সেজন্য মহান আল্লাহ পাক তিনি আয়াত শরীফগুলো আদেশ এবং নির্দেশ হিসেবে নাযিল করেছেন; এবং এখানেও সেই একই কথা বলেছেন-
ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
এটা হচ্ছে তোমাদের এবং ঐ সমস্ত মহিলা যাদের সাথে তোমাদের জরুরতে লেনদেন করতে হবে তাদের অন্তরের পবিত্রতার কারণ। এর খিলাফ যদি করা হয় তাহলে অন্তরের মধ্যে গালিজ প্রবেশ করে যেতে পারে। যা পূর্বে বলা হয়েছে।
কাজেই পর্দা রক্ষা করা মেয়েদের জন্য যেমন ফরয করা হয়েছে ঠিক পুরুষদের জন্যও ফরয। পুরুষদের জন্য পর্দা ফরয। কারণ তার দায়িত্ব হচ্ছে, তার অধীনস্থ মহিলাদের পর্দা করানো। আরেকটা দায়িত্ব হচ্ছে, স বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
أَفَتُؤْمِنُونَ بِبَعْضِ الْكِتَابِ وَتَكْفُرُونَ بِبَعْضٍ فَمَا جَزَاءُ مَنْ يَفْعَلُ ذَلِكَ مِنْكُمْ إِلَّا خِزْيٌ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ الْقِيَامَةِ يُرَدُّونَ إِلٰى أَشَدِّ الْعَذَابِ وَمَا اللهُ بِغَافِلٍ عَمَّا تَعْمَلُونَ
অর্থ: তোমরা কিতাবের কিছু হুকুম মানবে আর কিছু হুকুম অমান্য করবে (তা আদৌ গ্রহণযোগ্য নয়)। যে ব্যক্তি এরূপ করবে তার পরিণাম হচ্ছে, সে পার্থিব জীবনে লাঞ্ছিত হবে এবং পরকালে কঠিন আযাবে নিক্ষিপ্ত হবে। আর মহান আল্লাহ পাক তিনি তোমাদের আমল সম্পর্কে খবর রাখেন। ” (পবিত্র সূরা বাক্বারা শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৮৫)
বাকি অংশ পড়ুন...
এখন যদি কোন ব্যক্তি কোন মহিলার কাছে কিছু চায়; এবং কোন মহিলা যদি কোন পুরুষকে কিছু দিতে হয় তাহলে সেটা কিভাবে দিবে, সেটাই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উল্লেখ করে দিলেন।
যদি কিছু বলতেই হয় বা চাইতেই হয়, তাহলে কি করবে-
وَإِذَا سَأَلْتُمُوْهُنَّ مَتَاعًا
“যখন তোমরা কিছু চাবে কোন মহিলার কাছে অথবা কোন মহিলা যদি পুরুষকে কিছু দিতে চায়।
فَاسْأَلُوْهُنَّ مِنْ وَّرَاءِ حِجَابٍ
সে যেন পর্দার আড়াল থেকে চায়। অথবা পর্দার আড়াল থেকে যেন সে দেয়।
হাদীছ শরীফে এসেছে, “আখিরী রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহ বাকি অংশ পড়ুন...
সম্প্রীতি
৭ম দলীল:
আর মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছেন,
عَنْ حَضْرَتْ عَمْرِو بْنِ شُعَـيْبٍ رَحْـمَةُ اللهِ عَلَيْهِ عَنْ اَبِيْهِ عَنْ جَدِّهٖ رَضِىَ اللهُ تَـعَالـٰى عَنْهُ اَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ تَشَبَّهَ بِغَـيْـرِنَا
“হযরত আমর বিন শু‘আইব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার সম্মানিত পিতা উনার থেকে এবং তিনি উনার সম্মানিত দাদা (হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহু) উনার থেকে বর্ণনা করেন যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ঐ ব্যক্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক করেন-
وَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنْ مَنَعَ مَسَاجِدَ اللهِ أَنْ يُذْكَرَ فِيهَا اسْمُه‘ وَسَعَى فِي خَرَابِهَا اُولٰئِكَ مَا كَانَ لَهُمْ اَنْ يَدْخُلُوهَا إِلَّا خَائِفِينَ لَهُمْ فِي الدُّنْيَا خِزْيٌ وَلَهُمْ فِي الْاٰخِرَةِ عَذَابٌ عَظِيمٌ.
