পাঠ্যপুস্তুকে বার বার পবিত্র দ্বীন ইসলামের অবমাননা আর হিন্দুত্ববাদের প্রচারনা:
অনিচ্ছাকৃত ভুল বা ছাপার ভুল বলে পার পাওয়ার চেষ্টা করলেও আসলে তা কোন মতেই সত্য নয়। পবিত্র দ্বীন ইসলাম শিক্ষার সাথে নৈতিক শিক্ষা যুক্ত করে পবিত্র দ্বীন ইসলামকে অপূর্ণ ও হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। নাউযুবিল্লাহ!
নতুন পাঠ্যক্রমে সব সাবজেক্টেই পবিত্র দ্বীন ইসলাম এবং সম্মানিত মুসলমানকে অবহেলিত ও হেয় করে প্রকাশ করা হয়েছে। ৯৮ ভাগ মুসলমান জনগোষ্ঠীর এদেশে এসব বৈরী কাজ করা চরম আত্মঘাতী। (পর্ব-৪)
, ২৮ জুমাদাল ঊখরা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১৩ সামিন, ১৩৯১ শামসী সন , ১১ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রি:, ২৭ পৌষ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম
৬. ইংরেজ লুটেরাদেরকে সম্মানিত করা হয়েছে।
অবাক বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করলাম সামাজিক বিজ্ঞান বইতে ইংরেজ লুটেরা ও ডাকাতদের প্রশংসা করা হয়েছে। তাদের হাজারো অপকর্মের কথা আড়াল করে অনেকটা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাব লক্ষ্য করা গেছে। সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ৪ নং পৃষ্ঠায় ইংরেজ আমলকে আধুনিক আমল হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ব্রিটিশরা নাকি এখানে উপনিবেশ করে আমাদের আধুনিক কিছু শিখিয়েছে।
অথচ বাস্তবতা হলো, ব্রিটিশরা এখানে উপনিবেশ করে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। সেসময় আমাদের শিল্প অনেক উন্নত ছিল। আমাদের কাপড় তাদের কাপড়ের চাইতে ভালো ছিল। তারা আমাদের কাপড়ের সকল শিল্প কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের কারিগরদের হাত কেটে দিয়েছে যাতে তারা গোপনেও শিল্প কার্যক্রম চালু রাখতে না পারে। আমাদের শুধু কৃষিজীবি বানিয়ে ছেড়েছে। পৃথিবীর সম্পদশালী একটি অঞ্চল থেকে আমরা সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চলে পরিণত হয়েছি।
বর্তমান সেক্যুলার সমাজের অন্যতম এজেন্ডা পরিবার ভেঙ্গে দেওয়া। এটা শয়তানের প্রধান টার্গেট। পারিবারিক বন্ধনের মাধ্যমে একটি সমাজ গড়ে ওঠে। সভ্য ও উন্নত জাতি হিসেবে পৃথিবীতে কন্টিনিউ করে। পুরুষ ও নারী একে অন্যের পরিপূরক। কিন্তু শয়তান নারী ও পুরুষদের প্রতিযোগী বানিয়ে দিয়েছে।
নারীদের ঘরের কাজকে, পরিবার পরিচালনার কাজকে, সন্তানকে যোগ্য নাগরিকরূপে গড়ে তোলার মহান কাজকে হীন চোখে দেখিয়ে তাদেরকে এই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছে। তাদেরকে পুরুষের কাজের প্রতিযোগী বানিয়ে দিচ্ছে। এই এজেন্ডার মূল টার্গেট হলো যাতে পরিবার প্রথা ভেঙ্গে যায়। জীবন ও জীবিকা বইয়ের ২৮ পৃষ্ঠায় জমি চাষ করার একটি ট্রাক্টরের ওপর একজন মহিলাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এটাকে আদর্শ হিসেবে দেখানো। অধ্যায়ের নাম দেওয়া হয়েছে পেশার রূপ বদল।
