সুওয়াল:
পিতার যৌথ সংসার থেকে বড় ছেলে কিছু সম্পদ তার নামে করে নিয়েছে এবং পিতার ওয়ারিশ সূত্র সম্পদ থেকেও অর্ধেক সম্পদ নিয়েছে। পিতাও তাকে (বড় ছেলে) মুহব্বত করে নয় কাঠা জমি দিয়েছে। এরূপ করা পিতা এবং বড় ছেলের জন্য ঠিক হয়েছে কি?
জাওয়াব:
এটা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয ও হারাম হবে। পিতা ও বড় ভাই উভয়ে কবীরা গুনাহে গুনাহগার হবে এবং পরকালে বড় ছেলে এবং পিতা উভয়কেই জাহান্নামের কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। নাউযুবিল্লাহ!
এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
ولا تأكلوا اموالكم بينكم بالباطل
অর্থ: তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভোগ করো না অর্ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
কেউ কেউ বলে থাকে- “কুরআন মাজীদের আয়াতসমূহ অর্থ না বুঝে শুধু তিলাওয়াত করার জন্য নাযিল করা হয়নি। ” এ কথা কতটুকু শুদ্ধ?
জাওয়াব:
কথাটি সম্পূর্ণরূপে অশুদ্ধ এবং অসম্পূর্ণ হয়েছে। কেননা পবিত্র কুরআন শরীফ উনার তিলাওয়াতের গুরুত্ব ও ফযীলত আলাদাভাবেই বর্ণিত হয়েছে।
যেমন পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে- “পবিত্র কুরআন শরীফ উনার প্রতি অক্ষর তিলাওয়াতে দশটি করে নেকী লেখা হয়। ” যেমন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
مَنْ قَرَأَ الْقُراٰنَ حَرْفًا مِّنْ كِتَابِ اللهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ وَالْحَس বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
তরীক্বতপন্থীগণ স্বীয় পীর ছাহিব ক্বিবলা উনার অবস্থানস্থলকে দরবার শরীফ বলে থাকেন। এতে কিছু সংখ্যক লোক আপত্তি জানিয়ে বলে যে, কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, মক্কা শরীফ ও মদীনা শরীফ ছাড়া আর কোন ক্ষেত্রে “শরীফ” শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। তাদের এ বক্তব্য কতটুকু সঠিক?
জাওয়াব:
তাদের উক্ত বক্তব্য মোটেই শুদ্ধ নয়। মূলত পীর ছাহিব ক্বিবলা উনারা হচ্ছেন মহান আল্লাহ পাক উনার মনোনীত ও কবুলকৃত বান্দা উনাদের অন্তর্ভুক্ত এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ক্বায়িম-মাক্বাম বা স বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল:
কুরআন শরীফ উনার কোন তরজমা করার সময় মূল আরবীর সাথে কিছু যোগ বা বাদ দেয়া অন্যায়। অথচ সূরা ইউনুস শরীফ উনার ৫৭ ও ৫৮নং আয়াত শরীফদ্বয় উনাদের তরজমা বর্ণনায় উক্ত কাজটিই উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে। (এ বিষয়টি নিয়ে জানতে আগ্রহী। )
জাওয়াব:
পবিত্র কুরআন শরীফ উনার অর্থ বর্ণনায় সবক্ষেত্রে শাব্দিক বা আভিধানিক অর্থের উপর ভিত্তি করে অর্থ করা যাবে না, করলে তা শুদ্ধ হবে না। উদাহরণস্বরূপ সূরা হিজর শরীফ উনার ৯৯নং পবিত্র আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
واعبد ربك حتى ياتيك اليقين
অর্থ: তুমি তোমার মহান রব তা’য়ালা উনার ইবাদত করো ইয়াক্বীন (বিশ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: সকল নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি পরীক্ষা করেছেন তেমনি হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেও মহান আল্লাহ পাক তিনি অনেক পরীক্ষা করেছেন।
জাওয়াব: সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে পরীক্ষা করার বিষয়টি যে অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের ক্ষেত্রে সে অর্থে ব্যবহৃত হবে না। কেননা হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা প্রত্যেকেই মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে মনোনীত অর্থাৎ উনাদেরকে নবী ও রসূল হিসেবেই সৃষ্টি করা হয়েছে। যেমন এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: সুন্নতী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বা সুন্নতী পণ্যের ব্যবসা করার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি?
জাওয়াব: (৫ম অংশ) * শিমলা: মাথায় পাগড়ী বাধার সময় পাগড়ীর যে অংশটুকু ঘাড়ের দিকে ঝুলিয়ে রাখা হয় তাকে শিমলা বলা হয়। শিমলা চার আঙ্গুল থেকে ১ হাত হওয়া বাঞ্চনীয় এবং তা দু’কাঁধের মধ্যখানে ঝুলিয়ে রাখা উত্তম। শিমলা ছাড়া পাগড়ী পরিধান করা বিজাতীয় লক্ষণ।
* সুন্নতী রুমাল: পাগড়ীর উপর সাদা রুমাল ব্যবহার করা পবিত্র সুন্নত মুবারক। পবিত্র রুমাল পরিধান করার তরতীব হচ্ছে- পাগড়ীর উপর মাঝ বরাবর রাখতে হবে। অতঃপর সুন্নতী রুমালের ডানপাশ বাম কাঁধের উপর দিয়ে নীচের দিক বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: সুন্নতী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বা সুন্নতী পণ্যের ব্যবসা করার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি?
