স্বয়ং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নিজেও এই সাক্ষ্য নিয়েছেন। যা পবিত্র হাদীছ শরীফে স্পষ্টই বর্ণিত রয়েছে। যেমন-
عَنْ حَضْرَتْ اَلشَّرِيْدِ بْنِ سُوَيْدٍ الثَّقَفِيِّ رَضِىَ اللهُ تَعَالَى عَنْهُ قَالَ أَتَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ إِنَّ أُمِّيْ أَوْصَتْ أَنْ تَعْتِقَ عَنْهَا رَقَبَةً وَإِنَّ عِنْدِيْ جَارِيَةً نُوْبِيَّةً أَفَيُجْزِئُ عَنِّيْ أَنْ أَعْتِقَهَا عَنْهَا؟ قَالَ ائْتِنِيْ بِهَا فَأَتَيْتُهُ بِهَا فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ رَبُّكِ ؟ قَالَتْ اَللهُ قَالَ مَنْ أَنَا ؟ قَالَتْ أَنْتَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَعْتِقْهَ বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বাালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اتَّقُوا اللَّهَ وَكُونُوا مَعَ الصَّادِقِينَ.
অর্থ: ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনাকে ভয় করো এবং ছাদিক্বীন বা সত্যবাদী উনাদের সঙ্গী হও। ’ (পবিত্র সূরা তওবা শরীফ : পবিত্র আয়াত শরীফ ১১৯)
ছোহবত অত্যন্ত জরুরী বিষয়। মানুষ মানুষের জন্য। তবে সব মানুষ সবার জন্য নয়। কারণ কেউ যদি কোনো বদ লোকের সঙ্গে থাকে তাহলে সেই সঙ্গ তাকে দুঃশ্চরিত্র আর বদকার বানিয়ে ফেলবে। আর যদি কোনো নেককার-আল্লাহওয়ালা উনাদের ছোহবত মুবারক ইখতিয়ার করে তাহলে ইচ্ছায় অনিচ্ছায় উক বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং হযরত মোয়াফা ইবনে ইমরান রহমতুল্লাহি আলাইহি উনারা দু’জন বিশ্ব বিখ্যাত বুযুর্গ ছিলেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ছিলেন আমিরুল মু’মিনীন ফিল হাদীছ। অর্থাৎ পবিত্র হাদীছ শরীফ শাস্ত্রে যিনি আমিরুল মু’মিনীন।
উনাকে একবার জিজ্ঞেস করা হল, “হুযূর, হযরত মুয়াবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মর্যাদা বেশী না হযরত উমর ইবনে আব্দুল আজিজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মর্যাদা বেশী?”
তখন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং উনার সঙ্গী যিনি ছিলেন তিন বাকি অংশ পড়ুন...
আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন যে দেখো, আমার উম্মতের যে সালাম সেটা হচ্ছে- اَلسَّلامُ عَلَيْكُمْ (আসসালামু আলাইকুম) এটা বলা। আর ইহুদীদের সালাম হচ্ছে, اَلْإِشَارَةُ بِالأَصَابِعِ আঙ্গুলি দিয়ে ইশারা করা। ” আর খৃষ্টানদের সালাম হচ্ছে, اَلْإِشَارَةُ بِالأَكُفِّ হাতের তালু দ্বারা ইশারা করা। ” কাজেই সে রকম করবে না। স্পষ্টভাবে বলবে- اَلسَّلامُ عَلَيْكُمْ (আসসালামু আলাইকুম)
হ্যাঁ, যদি কেউ বলে, দূরবর্তী কোন ব্যক্তি যদি সালাম দিতে চায়, তাহলে কি করে সালাম দিবে? যেটা মুসলমানদের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। যার উপ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
وَلَاٰمُرَنَّهُمْ فَلَيُغَيِّرُنَّ خَلْقَ اللهِ وَمَنْ يَّتَّخِذِ الشَّيْطَانَ وَلِيًّا مِّنْ دُوْنِ اللهِ فَقَدْ خَسِرَ خُسْرَانًا مُّبِيْنًا
অর্থ: (ইবলিস শয়তানের অঙ্গীকার) আর আমি তাদের (মানুষদের) মহান আল্লাহ পাক উনার সৃষ্টিকৃত আকৃতি পরিবর্তন বা বিকৃত করার আদেশ করবো। (মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন এ ব্যাপারে) যারা মহান আল্লাহ পাক তিনি ব্যতীত শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে, তারা প্রকাশ্য ক্ষতিগ্রস্তের অন্তর্ভুক্ত। ” (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ: ১১৯)
দাড়ি মুন্ডণ করা আকৃতি-বিকৃতি করার নামান্তর। যা সম্মানিত শরীয়তে হারাম।
বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যান্য বর্ণনা:
হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার মাক্বামাতে বর্ণনা করেন, এ সময়ে আমি আর একটি জন্তু দেখতে পাই। ইহা সূর্যের দিকে নজর করে দাঁড়িয়ে আছে এবং তার উপর এক বিশেষ হাল (অবস্থা) প্রকাশ পেলো। আমি মনে মনে ভাবলাম, তার নিকটও আমি দোয়াপ্রার্থী হবো। আমি খুব আদবের সঙ্গে উহার নিকটে দাঁড়িয়ে গেলাম এবং দোয়ার জন্য দু’ হাত উত্তোলন করলাম। কিছুক্ষণ পর এই জন্তুটি স্বাভাবিক হলো এবং নিজের পেট জমিনের উপর রেখে মুখ আসমানের দিকে তাকিয়ে রইলো। আমি এর সঙ্গে “আমীন” “আমীন” বলতে লাগলাম।
অতঃপর সেই বুযূর্গ আমাকে বললেন, রাস্তা বাকি অংশ পড়ুন...
