উনার সম্পর্কে যে ঘটনা উল্লেখ করা হয় সেটা হলো- তিনি একবার সফর করতে এক কাফেলার সাথে গেলেন। সফর করতে করতে রাত্রি হওয়ার কারণে এক গোত্র প্রধানের বাড়ীতে উঠলেন। রাত্রে উনাদের থাকার বন্দোবস্ত করা হলো। উনারা থাকতে লাগলেন। সেই গোত্র প্রধানের এক মেয়ে ছিল। সে হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট তার অশুভ বাসনা পেশ করল। যখন সেই গোত্র প্রধানের মেয়ে এই অশুভ বাসনা পেশ করল তখন হযরত ইউসুফ ইবনে হুসাইন রায়ী রহমতুল্লাহি আলাইহি সেই রাত্রেই সেখান থেকে উঠে পালিয়ে চলে আসলেন।
সেই আরব ভূমির মধ্যে উনার পথ চেনা ছিলো না। তিনি এক মর বাকি অংশ পড়ুন...
অন্তর থাকা সত্বেও বুঝবে না।
চোখ থাকা সত্বেও দেখবে না।
কান থাকা সত্বেও শুনবে না।
বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
فَعَلَيْكُمْ عِبَادَ اللَّهِ بِالدُّعَاءِ
অর্থ: “(নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আদেশ মুবারক করছেন) হে মহান আল্লাহ পাক উনার বান্দা-বান্দীগণ! তোমাদের জন্য উচিত বেশী বেশী করে মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট দু‘আ বা মুনাজাত করা। ” (তিরমিযী শরীফ)
আর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اُدْعُواْ رَبَّكُمْ تَضَرُّعًا وَخُفْيَةً إِنَّهُ لَا يُحِبُّ ٱلْمُعْتَدِينَ
অর্থ: “তোমরা তোমাদের যিনি মহান রব তায়ালা উনাকে অত্যন্ত বিনীতভাবে ও গোপনে ডাকো (উনার নিকট আরজি করো) নিশ্চয়ই তিনি সীমালঙ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি তখন এই পবিত্র আয়াত শরীফ নাযিল করলেন-
إِنَّ أَكْرَمَكُمْ عِنْدَ اللَّهِ أَتْقَاكُمْ
“মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট সবচেয়ে সন্মানিত ঐ ব্যক্তি, যে সবচেয়ে বেশী পরহেযগার। ”
মহান আল্লাহ পাক তিনি এটা বলে দিলেন। এখন আমি যেটা বলছিলাম সেটা হলো, তাকওয়ার স্তর ৩ টা। আদ্না, আওসাত ও আ’লা।
আদ্না দরজাটা কেমন? বলা হয়ে থাকে, আদ্না দরজাটা সাধারণ দরজা। জাহান্নামের দায়েমী বা স্থায়ী আযাব হতে বাঁচার জন্য যে আমল সেটাকে আদ্না দরজার তাকওয়া বলা হয়ে থাকে। সেটার মেছাল হলো যেমন পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন-
يَاأَيُّهَا ا বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالْأَنصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوْهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূর্তি, বেদী, ভাগ্য নির্ধারণকারী তীর এসবগুলোই শয়তানের কাজ। অতএব, এগুলো থেকে তোমরা বিরত থাকো। অবশ্যই তোমরা সফলতা লাভ করবে। (পবিত্র সূরা মায়িদাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৯০)
মহান আল্লাহ পাক তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন-
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْاَوْثَانِ
অর্থ: তোমরা মূর্তিসমূহের খারাবী, অপবিত্রতা, নাপাকী, নিষিদ্ধতা বা শাস্তি থেকে বেঁচে থাকো। বাকি অংশ পড়ুন...
বাতিল ফিরক্বা লা-মাযহাবীদের “সালাফী” নাম ধারণ করা একটি জঘন্য প্রতারণা সালাফ (سلف) শব্দটি আরবী। এর অর্থ- পূর্বসূরী অনুসৃত ব্যক্তিত্ব। এখানে ‘সালাফ’ দ্বারা উদ্দেশ্য: হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম, হযরত তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম ও হযরত তাবে-তাবিয়ীন রহমতুল্লাহি আলাইহিম। এই তিন যুগের অনুসৃত ব্যক্তিত্বগণকে পরিভাষায় ‘সালাফ’ বলা হয়। যাদেরকে আমরা সাধারণ ভাষায় “সলফে ছালেহীন” নামে সম্বোধন করি। হাফেয যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিবরণ মতে এই তিন যুগের সমাপ্তি ঘটেছে হিজরী তৃতীয় শতাব্দীর সূচনালগ্নে। তিনি ‘ম বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, ‘বেশ জিজ্ঞেস করো কি মাসআলা। ’ সে ছাত্র বললো, ‘হুযূর! আমরা সাধারণতঃ জানি সাপ যদি মানুষকে কামড় দেয় তাহলে মানুষ মারা যায়। কিন্তু আজকে আমরা যা দেখলাম তা বিপরীত। আপনি যখন দর্স দিচ্ছিলেন, তখন সাপটা আপনাকে একে একে সাতবার কামড় দিল। আপনার কিছুই হলো না, শেষ পর্যন্ত সাপটা নিজেই মরে গেল। তার কি কারণ?’ হযরত ইমাম আ’যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “দেখ! তুমি যা বলছ তা সত্যই। সাপটা এসেছিল আমাকে কামড় দিয়ে তার বিষ আমার শরীরে প্রবেশ করাতে কিন্তু একে একে সে ছয়বার আমাকে কামড় দিয়ে বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَلَاٰمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللهِ وَمَنْ يَّتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّنْ دُوْنِ اللهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِيْنًا
অর্থ: (ইবলিস শয়তানের অঙ্গীকার) আর আমি তাদের (মানুষদের) মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিকৃত আকৃতি পরিবর্তন বা বিকৃত করার আদেশ করবো। (মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন এ ব্যাপারে) যারা মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, তারা প্রকাশ্য ক্ষতিগ্রস্তের অন্তর্ভুক্ত। ” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ: ১১৯)
দাড়ি মু-ন করা আকৃতি-বিকৃতি করার নামান্তর। যা সম্মানিত শরীয়তে হারাম।
বাকি অংশ পড়ুন...












