পূর্ব প্রকাশিতের পর
কাজেই এ থেকে বুঝা যায়, উনার মর্যাদা, উনার মর্তবা-ফযীলত, উনার খুছূছিয়ত, উনার বৈশিষ্ট্য কত অপরিসীম। বিষয়টা তো সোজা বিষয় নয়। যিনি নূরে মুজাসসাম, যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, যিনি খাতামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অনুরূপ উনার সমস্ত কিছু ছিলো। এটা তো সোজা বিষয় নয়। এবং স্বয়ং যিনি হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম তিনি নিজেই এটা বলেন-
مَا رَأَيْتُ أَحَدًا أَشْبَهَ
আমি কাউকে দেখিনি অনুরূপ, এতো মুশাবাহা, এতো মিল। এবং তিনি অন্য হাদীছ শরীফ-এ বলেছেন, অনেক সময় বাকি অংশ পড়ুন...
(ক) হালাল প্রোডাক্ট এবং সুপারমার্কেট
যখন কেউ আমাদের দেশের চেইন স্টোর বা বড় কোন শপিং মলে যান সেখান থেকে কেবল দেশী পণ্যই কেনেন না অনেকে বিদেশী প্রোডাক্ট কিনেও ঘরে ফেরেন। বর্তমানে সেখান থেকে হালাল প্রোডাক্ট চিনে নিয়ে ঘরে ফেরা আসলেই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে। এর মূল কারণ হচ্ছে, যে কোন খাবার এবং পানীয়তে যে সব উপাদান থাকে সেসব সম্পর্কে ধারণা না থাকা। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনেক উপাদান ভেষজ উৎস থেকেও তৈরি করা যায় একইভাবে প্রানীজ উৎস থেকে নেয়া যায় , সেক্ষেত্রে হালাল হারাম চিহ্নিত করা সত্যই কঠিন হয়ে পড়েছে।
ইতোপূর্বে অনেকে প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্ বাকি অংশ পড়ুন...
পূর্ব প্রকাশিতের পর
কাজেই বিষয়টি বলে দেয়া হচ্ছে, তোমরাতো আদায় করতে পারবে না, তবে যদি হযরত আহলে বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম, আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সাথে সদাচরণ, সদ্ব্যবহার, মুহব্বত, তায়াল্লুক-নিসবত রাখতে পারো; তাহলে তোমরা হয়তো কিছুটা নিয়ামত হাছিল করতে পারবে। সে বিষয়টি স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে।
এর ব্যাখ্যায় হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحِبُّوا اللهَ لِمَا يَغْذُوكُمْ مِّنْ نِّعَمِهِ فَأَحِبُّوْنِي لِحُبِّ اللهِ وَأَحِبُّوْا أَهْلَ بَيْتِي لِحُبِ বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে বর্ণিত রয়েছেন, হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি যখন হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম উনার নিকট চিঠি পাঠালেন সম্মানিত ঈমান গ্রহণ করার জন্য, তখন হযরত রানী বিলক্বীস আলাইহাস সালাম তিনি উনার অনেক সেনাপতি এবং সৈন্য-সামন্তসহ হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম উনার সম্মানিত খিদমত মুবারক-এ এসে সম্মানিত ঈমান গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! অতঃপর উনাদের দুজনের মধ্যে বিশেষ কথোপকথন মুবারক হয়। এক পর্যায়ে হযরত সুলাইমান আলাইহিস সালাম তিনি বলেন-
وَيْـحَكِ يَا حَضْرَتْ بِلْقِيْسَ عَلَـيْـهَا السَّلَامُ اَفْـنَـيْتِ شَبَابَكِ فِـىْ عِبَادَةِ الشَّمْسِ مِنْ دُوْنِ اللهِ قَالَتْ يَا نَ বাকি অংশ পড়ুন...
মুসলমানদের চিরশত্রু ইহুদী, নাসারা, হিন্দু, বৌদ্ধসহ সমস্ত কাফির, বেদ্বীন, বদদ্বীনরা ছলে, বলে, কৌশলে মুসলমানদের জাহিরী-বাতিনী তথা সর্বোত ক্ষতি সাধনে তৎপর। যার বাস্তবতা দেখতে পাই আমাদের দেশেও। এদেশ থেকে ইসলামী অনুশাসন, তাহযীব-তামাদ্দুন উঠিয়ে দিয়ে মুসলমানদেরকে কোনঠাসা করার লক্ষ্যে এই কাফির গোষ্ঠী কখনো মিডিয়াকে, কখনো শাসক শ্রেণীকে এবং কখনো আদালতকে ব্যবহার করে তাদের স্বার্থ উদ্ধার করে যাচ্ছে। এমনকি শাসক শ্রেণী কোন বিষয়ে সম্মত না হলে, আনুগত্যতা না দেখালে তাদের পরিবর্তনেও সা¤্রাজ্যবাদীরা দেশের আদালতকে ব্যবহার করছে।
তাই, বর্তম বাকি অংশ পড়ুন...
