১৯
অন্য মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলেছেন-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: حُجُّوْا
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিয়্যীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, তোমরা হজ্জ সম্পাদন করো যাদের হজ্জ ফরয হয়েছে। কেন?
فَإِنَّ الْـحَجَّ يَغْسِلُ الذُّنُـوْبَ
নিশ্চয়ই হজ্জ সমস্ত গুনাহগুলিকে ধুয়ে পরিস্কার করে দেয়, মা’ছূম নিস্পাপ করে দেয়।
كَمَا يَغْسِلُ الْمَاءُ الدَّرَنَ
যেমন পানি ময়লাগুলি দূর করে দেয়। ঠিক একইভাবে হজ্জ মানুষের সমস্ত গুনাহখাতাগুলি দূর করে মা বাকি অংশ পড়ুন...
১৮ পর্ব:
মহান আল্লাহ পাক যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক যিনি রব তিনি উনার পবিত্র কালাম মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে, আর সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফে পবিত্র হজ্জ এবং উমরা সম্পর্কে বান্দা-বান্দি উম্মতদের জন্য বিস্তারিত ফাযায়িল-ফযীলত, মাসয়ালা-মাসায়িল, হুকুম-আহকাম বর্ণনা করেছেন। যে বিষয় উম্মতদের জন্য ইলিম অর্জন করা ফরয ওয়াজিবের অন্তুর্ভুক্ত। কারণ যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক যি বাকি অংশ পড়ুন...
৩২নং পবিত্র হাদীছ শরীফ
عن أُمِّ المُؤْمِنِينَ حضرت عائشة الصديقة عَلَيْهِا السَلَّامَ قَالتَ قَالَ رَسُول اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الخلق كلهم يصلون على معلم الخير حتى حيتان البحر অর্থ : “ উম্মুল মু”মিনীন আচ্ছালিছা হযরত ছিদ্দীক্বা আলাইহাচ্ছালাম উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “সমস্ত মখলুক্বাত উত্তম শিক্ষকের জন্য ছলাত পাঠ করছেন বা মাগফিরাত কামনা করছেন, এমনকি সমূদ্রের মৎসকূলও। ” (দায়লামী শরীফ, কানযুল উম্মাল শরীফ/ বাকি অংশ পড়ুন...
পুলছিরাত হচ্ছে হাশর ময়দান থেকে জান্নাতে যাওয়ার পথে জাহান্নামের উপর একখানি পুল। বর্ণিত রয়েছে, এই পুল চুল অপেক্ষা চিকন এবং তলোয়ার বা ক্ষুর অপেক্ষা ধারালো। এই পুলছিরাত ৩০ হাজার বছরের রাস্তা। প্রত্যেককেই এই পুল ছিরাত পার হতে হবে। পুলছিরাত পার না হওয়া পর্যন্ত কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না। সাধারণভাবে এই পুলছিরাত পার হওয়া অত্যন্ত কঠিন। পুলছিরাত পার হওয়ার পথে যাদের বাহন থাকবে তাদের জন্য পুলছিরাত পার হওয়া সহজ হবে। আর পুলছিরাত পার হওয়ার সেই বাহন হচ্ছে কুরবানীর পশু। সুবহানাল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে একটি ওয়াক্বিয়া বর্ণিত রয়েছে যে, বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র সুন্নত মুবারক অনুযায়ী আমল করতে হবে
হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, একদিন তিনজন হযরত ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা আসলেন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ইবাদত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। উনাদেরকে যখন মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আমল-ইবাদত সম্পর্কে সংবাদ দেয়া হলো, তখন উনারা নিজেদের আমলগুলো কম মনে করলেন এবং বললেন, মহান আল্লাহ পাক তিনিতো উনার মহাসম্মানিত হাব বাকি অংশ পড়ুন...
কুরবানীদাতা উনার ফযীলত
পবিত্র কুরবানী উনার ফযীলত সম্পর্কে বহু পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত রয়েছে।
ক) প্রত্যেক পশমের বিনিময়ে নেকী বা ছওয়াব দেয়া হবে : পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ زَيِدِ بْنِ اَرْقَمَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ اَصْحَابُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ! مَا هذِهِ الْاَ ضَاحِىْ؟ قَالَ سُنَّةُ اَبِيْكُمْ اِبْرَاهِيْمَ عَلَيْهِ الـسَّلاَمُ قَالُوْا فَمَا لَنَـا فِيْهَا يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ بِكُلّ شَعْرَةٍ حَسَنَةٌ قَالُوْا فَالصُّوْفُ يَا رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؟ قَالَ بِكُلِّ شَعْرَةٍ বাকি অংশ পড়ুন...