জাওয়াব: (৪র্থ অংশ) সুন্নতী কতিপয় তৈজসপত্রের নাম:
১) খাছ সুন্নতী কাঠের পেয়ালা-বাসন।
২) খাছ সুন্নতী বিভিন্ন বাসন, বাটি ও পানপাত্র।
৩) সুফরাহ্ (سُفْرَةٌ) দস্তরখানা।
৪) খাবারের জন্য বড় পাত্র মুবারক (قَصْعَةٌ) ক্বছআহ্।
৫) পানি রাখার বড় মাটির পাত্র (قُـلَّة) কুল্লাহ্।
৬) মাটির ঘড়া-মাটির পাত্র বা মাটির পানির পাত্র।
৭) নাবীয পাত্র মুবারক (اَلسِّقَاءُ) সিক্বা।
৮) পিতলের পাত্র মুবারক (تَـوْرٌ) তাওর।
৯) চুলা ও ডেকচি মুবারক (بُـرْمَةٌ) বুরমাহ।
১০) চামড়ার পানপাত্র (ظُرُوْفُ ا বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব:
যদি শরঈ ওজর থাকে আর শরীয়তসম্মত কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে তবে গুনাহ হবে না। তবে শরীয়ত উনার খেলাফ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অবশ্যই গুনাহ হবে। দুই জন সন্তান বা চার জন সন্তানও যদি থাকে, আর একজন দুগ্ধপায়ী সন্তান যদি থাকে তারপরও যদি সন্তানসম্ভবা হয় তাহলে অন্য কিছু করাটা শরীয়তসম্মত হবে না। যার নছীবে সন্তান আছে, তার সন্তান হবে। আর যাদের নছীবে সন্তান নাই তারাতো সন্তান পায় না। এখন সন্তান না হওয়ার জন্য শরঈ কোন ব্যবস্থা নেয়া জায়েয আছে। কিন্তু সন্তান ধারণ করার পর নষ্ট করা কুফরী হবে। গোনাহ হবে মানে কুফরীই হবে।
মানুষ সাধারণ মাসয়ালাগ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: সুন্নতী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বা সুন্নতী পণ্যের ব্যবসা করার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি?
জাওয়াব: (৩য় অংশ) পবিত্র হাদীছ শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
لَوْ تَـرَكْتُمْ سُنَّةَ نَبِيِّكُمْ لَكَفَرْتُمْ
অর্থ: যদি তোমরা তোমাদের যিনি মহাসম্মানিত রসূল, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সুন্নত মুবারক তরক করো অর্থাৎ পালন না করো তাহলে তোমরা কাফির হয়ে যাবে। (আবূ দাউদ শরীফ, মিশকাত শরীফ, ফতহুল বারী ইত্যাদি)
পবিত্র হাদীছ শরীফে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
مَنْ أَطَاعَنِيْ دَخَلَ الْـجَنَّةَ وَمَنْ عَصَانِيْ فَـقَدْ أَبَى
অর্থ: মহাসম্মানিত রস বাকি অংশ পড়ুন...
জাওয়াব:
আহাল-আহলিয়া বা স্বামী-স্ত্রী একসাথে জামায়াতে আদায় করতে পারবে। তবে শর্ত হচ্ছে, একসাথে জামায়াতে নামায যদি পড়ে তাহলে পুরুষ বা আহাল যেখানে দাঁড়াবে তার থেকে তার আহলিয়া এত পিছনে দাঁড়াবে যেনো সিজদার সময় আহলিয়ার মাথাটা আহালের পা বরাবর না হয়, কমপক্ষে এক বিঘত পিছনে থাকে। সামনে একজন অর্থাৎ আহাল দাঁড়াবে, আর সরাসরি পিছনে আহলিয়া দাঁড়াবে, দাঁড়ালে আহলিয়া সিজদা দিলে আহালের পা যেনো স্পর্শ না করে। আর যদি সিজদার সময় আহলিয়ার মাথা আহালের পা বরাবর হয়ে যায় এবং পা স্পর্শ করে তাহলে নামায ফাসেদ হয়ে যাবে।
(গবেষণা কেন্দ্র মুহম্মদিয়া জামিয়া শরীফ বাকি অংশ পড়ুন...
সুওয়াল: সুন্নতী পণ্য ক্রয়-বিক্রয় বা সুন্নতী পণ্যের ব্যবসা করার ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কি?
জাওয়াব: (২য় অংশ) মূলকথা হচ্ছে, উম্মতের পক্ষে মহাসম্মানিত রসূল নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুগত্য বা অনুসরণ ব্যতীত মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য বা অনুসরণ আদৌ সম্ভব নয়। অর্থাৎ মহান আল্লাহ পাক উনার আনুগত্য মুবারকের বিষয়টি উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আনুগত্য মুবারকের উপর নির্ভরশীল।
সুতরাং কেউ নামায পড়–ক, যাকাত আদা বাকি অংশ পড়ুন...












