মালয়েশিয়া, ব্রুনাই ইত্যাদি মুসলিম দেশে সম্ভাবনাময় শ্রমবাজার থাকলেও সেদিকে নজর দিচ্ছে না দেশের প্রবাসী মন্ত্রনালয় ১৬৮ দেশে কর্মী পাঠানোর দাবি করলেও শ্রমবাজার মূলত ১০-১১টি দেশে সীমাবদ্ধ নতুন শ্রমবাজার তৈরির চেষ্টা শুধুই মুখে মুখে।
, ২৮ শাওওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ০৯ ছানী আশার, ১৩৯১ শামসী সন , ০৮, মে, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ বৈশাখ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
সরকারি তথ্যমতে, বিশ্বের ১৬৮টি দেশে বাংলাদেশি কর্মী যায়। তবে এর মধ্যে মাত্র ৮-১০টি দেশে নিয়মিত কর্মী যায়। জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিসংখ্যান বলছে, বিদেশে পাঠানো মোট কর্মীর ৯৭ শতাংশ যান মাত্র ১০টি দেশে। গত পাঁচ বছরে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ওমান, কাতার, জর্ডান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রুনাই, মরিশাস এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশে কর্মী গেছে অধিকহারে।
বিদেশে বাংলাদেশি কর্মীর সংখ্যা কত, সেই হিসাব কারও কাছে না থাকলেও কতজন কর্মীকে বিদেশে কর্মসংস্থানের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে- সেই হিসাব আছে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) কাছে। বিএমইটির তালিকায় থাকা দেশের মধ্যে ১৬৮টি দেশের মধ্যে ৩১টি দেশে কোনও কর্মী যায়নি গত পাঁচ বছরে।
১৯৭৬ সাল থেকে বিদেশে কর্মী পাঠানোর তথ্য পাওয়া যায় বিএমইটি’র কাছে। গত ৪৮ বছরে ১ কোটি ৬০ লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি কর্মীর ক্লিয়ারেন্স ইস্যু করেছে সরকারি এই সংস্থাটি। এর মধ্যে শীর্ষে আছে সৌদি আরব। মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ৩৬ শতাংশ গেছে দেশটিতে। কয়েক বছর ধরে এটি আরও বেড়েছে। সর্বশেষ গত পাঁচ বছরের তথ্য বলছে- দেশ ছেড়ে কাজে যাওয়া প্রায় ৫৫ শতাংশ কর্মীর গেছে সৌদি আরবে।
সৌদি আরবের পর বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মোট অভিবাসনের ১৬ শতাংশ গেছে এই দেশে। তৃতীয় অবস্থানে আছে ওমান এবং তারপরে আছে মালয়েশিয়া। বর্তমানে ওমানে কর্মী পাঠানো বন্ধ রয়েছে। তথ্য বলছে, বাংলাদেশি মোট অভিবাসীর মধ্যে পাঁচ শতাংশ কর্মী গেছে সিঙ্গাপুর এবং কাতারে।
বৈদেশিক কর্মসংস্থানের তথ্য বলছে, প্রতি বছর গড়ে ১০ হাজারের বেশি কর্মী গেছে এমন দেশ আছে ৮টি। এই দেশগুলো হচ্ছে- সৌদি আরব, ওমান, মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিঙ্গাপুর, কাতার, কুয়েত ও জর্ডান। এর মধ্যে ছয়টি দেশই মধ্যপ্রাচ্যের। এর বাইরে ইতালি ও রোমানিয়ায় দুই বছর ধরে কর্মী যাওয়া বেড়েছে। আর বছরে গড়ে পাঁচ হাজারের বেশি কর্মী পাঠানো হয়েছে, এমন দেশ আছে মোট ১৭টি।
মধ্যপ্রাচ্যের কোনও দেশে অধিক হারে কর্মী যাওয়া কমে গেলেই জনশক্তি রফতানি খাতের ওপরে নেতিবাচক পড়ে। বিগত টানা চার বছর বন্ধ থাকায় কোনও কর্মী যেতে পারেনি আরব আমিরাতে। গত দুই বছর ধরে দেশটিতে কর্মী যাওয়া বেড়েছে। ২০২৩ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা বন্ধের ঘোষণা দেয় ওমান। মালদ্বীপে এক সময় নিয়মিত কর্মী যেত। অবৈধ কর্মীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদেশিদের জন্য। ফলে গত চার বছর ধরে সেখানে নতুন করে বাংলাদেশি কোনও কর্মী পাঠানো যায়নি। চলতি বছর থেকে আবারও মালদ্বীপে কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। তবে দুই বছর ধরে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাচ্ছে। এর মধ্যে গত বছরই গেছে সাড়ে তিন লাখের বেশি। এর আগে টানা ২০১৮ সাল থেকে দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ ছিল।
