পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنَّهُ نَـهَي النِّسَاءَ عَنِ الْـخُرُوْجِ اِلَـى الْـمَسَاجِدِ فَشَكَوْنَ اِلٰى اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَقَالَتْ اُمُّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةُ الصِّدِّيْقَةُ عَائِشَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ لَوْ عَلِمَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا عَلِمَ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَا اَذِنَ لَكُمْ فِي الْـخُرُوْجِ.
অর্থ: আমীরুল মু’মিনীন হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহিলাদেরকে বাইরে বের হয়ে মসজিদে আসতে নিষেধ করেন। অতঃপর মহিলা উনারা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহা বাকি অংশ পড়ুন...
কিতাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সিরিয়াতে একজন বিশিষ্ট বুযুর্গ ও মশহুর মহান আল্লাহ্ পাক উনার ওলী ছিলেন। উনাকে এলাকার সমস্ত লোকেরা চিনত। উনি উনার মাদ্রাসায় র্দস দিতেন। খান্কা শরীফে তা’লীম দিতেন যিকির-আযকারের জন্য। উনার একাধিক সন্তান-সন্ততি ছিল। প্রত্যেকেই আল্লাহ্ওয়ালা দ্বীনদার, পরহিজগার ছিলেন, সকলেই সেটা জানত। কিন্তু উনার বড় ছেলেটা ছিল বেশরা। অর্থাৎ শরীয়তের খেলাফ সে চলতো।
সেই আল্লাহওয়ালা ব্যক্তি যখন খান্কা শরীফে তা’লীম দিতেন, র্দস দিতেন, তখন দেখা যেত উনার সেই ছেলেটা আজে-বাজে জিনিস পান করে এসে নেশাগ্রস্থ হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করত, বাকি অংশ পড়ুন...
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
অর্থ: যে ব্যক্তি আমার একটি মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক হেফাযত করবেন, আঁকড়িয়ে ধরবেন, আমল করবেন, যিনি খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি তাঁকে ৪টি স্বভাব মুবারক দ্বারা সম্মানিত করবেন। সুবহানাল্লাহ! আর তা হচ্ছে-
১. নেককারদের অন্তরে উনার প্রতি মহব্বত পয়দা করে দিবেন।
২. পাপীদের অন্তরে উনার প্রতি রোব বা ভীতি সৃষ্টি করে দিবেন।
৩. উনার রিযিক্বে প্রাচুর্যতা দান ক বাকি অংশ পড়ুন...
রিয়া অর্থ লৌকিকতা বা লোক দেখানো কাজ। যারা রিয়ার পর্যায়ে কোন প্রকারের ইবাদত করে তাদের সেই ইবাদতের পরিণাম খুবই ভয়ানক। পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে রিয়াকারীদের সম্পর্কে বহু আয়াত শরীফ উল্লেখ রয়েছে এবং একইভাবে অনেক হাদীছ শরীফও উল্লেখ রয়েছে। রিয়া এটি মুনাফিকদের স্বভাব-বৈশিষ্ট্যও বটে। এছাড়া এটি ইখলাছ বা একনিষ্ঠতার পরিপন্থী। অতএব, রিয়া নামক বদ খাছলত বা বদ স্বভাবটি নিজেদের দেহ মন থেকে দূরীভূত করা প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীদের জন্য ফরযের অন্তর্ভুক্ত।
পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
فَمَن كَانَ يَرْجُو لِق বাকি অংশ পড়ুন...
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, আমি ক্বিয়ামতের দিন চার শ্রেণীর লোকদের সুপারিশ করবো-
এক. যাঁরা আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে সম্মান মুবারক করবেন।
দুই. যাঁরা আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদেরকে, হযরত আওলাদে রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদেরকে আর্থিকভাবে সম্মানিত খিদমত মুবারকের আনজাম দিবেন।
তিন. যাঁরা আমার মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরী বাকি অংশ পড়ুন...
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
قُلْ إِن كَانَ آبَاؤُكُمْ وَأَبْنَآؤُكُمْ وَإِخْوَانُكُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ وَعَشِيرَتُكُمْ وَأَمْوَالٌ اقْتَرَفْتُمُوهَا وَتِجَارَةٌ تَخْشَوْنَ كَسَادَهَا وَمَسَاكِنُ تَرْضَوْنَهَا أَحَبَّ إِلَيْكُم مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ وَجِهَادٍ فِي سَبِيلِهِ فَتَرَبَّصُوا حَتَّى يَأْتِيَ اللّهُ بِأَمْرِهِ وَاللّهُ لاَ يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ [التوبة: ২৪].
