মন্তব্য কলাম
অন্তর্বর্তী সরকারেও দেশে ব্যবসা পরিস্থিতির উন্নতি তো হয়ইনি বরং পতিত জালিম সরকারের চেয়েও অবনতি হচ্ছে অথচ ব্যবসায়ীরা দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি ব্যবসায়ীদের একান্ত প্রয়োজনগুলো এবং চরম ক্ষতিকর ও বাধাগ্রস্থ দিকগুলোও নির্ণয় করতে ব্যর্থ হচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ বাঁচাতে হলে ব্যবসাকে বাঁচাতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
, ১৮ শা’বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ তাসি’, ১৩৯২ শামসী সন , ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রি:, ০৪ ফালগুন, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) মন্তব্য কলাম
ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের ব্যবসা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি; বরং আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে। নতুন করে ভ্যাট আরোপ ও সরকারের নীতির ধারাবাহিকতার অভাবে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন করে সমস্যায় পড়েছেন তারা।
পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদহার, ভ্যাট প্রদানে হয়রানি, ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন প্রক্রিয়ায় জটিলতা ও উচ্চ ফি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং অসহনীয় যানজটের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি ক্রমশই অবনতি হচ্ছে।
এমনিতেই বর্তমানে বিশ্ব বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির কারণে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে গিয়ে উদ্যোক্তাদের ক্রমশই কঠিনতর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এর সঙ্গে কর ও ভ্যাট ব্যবস্থার জটিলতা ব্যবসায়ীদের জন্য বড় প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত কর ও ভ্যাটের পরিবর্তন, অগ্রিম আয়কর ও রেগুলেটরি ডিউটির অতিরিক্ত বোঝা এবং আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতার কারণে বেসরকারি খাতের ওপর অতিরিক্ত অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।
অভিজ্ঞমহল বলেন, সাম্প্রতিক অস্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং যানজট পরিস্থিতির অবনতির কারণে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য অনুকূল পরিবেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। ঋণপত্র খোলার জটিলতা, এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের ঋণ প্রাপ্তিতে পদ্ধতিগত প্রতিবন্ধকতা এবং উচ্চ সুদহার স্থানীয় শিল্পায়ন বাধাগ্রস্ত করছে।
গত সাড়ে তিন দশকে কখনো এমন সংকটে পড়েনি দেশ। সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ নিজেও স্বীকার করেছেন- তিন বছর আগে দেউলিয়া হয়ে পড়া শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক অবস্থা নাকি এতটা খারাপ ছিল না। উল্লেখ্য কথিত, করোনাকালে ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ভেঙে পড়ে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিপজ্জনক অবস্থায় গিয়ে দাঁড়ায়। সে সময় তারা বাংলাদেশের কাছেও ঋণ চাইতে বাধ্য হয়। কলম্বো সরকারের আহ্বানে সাড়া দেয় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া হয় ২০ কোটি ডলার ঋণ। বর্তমানে বাংলাদেশের মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা। শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দিয়ে প্রথমবারের মতো ঋণদাতা দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। শ্রীলঙ্কা সরকার দুই বছরের মধ্যে সে ঋণ শোধ করে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থনীতি ক্রমাগত এগিয়ে যাচ্ছে খাদের কিনারের দিকে।
