বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: ফরয নামাযের পর সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা, আযানের পর হাত উঠিয়ে মুনাজাত করা, জানাযার নামাযের পর হাত উঠিয়ে মুনাজাত করা বিদয়াত ও নাজায়িয। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: ফরয নামাযের পর ও জানাযার পর সম্মিলিতভাবে হাত উঠিয়ে মুনাজাত করা সুন্নতে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। আযানের পরও হাত উঠিয়ে মুনাজাত করা জায়িয ও মুস্তাহাব।
[এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে মাসিক আল বাইয়্যিনাত-এর ১৩, ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ৩০, ৫২, ৫৬, ৬১, ৭২, ৭৩, ৭৪, ৭৫, ৭৮, ৮০, ৮২, ৮৩, ৮৪, ৮৫ ও ১০৭তম সংখ্যাগুলো পাঠ করুন।]
[দলীলসমূহঃ দুররুল মান বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন খাদ্য গ্রহণের নিয়ম সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ بُرَيْدَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ اَبِيْهِ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لاَ يَـخْرُجُ يَوْمَ الْفِطْرِ حَتَّى يَأْكُلَ وَكَانَ لاَ يَأْكُلُ يَوْمَ النَّحْرِ حَتَّى يَرْجِعَ.
অর্থ : “হযরত ইবনে বুরাইদা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি উনার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পবিত্র ঈদুল ফিত্বর উনার দিন কিছু না খেয়ে বের হতেন না। আর পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার দিন বাকি অংশ পড়ুন...
১৪ পর্ব-যেখানে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِـيْ هُرَيْـرَةَ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ، قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ حَجَّ لِلّٰهِ فَـلَمْ يَـرْفُثْ وَلَـمْ يَفْسُقْ رَجَعَ كَيَـوْمِ وَّلَدَتْهُ أُمُّهٗ
হযরত আবূ হুরাইরা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ¦তামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ حَجَّ لِلّٰهِ
যে মহান আল্লাহ পাক যিনি খলি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস শরীফ উনাদের দৃষ্টিতে গান-বাজনার শরয়ী ফায়ছালা
সবশেষে ক্বাছীদা শরীফ এবং গান-বাজনার একটি তুলনামূলক আলোচনা করা যাক, যাতে মানুষ বুঝতে পারে কিভাবে মুহইস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, ইমামুল আইম্মাহ, মুজাদ্দিদে আ’যম, ক্বইয়ূমুয যামান, জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইয়্যুল আউওয়াল, সুলত্বানিন নাছীর, হাবীবুল্লাহ, জামি‘উল আলক্বাব, আওলাদে রসূল, সাইয়্যিদুনা মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি আমাদের হিফাজত করে যাচ্ছেন।
গান-বাজনা ক্বাছীদা শরীফ
ইসলামী শরীয়ত উনার দৃষ্টিতে হারাম হালাল বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র ঈদুল আদ্বহা উনার নামায আদায় করার সুন্নতী ওয়াক্ত
সকাল বেলা সূর্য পূর্ণভাবে উদিত হওয়ার পর থেকে (অর্থাৎ মাকরূহ ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর থেকে অথবা সূর্য উদয়ের শুরু থেকে ঘড়ির মিনিট অনুযায়ী ২৩ মিনিট পর) পবিত্র ঈদ উনার নামাযের ওয়াক্ত শুরু হয়। আর যাহওয়াতুল কুবরা বা যাওয়াল অথবা শরয়ী অর্ধদিন বা দ্বিপ্রহর অর্থাৎ সূর্যের ইস্তাওয়া আরম্ভ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পবিত্র ঈদ উনার নামাযের ওয়াক্ত থাকে।
ফজরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর ২৩ মিনিট পর্যন্ত মাকরূহ ওয়াক্ত এবং এরপর পবিত্র ঈদ উনার নামাযের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং ছলাতুল যুহরের ওয়াক্ত শুরু হওয়ার ১ ঘ বাকি অংশ পড়ুন...
১৩ পর্ব:
পূর্ব প্রকাশিতের পর
সেটাই পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক করে বলা হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِـىْ هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ، قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِّمَا بَيْنَهُمَا وَالْـحَجُّ الْمَبْرُوْرُ لَيْسَ لَهٗ جَزَاءٌ إِلَّا الْـجَنَّةُ
হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন-
اَلْعُمْرَةُ إِلَى الْعُمْرَةِ كَفَّارَةٌ لِّمَا بَيْنَهُمَا
কেউ যখন উমরাহ করে। হজ্জে তো গুনাহখতা মাফ হয়েই থাকে। যখন সে বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে এটাও বর্ণিত রয়েছে। পবিত্র হাজরে আসওয়াদ, সেখানে চুম্বন করলে গুনাহখতাগুলো চুষে নেয়। যদি তার পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি না করুন যদি পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব না হয় তাহলে কিন্তু পবিত্র হজরে আসওয়াদ তার গুনাহ চুষে নেয় না বরং তার প্রতি লা’নত দেয়। নাউযুবিল্লাহ! যার ফলশ্রুতিতে পর্যায়ক্রমে তার আমলগুলো আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যায়। নাউযুবিল্লাহ! এখন একটা লোকের যদি পবিত্র হজ্জে মাবরূর নছীব হয় তাহলে তার আমলগুলো শুদ্ধ হবে। সমস্ত হারাম থেকে, কুফরী থেকে, শিরিকী থেকে সে বেঁচে থ বাকি অংশ পড়ুন...