১৭ পর্ব:
পূর্ব প্রকাশিতের পর
فَإِذَا قَدِمُوْا مَكَّةَ سَأَلُوا النَّاسَ
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মক্কা শরীফে প্রবেশ করার পরেই সেই ইয়ামেনবাসী উনারা কি করতেন? মানুষের কাছে সুওয়াল করতেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করলেন,
فَأَنْزَلَ اللهُ تَعَالٰى
যিনি খ¦লিক্ব যিনি মালিক যিনি রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নাযিল করলেন-
وَتَزَوَّدُوْا فَإِنَّ خَيْرَ الزَّادِ التَّقْوٰى
তোমরা পাথেয় অবলম্বন করো। উত্তম পাথেয় হচ্ছে তাক্বওয়া। উত্তম পাথেয় হচ্ছে তাক্বওয়ার অবলম্বন করা। মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, উনার আদেশ-নির্দেশ মুবারক পালন করো। তিনি যেভাবে বলেছেন সেভাবে করো। মনগড়া করল বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল আম্বিয়া ওয়াল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন, রহমাতুল্লিল আলামীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমানর মূল বিষয়। উনার সম্মানিত মুহব্বত ব্যতীত কেউই ঈমানদার বা মু’মিন মুসলমানদের অন্তর্ভুক্ত হবে না। পিতা-মাতা, আহলিয়া বা স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন সকলের থেকে এমনকি নিজের মাল-সম্পদ, জান-জীবন অপেক্ষা নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মুহব্বত না করা পর্যন্ত কেউ প্রকৃত ঈমানদার হতে পারবে না। বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন কুরবানী করাই সর্বশ্রেষ্ঠ আমল
বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র মদীনা শরীফ উনার মধ্যে দশ বছর অবস্থান মুবারক করেছেন। প্রতি বছরই পবিত্র কুরবানী করেছেন; কখনও তা ছাড়েননি এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারাও পবিত্র কুরবানী করার ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন।
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ اَقَامَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْمَدِيْنَةِ عَشْرَ سِن বাকি অংশ পড়ুন...
১৬ পর্ব:
পূর্ব প্রকাশিতের পর
এখানে বিষয়গুলি স্পষ্ট করে বলে দেয়া হয়েছে একজন মহিলা সারা পৃথিবীর মালিক হলেও তার জন্য হজ্জ ফরয হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তার সাথে মাহরাম না থাকবে। তার আহাল (স্বামী) অথবা মাহরাম। শুধু মাহরাম হলে চলবে না, সৎ চরিত্রবান মাহরাম হতে হবে। এটা শর্ত দেয়া হয়েছে। অন্যথায় তার হজ্জ কখনও ফরয হবে না। সারা পৃথিবীর সে মালিক হলেও। ঠিক একইভাবে পুরুষও যদি সারা পৃথিবীর মালিক হয়ে যায় তারও কিন্তু হজ্জ ফরয হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত এ সমস্ত খারাপ কাজ থেকে সে বেঁচে থাকতে না পারবে। যেটা বলা হচ্ছে, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উন বাকি অংশ পড়ুন...
আইইয়ামে নহর বা পবিত্র কুরবানী উনার দিনে পবিত্র কুরবানী উনার পশু ব্যতীত অন্যান্য প্রাণী যবেহ করার বিধান :
মুসলমান উনাদের আইইয়ামে নহর বা পবিত্র কুরবানী উনার দিনে মজূসী বা অগ্নি উপাসকরা তাদের ধর্মীয় বিধান মুতাবিক হাঁস-মুরগি ইত্যাদি যবেহ করে থাকে। এখন যদি কোন মুসলমান তাদের সাথে মুশাবাহ বা সাদৃশ্য রেখে কুরবানী উনার দিন হাঁস-মুরগি ইত্যাদি যবেহ করে, তাহলে সেটা কুফরী হবে। কারণ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ تَشَبَّهْ بِقَوْمِ فَهُوَ مِنْهُمْ.
অর বাকি অংশ পড়ুন...
১৫ পর্ব:
যেটা অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বলা হচ্ছে-
قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ وَّجَبَ عَلَيْهِ الْـحَجُّ وَلَـمْ يَـحُجَّ فَلَا اَدْرِىْ علَيْهِ يَـمُوْتُ عَلٰى غَيْرِ مِلَّةِ الْإِسْلَامِ
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যার প্রতি হজ্জ ফরয হলো, ওয়াজিব হলো
وَلَـمْ يَـحُجَّ
সে হজ্জ পালন করলো না
فَلَا اَدْرِىْ علَيْهِ يَـمُوْتُ عَلٰى غَيْرِ مِلَّةِ الْإِسْلَامِ
আমি জানি না অর্থাৎ সে ইসলামের বাইরে, বেদ্বীন-বদদ্বীন হয়ে সে মারা যাবে। নাউযুুবিল্লাহ! বাকি অংশ পড়ুন...












