মহান আল্লাহ পাক তিনি প্রতিটি ফরযকে মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক দ্বারা সৌন্দর্যম-িত করেছেন এবং মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারকসমূহ ফরযের পরিপূরকও। এমন কোনো ইবাদত নেই, যা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত নয়। তাই এখানে নামায উনার মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারকসমূহ আলোচনা করা হলো।
ক্বিয়াম বা দাঁড়ানোর মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারকসমূহ:
১. নামায আদায়ের জন্য সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
২. নামায আদায়ার্থে দাঁড়ানোর সময় পাদ্বয়ের মাঝখানে চার অঙ্গুলি হতে এক বিঘত পরিমাণ ফাঁক রেখে দাঁড়ানো। স্বাস্থ্যের কারণে এক বিঘত ব্যবধানের মধ্যে দাঁড়ানো স বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি কোন মৃতব্যাক্তির শোকে দুর্বল হয়ে পড়াদের তালবীনা খাওয়ার জন্য নছিহত মুবারক করেছেন। তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমি নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বলতে শুনেছি- তালবীনা রোগাক্রান্ত ব্যক্তির হৃদপিন্ডের জন্য আরামদায়ক, হৃদপি-কে সক্রিয় করে এবং ব্যাথা ও দুঃখকষ্ট দূর করে। ” সুবহানাল্লাহ!
সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বা আলাইহাস সালাম তিনি আরো ইরশাদ মুবারক করেন, “যখন নূরে ম বাকি অংশ পড়ুন...
১। প্রথমে বাম পায়ের জুতা খুলে জুতার উপর বাম পা রাখতে হবে। তারপর ডান পায়ের জুতা খুলে ডান পা মসজিদে প্রবেশ করাতে হবে। (বুখারী শরীফ-১/১৬১)
২। মসজিদে প্রবেশের সময় প্রথমে পবিত্র বিসমিল্লাহ শরীফ পাঠ করা ও মসজিদে প্রবেশের দোয়া মুবারক পাঠ করা। নি¤েœ মসজিদে প্রবেশের দোয়া মুবারক উল্লেখ করা হলো-
بِسْمِ اللّٰهِ اَلصَّلٰوةُ وَالسَّلاَمُ عَلٰى رَسُوْلِ اللّٰهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ .اَللّٰهُمَّ افْتَحْ لِىْ اَبْوَابَ رَحْمَتِكَ.
অর্থ: “মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত নাম মুবারকে প্রবেশ করছি, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্র বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আশূরা মিনাল মুহররম তথা ১০ই মুহররম শরীফ উনার দিন মেশক মিশ্রিত সুরমা চোখে দিবে, তার পরবর্তী এক বছর চোখে কোনো রোগ হবে না। সুবহানাল্লাহ!
মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরও ইরশাদ করেন, তোমরা ‘ইসমিদ সুরমা’ ব্যবহার কর, এতে তোমাদের চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি পাবে।
চোখে ‘সুরমা’ দেয়ার সুন্নতী নিয়ম: একটি সুন্নতী নিয়ম হলো, প্রথম বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عُمَرَ رَضِىَ اللّٰهُ تَـعَالٰى عَنْهُ يَـقُوْلُ مَا قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْإِزَارِ فَـهُوَ فِي الْقَمِيْصِ
অর্থ: হযরত ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, লুঙ্গি যেমন নিছফে সাক্ব পর্যন্ত পরিধান করতে হবে, তদ্রুপ জামাও নিছফে সাক্ব পর্যন্ত পরিধান করতে হবে। (আবূ দাউদ শরীফ, মু’জামুল আওসাত, শুয়াবুল ঈমান ৮/২২০)
মূলত, ক্বমীছ বা জামা ও ইযার বা লুঙ্গি সমান সমান হতে পারে আবা বাকি অংশ পড়ুন...
জয়তুন ও জয়তুনের তেল
মহান আল্লাহ পাক তিনি জয়তুন বিষয়ে সরাসরি শপথ করে ইরশাদ মুবারক করেছেন-
وَالتِّينِ وَالزَّيْتُونِ
অর্থ: শপথ ত্বীন এবং যয়তুনের। (সূরা ত্বীন শরীফ: আয়াত শরীফ ১)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন- এটি ত্বক ও চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারি, বার্ধক্যকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং পেটের জন্য তেমন শীতল যেমন আগুনের সামনে বরফ।
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো বর্ণিত রয়েছে- সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক বাকি অংশ পড়ুন...