মানব হৃদয়ের যাবতীয় আকাঙ্খার মধ্যে ভোজনাকাঙ্খা সবচেয়ে প্রবল। মূলত ভোজনাকাঙ্খাই মানুষের অন্যান্য সমস্ত আকাঙ্খার মূল। ভোজন দ্বারা উদর পরিতৃপ্ত হলেই কাম-রিপু প্রবল হয়ে উঠে। আর ভোজনাকাঙ্খা ও কাম উগ্রতাকে চরিতার্থ করতে হলে অর্থকড়ির প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এই প্রবৃত্তি দুটির সাথে সাথেই ধন সংগ্রহের লালসার উদয় হয়। ধনউপার্জন ও সঞ্চয়ের লক্ষ্যে প্রভাব-প্রতিপত্তির লিপ্সাও জেগে উঠে। এরপর নিজেই সেই ধন-সম্পদ এবং প্রভাব-প্রতিপত্তি রক্ষার জন্য মানুষের সাথে বিবাদ-বিসম্বাদ এবং কলহ-কোন্দলে লিপ্ত হতে হয়। এই কলহ-কোন্দল থেকেই আবার পরস্পরের মধ্যে বাকি অংশ পড়ুন...
আইইয়ামে নহর বা পবিত্র কুরবানী উনার দিনের সময়সীমা
পবিত্র কুরবানী নির্দিষ্ট সময়ের সাথে সম্পর্কিত একটি ইবাদত। এ সময়ের পূর্বে যেমন কুরবানী আদায় হবে না তেমনি পরে করলেও আদায় হবে না। ঈদের ছলাত আদায়ের পূর্বে কুরবানীর পশু যবেহ করা হলে কুরবানী আদায় হবে না। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنِ حَضْرَت الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ رَضِى اللهُ تَعَالـٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اَوَّلَ مَا نَبْدَاُ فِي يَوْمِنَا هَذَا اَنْ نُصَلّيَ ثـمَّ نَرْجِعَ فَنَنْحَرَ فَمَنْ فَعَلَ ذَلِكَ فَقَدْ اَصَابَ سُنَّتَنَا وَمَنْ نَـحَرَ قَبْلَ الصَّلاَةِ فَاِنَّـمَا هُوَ لَـح বাকি অংশ পড়ুন...
১২ পর্ব-পূর্ব প্রকাশিতের পর
মুসলমানরা পবিত্র কুরআন শরীফ, পবিত্র হাদীছ শরীফ, ইজমা, ক্বিয়াস সম্মতভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নির্দেশিত পথ অনুযায়ী তারা এই আঞ্জাম দিবে। সেটা মহান আল্লাহ পাক তিনি গায়েবী মদদ করবেন। সুবহানাল্লাহ! কাজেই বিষয়টা ফিকির করতে হবে। এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার আওয়াজটাকে পৌঁছিয়ে দিলেন। সেটাই বলা হচ্ছে যে, মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্বদরে মতলক্ব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইহসানে মতলক্ব। উনারা বান্দ বাকি অংশ পড়ুন...
২৯নং পবিত্র হাদীছ শরীফ
عن حضرت أبي بكر الصديق عَلَيْهِ السَلَّامَ قَالَ قَالَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اغد عالما أو متعلما أو مستمعا أو محبا ولا تكن الخامس فتهلك অর্থ : “হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক্ব আলাইহিচ্ছালাম উনার থেকে বর্ণিত, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “তুমি আলিম হও অথবা ত্বলিবে ইল্ম হও অথবা শ্রোতা হও অথবা উনাঁদেরকে মুহব্বতকারী হও, পঞ্চম হইওনা, তাহলে ধ্বংস হয়ে যাবে।” (ত্ববরানী শরীফ,বাযযার, কানযুল উম্মাল শরীফ/২৮৭২৬)
৩০নং পবি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরবানী উনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
পবিত্র কুরবানী উনার উদ্দেশ্য হচ্ছে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি-রিযামন্দি মুবারক হাছিল করা। মহান আল্লাহ পাক উনার মত মুবারক অনুযায়ী মত হওয়া এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথ মুবারক অনুযায়ী পথ হওয়াই পবিত্র কুরবানী উনার একমাত্র উদ্দেশ্য।
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَـحْيَايَ وَمَـمَاتِي لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ ◌
অর্থ : বাকি অংশ পড়ুন...