শিল্প বিনিয়োগ বহু দিন ধরে বন্ধ প্রায়। ব্যবসায়ীদের অবস্থা ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি। আওয়ামী লীগের পৌনে ১৬ বছরের দুঃশাসন থেকে মুক্তি চেয়েছিল সারা দেশের মানুষ। ব্যবসায়ীরা ভেবেছিলো, স্বৈরাচারের পতনে ব্যবসাবাণিজ্যের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। কিন্তু তার বিপরীত চিত্র এখন দেশজুড়ে। আগে ছিল ভোটচুরির সরকার। বর্তমান সরকার নির্বাচিত নয়, তবে এ সরকার এসেছে দেশের ১৮ কোটি মানুষের সমর্থন নিয়ে। জুলাই গণ অভ্যুত্থানের সুফল নিশ্চিত করতে যেখানে সারা দেশে কর্ম উদ্যোগ সৃষ্টির আশা করা হচ্ছিল, তার বদলে চলছে ব্যবসাবাণিজ্য স্তব্ধ করার অশুভ কর্মকা- ।
পতিত স্বৈরাচারের আমলে দেশজুড়ে চাঁদাবাজি ও ঘুষকা- ছিল ওপেন সিক্রেট। এখন আরও বেশি চাঁদাবাজি চলছে। চলছে ঘুষকান্ড। ব্যবসাবাণিজ্যের অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে, তা ভাবতেও কষ্ট হয়। মাত্র পাঁচ মাসে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ৫৩ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আয় দিয়েই সরকার চলে। সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বেতন দেওয়া হয়। উন্নয়নকাজও চলে সে অর্থ দিয়ে। দেশে ব্যবসাবাণিজ্যের প্রসার ঘটলে আকাশছোঁয়া রাজস্ব ঘাটতির প্রশ্ন উঠত না। দেশের অর্থনীতির জন্য অভিশাপ হয়ে দেখা দিত না। অবস্থা এতই নাজুক যে উন্নয়ন কর্মকা- দূরে থাক, এখন সরকার চালাতেই হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ নিতে হবে।
সরকার ব্যাংক থেকে ঢালাওভাবে ঋণ নেওয়ায় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের ঋণ পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ছে। যেসব শিল্পপতি ঋণখেলাপি হওয়াকে ঘৃণার চোখে দেখতেন তারাও এখন পরিস্থিতির শিকার। বিশাল দেনার মধ্যে আকণ্ঠ ডুবে থেকে অনেকে আপসে নিজেদের শিল্পকারখানা ছেড়ে দিয়ে বাঁচতে চাচ্ছেন। শিল্পকারখানা পরিচালনার জন্য প্রয়োজন নিরাপত্তার পরিবেশ। তা এখন অনুপস্থিত। কলকারখানা চালাতে প্রয়োজন গ্যাস ও বিদ্যুৎ, যার অভাব প্রকট। সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তাদানের চেষ্টা চলছে, এ কথা ঠিক। তবে তা খুবই ধীরগতিতে। পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলেই শিল্পকারখানা ও কৃষি-প্রাণিসম্পদ খামারশিল্প প্রয়োজনীয় সুবিধাদি থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। স্বৈরাচারী সরকারের মন্ত্রী ও নেতাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল- বিদেশ থেকে ঋণ এনে মেগা প্রকল্প করা। সেগুলো থেকে মেগা দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে পকেট ভারী করা।
অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয় শিল্প খাতের সমস্যার সমাধানের বদলে ‘কানে দিয়েছি তুলো পিঠে বেঁধেছি কুলো’ নীতি গ্রহণ করেছে। সম্প্রতি একজন পরিশ্রমী ও দক্ষ শিল্পোদ্যোক্তা তার চারটি কারখানা একসঙ্গে বন্ধ করে দিয়েছে। তার টেক্সটাইল শিল্পের চার কারখানায় ৫ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী এক দিনে বেকার। এর পাশাপাশি রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের প্রায় ১০০ কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে, গত কয়েক মাসে। জানা গেছে, চারটি সুপ্রতিষ্ঠিত কারখানা বন্ধ হওয়ার মূল কারণ তাদের প্রোডাক্টগুলোর ক্রেতা গার্মেন্ট-কারখানাগুলোর বেশির ভাগ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় ব্যাংকঋণের অভাব এবং কাঁচামালসংকট। এ ছাড়া আরও অনেক শিল্পকারখানার মালিক একই ধরনের সংকটে পড়ে উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। অনেক ফ্যাক্টরিই প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহ, বিদ্যুৎ না পাওয়াসহ অন্য সব লজিস্টিক সাপোর্ট সংকটে পড়েছে। এগুলোর সমাধানের প্রথম দায়িত্ব শিল্প মন্ত্রণালয়ের। এ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা শিল্পমালিকদের সঙ্গে বিদ্যমান সমস্যার সমাধানে বৈঠকে বসারও প্রয়োজন বোধ করেননি। এমনকি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা নিজে একজন বড় মাপের শিল্পোদ্যোক্তা হওয়া সত্ত্বেও পারিপার্শ্বিক বাস্তবতায় দেশের শিল্পকারখানার দুরবস্থার অবসানে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছেন না।
‘দেশে কর-জিডিপি অনুপাত নিয়ে অতিরিক্ত মনোযোগ দেখা যায়। এর পরিবর্তে পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন সফল অনুপাত হবে “ট্রেড-জিডিপি” অনুপাত। ’ ২০২২ সালে ভিয়েতনামে ট্রেড-জিডিপি অনুপাত ছিল ১৮৬ শতাংশ, শ্রীলঙ্কায় ৪৭ শতাংশ, ভারতে ৪৯ শতাংশ ও ইন্দোনেশিয়ায় ৪৪৫ শতাংশ। সেখানে বাংলাদেশে এ অনুপাত মাত্র ৩৪ শতাংশ। ফলে আমরা কীভাবে ব্যবসা বাড়াতে পারি, সে আলোচনা করা উচিত। এ ক্ষেত্রে শুল্ক একটি বড় প্রতিবন্ধকতা।
কেবল কর সংগ্রহ নয়, রাজস্ব বোর্ডের উচিত, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির দিকেও মনোযোগ দেওয়া। বাংলাদেশে ঋণের সুদহার একক সংখ্যায় আনতে হবে। বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সের বাইরে গিয়ে সব খাতের জন্য কাঁচামাল আমদানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা দিতে হবে। বিভিন্ন সংস্থাকে একত্র করে একটি শক্তিশালী বিনিয়োগ সংস্থা গঠন করে তাদের ক্ষমতা দেওয়া দরকার। ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ বাড়ানোর আগে সরকারের নিজেদের ব্যয় কমানো উচিত। ’
অভিজ্ঞমহল মনে করেন, ব্যবসায়ীরা নীতির ধারাবাহিকতার সমস্যায় ভুগছেন। এটি বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রেও বড় চ্যালেঞ্জ। বিদ্যমান শুল্ক-কর, বিশেষ করে আমদানি কর প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় অনেক বেশি।
পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন, এলসি খোলা হতে সমন্বয় পর্যন্ত প্রায় তিন মাস সময় লেগে যায়। দীর্ঘ সময়ের জন্য টাকা আটকে থাকার কারণে ব্যবসায়ীদের মূলধন স্বল্পতা দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি ডলারের মূল্যের অস্থিরতার কারণেও ব্যবসায়ীরা এলসির মূল্য পরিশোধে বিরাট ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
ব্যবসায়ীরা জানান, ভ্যাটের হার বৃদ্ধি, ট্রেড লাইসেন্স নবায়নের উচ্চ ফি এবং দীর্ঘসূত্রতার কারণে ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত নানা প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছেন।
অপরদিকে উল্লেখ্য, আয়কর আইনের ১৬৩ ধারা এবং অগ্রিম আয়কর সমন্বয়ের দীর্ঘসূত্রতার জন্য ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের মূলধন থেকে ঋণ পরিশোধ করতে হচ্ছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
