পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ الْحَسَنِ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ مُرْسَلًا قَالَ بَلَغَنِى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَعَنَ اللهُ النَّاظِرَ وَالْمَنْظُورَ إِلَيْهِ
অর্থ: হযরত হাসান বছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি মুরসাল সূত্রে বর্ণনা করেন, আমার নিকট এই পবিত্র হাদীছ শরীফ পৌঁছেছে, যে দেখে এবং দেখায় তার প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার লা’নত। ” (বাইহাক্বী শরীফ, মিশকাত শরীফ)
অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার পবিত্র কালাম পাক এবং মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পব বাকি অংশ পড়ুন...
তিনি সে নির্দেশ নিয়ে চলে আসলেন। কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, পঞ্চাশ বৎসর এভাবে তিনি উনার পীর ছাহেবের নির্দেশ পালন করলেন। প্রথম দিকে কোন লোক হতো না উনার মাহফিলে। তিনি ক্বিবলামুখী হয়ে ওয়াজ করতেন। একদিন মাহফিলে কোন লোকই ছিলো না। তিনি মনে করলেন, আজকে চলে যাই, লোক যখন নেই। হঠাৎ একটা বৃদ্ধা মহিলা কোথা থেকে এসে বললেন, হে ইউসুফ! আপনি পীর ছাহেবকে যে ওয়াদা দিয়েছেন, সেটা স্মরণ রাখুন। তিনি আবার সেই ক্বিবলামুখী হয়ে ওয়াজ শুরু করে দিলেন।
পঞ্চাশ বৎসর পর তিনি কামালিয়াত হাছিল করলেন। তবে হযরত ইউসুফ বিন হুসাইন রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার জীবনের মূল যে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا عَدُوِّيْ وَعَدُوَّكُمْ أَوْلِيَاءَ تُلْقُوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَقَدْ كَفَرُوْا بِمَا جَاءَكُمْ مِّنَ الْحَقِّ يُخْرِجُوْنَ الرَّسُوْلَ وَإِيَّاكُمْ ۙ أَنْ تُؤْمِنُوْا بِاللهِ رَبِّكُمْ إِنْ كُنْتُمْ خَرَجْتُمْ جِهَادًا فِيْ سَبِيْلِيْ وَابْتِغَاءَ مَرْضَاتِيْ ۚ تُسِرُّوْنَ إِلَيْهِمْ بِالْمَوَدَّةِ وَأَنَا أَعْلَمُ بِمَا أَخْفَيْتُمْ وَمَا أَعْلَنتُمْ ۚ وَمَنْ يَفْعَلْهُ مِنكُمْ فَقَدْ ضَلَّ سَوَاءَ السَّبِيْلِ.
অর্থ: হে মু’মিনগণ! তোমরা আমার ও তোমাদের শত্রুদেরকে বন্ধু বা অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করো না। তোমরা তাদের প্রতি মুহব্বত ঢেলে দাও অর্থাৎ তোমরা ত বাকি অংশ পড়ুন...
অনেক চিন্তা করে তিনি শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহ পাক উনার যে ওলীর কাছে পাঠানো হয়েছিল, উনার কাছে তিনি গেলেন। যাওয়া মাত্রই সেই মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী বললেন যে, ‘হে ব্যক্তি! আপনি তো এসেছেন মহান আল্লাহ পাক উনার মহব্বত, মা’রিফত শেখার জন্য, ইসমে আ’যম শেখার জন্য হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কাছে। কিন্তু আপনাকে একটা সাধারণ ইঁদুর কৌটার মধ্যে দেয়া হলো, সেটা আপনি বরদাস্ত করতে পারলেন না। তাহলে মহান আল্লাহ পাক উনার ইসমে আ’যম, মহব্বত-মা’রিফত যদি দেয়া হয়, সেটা কি করে আপনি বরদাস্ত করবেন? আপনি আবার ফিরে যান হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَرْفَعُوا أَصْوَاتَكُمْ فَوْقَ صَوْتِ النَّبِيِّ وَلَا تَجْهَرُوا لَهُ بِالْقَوْلِ كَجَهْرِ بَعْضِكُمْ لِبَعْضٍ أَن تَحْبَطَ أَعْمَالُكُمْ وَأَنتُمْ لَا تَشْعُرُونَ
অর্থ: হে মু’মিনগণ! নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত কন্ঠস্বর মুবারক উনার উপর তোমরা তোমাদের কন্ঠস্বর উঁচু করো না এবং তোমরা একে অপরের সাথে যেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো, উনার সাথে সেরূপ উঁচুস্বরে কথা বলো না। এতে তোমাদের কর্ম নিস্ফল হয়ে যাবে এবং তোমরা টেরও পাবে না। (পবিত্র সূরা হুজরাত : আয়াত শরীফ ০২)
বাকি অংশ পড়ুন...
