(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
৪৬. প্রসঙ্গ : আযানের সময় অঙ্গুলী চুম্বন করা মুস্তাহাব সুন্নত
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য : আযানের সময় নবীজি উনার নাম মুবারক শুনে অঙ্গুলী চুম্বন করে চোখে লাগানো বিদয়াত ও নাজায়িয। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া : মারফূ ছহীহ্ হাদীছ শরীফ দ্বারা প্রমাণিত যে, হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের পর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ হযরত আবূ বকর ছিদ্দীক আলাইহিস সালাম তিনি স্বয়ং নিজে আযানে হাবীবে খোদা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নাম মুবারক শুনে অঙ্গুলী চুম্বন করে চোখে লাগিয়েছেন। তাই এটা খাছ সুন্নতে ছাহাবা। মাসিক আ বাকি অংশ পড়ুন...
তখন স্বামী স্ত্রীকে বললো, ‘বেশ, তুমি কিভাবে এটা পরীক্ষা করবে? আমাকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে দাও। ’
তখন স্ত্রী বললো, ‘ঠিক আছে, এক কাজ করুন। আপনি একদিন কাজে বাইরে যাবেন না। অর্থাৎ আপনি যে ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকুরী-বাকুরী ইত্যাদি যা কিছু করেন সেটা করতে যাবেন না। ’ ‘না যেয়ে কি করতে হবে?’ সাধারণতঃ মানুষ যারা টিনের ঘর করে থাকে, তারা টিনের ছাউনীর নীচে পাটাতন দিয়ে থাকে বা করে থাকে; যাকে কাঁড়ও বলে। যেখানে মানুষ অনেক মাল সামানাও রেখে থাকে এবং বসার, থাকার ব্যবস্থাও করে থাকে।
স্ত্রী স্বামীকে বললো, ‘আপনি আজকে সকাল বেলা যে সময় ঘর থেকে বের হন, সে সময় ঘর থেক বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস এলেই বক্তাদের আলোচনার বিষয় হওয়া উচিত নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান, মান, ফাযায়িল- ফযীলত মুবারক সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়। কিন্তু না, দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র বিলাদত শরীফের মুবারক তারিখ নিয়ে কত রকম মতভেদ আছে, কত ইখতিলাফ আছে সে নিয়ে বক্তারা নাতিদীর্ঘ আলোচনা করতে থাকে। অথচ সেটার কোন প্রয়োজনই নেই। উনার মর্যাদা মুবারক যত আলোচনা করা যাবে ততই রহমত মুবারক নাযিল হবে। কিন্তু তারিখের মতভে বাকি অংশ পড়ুন...
প্রথম সনদ:
(পূর্বে প্রকাশিতের পর)
অত্যন্ত ছোট্ট একটি কথা দ্বারা তিনি খুব-ই জটিল ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ইঙ্গিত দিয়েছেন। এতে উক্ত রাবীর বর্ণিত কোন বর্ণনা দলীল নয় এটা-ই স্পষ্ট হলো। আর পবিত্র কুরআন শরীফ উনার দ্বারা হালালকৃত উত্তম খাদ্য সম্পর্কে এমন একটা বর্ণনা দলীল হিসেবে কীভাবে আসতে পারে? যা জিহালতী বা মূর্খতা ব্যতীত কিছুই নয়।
এছাড়াও উপরোক্ত সনদের রাবী সাইফ ইবনে মিসকীন সম্পর্কে ‘সিয়ারু আলামীন আন নুবালা’ কিতাবের মধ্যে এই হাদীছের টিকায় এসেছে-
إِنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قال ألبانها شفاء وسمنها دواء، ولحمها داء (١)
অর্থ: “নূরে মুজাসস বাকি অংশ পড়ুন...
এজন্য অন্য হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِذَا لَمْ تَسْتَحْيِ فَاصْنَعْ مَا شِئْتَ.
“যখন তুমি নির্লজ্জ হবে তখন যা খুশী তাই তুমি করবে। ” অর্থাৎ যখন মানুষের লজ্জা থাকেনা তখন সে যা ইচ্ছা তাই করতে পারে। এবং আরেক হাদীছ শরীফে বলা হয়েছে-
اِذَا فَاتَكَ الْحَيَاءُ فَافْعَلْ مَا شِئْتَ
“যখন তোমার লজ্জা নষ্ট হয়ে যাবে, তুমি যা ইচ্ছা তাই করতে পারবে। ”
কারণ লজ্জা নষ্ট হয়ে গেলে তো ঈমানে ঘাটতি হয়ে যায় তখন সে যা ইচ্ছে সেটাই করতে পারে, প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে সব অবস্থায় সে যে কোন কাজ করতে পারবে। যখন ত বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِنَّا اَعْطَيْنَاكَ الْكَوْثَرَ
অর্থ: (হে হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আমি আপনাকে সম্মানিত ‘কাওছার’ হাদিয়া মুবারক করেছি। (পবিত্র সূরা কাওছার শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ০১)
এখন কাওছার শব্দের ব্যাখ্যায় মুফাসসিরীনগণ বিভিণœ মত পোষণ করেছেন। বলা হয়, এ শব্দের বহুমুখী অসংখ্য অর্থ রয়েছে। যেমন- হাউজে কাওছার। এ সম্পর্কে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسٍ رَضِىَ اَللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ بَيْنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ذَاتَ يَوْمٍ بَيْنَ أَظْهُرِنَا إِذْ اغْفَى اِغْفَاءَةً ثُمَّ رَفَعَ رَأْ বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَللهَ اَللهَ فِـىْ اَصْحَابِـىْ لَاتَتَّخِذُوْهُمْ غَرَضًا مِّنْ بَعْدِىْ فَمَنْ اَحَبَّهُمْ فَبِحُبِّـىْ اَحَبَّهُمْ وَمَنْ اَبْغَضَهُمْ فَبِبُغْضِىْ اَبْغَضَهُمْ وَمَنْ اٰذَاهُمْ فَقَدْ اٰذَانِـىْ وَمَنْ اٰذَانِـىْ فَقَدْ اٰذَى اللهَ وَمَنْ اٰذَى اللهَ فَيُوْشِكُ اَنْ يَّأْخُذَهٗ
অর্থ: আমার ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সম্পর্কে মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো, আমার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ উনার পরে উনাদেরকে তোমরা তিরস্কারের লক্ষ্যস্থল করো না। যে ব্যক্তি উনাদেরকে মুহব্বত করলো, সে আমা বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تَأْذَنَ فِى بَيْتِ زَوْجِهَا إِلا بِإِذْنِهِ، وَلاَ تَخْرُجَ وَهُوَ كَارِهٌ
হযরত মুয়ায রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন যে-
لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ
‘কোন মেয়ের জন্য জায়িয নেই, এটা হালাল হবে না,
تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ
যে মহান আল্লাহ পাক উনার প্রতি ঈমান এনেছে এবং পরকালের প্রতি ঈমান এনেছে বা বিশ্বাস র বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لِكُلّ مُؤْمِنٍ فِيْ كُلّ شَهْرٍ اَرْبَعَةُ اَعْيَادٍ اَوْ خَـمْسَةُ اَعْيَادٍ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, মু’মিন মুসলমান উনাদের প্রতি মাসে চারটি অথবা পাঁচটি ঈদ রয়েছে। অর্থাৎ প্রতিমাসে চারটি অথবা পাঁচটি ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ হয়ে থাকে। (কিফায়া শরহে হিদায়া ২য় খ-: বাবু ছলাতিল ঈদাইন, হাশিয়ায়ে লখনবী আলাল হিদায়া)
বাকি অংশ পড়ুন...












