অন্যান্য বর্ণনা:
হযরত খাজা নকশবন্দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, সম্মানিত পীর ছাহিব ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নির্দেশিত কোন কাজ যদি মুরীদের জন্য কঠিন মনে হয়, কিংবা মনে সন্দেহের উদ্রেক করে, তা হলে সে মুরীদ সবর করবে এবং ভক্তি ও বিশ্বাস নষ্ট করবে না। হয়ত এর রহস্য পরে তার নিকট প্রকাশ হয়ে পড়বে। আর যদি মুরীদের প্রাথমিক অবস্থায় এরূপ ঘটে এবং তার সবর করার শক্তি না থাকে, তাহলে হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম উনার নিকট তা জিজ্ঞাসা করা উচিত। এইরূপ জিজ্ঞাসা হালাল অর্থাৎ যুক্তিসঙ্গত। তবে যদি সালিকের মা’রিফাত হাছিলের মধ্যপথে এইরূপ ঘট বাকি অংশ পড়ুন...
উপমহাদেশে গরুকে কেন্দ্র করে মুসলমানদের জিহাদ
আমরা যদি ইতিহাসের পাতা একটু পিছনের দিকে উল্টিয়ে দেখি তাহলে আমরা দেখতে পাই, এই উপমহাদেশে এবং বিশেষ করে এই বাংলার যমীনে সম্মানিত দ্বীন ইসলাম এসেছে গরু যবেহ ও গরুর গোস্তকে কেন্দ্র করে। তাই এই বাঙ্গালী মুসলমানদের অস্তিত্বের সাথেই রয়েছে গরু যবেহ ও গরুর গোস্ত।
১. ৭১২ সালে হযরত মুহম্মদ বিন ক্বাসিম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সিন্ধু বিজয় করেন। যার মূল কারণ সমূহের মধ্যে অন্যতম একটি কারণ ছিলো রাজা দাহির গরু যবেহ নিষিদ্ধ করেছিলো এবং যারাই গরু যবেহ করতো উনাদেরকে ধরে ধরে সে শহীদ করতো। আজকে যেই বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি উল্লেখ করেন-
وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ
তোমরা এমনভাবে রাস্তা চলনা, তোমাদের পদাঘাতের কারণে, পায়ে হাঁটার কারণে তোমাদের সৌন্দর্য প্রকাশ হয়ে যায়, বের হয়ে যায়, গুপ্ত সৌন্দর্য সেটা প্রকাশ হয়ে যায়, এমনভাবে তোমরা হেঁটনা, আওয়াজ করে, হৈ-চৈ, থৈ-থৈ করে তোমরা হেঁটো না।
وَتُوبُوا إِلَى اللهِ جَمِيعًا
তোমরা সকলেই মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে তওবা করো।
أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে ঈমানদাররা! আশা করা যায়, তোমরা কামিয়াবী হাছিল করবে, অবশ্যই কামিয়াবী হাছিল করবে।
এখানে মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন ‘স বাকি অংশ পড়ুন...
মানব রচিত শাসন ব্যবস্থা, যার আইন-কানুন, নিয়ম-নীতি, তর্জ তরীক্বা মানুষের দ্বারা রচিত, বিশেষ করে বিধর্মীদের দ্বারা বিশেষ করে ইহুদীদের দ্বারা উদ্ভাবিত ও প্রবর্তিত- তা অনুসরণ-অনুকরণ করা ঈমানদার মুসলমানদের জন্য জায়িয নেই।
সম্মানিত দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য মতবাদ অনুসরণ করা নিষেধ, সে বিষয়ে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الْإِسْلَامِ دِينًا فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الْآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ
অর্থ: যে ব্যক্তি দ্বীন ইসলাম ব্যতীত অন্য কোন ধর্ম (নিয়ম-নীতির) অনুসরণ করে, তার থেকে তা কখনই গ্রহণ করা হবে না এবং সে বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যান্য বর্ণনা:
বর্ণিত আছে যে হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশবন্দ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার কোন দাস-দাসী ছিলো না। লোকেরা এ ব্যাপারে উনাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর দেন যে, বন্দেগীর সঙ্গে খাজেগী ঠিক হয় না অর্থাৎ দাসত্বের সঙ্গে প্রভুত্ব ঠিক হয় না।