অর্থ : (আয় মহাসম্মানিত হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!) আপনি বলুন, তোমাদের নিকট যদি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের পথে জিহাদ করার চেয়ে বেশি প্রিয় হ বাকি অংশ পড়ুন...
(১ম অংশ)
মহান আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফ উনার সূরা তওবা শরীফ উনার ১২০নং আয়াত শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক করেন-
مَاكَانَ لِاَهْلِ الْمَدِيْنَةِ وَمَنْ حَوْلَهُمْ مِنَ الْاَعْرَابِ اَنْ يَتَخَلَّفُوْا عَنْ رَسُوْلِ اللهِ وَلَايَرْغَبُوْا بِاَنْفُسِهِمْ عَنْ نَفْسِه.
অর্থ: আরব, আযম কারো জন্য জায়েয হবে না শাহিদুন নবী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে পিছিয়ে থাকা এবং উনার থেকে নিজেদেরকে বেশি প্রাধান্য দেয়া।
সুতরাং, সর্বক্ষেত্রে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে প্রাধান্য দি বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ اِبْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَـعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهُ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اَلشَّيْطَانُ جَاثِمٌ عَلٰى قَـلْبِ ابْنِ اٰدَمَ فَإِذَا ذَكَرَ اللهَ خَنَسَ وَإِذا غَفَلَ وَسْوَسَ
অর্থ: হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, শয়তান মানুষের ক্বলবের মধ্যে বসে, যিকির করলে সে পালিয়ে যায় আর যিকির থেকে গাফিল হলে সে ওয়াসওয়াসা দেয়। (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
বাকি অংশ পড়ুন...
মহাসম্মানিত হাদীছ শরীফ থেকে মুখ ঢেকে পর্দা করা ফরয হওয়ার দলীল:
(১২)
গাইরে মাহরাম বা পর পুরুষ থেকে হাত, পা ও চেহারাসহ সমস্ত শরীর আবৃত করা ফরয বিষয়ে আরো কতিপয় দলীল:
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عن حَضْرَتْ أَبِي بَكْرٍ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهم قَالَ: اَلْمَرْأَةُ كُلُّهَا عَوْرَةٌ حَتَّى ظُفُرِهَا-
অর্থ: হযরত আবূ বকর ইবনে আব্দুর রহমান ইবনে হারিছ ইবনে হিশাম রহমতুল্লাহি আলাইহিম উনার থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, মহিলাদের সমস্ত শরীরটাই পর্দার অন্তর্ভুক্ত। এমনকি তাদের নখটিও পর্দার অন্তর্ভুক্ত।
(আল-মুগন বাকি অংশ পড়ুন...
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ عُمَرَ عَلَيْهِ السَّلَامُ اَنَّهُ نَـهَي النِّسَاءَ عَنِ الْـخُرُوْجِ اِلَـى الْـمَسَاجِدِ فَشَكَوْنَ اِلٰى اُمِّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةِ الصِّدِّيْقَةِ عَائِشَةَ عَلَيْهَا السَّلَامُ فَقَالَتْ اُمُّ الْـمُؤْمِنِيْنَ الثَّالِثَةُ الصِّدِّيْقَةُ عَائِشَةُ عَلَيْهَا السَّلَامُ لَوْ عَلِمَ النَّبِىُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا عَلِمَ عُمَرُ عَلَيْهِ السَّلَامُ مَا اَذِنَ لَكُمْ فِي الْـخُرُوْجِ.
অর্থ: হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম তিনি মহিলাদেরকে বাইরে বের হয়ে মসজিদে আসতে নিষেধ করেন। অতঃপর মহিলা উনারা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আছ ছালিছাহ ছিদ্দীক্বাহ আলাইহাস সালাম উনার খিদম বাকি অংশ পড়ুন...
বর্তমান সময় হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানের অগ্রগতির কারণে মানুষ আজ চাঁদে পৌঁছে গেছে। প্রযুক্তির অন্যতম উপহার হচ্ছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ যা সর্বোত্তম পদ্ধতি, সুলভ মূল্যে ও নির্ভুল পদ্ধতি। কিন্তু মুসলমানরা এই উন্নতি প্রযুক্তির ব্যবহার না করায় জাহান্নামের ফাঁদ অর্থাৎ ছবি থেকে বাঁচতে পারছে না। মুসলমানরা আজ শনাক্তকরণের জন্য ছবি ব্যবহার করছে, ছবি তুলছে। অথচ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যে বাকি অংশ পড়ুন...












