আল ইহসান ডেস্ক:
৭ নভেম্বর তারিখেই প্রাদেশিক ছাত্রসংঘ প্রধান আলী আহসান মুজাহিদ সংঘের প্রাদেশিক পরিষদের নাম ঘোষণা করে। এরা হলোÑ শামসুল হক (ঢাকা শহর), আব্দুল হাই ফারুকী (রাজশাহী জেলা), সরদার আব্দুস সালাম (ঢাকা জেলা), মোস্তফা শওকত ইমরান (ঢাকা শহর), মতিউর রহমান খান (খুলনা), মীর কাশেম আলী (চট্টগ্রাম), আব্দুল জাহের মুহাম্মদ আবু নাসের (চট্টগ্রাম), আশরাফ হোসেন (মোমেনশাহী)। দু’জন মনোনীত সদস্য ছিল একে মুহাম্মদ আলী (ঢাকা শহর) এবং মাজহারুল ইসলাম (রাজশাহী জেলা)।
বিভিন্ন জেলা সদরে নিযুক্তিপ্রাপ্ত এই নেতারা স্ব স্ব জেলার আল-বাদর বাহিনীর প্রধান। বিভিন বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নভেম্বরের প্রথম থেকেই আল-বাদর নেতারা প্রকাশ্যে বুদ্ধিজীবীদের হুঁশিয়ারি দিতে থাকে। ৭ নভেম্বর সারাদেশে মহাঘটা করে পালন করা হয় ‘বদর দিবস।’ এই উপলক্ষে ধর্মব্যবসায়ী জামাত এবং ছাত্রসংঘ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে। নাখালপাড়া আদর্শ শিক্ষায়তনে তেজগাঁও থানা জামাতের প্রধান মাহবুবুর রহমান গুরহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল খালেক বক্তব্য পেশ করে। (দৈনিক সংগ্রাম, ৮/১১/৭১ খৃ.)।
মাহফুজুল হক নামে জনৈক আল-বাদর কমান্ডার-
৭ নভেম্বর ১৯৭১ খৃ, ‘বদর দিবস’ উপলক্ষে ধর্মব্যবসায়ী ঘাতক জামাতের ম বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর গ্রামের মৃত
মালানা আব্দুর রহমানের দু’পুত্র ও চার কন্যার মধ্যে সোলায়মান ছিলো সবার বড়। সোলায়মানের
পিতা আব্দুর রহমান কলকাতা একটি মাদরাসায় পড়াশোনার পর সেখানে একটি মাদরাসায় চাকরি করতো
সোলায়মানকে সেখানেই ভর্তি করে। সেখান থেকে টাইটেল পাশের পর সোলায়মান দেশে ফিরে মাগুরা
সদর উপজেলার বেরোইল হাইস্কুলে নবম শ্রেণীতে ভর্তি হয়। ওই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশের
পর নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক করে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় থেকে
ইসলামের ইতিহাসে স্নøাতকোত বাকি অংশ পড়ুন...
আাল ইহসান ডেস্ক:
মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, নড়াইলে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে পাক বাহিনীর দোসর রাজাকার বাহিনীর নির্মম হত্যাকা-, ধর্ষণ ও লুটতরাজের সঙ্গে যে নামটি মিশে আছে তা হলো রাজাকার মালানা সোলায়মানের নাম। যার নির্দেশে তিন জল্লাদ জবাই করে হত্যা করেছে কয়েক হাজার মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মুক্তিকামী মানুষকে। এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ এনে মালানা সোলায়মান রেজিস্টারে যাদের নামের পাশে লালকালি দিয়ে “রিলিজ ফর ইভার” লিখে দিতো তাদের ইসকট পার্টি ও জল্লাদরা গভীর রাতে নড়াইল শহরের লঞ্চঘাট বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
নড়াইলের কুখ্যাত রাজাকার, আল-বাদর, আল-শামস, তৎকালীন মহকুমা পিস কমিটির চেয়ারম্যান, ধর্মব্যবসায়ী জামাতে মওদুদীর সাবেক নেতা মালানা সোলায়মানের নাম মনে পড়লে এখনো মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ ব্যক্তিদের গা শিউরে উঠে। আর এই হিংস্র হায়েনার একান্ত সহযোগী ছিল ডাক্তার আবুল। এদের নির্দেশে ১৯৭১ সালে নড়াইলে জল্লাদ ওমর, মোমরেজ ও ফারুক এই তিন জন প্রায় আড়াই হাজার স্বাধীনতাকামী দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অভিযোগ এনে বর্তমান জজ কোর্টের পাশে বটগাছের নিচেই তৎকালীন লঞ্চঘাটের প্লাটুনের বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
মনসুর খালেদের ‘আল-বাদর’ গ্রন্থে বর্ণিত আল-বাদরদের বিভিন্ন অপারেশনের বিবরণ থেকে একটি তালিকা প্রণয়ন করা যায় এভাবেÑ
ঢাকা শহর: আসাদুজ্জামান- কমান্ডার, সদস্য- নূর মল্লিক, মোহাম্মদ আলী, আবু নসর ফারুকী, ইকরামুল হক, ফেদাউল ইসলাল, রেজাউল ইসলাম, এফ এম কামাল, মুস্তাফা শওকত ইমরান, হুসাইন খান, মুহম্মদ মাসুম।
চট্টগ্রাম: কমান্ডার- আবদুল জাহের আবু নাসের ও আবু জাফর; কমান্ডার- মুহাম্মদ নাঈমুর রহমান, ইফতেখারুল ইসলাম, সলিমুল্লাহ, আবু জাফর; কমান্ডার- এনামুল হক সন্তু; সদস্য- সৈয়দ আকরাম হোসাইন, আবু ওসমান, শাহ জামান, আবদুর রহমান, মীর হাসান, মু বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
বিভিন্ন সংগ্রহশালা থেকে উদ্ধৃত তৎকালীন আল-বাদর হাইকমান্ডের একটি তালিকা এখানে তা দেয়া হলো:
মওদুদীবাদী ছাত্রসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটি (আল-বাদর হাইকমান্ড)Ñ