বিএমইটির পক্ষ থেকে ৫৩টি দেশের শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে ২০১৮ সালে। যদিও অনেক বছর ধরে নতুন কোনও শ্রমবাজার তৈরি করতে পারছে না সরকার। গত দেড় দশকে ৯৭টি দেশ থেকে বাড়িয়ে ১৬৮টি দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে সরকার। এর মধ্যে বেশিরভাগ দেশেই কর্মী যাচ্ছে হাতে গোনা। অভিবাসন খাত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নতুন সম্ভাবনাময় বাজার ধরতে না পারলে বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়বে দেশের অভিবাসন খাত।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিটের (রামরু) তথ্য বলছে, উপসাগরীয় দ্বীপ রাষ্ট্র বাহরাইনে ২০২০ সালের আগে বাংলাদেশ থেকে মাঝারি আকারে লোকবল নেওয়া হলেও ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ জনে। এর ফলে দেশের রেমিট্যান্সের পরিমাণেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ২০১৬ সালে বাহরাইনে বাংলাদেশ থেকে অভিবাসীর গিয়েছিল ৭২ হাজার ১৬৭ জন, কিন্তু এরপর ধীরে ধীরে বাংলাদেশ থেকে বাহরাইনে অভিবাসন ব্যাপকভাবে হ্রাস পেতে শুরু করে। বিএমইটি-এর তথ্যমতে, দেশটিতে চাহিদাপত্র না থাকার ফলে অভিবাসন সম্ভব হচ্ছে না।
অভিবাসন বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশের দেড় কোটির বেশি মানুষ অভিবাসী হিসেবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বৈধভাবে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করছে। তাদের মধ্যে মাত্র শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ ইতালি ও শূন্য দশমিক ১৩ শতাংশ যুক্তরাজ্যে আছে। বাকিদের মূল গন্তব্য মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ। বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের আওতায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ বৈধ পথে জনশক্তি পাঠাচ্ছে- যা সংখ্যার দিক থেকে নগণ্য। বাংলাদেশের সঙ্গে ইতালি ও গ্রিসের সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। রোমানিয়া, কসোভো ও বসনিয়ার সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা চলছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক সই হলেও অনেক ক্ষেত্রে এর নানা শর্ত বাংলাদেশ পূরণ করতে পারছে না।
দুই বছর ধরে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাচ্ছে। এর মধ্যে গত বছরই গেছে সাড়ে তিন লাখের বেশি। এর আগে দুর্নীতির অভিযোগে টানা তিন বছর দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ ছিল। তবে বাংলাদেশী শ্রমিকদের নানা কর্মকান্ডে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ফের বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় ভালো সম্ভাবনা থাকলেও কর্মী গেছে অনেক কম। ইউরোপের দেশগুলোতেও কর্মী পাঠানো যাচ্ছে না তেমন একটা। মালদ্বীপে একসময় নিয়মিত কর্মী যেত। অবৈধ কর্মীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় দেশটির শ্রমবাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়। গত চার বছর সেখানে নতুন করে কর্মী পাঠানো যায়নি। এ বছর থেকে আবার মালদ্বীপে কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, কর্মী পাঠানোর শীর্ষে থাকা দেশগুলোর কোনো একটিতে হোঁচট খেলেই কমে যায় বিদেশে কর্মী পাঠানো।
দৈনিক আল ইহসানের অনুসন্ধানে জানা গেছে, শ্রমবাজার মূলত ১০-১১টি দেশে সীমিত। কোনো কোনো বছরে এক দেশের ওপর বড় নির্ভরতা দেখা যায়। সীমিত দেশের ওপর নির্ভরতায় বড় ঝুঁকি রয়েছে। কেননা এসব দেশেরও নানা সীমাবদ্ধতা আছে। নতুন শ্রমবাজার তৈরি করতে না পারলে কর্মী পাঠানো কমে যেতে পারে। মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও কাজে রয়েছে সমন্বয়হীনতা।
