সেটা কি?
مَنْ حَفِظَهُنَّ حَفِظَ اللَّهُ دِينهُ وَدُنْيَاهُ،
যারা এই তিনটা পবিত্র হুরমত মুবারক, পবিত্র সম্মান মুবারক রক্ষা করবে। অর্থাৎ পবিত্র তা’যীম-তাকরীম করবে যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তার দ্বীন-দুনিয়া, ইহকাল-পরকাল সবকিছুই তিনি কুদরতময় ভাবে হিফাযত মুবারক করবেন। সুবহানাল্লাহি ওয়া রসূলিহি ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!
مَنْ لَمْ يَحْفَظْهُنَّ لَمْ يَحْفَظِ اللَّهُ دِيْنَه وَاَخِرَتَه
আর যে হিফাযত করবে না তার দ্বীন-দুনিয়া, ইহকাল-পরকাল কোনটাই যিনি খ¦লিক যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হিফাযত মুবারক করবেন না। নাউযুবিল্লাহ! বাকি অংশ পড়ুন...
লম্বা, উঁচু ও পাঁচ কল্লি টুপির ব্যাপারে সম্মানিত শরীয়ত উনার ফায়ছালা
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
অপরদিকে কোনা ফাড়া পাঞ্জাবী ও লম্বা বা কিস্তি টুপি দেওবন্দী লোকদের মধ্যে বিস্তার লাভ করার কারণ দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা কাসেম নানুতুবী মজ্জুব হালের লোক ছিলো। এজন্য সে লম্বা টুপি ও কোনা ফাড়া পাঞ্জাবী পরিধান করতো। তখন থেকেই দেওবন্দ মাদ্রাসার ছাত্ররা তাকে অনুসরণ করে, লম্বা টুপি ও কোনা ফাড়া পাঞ্জাবী পরিধান করতে থাকে।
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র সুন্নাহ্ শরীফ বাদ দিয়ে এ ব্যাপারে মাওলানা কাসেম নানুতুবীকে অনুসরণ করা আদৌ শুদ্ধ ন বাকি অংশ পড়ুন...
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
৬. ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির কুফরী কাজের প্রতিবাদ এবং তার বায়াত ভঙ্গ:
পবিত্র মদীনা শরীফবাসী হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা এবং হযরত তাবিয়ী রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনারা ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির এই সকল কুফরী ও হারাম-নাজায়িয কাজের প্রতিবাদ করেন এবং তার বায়াত ভঙ্গ করেন। আল্লামা হযরত ইমাম ইবনে জাওযী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “৬২ হিজরীতে ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহি তার চাচাতো ভাই উছমানকে পবিত্র মদীনা শরীফ উনার শাসক পদে নিয়োগ করে। উছমান ইয়াযীদ লা’নাতুল্লাহি আলাইহির নি বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আযম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ভাবগাম্ভির্যের সাথে মিম্বরের উপর বসলেন। বললেন, বলুন! আপনার সেই প্রশ্নাবলী কি কি?
পাদ্রী বললো, প্রথম প্রশ্ন, মহান আল্লাহ পাক উনার পূর্বে কি ছিল?
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, গণিতের সংখ্যাগুলো আপনার স্মরণ আছে কি? স্মরণ থাকলে কিছু সংখ্যা গণনা করুন।
পাদ্রী বললো, এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ।
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, পূনরায় বলুন।
পাদ্রী বললো, এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ।
সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামে আ’যম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বল বাকি অংশ পড়ুন...
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে,
عَنْ حَضْرَتْ زَيْنَبَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهَا امْرَاَةِ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالى عَنْهُ قَالَتْ خَطَبَنَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ وَلَوْ مِنْ حُلِيّكُنَّ فَاِنَّكُنَّ اَكْثَرُ اَهْلِ جَهَنَّمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
অর্থ : “হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার আহলিয়া হযরত যাইনাব রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাদেরকে সম্বোধন করে ইরশাদ মু বাকি অংশ পড়ুন...
আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার সম্পর্কে স্বয়ং আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
اَشِدَّاءُ عَلَى الْكُفَّارِ
অর্থাৎ কাফেরদের প্রতি কঠোর। আর সাইয়্যিদুল মুরসালীন ইমামুল মুরসালীন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَلْحَقُّ يَنْطِقُ عَلَى لِسَانِ عُمَرَ.
অর্থ: স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত উমর ফারূক্ব আলাইহিস সালাম উনার জবানে কথা বলেন।
সেই হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার খেলাফতকালে জেরুজালেম তথা বায়তুল মোকাদ্দাস ইহুদীদের হাত থেকে মুক্ত করেন মুসলিম সেনাপতি বিশিষ্ বাকি অংশ পড়ুন...
كرامة (কারামত) শব্দের অর্থ: সম্মান, মর্যাদা, মহত্ত¡, অলৌকিক ঘটনা। সাধারণ স্বভাবের বিপরীত যে সকল ঘটনা হযরত আওলিয়ায়ে কিরাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের দ্বারা প্রকাশিত হয় তাকেই কারামত বা অলৌকিক ঘটনা বলে। কারামত হচ্ছে সংশ্লিষ্ট আওলিয়ায়ে কিরাম উনার মর্যাদা, মর্তবার বহিঃপ্রকাশ। কাফির, মুশরিক, ফাসিক-ফুজ্জারদের দ্বারাও স্বভাববিরোধী বা অলৌকিক ঘটনা প্রকাশ পেতে পারে। আবার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের দ্বারাও এরূপ ঘটনা প্রকাশ পেতে পারে। তবে তাকে কারামত বলা যাবে না। তাকে বলা হয়, ইস্তিদরাজ বা ভেল্কিবাজি। আর অপ্রাপ্তদের দ্বারা প্রকাশিত অলৌক বাকি অংশ পড়ুন...
ইবলিস ছয় লক্ষ বছর ইবাদত করেছে। শুধু ইবাদ করেছে ছয় লক্ষ বছর। এরসাথে সে কিন্তু তা’লীম-তালক্বীন করেছে, দরস-তাদরীস করেছে। কিন্তু এরপরও সে গোমরাহ হয়ে গেল, জাহান্নামী। নাউযুবিল্লাহ! সে বলেছিল,
أَنَا خَيْرٌ مِّنْهُ
আমি উনার থেকে শ্রেষ্ঠ। একটা কথায় চির মালউন হয়ে গেল।
وَإِنَّ عَلَيْكَ لَعْنَتِي إِلَىٰ يَوْمِ الدِّينِ
নিশ্চয়ই তোর প্রতি আমার লা’নত ক্বিয়ামত পর্যন্ত তথা অনন্তকাল। এ কথা বলার কারণে অনন্তকালের জন্য সে মালউন হয়ে গেল। সে শ্রেষ্ঠ দাবি করলো। নাউযুবিল্লাহ! যেই শ্রেষ্ঠত্ব দাবি করা কারো পক্ষে কখ্বানো সম্ভব না। সে দাবি করার পর জাহান্নামী হয়ে গেল। বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: কোন পিতা-মাতা যদি ওয়ারিশ সূত্রে সম্পদ কোন সন্তানকে কম দেয় আর কোন সন্তানকে বেশি দেয়। এটা কি পিতা-মাতার জন্য সঠিক হবে?
জাওয়াব: সন্তান অর্থাৎ ছেলে বা মেয়ে পিতা-মাতা উনাদের (স্থাবর-অস্থাবর) সম্পত্তিতে কে কতটুকু অংশ পাবে তা স্বয়ং যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনিই নির্ধারণ করে দিয়েছেন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يُوصِيْكُمُ اللَّهُ فِيْ أَوْلَادِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الْأُنْثَيَيْنِ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে আদেশ মুবারক করেন, তোমাদের সন্তানদের (ওয়ারিশি স্বত্ব পাওয়ার) ব্যাপারে যে, পুত্রের অংশ দু বাকি অংশ পড়ুন...












