নিয়ন্ত্রণে আনা হচ্ছে না অনলাইন জুয়া-বেটিং-ক্যাসিনো মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইন জুয়া কাজে আসছে না বিটিআরসির কলা-কৌশল
নিয়ন্ত্রণ প্রায় অসম্ভব, বলছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব (পর্ব-২)
, ০১ যিলক্বদ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ১০, মে, ২০২৪ খ্রি:, ৩১ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) মন্তব্য কলাম
পুরো বিষয়টি আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হচ্ছিল। ধীরে ধীরে সেখানে আরও টাকা ইনভেস্ট করি। একপর্যায়ে মারাত্মকভাবে আসক্ত হয়ে পড়ি। জুয়ার অধিকাংশ খেলা হতো রাতে। ফলে আমি আমার অফিসের কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়ি। একটা সময় আমি স্বাভাবিক জীবনযাপন থেকে দূরে সরে যাই। একইসঙ্গে অর্থকড়িও লস হতে থাকে। চাকরি চলে যায়। সবমিলিয়ে ছয় থেকে সাত লাখ টাকা লস করি ভুক্তভোগী এক জুয়াড়ি (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক)।
কেন মহামারির মতো ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইন জুয়া- সংশ্লিষ্টরা বলছে, অবাধ তথ্য-প্রযুক্তির নেতিবাচক সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনলাইনে গড়ে তোলা হয়েছে অপরাধের বিরাট এ সাম্রাজ্য। পদে পদে দেওয়া হচ্ছে লোভনীয় অফার। যেগুলো মূলত টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদ। সেই ফাঁদে পা দিয়ে শুধু অর্থ নয়, নৈতিক স্খলনও ঘটছে অনেকের। বারংবার কঠোরতা দেখিয়েও নানা ফাঁকফোকর আর কতিপয় অসাধু ব্যক্তিদের তৎপরতায় শেষপর্যন্ত নীরব পরাজয়ের স্বীকার হতে হচ্ছে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ও সংশ্লিষ্টদের। ফলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইন গ্যাম্বলিং (জুয়া), বেটিং (বাজি) আর ক্যাসিনো।
জানা যায়, ভয়াল এ থাবা থেকে দেশের তরুণ প্রজন্মসহ সব-বয়সীদের রক্ষা করতে বারবার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টরা। তবে, শেষ পর্যন্ত সফলতার মুখ দেখা যায়নি। বন্ধ করে দেওয়ার পরও কোনো না কোনোভাবে ফের বিভিন্ন জুয়া ও বাজির অসংখ্য প্ল্যাটফর্ম উন্মুক্ত হচ্ছে অনলাইনে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়াকড়ির কারণে বেশ সতর্ক এসব কার্যক্রমের মূলহোতারা। এখন আর আগের মতো ঢাকঢোল পিটিয়ে এসব ছড়ানো হচ্ছে না। মূলহোতারা থাকছে আড়ালে-আবডালে। বিদেশে থেকে খুব স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে পরিচালনা করছে তাদের কার্যক্রম। অন্যদিকে, দেশে থাকা তাদের এজেন্টরা সুকৌশলে করছে সহযোগিতা। বিনিময়ে মোটা অঙ্কের টাকার মালিক হচ্ছে তারা (দেশীয় এজেন্ট)। এ টাকার প্রায় শতভাগ লেনদেন হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লোভনীয় অফারের নানা ভিডিও এবং বুস্ট করা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অধিকাংশ জুয়া বা বেটিং সাইটগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে। এসব সাইটে বুঝে না বুঝে একটি মাত্র ক্লিকে অ্যাপস কিংবা ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে শুরুতে সদস্য টানতে অবলম্বন করা হচ্ছে কৌশল। অল্প টাকায় লাখপতি হওয়া বা দ্বিগুণ মুনাফার লোভে অন্ধকার এ জগতে পা বাড়াচ্ছে মানুষ। একসময় লোভে পড়ে অতিরিক্ত অর্থ বিনিয়োগ করেন তারা। তখনই বেরিয়ে আসে আসল রূপ। মোটা অঙ্কের টাকা মুহূর্তেই হারিয়ে যায় জুয়ার বোর্ডে। লোভ আর নেশায় বুঁদ হওয়ার পরপরই হঠাৎ লাপাত্তা হয়ে যায় এসব নামসর্বস্ব ওয়েবসাইট। শুরু হয় আর্থিক, মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি। অনুসন্ধানে সামনে এসেছে এমন কিছু ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুর্দশার চিত্র।
বেটিং, ক্যাসিনো বা জুয়া দেশে নিষিদ্ধ হলেও খুব সহজেই এক্স বেট, জেটউইন বাংলাদেশ, মাইজেট, ক্রিকেক্স, বাজি ৩৬৫ ক্যাসিনোসহ (অন্যান্য বেটিং ও ক্যাসিনো ওয়েবসাইটের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করা হলো) অনেক বেটিং ও ক্যাসিনোর ওয়েবসাইটে খুব সহজেই যুক্ত হওয়া যাচ্ছে। এসব সাইটে টাকা ডিপোজিট করে স্লটস, ই-গেমস, টেবিল গেম, কার্ড গেম, ভিডিও পোকার ও লাইভ ক্যাসিনোতে অংশ নেওয়া যাচ্ছে।
জেটউইনের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, ন্যূনতম ২০০ টাকা ডিপোজিট করে এ কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। টাকা লেনদেন করা যায় বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। শুধু ওয়েবসাইট নয়, প্লেস্টোরেও রয়েছে এসব অ্যাপ। যারা স্থায়ীভাবে টাকা ডিপোজিট করে তারা সবসময় অ্যাপসের মাধ্যমেই বেট, ক্যাসিনো কিংবা অন্যান্য কার্যক্রমে অংশ নেয়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেকার, অসচ্ছল, কম শিক্ষিত ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর মানুষ অনলাইনে এসব জুয়া খেলায় আকৃষ্ট হচ্ছে। মূলত দেশীয় এজেন্টদের মাধ্যমে তাদের এ পথে আসা। শহরাঞ্চলের শিক্ষিত ও উঠতি বয়সের তরুণ-তরুণীরাও জড়িয়ে পড়ছে অনলাইন প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে। এসব কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়েছিলো এবং আর্থিক ক্ষতির পর পুনরায় ফিরে এসেছে- এমন একজনের সঙ্গে কথা হয়েছে এ প্রতিবেদকের।