পাশাপাশি সম্প্রতি অনেক দোকান মালিক দুর্বৃত্তদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন এবং থানায় এ ব্যাপারে সহযোগিতা চাওয়া হলে কাক্সিক্ষত সাড়া মেলেনি। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোরালো ভূমিকা একান্ত জরুরী।
আয়কর আইনের ১৫৫ ধারায় বলা হয়েছে, অগ্রিম কর হিসেবে পরিশোধযোগ্য ন্যূনতম কর চারটি সমান কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়। এর মধ্যে অর্থবছরের ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৫ ডিসেম্বর, ১৫ মার্চ ও ১৫ জুন প্রতি কিস্তিতে অগ্রিম করের ২৫ শতাংশ করে পরিশোধ করা যায়। এছাড়া আইনে ৫৩ ধরনের উৎসে কর কর্তনের কথা বলা হয়েছে। এগুলো অগ্রিম কর হিসেবেই কাটা হয়।
আমদানি ও সরবরাহ পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বর্তমানে যে বাড়তি অগ্রিম আয়কর আদায় করা হয়, তাতে ব্যবসার ব্যয় বৃদ্ধির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে। এ অগ্রিম কর ব্যবস্থা ব্যবসা করার ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে, যা ব্যবসায়ীদের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিকূল অবস্থানে ফেলেছে।
অগ্রিম আয়কর এখন পরোক্ষ করে রূপান্তরিত হয়ে উদ্যোক্তাদের চলতি মূলধনে সংকট সৃষ্টি করছে। এতে ব্যবসা সচল রাখার জন্য বিকল্প উৎস থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করতে হচ্ছে। ফলে কস্ট অব ডুয়িং বিজনেস বেড়ে যাচ্ছে, যা মূল্যস্ফীতিকে উসকে দিচ্ছে। এ কারণে স্থানীয় শিল্প প্রতিযোগিতার সক্ষমতা হারাচ্ছে।
কোনো কোনো কোম্পানিকে মুনাফার চেয়ে বেশি অগ্রিম আয়কর পরিশোধ করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিসহ দেশের অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকেই এখন এমন বিড়ম্বনার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে।
এ বিড়ম্বনার পেছনে অগ্রিম আয়কর বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে। ফলে এ কর নিয়ে এখন নানা ধরনের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। তারা বলছেন, ব্যবসায় মুনাফা হওয়ার আগেই অগ্রিম আয়কর কেটে নেয় রাজস্ব কর্তৃপক্ষ। বছর শেষে মুনাফা কম হলে অগ্রিম কেটে নেয়া আয়কর সমন্বয় হওয়ার কথা। কিন্তু সে সমন্বয় প্রক্রিয়ায় নানা দীর্ঘসূত্রতা ও জটিলতা হচ্ছে।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
রেলপথ দেশব্যাপী পণ্য পরিবহনের জন্য সাশ্রয়ী ও নিরাপদ মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত। রেলের ইঞ্জিন স্বল্পতার কারণে আগ্রহ থাকলেও প্রতিষ্ঠান বেছে নিচ্ছে অন্য পথ চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার পরিবহনের ৯৬ শতাংশই হয় সড়কপথে অপরদিকে রেল অথবা সড়কপথে যাত্রী চলাচল কিংবা পণ্য পরিবহনে তুলনামূলকভাবে খরচ অনেক কম হয় পানিপথে।
২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পশ্চিমা সম্রাজ্যবাদীদের দীর্ঘদিনের শোষণ আর অব্যাহত লুটপাটের কারণে সোমালিয়া, চাদ, নাইজেরিয়া, নাইজার, দক্ষিণ সুদান, কেনিয়া ও ইথিওপিয়ার প্রায় ২ কোটি মানুষ এখন দুর্ভিক্ষ আক্রান্ত। দুর্ভিক্ষ নেমে আসতে আর দেরি নেই, এরকম দুঃসহ দিন গুনছে পূর্ব-আফ্রিকার উগান্ডা, রুয়ান্ডা, বুরুন্ডি, তানজানিয়ার প্রায় ৫ কোটিরও বেশি মানুষ। কিন্তু নিশ্চুপ বিশ্ব গণমাধ্যম, নিষ্ক্রিয় বিশ্ববিবেক, নীরব মুসলিম বিশ্ব!
১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