৭। খুররম ঝা মুরাদ, লন্ডনে অবস্থানরত আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত জামাত নেতা। বিভিন্ন দেশে জামাতীদের তৎপরতা সমন্বয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত।
৮। আবদুল বারী (জামালপুর জেলা আল-বাদর প্রধান), ঢাকায় চাকরি করে।
৯। আবদুল হাই ফারুকী (রাজশাহী জেলা আল-বাদর প্রধান), দুবাইয়ে ব্যবসা করে।
১০। আবদুল জাহের আবু নাসের (চট্টগ্রাম জেলা আল-বাদর প্রধান), ঢাকায় সউদী রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত সহকারী বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
বিভিন্ন সংগ্রহশালা থেকে উদ্ধৃত তৎকালীন আল-বাদর হাইকমান্ডের একটি তালিকা এখানে তা দেয়া হলো:
মওদুদীবাদী ছাত্রসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটি (আল-বাদর হাইকমান্ড)Ñ
১। আশরাফ হোসাইন (আল-বাদর বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা এবং ময়মনসিংহ জেলা প্রধান), ঢাকায় ব্যবসা করে।
২। শামসুল হক (ঢাকা শহর প্রধান), কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য- জামাতে ইসলামী।
৩। মুস্তাফা শওকত ইমরান (ঢাকা শহর আল-বাদর বাহিনীর অন্যতম নেতা), স্বাধীনতার পর পরই নিখোঁজ হয়।
৪। আশরাফুজ্জামান খান (ঢাকা শহর আল-বাদর বাহিনীর হাইকমান্ড সদস্য এবং বুদ্ধিজীবী হত্যাকা-ের ‘চিফ এক্সিকিউট বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি জানায়, শহরের বাজির মোড়ে সরকারি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ ভবনকে নরসিংদীবাসী টর্চার সেল ও হত্যাপুরী বলেই চেনে-জানে। মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণরা এর সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় এখনো আঁতকে উঠেন।
পুনর্বাসন: স্বাধীনতার পরপরই রাজাকার কমান্ডার মতিউর সিকদার পালিয়ে পাকিস্তানে চলে যায়। পরে ঘাতকদের গুরু জামাতের সাবেক আমির গো’আযম দেশে ফেরার সময় তার সঙ্গে মতিউর সিকদারও দেশে ফেরে। দেশে ফিরে জামাত কর্মীদের সংগঠিত করে দল পুনর্গঠনে সক্রিয় সহায়তা করে। পরে রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে না থাকলেও মতি বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
হত্যা, সম্ভ্রমহরণ ও অগ্নিসংযোগের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ: রাজাকার মতিউরের হাতে নির্মম নির্যাতন ও হত্যাকা-ের শিকারদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানিয়েছে মতিউর রহমান পাকী বাহিনীর সহায়তায় কীভাবে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করতো তাদের স্বজনদের। একাত্তরের ৬ আষাঢ় (ইংরেজি জুন মাস) তিন দিন নির্যাতনের পর নরসিংদীর ঘোড়াদিয়া গ্রামের মানুষদেরকে হত্যা করা হয়।
একাত্তরে রাজাকার মতিউরের কর্মকা- প্রসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছে, রাজাকার মতিউর এলাকার বহু মা-বোনের ইজ্জত নিজে হরণ করেছে, তাদেরকে তুলে দিয়েছে পাকিস বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নরসিংদীতে গণহত্যা, লুটপাট আর অগ্নিসংযোগের নারকীয় মহোৎসব চালাতো রাজাকার কমান্ডার জামাত নেতা মতিউরের সিকদার। একাত্তরে নরসিংদীসহ আশপাশের শতাধিক গ্রামকে রক্তাক্ত জনপদে পরিণত করেছিলো কুখ্যাত এ রাজাকার মতিউর রহমান। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ কয়েকটি অভিযোগে মামলা হলেও গ্রেফতার এড়িয়ে এখন সে ব্যবসায়ী ও জামাতের একনিষ্ঠ কর্মী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, কাউকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী হিসেবে বিন্দুমাত্র সন্দেহ হলেই রাজ বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
‘একাত্তরের ঘাতক দালালরা কে কোথায়’ গ্রন্থ থেকে জানা যায়, একাত্তরের ২৫ নভেম্বর ঢাকা শহর ছাত্রসংঘের কার্যকরী পরিষদ পুনর্গঠিত হয়। এ কমিটিতে প্রধান জল্লাদ বা খুনি হিসেবে আশরাফুজ্জামানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্য সদস্যরা ছিলো: ১. মোস্তাফা শওকত ইমরান, ২. নূর মোহাম্মদ মল্লিক, ৩. একে মোহাম্মদ আলী, ৪. আবু মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, ৫. আ.ক.ম. রুহুল কুদ্দুস ও ৬. সর্দার আবদুল সালাম।
আল-বাদরদের একটি বড় অংশ ১৯৭২ সাল থেকেই সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে মিশে গেছে। শুধু তাই নয়, অনেকে রাজনীতি, সমাজ, অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে।
জামালপুরের ইসলামপুর থান বাকি অংশ পড়ুন...












