এরপর ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি কি বলে দিব এমন একটা কাজের কথা, যেটা করলে তোমাদের ঈমান, পরস্পর মহব্বত বৃদ্ধি হবে। যেই মহব্বত বৃদ্ধি হলে তোমাদের ঈমানও বৃদ্ধি হবে। ”
এরপর বললেন-
أَفْشُوا السَّلاَمَ بَيْنَكُمْ
“পরস্পর পরস্পরের প্রতি সালাম দিও। ”
সালামের কারণে তোমাদের মধ্যে মহব্বত পয়দা হবে। মহব্বতের কারণে ঈমানের মজবুতী আসবে এবং তোমাদের জন্য না’জাত পাওয়া সহজ হবে। জান্নাতে যাওয়া সহজ হবে। সুবহানাল্লাহ!
সেজন্য বলা হয়েছে যে-
اَلْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهٖ وَيَدِهٖ
মুসলমান তো ঐ ব্যক্তি যার যবান এবং হাত থেকে মানুষ নিরাপদ থাকে।
যার যবান থে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلٰى أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
অর্থ: তোমরা কিতাবের কিছু হুকুম মানবে আর কিছু হুকুম অমান্য করবে (তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়)। যে ব্যক্তি এরূপ করবে তার পরিণাম হচ্ছে, সে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছিত হবে এবং পরকালে কঠিন আযাবে নিক্ষিপ্ত হবে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে খবর রাখেন। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৫)
বাকি অংশ পড়ুন...
كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ
“এভাবেই মহান আল্লাহ পাক তিনি হুকুম-আহ্কাম, নিদর্শন, আদেশ-নিষেধ বর্ণনা করে থাকেন। ”
وَاللهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
“মহান আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন জ্ঞানী এবং সব জাননেওয়ালা। ”
এখানে বলা হয়েছে, খাদিম-খুদ্দাম এবং বিশেষ করে যারা নাবালিগ সন্তান-সন্ততি তাদের কথা।
এরপর মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَإِذَا بَلَغَ الْأَطْفَالُ مِنْكُمُ الْحُلُمَ
“তোমাদের ছেলে-মেয়ের মধ্যে যারা বালিগ-বালিগা হয়েছে। ”
فَلْيَسْتَأْذِنُوا كَمَا اسْتَأْذَنَ الَّذِينَ مِنْ قَبْلِهِمْ
তারা যখন প্রবেশ করবে তারা যেন অবশ্যই অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করে। যেমন পূর্ববর্তীর বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِى هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا مَاتَ الإِنْسَانُ اِنْقَطَعَ عَنْهُ عَمَلُهٗ إِلاَّ مِنْ ثَلاَثَةٍ إِلاَّ مِنْ صَدَقَةٍ جَارِيَةٍ أَوْ عِلْمٍ يُنْتَفَعُ بِهٖ أَوْ وَلَدٍ صَالِحٍ يَدْعُو لَهٗ.
অর্থ: হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- “মানুষ যখন ইন্তিকাল করে, তখন তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায় তিনটি ব্য বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নছীহত মুবারক:
পবিত্র কা’বা শরীফ দর্শন করা: পাঁচটি জিনিষ দর্শন করা ইবাদত এবং গুনাহ মাফের কারণ। তার চতুর্থ হচ্ছে- স্বয়ং সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, খানায়ে কা’বা তথা পবিত্র কা’বা শরীফ দর্শন করার নিয়ত করা এক প্রকার ইবাদত। পবিত্র কা’বা শরীফ দর্শনকারীর জন্য রয়েছে হাজার বছর ইবাদতের ছাওয়াব এবং হজ্জ করার ছাওয়াব। আর দর্শনকারীকে ওলীআল্লাহগণ উনাদের সঙ্গী বলে বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো যে, আপনার নিকটবর্তী, দূরবর্তী এবং পরবর্তীতে আগন্তুকদের পবিত্র দুরূদ শরীফ সমূহের অবস্থা কি হবে? তদুত্তরে তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
اَسْمَعُ صَلَوْةَ اَهْلِ مَحَبَّتِىْ وَاَعْرِفُهُمْ.
অর্থ: আমার সঙ্গে মুহব্বত ধারণকারীদের পবিত্র দুরূদ শরীফ আমি স্বয়ং নিজে শুনি এবং আমি তাদের পরিচয় পাই। সুবহানাল্লাহ! (দালাইলুল খায়রাত, মাতালিউল মুসাররাত)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন-
فِي رِوَايَةِ الْحَنَفِيِّ قَالَ: عَنِ النَّبِيِّ ص বাকি অংশ পড়ুন...
(গো-পূজারী) মুশরিকদের বিরুদ্ধে এবং তাদের সমর্থনকারীদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ মুবারক
এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ فَإِن تَابُوا وَأَقَامُوا الصَّلَاةَ وَآتَوُا الزَّكَاةَ فَخَلُّوا سَبِيلَهُمْ إِنَّ اللهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অর্থ: “মুশরিকদেরকে যেখানেই পাবেন সেখানেই ক্বতল করবেন, তাদেরকে পাকড়াও করবেন এবং আবদ্ধ করবেন। আর প্রত্যেক ঘাঁটিতে তাদের জন্য ওঁৎ পেতে বসে থাকবেন। তবে যদি তারা তওবা করে, নামায কায়িম করে, যাকাত প্রদা বাকি অংশ পড়ুন...