শাইখুশ শুয়ূখ হযরত শাকীক বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, পবিত্র হজ্জের ছফর কালে আমি কাদেসিয়া এলাকায় গিয়ে পৌঁছলাম। সেখানে আমি একজন সুশ্রী ও দীর্ঘদেহী যুবককে দেখলাম। উনার পরনে ছিল শাল। কাঁধে পাগড়ির প্রান্ত এবং পদযুগলে সেন্ডেল মুবারক। তিনি অনেক ভিড়ের মধ্য থেকে বের হয়ে একাকিই এক জায়গায় বসে গেলেন। আমি ভাবলাম, এই যুবক ছূফী শ্রেণীভুক্ত মনে হয়। সম্ভবতঃ তিনি এ ছফরে মুসলমানদের উপর বোঝা হয়ে যেতে চান। কাজেই উনাকে এ থেকে বিরত রাখার জন্যে বলা উচিত।
আমি উনার কাছে যেতেই তিনি বললেন, হে শাকীক! ধারণা করা থেকে বেঁচে থাক বাকি অংশ পড়ুন...
গোসলের সুন্নত
১. অজুর ন্যায় বিসমিল্লাহ বলা।
২. নিয়ত করা। নিয়ত এই-
نَوَيْتُ الْغُسْلَ لِرَفْعِ الْـجَنَابَةِ
“নাওয়াইতুল গুছলা লি রফ্য়িল জানাবাতি। ”
অর্থ : আমি নাপাকী দূর করার জন্য গোসল করছি।
৩. দু’হাতের গিরা (কব্জি) পর্যন্ত তিনবার ধৌত করা।
৪. লিঙ্গ (যোনীদ্বার) ও গুহ্যদ্বারে কোনো প্রকার নাপাকী থাকুক আর নাই থাকুক, উক্ত স্থানদ্বয় ধৌত করা।
৫. শরীরের কোনো স্থানে নাপাকী লেগে থাকলে, তা ধৌত করা।
৬. নামাযের অজুর ন্যায় অজু করা এবং মিসওয়াক করা। কেউ যদি পুকুরে অথবা কোনো পানিধারে নেমে গোসল করে, তবে সেখান থেকে উপরে উঠে পা ধৌত করা।
৭. সমস্ত শরীর তিনবার ধৌত বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ মুতাবিক আমরা এসেছি আপনার কাছে সেই সুসংবাদ দেয়ার জন্য। আপনি বেগানা নারীর ওয়াস্ওয়াসা থেকে বেঁচে নিজের ঈমান হিফাযত করেছেন, মহান আল্লাহ পাক উনাকে খুশি করেছেন। যার জন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে এ ফযীলত দিয়েছেন এবং আরেকটা নির্দেশ দিয়েছেন মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনাকে।
কি নির্দেশ দেয়া হয়েছে? মহান আল্লাহ পাক তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, প্রত্যেক যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার একজন লক্ষ্যস্থল থাকেন। এ যামানায় মহান আল্লাহ পাক উনার লক্ষ্যস্থল হচ্ছেন হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লা বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَتَّخِذُوا آبَاءَكُمْ وَإِخْوَانَكُمْ أَوْلِيَاءَ إِنِ اسْتَحَبُّوا الْكُفْرَ عَلَى الْإِيمَانِ ۚ وَمَن يَتَوَلَّهُم مِّنكُمْ فَأُولَٰئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ ﴿٢٣﴾
অর্থ: হে ঈমানদারগণ! আপনারা আপনাদের পিতা ও ভাইদেরকে বন্ধু-অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করবেন না, যদি তারা ঈমান আনার উপর কুফরীকে মুহব্বত করে বা প্রাধান্য দেয়। আর আপনাদের মধ্য থেকে যারা তাদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করবে, তারাই জালিম সাব্যস্ত হবে। (পবিত্র সূরা তওবা: আয়াত শরীফ ২৩)
বাকি অংশ পড়ুন...












