আল ইহসান ডেস্ক:
১৩ নভেম্বর কুড়িগ্রামের হাতিয়া গণহত্যা দিবস। ব্রহ্মপুত্রপাড়ের ৭টি গ্রামে পাকিস্তানি বাহিনী কাপুরুষের মতো নিরহ নিরস্ত্র নিরপরাধ সাধারণ মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হত্যাযজ্ঞ চালায়। হত্যা করা হয় ৬শ’ ৯৭ জন মানুষকে।
কুড়িগ্রাম জেলা শহর থেকে ৩৫ কি.মি. দূরে উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের ৭টি গ্রাম রাতের অন্ধকারে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে পাকী বাহিনী। গ্রামের অধিকাংশ মানুষজন সাহরী খেয়ে ফজরের নামাযের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। গুলি আর আহাজারির শব্দে ঘর থেকে মানুষ বেরিয়ে এসেছিল। কিন্তু দরজার বাইরে দানবের মতো দাঁড়িয়ে থাকা পাক বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত মৌলভীবাজার রাজনগর উপজেলার আকমল আলী তালুকদারসহ চার রাজাকার। জানা গেছে, আকমল আলীসহ অন্যান্য রাজাকাররা ৭০ জন পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। তারা এলাকার মা ও বোনদেরকে বেইজ্জতি করেছিল। রাজকাররা গ্রামের বিভিন্ন বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এসব অপরাধের জন্য চেয়ারম্যান বিচারক শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্য বিশিষ্ট আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ তাদের বিচার চলছে।
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় ২৩ ব বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
সাবেক প্রধান বিচারক এস কে সিনহা ৭১’র মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামাত নেত মীর কাসেম আলীর ভাইয়ের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা পেয়েছে।
এমন অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়। এ সম্পর্কে তার জয়ের বক্তব্য- নিন্দিত সাবেক প্রধান বিচারক সিনহা সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক এসেছিলো। সেখানে সে গোপনে যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেমের ভাই মামুনের সাথে দেখা করে। আমরা জানতে পেরেছি মামুনের কাছ থেকে সে বড় অংকের টাকা পেয়েছে। টাকাটা তাকে দেয়া হয়েছে আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
গত ৯ আগস্ট ২০১৭ সরকারের আরেক মন্ত্রী গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এস কে সিনহাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সিনহা যা ভাবছে এবং মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তির সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে যা বলছে তা ঠিক নয়। বাংলার মানুষ জানে- সিনহা শান্তি কমিটির সদস্য ছিলো।
আ’লীগের প্রকাশ ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এদিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এরা সকলেই প্রকাশ্যে এসকে সিনহা যে একটি রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধী সেটি প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বক্তব্য রেখেছে বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
এসকে সিনহার রাজাকারগিরি সম্পর্কে মুখ খুলেছেন খোদ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক নিজেও। ২১ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে তিনি বলেছেন, সাবেক প্রধান বিচারক এসকে সিনহা পিস কমিটির সদস্য ছিলো। তাই সে বঙ্গবন্ধুকে একক নেতা মানতে রাজি নয়।
স্বয়ং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী নিজেই যখন এসকে সিনহার রাজাকারগিরি সম্পর্কে অবহিত তাহলে তার বিচারের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না কেন?
সিনহা প্রধান বিচারক থাকা অবস্থায় রাজাকারদের বিচারেও সে নানারকম ছলচাতুরি করেছে, তাদের থেকে টাকাও খেয়েছে সেটাও এখন ফাঁস হয়েছে। বুঝাই যাচ্ছে সিন বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
সিনহার রাজাকারগিরি সম্পর্কে দেশের মন্ত্রী-এমপি আমলা সকলেই জানে। তারপরও কেন তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হচ্ছে না? গত ২২ আগস্ট ২০১৭ তারিখে আ’লীগের প্রকাশ ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ নিজেও হিন্দু রাজাকার এস কে সিনহাকে উদ্দেশ্য করে বলেছে, সিনহা আদালতে মামলা চলাকালীন নিজের মুখে স্বীকার করেছে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তানি বাহিনীকে সহায়তার জন্য রাজাকার আলবদরদের সহায়ক শক্তি হিসেবে গ্রামে গ্রামে যে শান্তি কমিটি গঠন করা হয়েছিল সেই শান্তি কমিটির সদস্য ছিলো। এটি সে নিজে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