অর্থাৎ যাঁরা প্রকৃত ওলীআল্লাহ বা আউলিয়ায়ে কিরাম উনারাও মহান আল্লাহ পাক উনার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত। কাজেই উনাদের সবকিছুই মহান আল্লাহ পাক উনার কুদরত বা ক্ষমতা বলেই সম্পন্ন হয়ে থাকে। তাই উনাদের গইব সম্পর্কে অবগত হওয়াটা বিস্ময়কর কোন বিষয়ই নয়।
অতএব, হযরত আউলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের ক্ষেত্রে যদি ইলমে গইব থাকাটা বাস্তবসম্মত হয় তাহলে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ইলমে গইব থাকাটা আরো বেশি বাস্তব সম্মত। এ বিষয়ে কেবল পথভ্রষ্ট, জাহিল ও জাহান্নামী ফিরক্বার লোকেরাই চু-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করে থাকে। নাঊযুবিল্লাহ!
সুপ্র বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
لَقَدْ صَدَقَ اللهُ رَسُولَهُ الرُّؤْيَا بِالْحَقِّ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক স্বপ্নকে বাস্তবে প্রতিফলিত করেছেন। (পবিত্র সূরা ফাত্হ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২৭)
আলোচ্য প্রবন্ধে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দেখা একটি স্বপ্ন মুবারক আলোকপাত করা হলো। এ থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠবে যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্বপ্ন মুবারক কত গুরুত্বপূর্ণ, কত তাৎপর্যপূর্ণ ও হুকুম-আহ্কাম সম্বলিত।
বুখারী শরী বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমরান ইবনে হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে এক সফরে ছিলাম।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সফর শুরু করলেন। লোকেরা উনাকে পিপাসার কষ্টের কথা জানালেন। তিনি সেখানেই অবতরণ করলেন, অতঃপর এক ব্যক্তিকে ডাকলেন। (রাবী) হযরত আবু রজা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ঐ ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছিলেন কিন্তু হযরত আওফ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তা উল্লেখ করেননি। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন,
مَنْ عَظَّمَ مَوْلِدِىْ وَهُوَ لَيْلَةُ اثْنَـىْ عَشَرَ مِنْ شَهْرِ رَبِيْعِ الْاَوَّلِ بِاتِّـخَاذِهٖ فِـيْهَا طَـعَامًا كُـنْتُ لَهٗ شَفِيْعًا يَّوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَنْ اَنْفَقَ دِرْهَـمًا فِـىْ مَوْلِدِىْ اِكْـرَامًا فَكَاَنَّـمَا اَنْفَقَ جَـبَـلًا مِّنْ ذَهَبٍ اَحْـمَرَ فِـى الْـيَـتَـامٰى فِـىْ سَبِـيْـلِ اللهِ
অর্থ: “যে ব্যক্তি খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমে, মেহমানদারী করার মাধ্যমে আমার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তারীখ মুবারক সাইয়্যিদু সাই বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَّوْعِظَةٌ مِّنْ رَبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِّمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَّرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ. قُلْ بِفَضْلِ اللهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ
অর্থ: “হে মানুষেরা! তোমাদের রব তাআলা উনার তরফ থেকে তোমাদের নিকট এসেছেন মহান নছীহতকারী, অন্তরের মহান আরোগ্য দানকারী, মহান হিদায়েত দানকারী এবং মু’মিনদের জন্য মহান রহমত দানকারী। (অতএব আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি (উম্মতদেরকে) বলে দিন, মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত ফদ্বল ও সম্মানিত রহমতস্বরূপ আপনাকে য বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ
অর্থ: “অবশ্যই তোমাদের জন্য নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মধ্যেই রয়েছেন সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক।” (পবিত্র সূরা আহযাব শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ২১)
যিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পূর্ণ জীবন মুবারকই হলো গোটা মানবজাতির জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবনাদর্শ। মানব জীবনের এমন কোন দিক নেই, যেখানে বাকি অংশ পড়ুন...












