ঠিক অনুরূপ বলা হয়েছে আরেকটা হাদীছ শরীফে। এখানে ‘মুসলিম’ শব্দের ব্যবহার করা হয়েছে।
হাদীছ শরীফে উল্লেখ করা হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عَلِىٍّ عَلَيْهِ السَّلَامُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِلْمُسْلِمِ عَلَى الْمُسْلِمِ سِتٌّ بِالْمَعْرُوفِ
يُسَلِّمُ عَلَيْهِ إِذَا لَقِيَهُ وَيُجِيبُهُ إِذَا دَعَاهُ وَيُشَمِّتُهُ إِذَا عَطَسَ وَيَعُودُهُ إِذَا مَرِضَ وَيَتْبَعُ جَنَازَتَهُ إِذَا مَاتَ وَيُحِبُّ لَهُ مَا يُحِبُّ لِنَفْسِهِ
হযরত ইমামুল আউওয়াল আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, এক মুসলমানের প্রতি বাকি অংশ পড়ুন...
১. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যমেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম বংশধারা, ইমামত ও বিলায়াত মুবারক ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবেন। সুবহানাল্লাহ!
২. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্রতম মাজার শরীফ উনার গম্বুজ মুবারক-এর নিচে যারা যে দোয়াই করবেন তার সকল দোয়াই নির্ঘাত কবুল হবে। সুবহানাল্লাহ!
৩. সাইয়্যিদুনা হযরত ইমামুছ ছালিছ মিন আহলি বাইতি রসূ বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের দলীল অনুযায়ী হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের স্বপ্ন মুবারকও যেখানে পবিত্র ওহী মুবারক উনার অন্তর্ভুক্ত সেখানে উনাদের জাগ্রত অবস্থার বিষয়গুলো কি পবিত্র ওহী মুবারক উনার বাইরে ছিলো? কখনই নয়। যদি তাই হয় তাহলে পবিত্র ওহী মুবারক উনার ফায়সালাকৃত বিষয়ের জন্য উনাদেরকে দোষারোপ করা কি করে শুদ্ধ হতে পারে?
কাজেই, উনাদের সাথে যদি ভুল বা গুনাহর বিষয়টি সম্পৃক্ত করা হয় তাহলে একইসাথে এটাও সম্পৃক্ত হয়ে যায় যে, মহান আল্লাহ পাক তিনিই পবিত্র ওহী মুবারক নাযিলে ভুল করেছেন এবং তিনিই উনাদেরকে গুনাহ ক বাকি অংশ পড়ুন...
হযরত মুজাদ্দিদে আলফে ছানী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার এক মুরীদকে নছীহত করে চিঠি লিখলেন। সেই চিঠি মুবারকে অনেক নছীহত মুবারক করে শেষে লিখেছেন, জেনে রাখো, যতক্ষণ পর্যন্ত দশটি বস্তু নিজের প্রতি ফরয করে না নিবে ততক্ষণ পর্যন্ত কারো পরহেজগারী পূর্ণতা লাভ করবে না।
(১) গীবত হতে স্বীয় জিহ্বাকে রক্ষা করা।
(২) অন্যের প্রতি অন্যায় অসৎ ধারণা করা হতে বিরত থাকা।
(৩) কারো প্রতি তিরস্কার না করা।
(৪) হারাম বস্তু হতে চোখকে হিফাযত করা।
(৫) সত্য কথা বলা।
(৬) নিজের প্রতি মহান আল্লাহ পাক উনার অনুগ্রহসমূহের পরিচয় লাভ করা। যাতে আত্মগরিমা না আসতে পারে।
(৭) বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يـَخْلُوَنَّ رَجُلٌ بِاَمْرَأَةٍ اِلَّا ثَالِثُهَا الشَّيْطَانُ
অর্থ: “সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, (মহান আল্লাহ পাক উনার কসম!) কোনো পুরুষ কোনো নারীর সাথে একাকী হলেই শয়তান এসে তাদের তৃতীয় ব্যক্তি হয়। অর্থাৎ তাদের উভয়কেই গুনাহের কাজে লিপ্ত করার জন্য ওয়াসওয়াসা দিতে থাকে।” নাউযুবিল্লাহ! (তিরমিযী শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...