অর্থ: ওই ব্যক্তির চেয়ে বড় যালিম আর কে? যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ পাক উনার সম্মানিত মসজিদসমূহে উনার যিকির মুবারক করতে, উনার সম্মানিত নাম মুবারক উচ্চারণ করতে বাধা দেয় এবং সেগুলোকে উজাড় বা বিরাণ করতে চেষ্টা করে। তাদের জন্য ভীত-সন্ত্রস্ত অবস্থায় অর্থাৎ খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করা ব্যতীত মসজিদসমূহে প্রবেশ করা জায়ি বাকি অংশ পড়ুন...
প্রখ্যাত মুফাস্সির আল্লামা ইবনে কাছীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার “তাফসীরে ইবনে কাছীরের” ৮ম খ-, ৩-৪ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করেন-
قَالَ اِبْنُ مَسْعُوْدٍ فِى قَوْلِهٖ تَعَالٰى وَمِنَ النَّاسِ مَنْ يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ....... قَالَ هُوَ وَاللهِ اَلْغِنَاءُ ....... وَكَذَا قَالَ اِبْنُ عَبَّاسٍ وَجَابِرٍ وَعِكْرَمَةَ وَسَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ وَمُجَاهِدٍ وَمَكْحُوْلٍ وَعَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ وَعَلِىِّ بْنِ بُذَيْمَةَ وَقَالَ حَسَنُ الْبَصْرِىِّ نَزَلَتْ هٰذِهِ الْاٰيَةُ فِى الْغِنَاءِ وَالْمَزَامِيْرِ.
অর্থ: বিশিষ্ট ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি لَهْوَ الْحَدِيثِ -এর ব্যখ্যায় বলেন, “মহান আল্লাহ পাক উনার কসম! لَهْ বাকি অংশ পড়ুন...
১৭. প্রসঙ্গ: হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম উনার পিতা ছিলেন হযরত তারিখ আলাইহিস্ সালাম
বাতিলপন্থীদের বক্তব্য: তারা বলে ও বিশ্বাস করে থাকে যে, খলীলুল্লাহ, হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার পিতা ছিল ‘আযর’। নাঊযুবিল্লাহ!
দ্বীন ইসলাম উনার ফতওয়া: তাফসীর ও হাদীছ শরীফ-এর অসংখ্য বর্ণনা দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত রয়েছে যে, খলীলুল্লাহ হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম উনার পিতা ‘আযর’ নয়, বরং উনার পিতা ছিলেন ‘হযরত তারিখ আলাইহিস্ সালাম’। যিনি মূলতঃ তাওহীদপন্থী ছিলেন। আর ‘আযর’ ছিল হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস্ সালাম উনার চাচা। আরবী ভাষায় ‘আবুন’ শব্ বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি আয়াত শরীফ নাযিল করবেন, হুকুম-আহ্কাম নাযিল করবেন, সেটাই জারী করে দিবেন আখিরী রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
তোমরা বসে বসে কষ্ট দিচ্ছ আর মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সে কষ্ট বরদাস্ত করে যাচ্ছেন। যেহেতু ওহী নাযিল হচ্ছে না সেহেতু কিছুই বলছেন না। তখন মহান আল্লাহ পাক তিনি ওহী নাযিল করে দিলেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি স্পষ্ট বলে দিলেন যাতে উম্মতের ইহ্সান হয়। উম্মতকে উপকার করার জন্য, ঈমান হিফাযতের জন্ বাকি অংশ পড়ুন...












