অজুর মাকরূহসমূহ :
১. অপবিত্র স্থানে বসে অজু করা
২. ডান হাতে পা পরিষ্কার করা
৩. অজু করার সময় দুনিয়াবী কথা বলা
৪. সম্মানিত সুন্নত উনার বিপরীত অজু করা
৫. অতিরিক্ত পানি খরচ করা
৬. মুখমন্ডলে জোরে পানি মারা
৭. ডান হাত দ্বারা নাক পরিষ্কার করা
৮. বাম হাত দ্বারা মুখমন্ডল ধৌত করা
৯. বাম হাতে কুলির পানি মুখে দেয়া
১০. অঙ্গসমূহ তিনবারের কম বা বেশি ধৌত করা
১১. নিচু স্থানে বসে অজু করা।
উযূবিহীন অবস্থার হুকুম
মাসয়ালা : বিনা অজুতে পবিত্র কুরআন শরীফ অথবা ছিপারা স্পর্শ করা মাকরূহ তাহরীমী। এরূপে পবিত্র কুরআন শরীফ অথবা ছিপারার কোনো পাতা এবং জিলদ স্পর বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اُمِّ الْمُوْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَلَيْهَا السَّلَامُ اَنَّهَا كَانَتْ قَدْ اِتَّخَذْتُ عَلٰى سَهْوَةٍ لَّهَا سِتْرًا فِيْهِ تَمَاثِيْلُ فَهَتَكَهُ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
অর্থ: সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার থেকে অপর একটি বর্ণনা মুবারক-এ এসেছে যে, একবার তিনি পবিত্র হুজরা শরীফ উনার জানালা মুবারকে একটি পর্দা মুবারক ঝুলিয়েছিলেন, যাতে প্রাণীর ছবি ছিলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি পর্দাটিকে ছিঁড়ে ফেললেন। (মি বাকি অংশ পড়ুন...
কাজেই সেজন্য খুব সতর্ক, খুব সাবধান থাকতে হবে এ সমস্ত বিষয়ে। অর্থাৎ পর্দার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সাধারণ মানুষ মনে করে থাকে, অল্পতে কি হবে? সে চিন্তা করেছে সত্যি, কিন্তু অল্পটাই আস্তে আস্তে বিরাট আকার ধারণ করে থাকে।
বৃষ্টির এক ফোঁটা করে পড়তে পড়তে বন্যা হয়ে যায়। একটা ইট যোগান দিতে দিতে বিশ-পঞ্চাশ তলা বাড়ি হয়ে যায়। আজকাল তো আর ইট জোড়া দেয় না, আজকাল পাথর দিয়ে বাড়ি করে থাকে। আরো গুড়া, ছোট ছোট দানা একসাথে মিলিয়ে পঞ্চাশ তলা, একশ’ তলা দুইশ’ তলা বাড়ি হয়ে যায়।
ঠিক শয়তানের ওয়াস্ওয়াসা তো একবারে ক্রিয়া করবে না। সে বেপর্দা হয়ে মনে করে যে, অ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ الْمَيْتَةَ وَالدَّمَ وَلَحْمَ الْخِنزِيرِ وَمَا أُهِلَّ بِهِ لِغَيْرِ اللَّهِ ۖ فَمَنِ اضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَا إِثْمَ عَلَيْهِ ۚ إِنَّ اللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের জন্য হারাম করেছেন, মৃত প্রাণী, (মাছ ব্যাতীত) রক্ত, শুকরের গোস্ত এবং সেসব প্রাণী মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যাতীত অন্য কারো নামে যবেহ করা হয়। অবশ্য যে ব্যক্তি নিরুপায় হয়ে পড়ে (মা’যূর হয়ে যায়) এবং নাফরমানী ও সীমালঙ্ঘনকারী না হয়, তার জন্য কোন গুনাহ নেই। নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অসীম দয়ালু। ” সুবহান বাকি অংশ পড়ুন...
খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি গোমরাহীর মধ্যে দৃঢ় থাকে, কোনো ওলীয়ে মুর্শিদ (কামিল শায়েখ) তার নছীব হয় না। ” (পবিত্র সূরা কাহফ্ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৭)
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের হুকুম মুতাবিক প্রত্যেক জিন-ইনসান, পুরুষ-মহিলা সকলের জন্যই একজন কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত হওয়া ফরয।
যারা কামিল শায়েখ বা মুর্শিদ ক্বিবলা উনার নিকট বাইয়াত হয় না, তারা গোমরাহ বা পথভ্রষ্ট।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে- “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্ল বাকি অংশ পড়ুন...
