মন্তব্য কলাম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রচারণার বিপরীতে রপ্তানি আসলে কতটা চাঙা হবে প্রকৃত রপ্তানি আয় আসলে কত? ১০ বছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে ৬৫ বিলিয়ন ডলার পেছনে রয়েছে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়নের রাজনীতির মিথ্যাবুলি, মহা সাগর চুরি আর অর্থপাচারের নিকৃষ্ট কাহিনী
, ১১ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ১৭ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ২৯ কার্তিক, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে তিন বছর মেয়াদি রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ অনুমোদন দিয়েছে, সেখানে ২০২৬-২৭ অর্থবছরে গিয়ে বার্ষিক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ১১ হাজার কোটি ডলার ধার্য করা হয়েছে। তার মানে তিন বছরে দেশে রপ্তানি আয় দ্বিগুণের বেশি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে, যা একটি অতি উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনা। তাছাড়া বিগত সরকারের সময় গত মে মাসে অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি যে খসড়া রপ্তানি নীতি অনুমোদন করে গিয়েছিল, সেখানেও একই লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। আর সেটা করা হয়েছিল প্রকৃত রপ্তানি আয় কৃত্রিমভাবে বাড়িয়ে দেখানো পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে।
ফলে এটা ঠিক স্পষ্ট নয় যে অন্তর্বর্তী সরকার সেই অনুমোদিত খসড়া কীভাবে ও কতটা পর্যালোচনা করেছে ও কী কী সংশোধনী এনে তা অনুমোদন দিয়েছে। এখন পর্যন্ত অনুমোদিত রপ্তানি নীতিটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি।
আর বর্তমান বাস্তবতায় এটুকু নিশ্চিতভাবে বলা যেতে পারে যে তিন বছর পরে গিয়ে রপ্তানি আয় উল্লিখিত ১১ হাজার কোটি ডলারে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে না কোনোভাবেই। বরং প্রকৃত রপ্তানি আয় ১০ হাজার কোটি ডলারের নিচে থাকবে। সরল পাটিগণিতেই তা বোঝা যায়।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মোট রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার। যদি বছর শেষে এই লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে প্রকৃত আয় ছয় হাজার কোটি ডলারও হয়, তারপর দুই বছরের মাথায় ৬০ শতাংশের বেশি হারে রপ্তানি আয় করতে হবে ১০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করতে হলে। আর রপ্তানি নীতির লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে হলে মাত্র দুই বছরে প্রবৃদ্ধি হতে হবে ৮০ শতাংশের বেশি। এর কোনোটিই বাস্তবে কোনোভাবেই সম্ভব নয়, তা সাদা চোখেই বোঝা যায়। প্রশ্ন হলো, এ সহজ অঙ্কটি কি একবারও কষে দেখা হয়নি এ রকম একটি অবাস্তব লক্ষ্যমাত্রা প্রাক্কলনের বা নির্ধারণের ক্ষেত্রে?
দেশের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এ প্রতিষ্ঠানের তথ্যকে উৎস হিসেবে দেখিয়ে রপ্তানি আয়ের তথ্য বিভিন্ন প্রতিবেদনে প্রকাশ করে আসছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সবশেষ গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১০ মাসে ইপিবি’র তথ্য অনুযায়ী রপ্তানি হয় ৪৭ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে এ সময়ে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ছিল ৩৩ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি ও আয়ে ব্যবধান ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার।
হিসাবের এমন ব্যবধান নিয়ে ইপিবির দেওয়া রপ্তানি তথ্যে এর আগেও ২০০৮-০৯ অর্থবছর আপত্তি জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তখন এক নির্বাহী পরিচালকের নেতৃত্বে একটি কমিটিও করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
সেই কমিটির সুপারিশ ছিল, প্রকৃত রপ্তানির তথ্য হিসাব করে রপ্তানি আয় নির্ধারণ করার। কিন্তু পরে তা বাস্তবায়ন হয়নি।