যদি কোন বাড়ী-ঘর নিরিবিলি থেকে থাকে অর্থাৎ কেউ না থেকে থাকে তাহলে সেখানে তার অনুমতি ব্যতীত প্রবেশ করো না। আর যদি থাকা সত্ত্বেও কেউ বলে দেয় যে, তোমরা ফিরে যাও, যারা দেখা করতে এসেছ তারা ফিরে চলে যাও, তাহলে তাদের জন্য উচিত হবে ফিরে চলে যাওয়া। এটাই তাদের জন্য পবিত্রতা। মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে অবগত রয়েছেন।”
আয়াত শরীফ নাযিল হয়ে গেল। আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি জানিয়ে দিলেন, পর্দা ফরয করা হলো।
এ প্রসঙ্গে বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
إِنَّ الْكَافِرِيْنَ كَانُوْا لَكُمْ عَدُوًّا مُّبِيْنًا
অর্থ: হে ঈমানদাররা! নিশ্চয়ই কাফিররা তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (পবিত্র সূরা নিসা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ১০১) বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র সূরা হাদীদ শরীফ উনার ৩ নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে নিজ শান মুবারকে ৪ খানা ছিফত মুবারক উল্লেখ করেছেন। যথা- আল আউওয়ালু, আল আখিরু, আয যাহিরু, আল বাতিনু।
অতঃপর মহান আল্লাহ পাক তিনি নিজেই আবার উক্ত ছিফত মুবারকসমূহ উনার মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুমহান শান মুবারক প্রকাশার্থে প্রদান করেন। সুবহানাল্লাহ!
যেমন এ প্রসঙ্গে ‘আল মালায আল ই’তিছাম’ কিতাবের মধ্যে পবিত্র হাদীছ শরীফ বর্ণিত হয়েছে, হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَى وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেন, আর যখন আমি বললাম, হে হযরত ফেরেশতা আলাইহিমুস সালাম! আপনারা জ্বিনসহ আমার যিনি খলীফা, আবুল বাশার হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সিজদা করুন। সকলেই সিজদা করলো। কিন্তু সে (ইবলীস) অস্বীকার করলো, অহংকার করলো, সে সিজদা করলো না। যার কারণে সে কাফির হয়ে গেলো। নাঊযুবিল্লাহ! (পবিত্র সূরা বাক্বারাহ শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৩৪)
উল্লেখ্য, ইবলীস একটি আদেশ মুবারক অমান্য করার কারণে যদি সবচেয়ে ব বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নছীহত মুবারক:
সাইয়্যিদুনা হযরত গরীবে নেওয়াজ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আরো বলেন, আমি ‘জামিউল হিকায়েত’ কিতাবে দেখেছি, প্রাচীনকালে একজন যুবক ছিলো। সে অত্যন্ত দুশ্চরিত্র ও ব্যভিচারী ছিলো। সমস্ত মুসলমান তার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলো। সবাই তাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু সে কারো কোন কথাই মানতো না। আর ঐ অবস্থায় সে ইন্তিকাল করলো।
রাতে এক বুযূর্গ ব্যক্তি তাকে স্বপ্নে দেখলেন যে, তার মাথায় নূরানী তাজ (টুপি) এবং তার কোমরে স্বর্ণখচিত কোমরবন্দ (বেল্ট) এবং মহামূল্যবান পোশাক পরিহিত। বাকি অংশ পড়ুন...
উটের স্বল্পতায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার গরু কুরবানী করার নির্দেশ মুবারক:
এ প্রসঙ্গে মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنِ حضرت ابْنِ عَبَّاسٍ رضى الله تَعَالٰى عنه قَالَ قَلَّتِ الإِبِلُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ فَأَمَرَهُمْ أَنْ يَنْحَرُوا الْبَقَرَ
অর্থ: “হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার যুগে একবার উটের স্বল্পতা দেখা দিলে তিনি সকলকে গরু কুরবানী করার নির্দে বাকি অংশ পড়ুন...