হযরত খাজা বাহাউদ্দিন নকশবন্দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, নফসকে দোষারোপ করতে থাকো; কেননা যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার মেহেরবানীতে নিজের নফসকে মন্দ হিসাবে চিনে নেয় এবং এর চাতুরী ও ফেরেববাজী বুঝতে পারে, তার জন্য কাজ সহজ হয়ে যায়। এ রাস্তা অতিক্রমকারী এ ধরণের অনেক লোক অতীতে গুজরে গেছেন, যাঁ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يـَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاَمْرَأَةٍ اِلَّا ثَالِثُهَا الشَّيْطَانُ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, (মহান আল্লাহ পাক উনার কসম!) কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে একাকী হলেই শয়তান এসে তাদের তৃতীয় ব্যক্তি হয়। অর্থাৎ তাদের উভয়কেই গুনাহের কাজে লিপ্ত করার জন্য ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে। ” নাউযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি যারা মু’মিন মুসলমান নারী রয়েছেন, মহিলা রয়েছেন তাদেরকে উল্লেখ করে বলেন, হে মহিলারা! তোমরা তোমাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখো। وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ তোমাদের লজ্জাস্থানকে তোমরা হিফাযত করো।
وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا
তোমরা তোমাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন করো না, প্রকাশ করো না। তবে অবশ্য যেটা আপছেআপ বের হয়ে যায় সেটা ব্যতীত।
وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ
তোমরা অবশ্যই ওড়না বা আবরণ মাথার উপর থেকে সীনা পযর্ন্ত ঢেলে দিবে। বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের সুস্পষ্ট বর্ণনা দ্বারা খেলাধুলাকে হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَا خَلَقْنَا السَّمَاءَ وَالْأَرْضَ وَمَا بَيْنَهُمَا لَاعِبِينَ
অর্থ: আমি আসমান ও যমীন এবং এতদুভয়ের মধ্যে যা কিছু আছে তা ক্রীড়াচ্ছলে অর্থাৎ খেলাধুলার উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করিনি। (পবিত্র সূরা আম্বিয়া শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১৬)
এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার বিখ্যাত ও বিশুদ্ধ কিতাব ‘মুস্তাদরাক লিল হাকিম শরীফ ’উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সা বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক:
ফুরফুরা শরীফের হযরত মুজাদ্দিদে যামান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি হিজরী ১২৬৩ সনে হুগলী জিলার ফুরফরা শরীফে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন।
পবিত্র নসব মুবারক:
ফুরফুরা শরীফের হযরত মুজাদ্দিদে যামান রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি খলীফাতু রসূলিল্লাহ হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার বংশধর এবং হযরত মাওলানা মনছুর বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ১৫তম নিম্নপুরুষ। সুবহানাল্লাহ!
হযরত মনছুর বাগদাদী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার সেনাপতি হুসাইন বুখারী উনার সাথে বঙ্গদেশে আগমন পূর্বক ফুরফুরা ও উনার প বাকি অংশ পড়ুন...
কাজেই কেউ যদি কোন জরুরতে কাউকে ফিরিয়ে দেয় সেটা অসন্তুষ্ট হওয়ার কিছুই নেই। কারণ এটাই মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ। মানুষের সুবিধা অসুবিধা রয়েছে, কাজের ব্যস্ততা রয়েছে। যদি কাউকে ফিরিয়ে দেয় তাহলে তার পক্ষে যদি সম্ভব হয় তাহলে যেন সময়টা বলে দেয় যে, এখন তো সম্ভব হচ্ছে না, পরবর্তী সময় আপনি যোগাযোগ করুন বা অমুক সময় আসুন। এটা যেন বলে দেয়া হয়, সেটা মহান আল্লাহ পাক উনার নির্দেশ, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশ। কাজেই এটা হচ্ছে মানুষের পর্দার জন্য সহায়ক।
পর্দার যে সমস্ত আয়াত শরীফ নাযিল হয়েছে ‘সূরা আ বাকি অংশ পড়ুন...
ইসলামের দৃষ্টিতে ও ইসলামের নামে ভোট, নির্বাচন, পদপ্রার্থী হওয়া কখনোই গ্রহণযোগ্য নয় সে প্রসঙ্গে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَاللهِ لاَ نُوَلِّى عَلٰى هٰذَا الْعَمَلِ أَحَدًا سَأَلَهٗ وَلاَ أَحَدًا حَرَصَ عَلَيْهِ
অর্থ: এই কাজে (শাসক পদে) যারা পদপ্রার্থী হয় বা পদের আকাঙ্খা করে আমরা তাদের পদ দেই না। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)যেখানে স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নির্বাচন পদ্ধতি শুধু অপছন্দই করেননি সাথে সাথে নিষেধও করেছেন। তাহলে নির্বা বাকি অংশ পড়ুন...












