অনলাইনের যুগে কোনো লেখা পড়তে কষ্ট হয় কেন?
, ১৭ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৩ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
মানুষের মধ্যে হঠাৎ এ ধরনের অভ্যাস তৈরী হওয়ার একটি বড় কারণ ইন্টারনেটে অনলাইনের ব্যবহার। মানুষ এখন অনলাইনে প্রচুর পরিমাণে ভিডিও কনটেন্ট দেখে। এই যে ভিডিও দেখার অভ্যাস এবং দ্রুত একটির পর একটি দেখা, এটি মানুষের আচরণে পরিবর্তন এনে ধৈর্যচ্যূতি ঘটাচ্ছে। সে একটি ভিডিওতেও বেশিক্ষণ মনোযোগ দিতে পারছে না, বরং অনেক ভিডিও দেখতে হবে এমন তাড়া অনুভব করছে, এটা এক ধরনের ধৈর্য্য চ্যুতির অভ্যাস।
আসলে মানুষের ব্রেন হচ্ছে শরীরের মতই। একজন মানুষ যদি শারীরিকভাবে কঠোর পরিশ্রম করে, তবে সে কঠোর পরিশ্রমে অভ্যস্ত হয়ে যায়। আবার কেউ যদি শরীরকে নরম কাজে ব্যবহার করে, তখন সে নরম কাজে অভ্যস্ত হয়। তাকে দিয়ে কঠোর পরিশ্রম করানো যায় না।
ঠিক একই রকম হচ্ছে আমাদের ব্রেন। আপনি তাকে দিয়ে যেমন কাজ করাবেন, সে তেমন কাজেই অভ্যস্ত হয়ে উঠবে। আপনি যখন ভিডিও দেখছেন, তখন আপনার ব্রেন তথ্য পাচ্ছে সেটা ঠিক, কিন্তু সে চিন্তা করার ক্ষমতা হারাচ্ছে। মানে সে হয়ত তথ্য জমা (স্টোর) করছে, কিন্তু নিজ থেকে পরিশ্রম করছে না। সে হয়ত ভাবছে, আমি অনেক কিছু জানছি, মানে সে তথ্য পাচ্ছে, কিন্তু চিন্তা করার শক্তি হারিয়ে ফেলছে, এটা একটা বড় সমস্যা।
আসলে মানুষের মস্তিষ্ক বা ব্রেনের একটা বড় গুন হচ্ছে চিন্তা করার শক্তি। তথ্য জমা করাটাই সব না, বরং সেটা প্রসেসিং করা এবং প্রয়োজন মত ব্যবহার করা বড় গুন।
কোন বই বা লেখা পড়লে মানুষ চিন্তা করার সময় ও সুযোগ পায়। সে নিজের ব্রেনের ভেতর লেখাগুলো কল্পনায় দৃশ্যায়ন (ভিজুয়ালাইজেশন) করে। এতে তার ব্রেন পরিশ্রম করে এবং তার কার্যক্ষমতা ও সৃজনশীলতা (ক্রিয়েটিভিটি) বৃদ্ধি পায়। অপরদিকে ভিডিওতে কোন বিষয়ের দৃশ্যায়ন (ভিজুয়ালাইজেশন) করাই থাকে। ফলে তার ব্রেনকে তা কল্পনায় দৃশ্যায়ন করতে আলাদা পরিশ্রম করতে হয় না। ব্রেন পরিশ্রম না করায়, মানুষ আরাম অনুভব করে। ভাবে তার কষ্ট কম হচ্ছে। কিন্তু তার ব্রেন বসে থাকতে থাকতে যে অলস হচ্ছে, চিন্তা করার শক্তি হারিয়ে ফেলছে সেটা সে বুঝতে পারে না।
শারীরিক দাসত্বের মত এটাও এক ধরনের দাসত্ব, যাকে বলে- মানসিক দাসত্ব। আমরা নিজের অজান্তেই সেই দাসত্ব বরণ করছি। বর্তমানে ফেসবুক বা ইউটিউবের ভিডিও দেখা বা স্ক্রলের অভ্যাসে মানুষের ধৈর্য্যহীনতা ব্যাপকহারে বাড়ছে। এভাবে ধৈর্যহীন প্রজন্ম বাড়তে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে সমাজ কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আমরা লক্ষ্য করবো।
সুতরাং আমরা যদি ধৈর্য্যশীল, চিন্তাশীল ও উদ্ভাবনী ক্ষমতা সম্পন্ন প্রজন্ম চাই, তবে আমাদের ভিডিও দেখা বাদ দিতে হবে। লেখা পড়ার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, তবেই আমরা ভবিষ্যতে ভালো কিছু আশা করতে পারবো।
-মুহম্মদ রাফসান যানি।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












