এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন যে, অনুমতি নিবে সালাম দিয়ে। প্রথমে সালাম দিবে এরপর অনুমতি নিবে। এর মধ্যে যেন ত্রুটি না হয়। মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন।
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন-
فَإِذَا دَخَلْتُمْ بُيُوتًا
“যখন তোমরা কোন ঘরে প্রবেশ করবে,
فَسَلِّمُوا عَلَى أَنْفُسِكُمْ
“এমনকি যখন নিজের ঘরে প্রবেশ করবে তখনও নিজ গৃহবাসীদেরকে সালাম দিয়ে প্রবেশ করো। ”
তাহলে কি হবে? একে তো সালাম দেয়া হলো, দ্বিতীয়তঃ অনুমতি নেয়া হলো, আর মহান আল্লাহ পাক উনার আদেশ মুবারক পালন করা হলো, সুন্নত মুবারক পালন করা হলো, পর্দার সহায়ক হলো, গুণাহ্ বাকি অংশ পড়ুন...
(১) যারা বিশুদ্ধ ঈমান আনবে।
(২) যারা হাক্বীক্বী তাক্বওয়া হাছিল করবে।
(৩) যারা মহান আল্লাহ পাক উনার নিদর্শনসমূহকে সত্যারোপ করে।
বাকি অংশ পড়ুন...
আজ থেকে ১০০ বছর আগেও পবিত্র মক্কা শরীফ-মদীনা শরীফের ইমাম-খতীবগণ পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ অর্থাৎ পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অত্যন্ত জওক শওকের সাথে পালন করতেন এবং কেউ তার বিরুদ্ধে বললে তাকে মুনাফিক, কাফির বলে ফতওয়া দিতেন।
শুধু তাই নয়, আজ থেকে ১০০ বছর আগে দেওবন্দীদের কেন্দ্রীয় আলিমগণও পবিত্র সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ পালন করতেন এবং এ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করলে বিনা হিসেবে জান্নাতে যাওয়ার কারণ বলে ফতওয়া দিয়েছেন। এসব দুর্লভ দলিলসমূহ একত্রে একটি বইতে পাওয়া যায়। বইটির না বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যান্য বর্ণনা:
হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, যখন আমি হযরত সাইয়্যিদ আমীর কুলাল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার খিদমতে পৌঁছলাম, তিনি আমার প্রতি অশেষ দয়া দেখালেন এবং বিশেষ তাওয়াজ্জুহ সহকারে সবকের তালক্বীন দিলেন, নফী ও ইছবাতের যিকির খফী (গোপন) নিয়মে শিক্ষা দিলেন। (নাফাহাতুল উনস)
হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে হযরত বাবা সাম্মাসী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজের সন্তান হিসাবে কবুল করেছিলেন এবং হযরত সাইয়্যিদ আমীর কুলাল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনাকে রুহানী তরবীয়ত (তা’লীম) দান করেন। বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الإِيمَانِ وفى رواية لَيْسَ وَرَاءَ ذَلِكَ مِنَ الْإِيمَانِ حَبَّةُ خَرْدَلٍ
অর্থ: তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন অন্যায় বা হারাম কাজ সংঘটিত হতে দেখে সে যেনো তা হাত দ্বারা বাধা দেয়। যদি সে তা হাত দ্বারা বাধা দিতে না পারে তাহলে সে যেনো যবান দ্বারা বাধা দেয়। যদি যবানের দ্বারাও বাধা দিতে না পারে তাহলে যেনো অন্তরে তা ঘৃণা করে উক্ত অন্যায় বা হা বাকি অংশ পড়ুন...