সেই থেকে ধীরে ধীরে রপ্তানি ও আয়ের ব্যবধান বেড়েছে। পণ্য রপ্তানির পর আয় দেশে আনতে ১৮০ দিন সময় পান উদ্যোক্তারা। তাতে কিছু অর্থ বিদেশে থাকার তথ্য থাকে হিসাব-নিকাশে। এর পরিমাণ সাধারণত ৪-৫ বিলিয়ন ডলার হয়।
তবে গত কয়েক বছর থেকে ব্যবধান বড় হলে রপ্তানির পরিমাণ এবং রপ্তানিকারকদের দেশে অর্থ না আসার বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষকরা। রপ্তানির আড়ালে অর্থপাচার নিয়ে যেমন আলোচনা সমালোচনা হয় তেমনি বাংলাদেশ ব্যাংক বারবার তাগাদা দিলেও ডলার সংকটের সময় উদ্যোক্তারা কেন রপ্তানি আয় দেশে আনছেন না তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বারবার।
গত ১০ অর্থবছরে রপ্তানি বেশি দেখানো হয়েছে প্রায় ৬৫ বিলিয়ন বা ৬ হাজার ৫০০ কোটি ডলার। টাকার অঙ্কে যা ৭ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা বা চলতি অর্থবছরের বাজেটের প্রায় সমান। বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, রপ্তানি বাড়িয়ে দেখানোর বিষয়টি খোদ রপ্তানি খাতের ব্যবসায়ীরা বেশ আগে থেকে বলে আসছেন। ইপিবির তথ্যের সঠিকতা নিয়ে প্রকাশ্যে প্রশ্ন তোলেন অনেকে। আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ইপিবির তথ্যে বড় পার্থক্য নিয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে রিপোর্ট হয়েছে। অদৃশ্য কারণে সরকার এতদিন বিষয়টি আমলে নেয়নি; বরং ভুল তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে সম্প্রতি আইএমএফ প্রকৃত রপ্তানির সঙ্গে এনবিআরের তথ্যে এত পার্থক্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এর পর বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর ও ইপিবি কয়েক দফা বৈঠক করে পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কিছু রপ্তানির তথ্য যাচাই করে। সেখানে একই রপ্তানি একাধিকবার দেখানো, রপ্তানি নয় এমন তথ্য দেওয়াসহ বিভিন্ন অসংগতি উঠে আসে। প্রকৃত রপ্তানির সঙ্গে এত বেশি পার্থক্য বের হওয়ার পর সরকারি তথ্যের বিশ্বাসযোগ্যতার বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে।
পরিসংখ্যান নিয়ে দেশে বিতর্ক নতুন নয়। এমনকি আইয়ুব খানের তথাকথিত ‘উন্নয়ন দশকের’ সময়েও জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বাড়িয়ে দেখানোর অভিযোগ ছিল। দেশেও অনেকবারই জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেখানোর প্রবণতা দেখা গেছে। তবে গত এক দশকে এই বিতর্ক বেশি দেখা গেছে। যেমন কৃষি খাত ঋণাত্মক ও প্রবাসী আয় কমে গেলে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। আবার পরের অর্থবছরে প্রবাসী আয় কমেছিল প্রায় সাড়ে ১৪ শতাংশ, রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ছিল ১ শতাংশের কিছু বেশি, তারপরও প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ। এর পরের অর্থবছরে আবারও প্রবৃদ্ধি বাড়লে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘উৎপাদন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান খুব বেশি না বাড়লেও কেবল ভোগ ব্যয়ের ওপর ভর করে বড় প্রবৃদ্ধি অর্জনের হিসাব বিশ্বাসযোগ্য হবে না। ’
বেতন কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়নের কারণেও একবার প্রবৃদ্ধির হার বাড়ানো হয়েছিল। তবে প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে বড় বিতর্কটি হয়েছিল তথাকথিত করোনা মহামারির প্রথম বছরে। ২০২০ সালে পাঁচ মাস অর্থনৈতিক কর্মকা- একপ্রকার বন্ধই ছিল। বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের প্রবৃদ্ধি ছিল সামান্য বা ঋণাত্মক। কিন্তু বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি দেখানো হয় ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ। এমনকি তখন বেসরকারি বিনিয়োগও বাড়িয়ে দেখানো হয়।
