পবিত্র মীলাদ শরীফ পাঠ করা ও তা’যীমার্থে ক্বিয়াম শরীফ করা সুন্নত হওয়ার অকাট্য প্রমাণ
, ০৯ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৫ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ০৪ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ২১ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
হযরত মুজাদ্দিদ বা ওলীউল্লাহ উনাদের প্রতিটি দুয়াই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট মক্ববুল
এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ছহীহ কিতাব পবিত্র ‘বুখারী শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ আছে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
لا يزال العبد يتقرب الى بالنوافل حتى احبه فاذا احبته كنت بصره الذى يبصر به كنت سـمعه الذى يسمع به كنت يده التى يبطش بـها كنت لسانه التى ينطق بـها كنت رجله التى يـمشى بـها فاذا سألنى شيأ لاعطيته.
অর্থ : “খালিছ বান্দাগণ (ওলীউল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিম) উনারা নফল বা অতিরিক্ত বা সুন্নত উনার অনুসরণের মাধ্যমে আমার এতটুকু নৈকট্য লাভ করেন যে, আমি উনাদেরকে মুহব্বত করি। আর আমি যখন উনাদেরকে মুহব্বত করি- তখন আমি উনাদের চোখ হয়ে যাই, সেই চোখ মুবারক-এ উনারা দেখেন। আমি উনাদের কান হয়ে যাই, সেই কান মুবারক-এ উনারা শুনেন। আমি উনাদের হাত হয়ে যাই, সেই হাত মুবারক-এ উনারা ধরেন। আমি উনাদের যবান হয়ে যাই, সেই যবান মুবারক-এ উনারা কথা বলেন। আমি উনাদের পা হয়ে যাই, সেই পা মুবারক-এ উনারা চলেন (অর্থাৎ বান্দা পরিপূর্ণরূপে মহান আল্লাহ পাক উনার মত মুবারক অনুযায়ী মত হয়ে যায়)। অতঃপর উনারা আমার নিকট যা চান, আমি উনাদেরকে তাই দিয়ে থাকি। ” সুবহানাল্লাহ!
অর্থাৎ মক্ববুল ওলীউল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনাদের প্রতিটি দুয়াই খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার নিকট নিশ্চিতভাবে কবুল হয়ে থাকে।
মুনাজাত করার সুন্নতী পদ্ধতি
১. দুরূদ শরীফ পাঠের মাধ্যমে মুনাজাত শুরু করা। অর্থাৎ মুনাজাত উনার শুরুতে, মধ্যখানে ও শেষে বেশি বেশি দুরূদ শরীফ পাঠ করা। হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَةْ عُمَرَ بْنِ الْـخَطَّابِ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ اِنَّ الدُّعَاءَ مَوْقُوْفٌ بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْاَرْضِ حَتّٰى تُصَلِّىَ عَلٰى نَبِيّكَ فَصَلُّوْا فِىْ الْاَوَّلِ الدُّعَاءِ وَاَوْسَطِهَا وَاٰخِرِهَا.
অর্থ : হযরত উমর ইবনুল খত্তাব আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, “দুয়া বা মুনাজাত আসমান ও যমীনের মধ্যখানে ঝুলন্ত অবস্থায় থাকে। যতক্ষণ পর্যন্ত নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি দুরূদ শরীফ পাঠ না করা হয়। ”
সুতরাং তোমরা দুয়া বা মুনাজাত উনার শুরুতে, মধ্যখানে ও শেষে দুরূদ শরীফ পাঠ কর।
২. উভয় হাত সিনা পর্যন্ত উত্তোলন করা।
৩. উভয় হাত মিলিত রাখা কোন ফাঁক না রাখা।
৪. হাতের তালু আসমানের দিকে রাখা।
৫. পাঁচ ওয়াক্ত নামায, জুমুয়া, ঈদ, তারাবীহসহ সর্বপ্রকার নামাযের পর এবং যে কোন মাহফিল বা দ্বীনী মজলিসের পর হাত তুলে সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা জায়িয ও সুন্নত।
৬. নিম্নোক্ত আয়াত শরীফ পাঠ করে মুনাজাত শেষ করা সুন্নত।
سُبْحَانَ رَبّكَ رَبّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ وَسَلٰمٌ عَلَى الْـمُرْسَلِيْنَ وَالْـحَمْدُ لِلّٰهِ رَبّ الْعٰلَمِيْنَ.
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