(৪)
উম্মুল মু’মিনীন আল আশিরাহ আলাইহাস সালাম তিনি বলেন, একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমার হুজরা শরীফে এসে বললেন, আপনার নিকট কোন খাবার আছে কি? আমি বললাম, দুই মুষ্টি আটা আছে। তিনি বললেন, উহা ভেঁজে নিন। তখন আমি ঐ আটা ডেকচিতে ঢেলে ভাঁজলাম। একটি পাত্রে সামান্য ঘি ছিলো। নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তা ডেকচিতে উপুড় করে ঢেলে দেন। অতঃপর উনার মহাসম্মানিত নূরুল মাগফিরাত মুবারক (হাত মুবারক) উহার উপর স্থাপন করে বললেন, আপনি আপনার ভগ্নি উনাদেরকে ডাক বাকি অংশ পড়ুন...
আদব ও মুস্তাহাব সহকারে অজু করলে অধিক ছওয়াব ও ফযীলত হাছিল হয়। না করলে কোনো গুনাহ নেই। অজুর আদবসমূহ এই-
১. উঁচু জায়গায় বসে অজু করা, যাতে শরীরে অথবা কাপড়ে পানির ছিটা না লাগে।
২. ক্বিবলামুখী হয়ে বসা।
৩. অজুর অঙ্গসমূহ ধৌত করতে কারো সাহায্য না নিয়ে নিজেই ধোয়া।
৪. অজু করার সময় দুনিয়াবী কথা না বলা।
৫. অজুর নিয়ত মনে মনে এবং মুখে উচ্চারণ করা অর্থাৎ উভয়ভাবেই করা।
৬. অজুর সময় যেসব দু‘আ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে, হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহুম উনাদের থেকে এবং হযরত তাবিয়ীনে বাকি অংশ পড়ুন...
এ আয়াত শরীফ নাযিল হয়ে গেল, তখন আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম তিনিসহ আরো অনেকেই বলেছিলেন যে, আমরা অনেক স্থানে সফরে যেয়ে থাকি। সেই মক্কা শরীফে, মদীনা শরীফ থেকে ইয়ামেনে এবং সিরিয়া উভয় দিকেই হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুমগণ উনারা সফর করতেন ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য।
আরজ করলেন, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া হযরত ছিদ্দীকে আকবর আলাইহিস সালাম তিনি “ইয়া রসূলাল্লাহ্, ইয়া হাবীবাল্লাহ্ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! সেখানে আমরা মাল-সামানা নিয়ে যাই, মালের ঘর রয়েছে, গোডাউন রয়েছে, গুদাম রয়েছে, বাকি অংশ পড়ুন...
“গান-বাজনা” ও “বাদ্য-যন্ত্র” হারাম হওয়া সম্পর্কে অসংখ্য হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে। যেমন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اِسْتِمَاعُ الْمَلَاهِى مَعْصِيَةٌ وَالْجُلُوْسُ عَلَيْهَا فِسْقٌ وَالتَّلَذُّذُ بِهَا مِنَ الْكُفْرِ
অর্থ: গান শোনা গুণাহের কাজ, গানের মজলিসে বসা ফাসেকী এবং গানের স্বাদ গ্রহণ করা কুফরী। (মিরকাতুল মাফাতীহ শরহে মিশকাতুল মাছাবীহ)
বাকি অংশ পড়ুন...
অন্যান্য বর্ণনা:
হযরত বাবা সাম্মাসী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছাল শরীফের পর হযরত খাজা বাহাউদ্দীন নকশবন্দ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি সমরকন্দে গমন করেন এবং সেখান থেকে বোখারায় উপনীত হন। সেখানে তিনি শাদী মুবারক করেন এবং নিজ গ্রামে প্রত্যাবর্তন করেন। অতঃপর তিনি “নাসাফ” এ গিয়ে হযরত বাবা সাম্মাসী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার খলীফা, হযরত সাইয়্যিদ আমীর কুলাল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করেন। অতঃপর বোখারার নিকটবর্তী দু’টি গ্রামে কিছুকাল অতিবাহিত করার পর হযরত সাইয়্যিদ আমীর কুলাল রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার একজন খলী বাকি অংশ পড়ুন...