সেটাই হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَنِ النَّبِىِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لاَ تَلِجُوا عَلَى الْمُغِيبَاتِ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِى مِنْ أَحَدِكُمْ مَجْرَى الدَّمِ. قُلْنَا وَمِنْكَ يَا رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ وَمِنِّى وَلَكِنَّ اللهَ أَعَانَنِى عَلَيْهِ فَأَسْلَمُ
হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন যে, আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন যে, দেখ ঐ সমস্ত বাড়ী-ঘরে তোমরা যেওনা, যে সমস্ত বাড়ী ঘরে মহিলারা রয়েছে অথচ তাদের স্বামী নেই।
فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِى م বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত নুয়াইম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু কর্তৃক মুশরিকদের প্রতারণা প্রসঙ্গে:
হযরত ইবনে ইসহাক্ব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি এবং হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা চিন্তিত ছিলেন। উপর-নীচ সবদিক থেকে শত্রুবাহিনী ঘিরে রেখেছিলো। আর তারা উনাদের উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে রেখেছিলো।
এরপর নুয়াইম ইবনে মাসঊদ ইবনে আমির ইবনে উনাইফ ইবনে সা’লাবা ইবনে কুনফুয ইবনে হিলাল ইবনে খালাওয়া ইবনে আশজা ইবনে রাইছ ইবনে গাতফান রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তি বাকি অংশ পড়ুন...
দশ লতিফার প্রত্যেকটিতে আলাদা আলাদা পবিত্র যিকির জারি হওয়ার পর সম্মিলিতভাবে দশ লতিফার যিকির করতে হয়। আর একেই বলা হয় পবিত্র সুলত্বানুল আযকার বা যিকিরের বাদশাহ।
এতে প্রথমে প্রত্যেক পশমের গোড়ায় গোড়ায় অতঃপর পর্যায়ক্রমে চামড়া, গোশত, রক্ত, হাড় ও তার মজ্জায় অর্থাৎ সমগ্র শরীরে আল্লাহ আল্লাহ উনার যিকির মুবারক জারি হয়ে যায়, তখন মাথার তালু হতে পায়ের তলা পর্যন্ত শরীরের সবকিছুই আল্লাহ আল্লাহ উনার যিকির মুবারক করতে থাকে।
উল্লেখ্য, পবিত্র সুলত্বানুল আযকার যিকির মুবারক উনার তিনটি পর্যায় বা স্তর রয়েছে। প্রথমত : সালিক বা মুরীদ দেখতে পাবে যে, বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ اِخْتَارَ اَصْحَابِىْ عَلَى الثَّقَلَيْنِ سِوَى النَّبِيِّيْنَ وَالْمُرْسَلِيْنَ
অর্থ: হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে শুধু হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত সমস্ত জিন-ইনসানের উপর, সমস্ত সৃষ্টির উপর শ্ বাকি অংশ পড়ুন...
হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ جَابِرٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ اللهَ اِخْتَارَ اَصْحَابِىْ عَلَى الثَّقَلَيْنِ سِوَى النَّبِيِّيْنَ وَالْمُرْسَلِيْنَ
অর্থ: হযরত জাবির রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদেরকে শুধু হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা ব্যতীত সমস্ত জিন-ইনসানের উপর, সমস্ত সৃষ্টির উপর শ্ বাকি অংশ পড়ুন...
বিলাদত শরীফ: ১২০১ হিজরী
বিছাল শরীফ: ১২৪৬ হিজরী
বয়স মুবারক: ৪৫ বছর
পবিত্র বিলাদত শরীফ:
সাইয়্যিদুল আউলিয়া, দলিলুল আরেফিন, মাখজানে মারিফাত, সিরাজুল উম্মত, আসাদুল্লাহ্, ছাহিবুল আসরার, সাইয়্যিদুল আবেদীন, মুহইউস সুন্নাহ্, দাফিউল বিদয়াত, মুজাহিদে মিল্লাত, খলীফাতুল্লাহ্ ফিল আরদ, আমিরুল মু’মিনীন, আওলাদে রসূল, হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ১২০১ হিজরী সনের পবিত্র ৬ই ছফর শরীফ, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ ভারতের উত্তর প্রদেশের “রায় বেরেলী” শহরের বিখ্যাত সম্ভ্রান্ত সাইয়্যিদ পরিবারে পবিত্র বিলাদত শরীফ গ্রহণ কর বাকি অংশ পড়ুন...












