ সেখানে আরশে মুআল্লার ৭০ হাজার ভাগের একভাগ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আব্দুর রহীম মুুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, আমার শায়েখ হযরত খাজা সাইয়্যিদ আব্দুল্লাহ আকবরাবাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার দরবার শরীফে পৌঁছে লক্ষ্য করলাম যে, হযরত শায়েখ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মুরীদ সকল উনার বাড়ির যাবতীয় কাজ নিজেদের মধ্যে বণ্টন করে নিয়েছেন। কোন একটি কাজও ফেলে রাখা হয়নি। সুতরাং বেশ কিছুদিন আমাকে অপেক্ষা করতে হলো।
অবশেষে একদিন লক্ষ্য করলাম যে, বন-জঙ্গল থেকে কাঠ আনার দায়িত্বে যারা নিয়োজিত, তারা দৈহিকভাবে অত্যন্ত দুর্বল ও জীর্ণ-শীর্ণ। এ দায়িত্ব পালন করা তাদের পক্ষে কিছুতেই সম্ভব নয়। আর আম বাকি অংশ পড়ুন...
“হযরত আবূ দারদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ক্বিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তি সবচেয়ে কঠিন শাস্তি ভোগ করবে, যে তার ইলিমের দ্বারা উপকৃত হয়নি।” (দারেমী শরীফ)
অতএব, যারা ইলিম অনুযায়ী আমল করবে না অর্থাৎ যারা জানে ছবি তোলা হারাম, তারপরও ছবি তোলে। যারা জানে গণতন্ত্র-হরতাল ইত্যাদি হারাম বা বিজাতীয় পন্থা, তারপরও তারা দ্বীন ইসলামের নামে গণতন্ত্র চর্চা করে। মূলতঃ উপরোক্ত হাদীছ শরীফের মিছদাক তারাই অর্থাৎ তার বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ফযর নামায শেষে বিষয়টি নিয়ে আমরা পুনরায় আলোচনা করতে লাগলাম। পরে পবিত্র যিকির উনার লফজ বা শব্দটি আবিষ্কার করতে সমর্থ হলাম। লফজ বা শব্দটি ছিলো, “সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ! সুবহানাল্লাহ।”
আমার যাওজুল মুকাররাম, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদ গিয়াসুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “এ যিকির আলমে আরওয়াহ (রূহের জগতে) সকল ইনসানের জন্য নির্দ্ধারিত ছিলো। এটাই ওই জগতের একমাত্র ইবাদত হিসেবে নির্দ্ধারিত রয়েছে। এ ইবাদতের উপর নির্ভর করেই বান্দাগণ দুনিয়ায় নিজ মর্যাদা-মর্তবা লাভ করে জন্ম নেয়। কেউ ওলীআল্লাহ উনাদের ঘরে, কেউ আলিমের, কেউ জা বাকি অংশ পড়ুন...












