ছহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
পর্দার গুরুত্ব-তাৎপর্য ও হুকুম-আহ্কাম (৭১)
, ০৭ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ০৩ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ০২ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ১৯ শ্রাবণ, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
কাজেই সেজন্য খুব সতর্ক, খুব সাবধান থাকতে হবে এ সমস্ত বিষয়ে। অর্থাৎ পর্দার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। সাধারণ মানুষ মনে করে থাকে, অল্পতে কি হবে? সে চিন্তা করেছে সত্যি, কিন্তু অল্পটাই আস্তে আস্তে বিরাট আকার ধারণ করে থাকে।
বৃষ্টির এক ফোঁটা করে পড়তে পড়তে বন্যা হয়ে যায়। একটা ইট যোগান দিতে দিতে বিশ-পঞ্চাশ তলা বাড়ি হয়ে যায়। আজকাল তো আর ইট জোড়া দেয় না, আজকাল পাথর দিয়ে বাড়ি করে থাকে। আরো গুড়া, ছোট ছোট দানা একসাথে মিলিয়ে পঞ্চাশ তলা, একশ’ তলা দুইশ’ তলা বাড়ি হয়ে যায়।
ঠিক শয়তানের ওয়াস্ওয়াসা তো একবারে ক্রিয়া করবে না। সে বেপর্দা হয়ে মনে করে যে, অন্তর তো আমার ঠিক রয়েছে। এটা সম্পূর্ণ ভুল কথা। কস্মিনকালেও এটা শুদ্ধ নয় ।
দ্বিতীয়তঃ প্রাথমিক অবস্থায় সে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করবে। এরপর সে আর পারবে না। পর্যায়ক্রমে ওয়াস্ওয়াসায় পড়ে যাবে। ঠিক সে আবেদের মত এক সময় তার কঠিন পরিণতি হবে। কাজেই খুব সাবধান থাকতে হবে, দৃষ্টি থেকে।
সেটাই মহান আল্লাহ পাক তিনি বলে দিয়েছেন, যা পুরুষ এবং মহিলাদেরকে বলে দিয়েছেন-
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ . وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ.
‘পুরুষ এবং মহিলাদেরকে দৃষ্টি সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছেন, তারা যেন দৃষ্টি অবনত রাখে। ’
এরপর কি বলা হয়েছে-
وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ. وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ
মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, ‘তারা যেন তাদের ইজ্জত-আবরু হিফাযত করে। ’
কি করে হিফাযত করবে? এর তাফসীরে, ব্যাখ্যায় অনেক কিছু বলা হয়েছে।
মূল বিষয় যেটা সেটা হচ্ছে, হাদীছ শরীফে এসেছে-
قَالَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ نَظَرَ اِلٰى مَحَاسِنِ اِمْرَاَةٍ اَجْنَبِيَّةٍ عَنْ شَهْوَةٍ صُبَّ فِى عَيْنَيْهِ الاٰنُكُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ نَظَرَ اِلٰى مَحَاسِنِ اِمْرَاَةٍ اَجْنَبِيَّةٍ
কেউ যদি কোন বেগানা মহিলার সৌন্দর্যের প্রতি দৃষ্টি করে,
شَهْوَةٍ عَنْ
খাহেশাতে নফসানিয়ত বা খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে যদি কেউ দৃষ্টি করে; যে দৃষ্টি করবে-
صُبَّ فِى عَيْنَيْهِ الاٰنُكُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ
মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্বিয়ামতের দিন তার উভয় চোখের মধ্যে সীসা ঢেলে দিবেন। নাউযুবিল্লাহ! সীসা ঢেলে দিবেন, সে কেন দৃষ্টি করেছে।
এখানে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন যে, কোন বেগানা মহিলার প্রতি অর্থাৎ তার সৌন্দর্যের প্রতি যদি কেউ দৃষ্টি করে, দৃষ্টি করার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি ক্বিয়ামতের দিন তার চোখের মধ্যে সীসা ঢেলে দিবেন।
কাজেই খুব সাবধানের বিষয়।
(অসমাপ্ত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
হযরত আব্বাস ইবনে মিরদাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
যাকাত সম্পর্কিত আহকাম, মাসায়িল ও ফাযায়িল (৪)
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাফরমানীমূলক কাজ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