খ্বালিক মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার মহাসম্মানিত হাবীব ও মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে হায়াতের প্রতিটি ক্ষেত্রে ইতায়াত (অনুসরণ-অনুকরণ) করা, আর কাফির-মুশরিক, ইহুদী, নাছারা, মজুসী, অর্থাৎ তাবৎ বিধর্মীদের খিলাফ করা ফরয।
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি সর্বক্ষেত্রে, সবসময় কাফির-মুশরিকদের খিলাফ বা বিপরীত আমল মুবারক করেছেন এবং উম্মতকে তাদের বিপরীত আমল করতে মহাসম্মানিত নির্দেশ মুবারক দিয়েছেন।
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উন বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক:
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, সিরকা কতোইনা উত্তম খাদ্য, হে মহান আল্লাহ পাক! সিরকার উপর আপনার অশেষ রহমত কেননা এটি আমার পূর্ববর্তী হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদেরও খাদ্য ছিল এবং যে ঘরে সিরকা থাকবে সে ঘর কখনো দারিদ্রতার মুখ দেখবে না।”
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আরও ইরশাদ মুবারক করেন, “যে ঘরে সিরকা আছে, সে ঘর তরকারীশূন্য নয়।”
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূ বাকি অংশ পড়ুন...
১। খানা খাওয়ার পূর্বে ওযূ করা এবং খানার পর ওযূ করা উভয়টি-ই খাবারের মধ্যে বরকত মুবারক লাভের কারণ। (শামায়েলে তিরমিযী শরীফ)
২। উভয় হাত কব্জি পর্যন্ত ধোয়া। (আবূ দাউদ শরীফ)
৩। দস্তরখানা বিছিয়ে খাবার খাওয়া। (বুখারী শরীফ)
৪। দস্তরখানা খয়েরী রংয়ের এবং চামড়ার হওয়া খাছ সুন্নত মুবারক। (শামায়েলে তিরমিযী শরীফ)খয়েরী রংয়ের চামড়ার দস্তরখানায় আহারের ফযীলত মুবারক :
খয়েরী রংয়ের চামড়ার দস্তরখানায় খাবার খাওয়া নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অন্যতম মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক।
সাইয়্যিদুনা হযরত ঈসা রু বাকি অংশ পড়ুন...
আল ইহসান ডেস্ক: একটি জিহাদের সময় হযরত ছাবাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু আনহুম উনারা একটি সামুদ্রিক মাছ কুদরতী রিযিক হিসেবে পেয়ে সেটা গ্রহণ করেন। এবং জিহাদ শেষে উনারা তার একটি অংশ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খিদমত মুবারকে পেশ করলেন এবং নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি তা থেকে খেলেন।” সুবহানাল্লাহ!
সুন্নতী খাদ্য এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরণের সুন্নতী সামগ্রী পেতে যোগাযোগ করুন-
আন্তর্জাতিক পবিত্র সুন্নত মুবারক প্রচার কেন্দ্র, সাইয়্যিদুল বাকি অংশ পড়ুন...
হাম্বলী মাযহাব উনার যিনি ইমাম; হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একবার ফতওয়া মুবারক দিলেন যে, ‘সম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন করা ফরয।’
তিনি যখন ফতওয়া মুবারক দিলেন, তখন উনার সময়কার যারা ইমাম, মুজতাহিদ ও ফক্বীহ ছিলেন উনারা এসে বললেন, ‘হে হযরত ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহমতুল্লাহি আলাইহি! আমরা আপনাকে ইমাম, মুজতাহিদ ও ফক্বীহ মনে করি। অথচ আপনি কি করে সম্মানিত সুন্নত মুবারক পালন করা ফরয ফতওয়া দিলেন? এর স্বপক্ষে আপনার কোন দলীল আছে কি? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, এ ব্যাপারে ক্বিতয়ী বা অকাট্য দলীল রয়েছে। আমরা তো সবাই হাফিযে কুরআন।
জবা বাকি অংশ পড়ুন...
চেয়ার-টেবিলে পানাহার করলে অবশ্যই বে-দ্বীন-বদদ্বীন ও বেধর্মীদের অনুসরণ করা হবে। কেননা বেধর্মীরাই চেয়ার-টেবিলে খাদ্য খাওয়ার পদ্ধতি চালু করেছে। দস্তরখানায় আহার করা খাছ সুন্নত মুবারক।
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ مَا أَكَلَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلٰى خِوَانٍ وَلَا فِي سُكُرُجَةٍ وَلَا خُبِزٍ لَهٗ مُرَقَّقٌ. قُلْتُ لِـحَضْرَتْ قَتَادَةَ رَضِىَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ عَلٰى مَا يَأْكُلُوْنَ قَالَ عَلَى السُّفَرِ.
অর্থ: “হযরত আনাস ইবনে মালিক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। বাকি অংশ পড়ুন...