সাবেক প্রধান বিচারক এস কে সিনহা নিজেই স্বীকারোক্তি দিয়েছে সে রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদেরা সংগঠন ‘শান্তি কমিটি’র একজন সদস্য ছিলো। সিনহা ১০ই সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে নিজের এক বক্তব্যে তখন বলেছে, “মুক্তিযুদ্ধের সময় আমি নিজেও শান্তি কমিটির সদস্য ছিলাম।”
তাছাড়াও তার সম্পর্কে আরো অভিযোগ আছে, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সংখ্যালঘুদের ভেতর বেশ কয়েকটি স্বাধীনতার বিপক্ষে সক্রিয় ছিলো। এদের মধ্যে উপজাতি চাকমা নেতা ত্রিদিব রায় তার অন্যতম। সিনহার বাড়ি ভারত সীমান্তবর্তী সে চাইলে সহজে ভারতে যেতে পারতো। তা না গিয়ে সে রাজা বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
জাফর ইকবালের পারিবারিক আত্মজীবনীমূলক বই থেকে আরো জানা যায়- পিরোজপুরের ওই বন থেকে পরবর্তিতে তারা যায় গুয়ারেখা নামক এলাকার এক ক্বারি সাহেবের বাড়িতে। সেখান থেকে জাফর ইকবালের নানা তাদের নিয়ে যায় ঢাকা, ঢাকা থেকে যায় নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ এ নানার বাড়ি।
মোহনগঞ্জে এসে আয়েশা ফয়েজ জানতে পারে তার বাবা অর্থাৎ জাফর ইকবালের নানা রাজাকার। আয়েশা ফয়েয এ সম্পর্কে উক্ত বইয়ের ৭৪ পৃষ্ঠার মোহনগঞ্জে অধ্যায়ে লিখে “বাবা (জাফর ইকবালের নানা) যখন আমাদের আনতে গিয়েছে তখন মিলিটারিরা তাকে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান তৈরি করেছিল। বাবা ছিলো না বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
জাফর ইকবালের মা আয়েশা ফয়েয লিখিত ‘জীবন যে রকম’ বইয়ে ২৫ মার্চ পরবর্তি মে মাসে তারাকোথায় ছিলো সে সম্পর্কে উক্ত বইয়ের ৫৯-৬০ পৃঃ মে অধ্যায় থেকে যা জানা যায়, তার সংক্ষিপ্ত রূপ হলো- পিরোজপুরে তাদের পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাবলা নামক এক বনে মুবারক খান নামে একজন গ্রাম্য মাতবরের বাসায় তারা আশ্রয়ে ছিলো। সে সময় জাফর ইকবালের বাবা পাকিস্তানী সরকারের অনুগত একজন পুলিশ অফিসার ছিলো। থানায় জরুরী ডাক পড়লে জাফরের পিতাকে তার মা যেতে দিতে না চাইলে সে বলে, যদি না যাই আমার নামে হুলিয়া দিয়ে ধরার জন্য চলে আসবে। ছেলেমেয়ে সবাইকে ধরে নিয়ে যাবে বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
জাফর ইকবালের বড় ভাই হুমায়ুন আহমেদ তার এক বইয়ে লিখেছে, “১৬ ডিসেম্বর, ভোর। ১৯৭১। আমার বুক ধক ধক করছে। বাজিছে বুকে সুখের মতো ব্যথা। বিশ্বাসই হচ্ছে না, আমরা স্বাধীন। এখন আর মাথা উঁচু করে হাঁটতে সমস্যা নেই। ‘নিজের দেশের মাটি/দবদবাইয়া হাঁটি।’ আমি দবদবিয়ে হাঁটার জন্যে বের হলাম। প্রথমে খুঁজে বের করতে হবে আমার ছোট ভাইকে (জাফর ইকবাল)। শুনেছি, সে যাত্রাবাড়ীতে আছে। গর্তে বাস করে। যাত্রাবাড়ীতে আমার দূরসম্পর্কের এক মামা বাড়ির পেছনে গর্ত করেছেন। তিনি তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলে নিয়ে গর্তে বাস করেন। জাফর ইকবাল যুক্ত হয়েছে তাদের স বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
গত ১০ মে, ২০১৮ খৃ. তারিখে এই জাফর ইকবাল নিজেই একটি আর্টিকেলে মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের পলায়নপর ভূমিকা নিজের অজান্তেই লিখে ফেলে। যদিও পরবর্তিতে সে লেখাটি নিজের টাইমলাইন থেকে মুছে দিয়েছে। লেখাটির শুরুতে জাফর নিজের বিষয়ে লিখেছে, “আমি শেষবার এই কথাটি শুনেছিলাম ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর কিংবা অক্টোবর মাসে। তাড়া খাওয়া পশুর মতো দেশের নানা জায়গা ঘুরে শেষ পর্যন্ত ঢাকায় এসে আশ্রয় নিয়েছি।”
তার এই স্বীকারোক্তি থেকে প্রশ্ন আসে, ঐ সময় তো জাফর টগবগে যুবক (সার্টিফিকেট বয়স ১৯), তাহলে সে মুক্তিযুদ্ধ করলো না কেন? কেন সে জীবন বাঁচানোর বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
জাফর ইকবালকে অনেকে জানে সাহিত্যিক হিসেবে, অনেকে চিনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাজীবি হিসেবে। কিন্তু তার এই চেতনাবাজির আড়ালের রূপ তথা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়কালে তার অবস্থান, তার ভূমিকা কি ছিলো সেটা অনেকেরই অজানা ছিলো। কিন্তু সম্প্রতি তার অতি উৎসাহী তথা উতলে উঠা চেতনা দেখে সকলেরই সন্দেহ জাগে। অতিভক্তি চোরের লক্ষণ -এটা একটি প্রমাণিত সত্যও বটে। সামান্য একটু নাড়াচাড়া দিতেই বেরিয়ে আসে এই জাফর ইকবালের প্রকৃত রূপ।
জাফর ইকবালদের পারিবারিক আতœজীবনী মুলক বইসমূহে উল্লেখ করা আছে, ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলা বাকি অংশ পড়ুন...