অর্থনীতিবিদ ও গবেষকেরা সে সময় সরকারের পরিসংখ্যানের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছিলেন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিল, ‘প্রবৃদ্ধি হারের তথ্য রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রবৃদ্ধি এখন একটি রাজনৈতিক সংখ্যায় পরিণত হয়েছে। ’ একই অভিযোগ ছিল অন্যদেরও।
পরিসংখ্যান নিয়ে সবশেষ ঘটনা ঘটিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বা ইপিবি। তাদের দেওয়া তথ্য ব্যবহার করে বাংলাদেশ ব্যাংক লেনদেনে ভারসাম্যের হিসাব তৈরি করেছে, পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএস তৈরি করেছে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ও মোট জাতীয় আয়ের (জিএনআই) হিসাব। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, ইপিবি গত ৯ বছরই রপ্তানির হিসাব বেশি দেখিয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ৬ বছর কম কম বাড়িয়ে দেখালেও শেষ তিন অর্থবছরে কল্পনার লাগাম ছেড়ে দেওয়া হয়। এই তিন অর্থবছরে রপ্তানি আয় বেশি দেখানো হয়েছে প্রায় ২৩ বিলিয়ন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মাথাব্যথার বড় কারণ ছিল আর্থিক হিসাবের ঘাটতি, যা গত ১০ বছরে হয়নি। এই ঘাটতি ঠিক করতে গিয়েই ধরা পড়েছে ইপিবির কারসাজি, যাকে এখন সবাই বলছে ভুল। গবেষকেরা অন্তত এটিকে ভুল বলতে নারাজ। বরং তারা মনে করেন, এ ঘটনা তথ্য-উপাত্তের ধারাবাহিক কারসাজিরই প্রতিফলন। যদিও কেবল ‘ভুল’ হয়েছে বলে সবাই এখন ঘটনাটি ভুলে গিয়ে সামনে এগোতে চাইছেন। অথচ এটি হচ্ছে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান জগতের কেলেঙ্কারির অন্যতম ঘটনা। এটাকে ‘রপ্তানি আয় স্ক্যান্ডাল’ও বলা যায়।
টাকাকে কৃত্রিমভাবে অতিমূল্যায়িত রাখার দীর্ঘ ইতিহাস আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের। বাজারে টাকার প্রকৃত যে মূল্যমান, দেখানো হয় তার চেয়ে বেশি। টাকাকে শক্তিশালী দেখানোর খেসারত এখনো দিতে হচ্ছে অর্থনীতিকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ এখন ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। অথচ ২০১৯ সালেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সরকারকে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিয়ে বলেছিল, বাংলাদেশ খেলাপি ঋণ আড়াল করে রাখে।
গবেষকেরা বলছেন, প্রকৃত খেলাপি হবে সাড়ে ৪ লাখ কোটি টাকার বেশি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় মূল্যস্ফীতি নিয়ে। বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে সরকারের হিসাব মেলে না। বাজারে গেলে সাধারণ মানুষেরা টের পান প্রকৃত মূল্যস্ফীতি আসলে কত। পরিসংখ্যানের মারপ্যাঁচে মানুষের মাথাপিছু আয় রাতারাতি বেড়ে যায়, একই সঙ্গে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ে তার চেয়ে বেশি। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যেই তথ্য-উপাত্তের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে অনেক আগে থেকেই।
পরিসংখ্যান ঠিক না থাকলে সঠিক নীতি নেওয়াও সম্ভব হয় না। যেমন ইপিবির তথাকথিত ‘ভুল’ তথ্যের কারণে লেনদেনের ভারসাম্যে আর্থিক হিসাবে রেকর্ড পরিমাণ ঘাটতি ছিল। এই ঘাটতির ফলে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারভিত্তিক বিনিময় হার চালু করতে সময় নিয়েছে। কারণ, এত বড় ঘাটতি নিয়ে বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে ডলারের দাম সীমা ছাড়িয়ে যাবে-এমন কথা বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ব্যাংকারদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে নিজেই বলেছেন। এমনকি তিনি ব্যাংকারদের প্রবাসী আয়ের ওপর অতি গুরুত্ব না দিয়ে অপ্রত্যাবাসিত রপ্তানি আয় আনার ওপর জোর দিতে বলেছিলেন। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, নানা সময়ে নেওয়া ভুল নীতির ফলাফল এখনো ভোগ করছে দেশের মানুষ।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












