হযরত মুজাদ্দিদ বা ওলীউল্লাহ উনাদের প্রতিটি দুয়াই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মক্ববুল
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ছহীহ কিতাব পবিত্র ‘বুখারী শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
لا يزال العبد يتقرب الى بالنوافل حتى احبه فاذا احبته كنت بصره الذى يبصر به كنت سـمعه الذى يسمع به كنت يده التى يبطش بـها كنت لسانه التى ينطق بـها كنت رجله التى يـمشى بـها فاذا سألنى شيأ لاعطيته.
অর্থ : “খালিছ বান্দাগণ (ওলীউল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিম) উনারা নফল বা অতিরিক্ত বা সুন্ বাকি অংশ পড়ুন...
مَنْ لاَ يُفَارِقُكُمْ إِلاَّ عِنْدَ الْغَائِطِ وَحِينَ يُفْضِى الرَّجُلُ إِلَى أَهْلِهِ فَاسْتَحْيُوهُمْ وَأَكْرِمُوهُمْ
আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, ঐ সমস্ত ফেরেশ্তা থেকে তোমরা সাবধান থেকো, যে ফেরেশ্তারা তোমাদের থেকে জুদা হয় না।
مَنْ لاَ يُفَارِقُكُمْ
কয়েক সময় ব্যতীত ফেরেশ্তারা তোমাদের থেকে জুদা হয় না। ”
কাজেই উনাদের থেকে সাবধান থেকো। মানুষ থেকে তো সতর্ক থাকবেই, জীন থেকেও সতর্ক থাকবে, এমনকি ফেরেশ্তাদের কাছ থেকেও সতর্ক থেকো যাতে তোমাদের সতর খুলে না যায়। কয়েক সময় ফেরেশ্তারা শুধু সরে যান, যখন তোমরা ইস্তি বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ الْكَافِرِيْنَ كَانُوْا لَكُمْ عَدُوًّا مُّبِيْنًا
অর্থ: হে ঈমানদাররা! নিশ্চয়ই কাফিররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০১) বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- যে আমার জন্য অর্থাৎ পরকালের জন্য, আমার সন্তুষ্টি-রেজামন্দীর জন্য কোশেশ করেছে, তার সে কোশেশ আমি গ্রহণ করবো, সেটা গ্রহণযোগ্য হবে, সে তার বদলা পাবে। আর যে দুনিয়া চায়, আমি তাকে সামান্য দিয়ে থাকি এবং পরকালে তার জন্য জাহান্নাম রেখেছি, সেখানে সে লাঞ্ছিত হয়ে পদদলিত হয়ে, বিতাড়িত হয়ে প্রবেশ করবে। আর যারা আমার কাছে পরকাল চায়, তাকে আমি অবশ্যই পরকাল দিয়ে থাকি। তবে কতটুকু দিবো পরকাল? অর্থাৎ সেখানে তার ইজ্জত-সম্মান যতটুকু দরকার রয়েছে, আমি সবটুকু তাকে দিবো, দিয়ে তাকে আমি প্রবেশ করাবো অর্থাৎ সে তার সম্মান-ইজ বাকি অংশ পড়ুন...
যারা আলিম হবেন, উলামায়ে হক্কানী-রব্বানী মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত হবেন। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ হবেন, উনাদের জন্য ফযীলত-বুযূর্গী রয়েছে, সম্মান রয়েছে।
যেমন- বলা হয় হযরত ইমাম আবু ইউসুফ রহমতুল্লাহি আলাইহি যিনি ফক্বীহ, ফক্বীহুল উম্মত, যিনি হযরত ইমামে আ’যম আবু হানিফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিশিষ্ট প্রধান ছাত্র ছিলেন। কাজিউল কুজাত (প্রধান বিচারক) ছিলেন সারা মুসলিম জাহানের। যার উছীলায় হানাফী মাযহাব প্রচার-প্রসার লাভ করেছে। যে দুইজন ব্যক্তির উছী বাকি অংশ পড়ুন...
যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি মহাসম্মানিত কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَكُمْ وَعَسَى أَنْ تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَكُمْ وَعَسَى أَنْ تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَكُمْ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنْتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
অর্থ: “তোমাদের উপর জিহাদ ফরয করা হয়েছে। যদিও তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়; কিন্তু তোমরা যা পছন্দ করো না সম্ভবতঃ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং তোমরা যা পছন্দ করো সম্ভবতঃ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি জানেন, তোমরা জানো না। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা: আয়া বাকি অংশ পড়ুন...
ক্ববরে রাখার পর মাইয়্যিতকে যে প্রশ্নগুলো করা হয়। সেখানেও মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্পর্কেও প্রশ্ন করা হয়। যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে- হযরত আবূ হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন-
تَلَا رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُثَبِّتُ اللهُ الَّذِيْنَ آمَنُوْا بِالْقَوْلِ الثَّابِتِ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَفِي الْآخِرَةِ فَقَالَ ذَالِكَ إِذَا قِيْلَ لَهُ فِي الْقَبْرِ مَنْ رَبُّكَ؟ وَمَا دِيْنُكَ؟ وَمَنْ نَبِيُّكَ؟ فَيَقُوْلُ اللهُ رَبِّيْ وَالْإِسْلَامُ دِيْنِيْ وَ سَيِّدُنَا مُحَمَّدٌ صَلَّ বাকি অংশ পড়ুন...
ইসলামী শরীয়তে দ্বীনি ইলম-তালিমের কথাতো রয়েছেই, বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে দ্বীনি তালিমের বিষয়টি নিয়ে কথা বলা অনেক অনেক বেশি জরুরী। এখন স্কুল-কলেজসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠ্যবইয়ের সিলেবাসে যে ধরনের কুফরীমূলক ইসলামবিরোধী গল্প, কবিতা, রচনা, প্রবন্ধ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, সেগুলো পড়ে কোনোভাবেই ছাত্রছাত্রীদের পক্ষে হক্ব পথে, সঠিক পথে থাকা সম্ভব নয়। নাউযুবিল্লাহ! তাছাড়া ‘আউট নলেজ’-এর নামে অশ্লীল অশালীন বই, বিদয়াতী, বাতিল ফিরক্বাদের বই, মানবতাবাদী ও উদারতার নামে নাস্তিক্যবাদী বই দিয়ে ছেয়ে গেছে চারদিক। ইন্টা বাকি অংশ পড়ুন...
সেজন্য অন্য হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لاَ يَنْظُرُ الرَّجُلُ إِلَى عَوْرَةِ الرَّجُلِ وَلاَ تَنْظُرُ الْمَرْأَةُ إِلَى عَوْرَةِ الْمَرْأَةِ وَلاَ يُفْضِى الرَّجُلُ إِلَى الرَّجُلِ فِى ثَوْبٍ وَاحِدٍ وَلاَ تُفْضِى الْمَرْأَةُ إِلَى الْمَرْأَةِ فِى الثَّوْبِ الْوَاحِدِ.
হযরত আবু সাঈদ খুদরী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন যে, আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেছেন যে, দেখ-
لاَ يَنْظُرُ الرَّجُلُ إِلَى عَوْرَةِ الرَّجُلِ
কোন পুরুষ যেন আরেক পুরুষের যে সতর র বাকি অংশ পড়ুন...
বাল্যকাল:
হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বাল্য বয়স থেকেই নির্জনতা অবলম্বন করতেন এবং কাফির মুশরিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার চিন্তা-ভাবনা করতেন। উনার শৈশবকাল মুবারক সম্পর্কে “সাওয়ানেহ আহমদী” নামক কিতাবে তিনি নিজেই বলেন, বাল্যকাল হতেই আমার মনে এই ধারণা বা ভাব উদয় হতো যে, একদিন আমি কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করবো। তাই শৈশবেই দেখা যায় তিনি উনার সঙ্গী-সাথীদের দুই দলে বিভক্ত করে দু’টি পরস্পর সৈন্যবাহিনী দাঁড় করিয়ে দিতেন। একটি দলের আমির হয়ে তিনি উনার নাম দিতেন “মুজাহিদে ইসলাম” অন্য দলটির নাম দেওয়া হতো “কাফির বাকি অংশ পড়ুন...