বেটিং, ক্যাসিনো বা জুয়া দেশে নিষিদ্ধ হলেও খুব সহজেই এক্স বেট, জেটউইন বাংলাদেশ, মাইজেট, ক্রিকেক্স, বাজি ৩৬৫ ক্যাসিনোসহ (অন্যান্য বেটিং ও ক্যাসিনো ওয়েবসাইটের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে গোপন করা হলো) অনেক বেটিং ও ক্যাসিনোর ওয়েবসাইটে খুব সহজেই যুক্ত হওয়া যাচ্ছে। এসব সাইটে টাকা ডিপোজিট করে স্লটস, ই-গেমস, টেবিল গেম, কার্ড গেম, ভিডিও পোকার ও লাইভ ক্যাসিনোতে অংশ নেওয়া যাচ্ছে।
বর্তমান তথ্য-প্রযুক্তির যুগে জুয়ার ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণ করাটা ‘অনেকটা অসম্ভব’ হিসেবে দেখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপির) সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ, এ বিষয়গুলো হচ্ছে বাউন্ডারি লেস ক্রাইম। যার নির্দিষ্ট কোনো গ-ি নেই। এক দেশে ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়, আরেক দেশে চালানো হয় আর লেনদেন করা হয় আরেক দেশে। এগুলো সংঘবদ্ধ অপরাধ। সত্যি কথা বলতে, তেমনভাবে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এছাড়া এসব জুয়াকে কেন্দ্র করে আগে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়েতে লেনদেন হতো। এখন দেশীয় বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে। এ সংক্রান্ত অ্যাপসের রেজিস্ট্রেশনও খুব সহজ করা হয়েছে। এজন্য অনলাইন জুয়াগুলো একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
“এটি নিয়ন্ত্রণে টাকা-পয়সার লেনদেন কঠোরভাবে মনিটরিং করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অপারেটররাই পারবে এসব কার্যক্রম বন্ধ করতে। তারা যদি নির্দিষ্ট এজেন্ট কিংবা নির্ধারিত নম্বরের লেনদেন তদারকি করে তাহলে অস্বাভাবিক ক্যাশ-ইন, ক্যাশ-আউট কিংবা টাকা ট্রানজেকশনের বিষয়টি ধরতে পারে। তারা সচেষ্ট হলে অনলাইন জুয়া ৫০ শতাংশ বন্ধ হয়ে যাবে। ”
কীভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব- এ প্রসঙ্গে সে বলেছে, ওয়েবসাইট বা অ্যাপস বন্ধের জন্য মূল ভূমিকা পালন করতে হবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসিকে। পাশাপাশি ইউটিউব, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যেসব বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয় সেগুলোও বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অভিযান, মামলা ও রিমান্ডের পরিমাণও বাড়িয়ে দিতে হবে।
অনলাইনে এসব অপরাধের ভয়াল থাবা থেকে নিজেদের বাঁচাতে এবং অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণে মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে; জুয়ার সাইটগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিটিআরসিকে আরও শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ধরপাকড়, মামলা, রিমান্ডসহ কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে এবং সামাজিকভাবে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে সিআইডির সাইবার ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার রেজাউল মাসুদ।
অনলাইনে এসব অপরাধের ভয়াল থাবা থেকে নিজেদের বাঁচাতে এবং অনলাইন জুয়া নিয়ন্ত্রণে মোটা দাগে চারটি পরামর্শ দিচ্ছে এ পুলিশ কর্মকর্তা। সেগুলো হলো-
১. মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেমকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
২. জুয়ার সাইটগুলো নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিটিআরসিকে আরও শক্ত ভূমিকা পালন করতে হবে।
৩. আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ধরপাকড়, মামলা, রিমান্ডসহ কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে।
৪. সামাজিকভাবে জনসচেতনতা তৈরি করতে হবে।
বিটিআরসির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অনলাইন বেটিং ওয়েবসাইট চক্রগুলো অনেকটা চতুরতার সঙ্গে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করে। সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে তারা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খলিল-উর-রহমান বলেছে, আমরা এসব বিষয়ে প্রতিনিয়ত কার্যকর ভূমিকা পালন করছি। একটি ওয়েবসাইট ব্লক করে দেওয়ার পর তার সঙ্গে সামান্য একটি ডট যুক্ত করে নতুন করে সেটি (ওয়েবসাইট) ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