(৭)
হযরত ইমাম বুখারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন। হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার কসম করে বলেন, আমার ক্ষুধার তাড়না সহ্য করার অত্যধিক ক্ষমতা ছিলো। আমি ক্ষুধার তাড়নায় পেটে পাথর বাধতাম। একবার আমি অত্যধিক ক্ষুধার্ত অবস্থায় রাস্তার পার্শ্বে বসেছিলাম। ঐ সময় আমার নিকট দিয়ে হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি হেঁটে যাচ্ছিলেন। আমি উনাকে পবিত্র কুরআন শরীফ উনার একটি পবিত্র আয়াত শরীফ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। এতে আমার উদ্দেশ্য ছিলো যে, তিনি যেন আমার অবস্থাটি বুঝতে পেরে আমাকে উনার সঙ বাকি অংশ পড়ুন...
অজু করার তরতীব
অজু করার জন্য পবিত্র পাত্রে পাক-পবিত্র পানি নিতে হবে অথবা পাক-পবিত্র পানির স্থানে যেতে হবে। ক্বিবলামুখী হয়ে উঁচু জায়গায় বসতে হবে। পানির পাত্রের আকার যদি এরূপ হয় যে, পাত্রটি তুলে পানি ঢালা সম্ভব, তাহলে পানির পাত্রটি বাম পাশে রাখতে হবে। অন্যথায় পানির পাত্র বা উৎস ডান দিক থাকবে। অজু করার পূর্বে মিসওয়াক করা সুন্নত।
ক) মিসওয়াক করার নিয়ম :
মিসওয়াক করতে হলে ডান হাতের শাহাদাত, মধ্যমা এবং অনামিকা আঙ্গুল মিসওয়াকের উপরে রেখে এবং বৃদ্ধাঙ্গুল ও কনিষ্ঠা আঙ্গুল মিসওয়াকের নিচে রেখে মিসওয়াকের মাঝামাঝি ধরতে হবে। মিসওয়াক করতে বাকি অংশ পড়ুন...
খলিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
يَاأَيُّهَا النَّبِيُّ قُلْ لِأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِنْ جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَنْ يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا
অর্থ: আমার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! আপনি হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে এবং আপনার বানাত আলাইহিন্নাস সালাম উনাদেরকে এবং মু’মিনদের আহলিয়াগণকে বলে দিন- উনারা যেন উনাদের চাদরের একটা অংশ চেহারা ও বুকের উপর টেনে দেন অর্থাৎ পর্দা করেন। এটা হচ্ছে- উনাদের সম্ভ্রান্ত হওয়ার পরিচয় এবং উনাদেরকে বিরক্ বাকি অংশ পড়ুন...
এরপর আর এক ব্যক্তি আসলেন, এসে বললেন-
اَلسَّلامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ
(আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ) উনাকে সালামের জাওয়াব দেয়া হলো, তিনি বসলেন। মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বললেন- عِشْرُونَ উনার জন্য বিশটা।
এরপর আর এক লোক আসলেন, এসে বললেন-
اَلسَّلامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ
(আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্) এটা যখন তিনি বললেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তখন বললেন, উনার জন্য ত্রিশটা।
আর এক ব্যক্তি এসে বললেন-
اَلسَّلامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَا বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
لَتَجِدَنَّ أَشَدَّ النَّاسِ عَدَاوَةً لِّلَّذِيْنَ آمَنُوا الْيَهُوْدَ وَالَّذِيْنَ أَشْرَكُوْا
অর্থ: (হে আমার সম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি অবশ্যই ঈমানদারদের জন্য মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে পাবেন ইহুদী ও মূর্তিপূজারী মুশরিকদেরকে। (পবিত্র সূরা মায়িদা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ -৮২)
বাকি অংশ পড়ুন...












