মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ
অর্থ: “হে মানুষেরা! তোমাদের রব তাআলা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন মহান নছীহতকারী, অন্তরের মহান আরোগ্য দানকারী, মহান হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য মহান রহমত দানকারী। (অতএব আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ফদ্বল ও সম্মানিত রহমতস্বরূপ আপনাকে য বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
অর্থ: “অবশ্যই তোমাদের জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যেই রয়েছেন সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২১)
যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ণ জীবন মুবারকই হলো গোটা মানবজাতির জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবনাদর্শ। মানব জীবনের এমন কোন দিক নেই, যেখানে বাকি অংশ পড়ুন...
যে যত বেশী মহান আল্লাহ পাক এবং উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের নিসবত মুবারক হাছিল করবে সে তত বেশী কামিয়াবী হাছিল করবে। আর সেই নিসবত-তা‘য়াল্লুক্ব হাছিল করার অন্যতম মাধ্যম হচ্ছেন- কামিল শায়েখ। এ বিষয়টি ভালোভাবে উপলব্ধি করার লক্ষ্যে প্রাসঙ্গিক একখানা ওয়াক্বেয়াহ মুবারক উনার অবতারণা- হযরত আব্দুল হক্ব মুহাদ্দিছ দেহলভী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে চিনেন না, এমন কোন আলিম পৃথিবীর বুকে নেই। উনারই জীবনী মুবারক-এ ঘটে যায় বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন-
وَفِـىْ مَنَاقِبِ الشَّيْخِ تَاجِ الدِّيْنِ بْنِ عَطَاءِ اللهِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ بَعْضِ تَلَامِذَتِهٖ قَالَ حَجَجْتُ فَلَمَّا كُنْتُ فِـى الطَّوَافِ رَاَيْتُ الشَّيْخَ تَاجَ الدِّيْنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ فِـى الطَّوَافِ فَنَوَيْتُ اَنْ اُسَلِّمَ عَلَيْهِ اِذَا فَرَغَ مِنْ طَوَافِهٖ فَلَمَّا فَرَغَ مِنَ الطَّوَافِ جِئْتُ فَلَمْ اَرَهُ ثُـمَّ رَاَيْتُهٗ فِـىْ عَرَفَةَ كَذٰلِكَ وَفِـىْ سَائِرِ الْمَشَاهِدِ كَذٰلِكَ فَلَمَّا رَجَعْتُ اِلَـى الْقَاهِرَةِ سَاَلْتُ عَنِ الشَّيْخِ فَقِيْلَ لِـىْ طَيِّبٌ فَقُلْتُ هَلْ سَافَرَ قَالُوْا لَا فَجِئْتُ اِلَـى الشَّيْخِ وَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَقَالَ لِـىْ مَنْ رَاَيْتَ فَقُلْتُ يَا سَيِّدِىْ رَاَيْتُ বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আম্বিয়ায়ে ইযাম আলাইহিমুস সালাম তথা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা তো অবশ্যই বরং হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদেরকেও যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইলমে গইব হাদিয়া মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে হযরত খিযির আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَعَلَّمْنٰهُ مِنْ لَّدُنَّا عِلْمًا
অর্থ:‘আমি উনাকে ইলমে লাদুন্নী অর্থাৎ আমার তরফ থেকে ইলিম হাদিয়া করেছি।’ (পবিত্র সূরা কাহাফ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৫)
আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াত উনাদের মতে, হযরত খিযির আলাইহিস সালাম বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
এখন মহান আল্লাহ পাক তিনি মূল কথাটা বলে দিয়েছেন। উনার মধ্যেই তো সব থাকবে। আর তিনি সেটা ভাগ করে দিবেন। তিনি তো বণ্টনকারী।
إِنَّمَا أَنَا قَاسِمٌ وَاللهُ يُعْطِي
মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদিয়া দিয়েছেন আর আমি হলাম বণ্টনকারী। এখন তিনি মেয়েদের জন্য বণ্টন করলেন। যারা উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম, যারা আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে তোমরা যারা মহিলা রয়েছো তারা উনাদের থেকে মাসয়ালা শিক্ষা করো। যেটা হাদীছ শরীফ-এ সরাসরি এসেছে-
خُذُوْا نِصْفَ دِيْنِكُمْ مِنْ هَذِهِ الْحُمَيْرَاءِ
তোমরা দ্বীন শিক্ষা করবে যারা উম্মুল মু’মিনী বাকি অংশ পড়ুন...
ফতওয়ায়ে আলমগীরী কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে- “বুরনুস” পরিধান করে নামায পড়া মাকরূহ্। অথচ বুখারী শরীফে বর্ণিত পবিত্র হাদীছ শরীফ দ্বারা “বুরনুস” পরিধান করার বৈধতা প্রমাণিত হয়। এ ব্যাপারে ফায়সালা কি? কেউ কেউ বলে থাকে, ফত্ওয়ায়ে আলমগীরীতে যে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘বুরনুস’ পরে নামায পড়া মাকরূহ্, তা মূলতঃ রেশম মিশ্রিত বুরনুস। আবার কেউ কেউ বলে থাকে, ফতওয়ায়ে আলমগীরীতে বুরনুস সম্পর্কিত উক্ত বর্ণনাটি তাতারখানিয়া কিতাব থেকে নেয়া হয়েছে, আর তাতারখানিয়া কিতাবে নেয়া হয়েছে- “এতাবিয়া” কিতাব থেকে। অথচ এ মাসয়ালাটি হানাফী ইমামদের কারো থেকে বর্ণিত নেই বাকি অংশ পড়ুন...