একই কাজ করা হয়েছে বিজ্ঞান বইতে একেবারের অপ্রাসঙ্গিকভাবে। বিজ্ঞান বইয়ের ৭৬ পৃষ্ঠায় বল ও শক্তি অধ্যায়ের কাভার পেইজে মহিলা ক্রিকেটার সানজিদার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ফিজিক্সের বল ও শক্তির সাথে সানজিদার এই ছবির কোনো প্রাসঙ্গিকতা নেই। শুধুমাত্র পর্দার বিরুদ্ধে যাওয়ার জন্য ও মহিলাদের দায়িত্ব পরিবর্তনের মাধ্যমে পরিবার ভাঙ্গার এজেন্ডা নিয়ে এই ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।
একজন মানুষের বেসিক পরিচয় হয় ভাষা, লিঙ্গ, দ্বীন ও দেশ দিয়ে। সামাজিক অনুশীলন বইয়ের ৪ নং পৃষ্ঠায় শেখানো হয়েছে একজন মানুষ কীভাবে পরিচয় পেতে পারে! সেখানে অনেক হাবিজাবি বিষয় আনা হয়েছে, অথচ জাতীয়তা ও ধর্ম পরিচয়কে উপেক্ষা করা হয়েছে। রুমানা ‘সিনেমা দেখে কাঁদে’ এটা পরিচয়ের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অথচ সে কোন ধর্মের? এর কোনো খবর নেই। শুধু তাই নয়, রুমানা যে বাংলাদেশী নাকি অন্য কোনো দেশের এটাও উল্লেখ নেই। তার মানে যারা এই রচনার সাথে জড়িত তারা বাংলাদেশকে স্বীকার করে না? তারা কি হিন্দুত্ববাদী এক ভারতে বিশ্বাসী?
৭. বিতর্কিত ও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রত্যাখ্যাত বিবর্তনবাদ দিয়ে ঈমান নষ্ট করা হচ্ছে।
এটা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিতর্কিত ও বৈজ্ঞানিকভাবে প্রত্যাখ্যাত বিবর্তনবাদ পড়ানো হয়। এদেশের বামপন্থীরা দেশ পরিচালনায় নানানভাবে যুক্ত থাকায় বিবর্তনবাদ আমাদের সিলেবাসে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। ধর্মহীনতা ও ইসলাম বিদ্বেষ সৃষ্টি করার জন্য বিবর্তনবাদকে এদেশের বামপন্থীরা নিজেদের তত্ত্ব হিসেবে গ্রহণ করেছে। এর প্রচার ও প্রসারে ভূমিকা রাখছে। সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ২৪ পৃষ্ঠাও এই মতবাদকে উল্লেখ করে ঈমান নষ্ট করার কাজে মেতেছে। মুসলিম দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বিবর্তনবাদ কোনোভাবেই স্থান পেতে পারে না।
৮. বিজ্ঞান বইয়ে কুসংস্কারাচ্ছন্ন পুরাণ ও রূপকথার গল্পের প্রচলন
অত্যন্ত বিস্ময়ের লক্ষ্য করেছি বিজ্ঞান বইয়ে পুরাণ ও রূপকথার প্রচলন ঘটানো হয়েছে। বিজ্ঞান অনুশীলনের ১১ পৃষ্ঠায় তারার বিন্যাস নিয়ে আলোচনায় কুসংস্কারাচ্ছন্ন পুরানের গল্প উপস্থাপন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ছাত্রদেরও কাজ দিয়েছে যাতে তারা এমন কাল্পনিক গল্প বানায়। কাল্পনিক কাহিনী বানানো এখন বিজ্ঞান বইয়ের অনুশীলন! বিজ্ঞান বইতেও তারা পুরাণকে ঢুকিয়েছে। বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ের ১৩৬ পৃষ্ঠায় জাফর ইকবাল একটি রূপকথার গল্প লিখেছে। এটাও দেখতে হলো! বিজ্ঞান বইকে রূপকথার বই বানানোর অপচেষ্টা।
সেক্যুলার শিক্ষা বাদ দিয়ে আমরা একটি সমন্বিত দ্বীনি ও কর্মমূখী শিক্ষাব্যবস্থা চাই। যে শিক্ষা ব্যবস্থায় একজন ছাত্র আদর্শ মুসলিম, দায়িত্ববান নাগরিক ও সৃজনশীল উদ্যোক্তা হতে পারবে ইনশাআল্লাহ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার)