প্রসঙ্গত, ব্রুনাইয়ের সম্ভাবনাময় শ্রমবাজারে প্রচুর বাংলাদেশী কর্মীর চাহিদা রয়েছে। কিন্তু এক শ্রেণীর প্রতারক দালাল চক্রের অপতৎপরতায় দেশটির শ্রমবাজার আজ হুমকির মুখোমুখি দাঁড়াচ্ছে। এসব দালাল চক্রের অপতৎপরতা বন্ধে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। অভিজ্ঞ মহল এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এক শ্রেণীর দালাল চক্র তেল সমৃদ্ধ দেশ ব্রুনাইয়ে ভালো চাকরি দেয়ার নাম করে ভিজিট ভিসায় গ্রামাঞ্চলের নিরীহ সরল মনের যুবকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিরীহ যুবকরা আর্থিকভাবে সর্বস্বান্ত হচ্ছে।
ব্রুনাইয়ে হাতে গোনা কিছু দালালের অসম প্রতিযোগিতায় ভিসা ট্রেডিংয়ের খপ্পরে পড়ে প্রবাসী কর্মীরা সর্বস্বান্ত হচ্ছে। ব্রুনাইয়ে কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র অসম প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কিনতে গিয়ে একটি চাহিদাপত্র সাড়ে ৪ হাজার ব্রুনাই ডলারে উঠছে। ব্রুনাই গমনেচ্ছু একজন কর্মীকে ব্রুনাই যেতে কম পক্ষে সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে চার লাখ খরচ করতে হচ্ছে। ব্রুনাই দারুসসালাম গাদুংস্থ এম এ হোসাইন গ্রুপ এসডিএন বিএইচডি’র পরিচালক আলহাজ দেলাওয়ার হোসাইন গতকাল একথা বলে। সে বলেছে, প্রবাসী দালালরা ব্রুনাইয়ের বিভিন্ন কোম্পানীর ম্যানেজার ও মালিকদের সাথে আঁতাত এবং অসম প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভিসার দাম দেদারসে বাড়াচ্ছে। ভারতীয় ও পাকিস্তানের কর্মীদের ভিসা ২২শ’ থেকে ২৫শ’ ব্রুনাই ডলারে বিক্রি হচ্ছে। ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়ার কর্মীরা শুধু বিমানের টিকিট ও ভিসা প্রসেসিং-এর জন্য ৫শ’ থেকে ৬শ’ ব্রুনাই ডলার দিয়ে ব্রুনাইয়ে চাকরি নিয়ে যাচ্ছে। ব্রুনাইয়ে নবনিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার উদ্যোগ নিলে অসম প্রতিযোগিতার ভিসা ট্রেডিং বন্ধ হবে। অসম প্রতিযোগিতার ভিসা ট্রেডিং বন্ধ হলে বাংলাদেশ থেকে একজন কর্মী শুধুমাত্র এক লাখ টাকার অভিবাসন ব্যয়েই ব্রুনাইয়ে চাকরি লাভের সুযোগ পাবে বলে।
রেমিটেন্স তথা বৈদেশিক মুদ্রা দেশের অর্থনীতির প্রাণপ্রবাহ। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে তৈরি পোশাক রফতানি আয়ের পরেই রয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রেরিত অর্থের পরিমাণ। কাজেই সরকার বিদেশে দক্ষ কর্মী পাঠানোর ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। নতুন শ্রমবাজার খুঁজতে বিশেষ সক্রিয় হলে বাংলাদেশের সুনাম ও রেমিটেন্স আয় দুটোই বাড়বে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছে। বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার ধরে রাখতে চাইলে স্বচ্ছতা ও সততা অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা, শ্রমশক্তি প্রেরণের বিষয়ে সামান্যতম দুর্নীতিও বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অধিকতর তৎপরতাই কাম্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিকদের দক্ষ করে গড়ে তোলা এবং নতুন শ্রমবাজার খুঁজতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়ার পরও বিশেষ অগ্রগতি সাধিত না হওয়া দুঃখজনক। আমরা আশা করব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিষয়ক জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। তবেই উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হবে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)












