মন্তব্য কলাম
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষী বিধর্মী ও বিধর্মীদের চুক্তির কাছে মুসলমান কখনও নিরাপদ নয় (পর্ব-৩)
, ১৭ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৩ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ২০ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
কাশ্মীর কখনোই ভারতের অংশ ছিল না
২০১৯ সালে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ও সুবিধা সংক্রান্ত ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-ক অনুচ্ছেদ রহিত করে লোকসভায় বিল পাস করে মোদি সরকার। এর আগে রাজ্যসভায় বিলটি পাস হয়। এ বিষয়ে দায়ের করা একটি আর্জির শুনানি শেষে সম্প্রতি রায় দিয়েছে সে দেশের সুপ্রিম কোর্ট। রায়ে মোদি সরকারের সিদ্ধান্তকে বহাল রাখা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ও সুবিধা বাতিল করে কি তার চূড়ান্ত ভারতভুক্তি নিশ্চিত করা যাবে? কাশ্মীরিরা কি তা মেনে নেবে? নেয়ার প্রশ্নই ওঠে না। অতীতই তার সাক্ষী। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও কাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির সভাপতি মেহবুবা মুফতি হয়তো অতীতের ইতিহাসে দৃষ্টি রেখেই বলেছে: ‘জম্মু-কাশীরের জনগণ আশা হারাবে না বা হাল ছাড়বে না। সম্মান ও মর্যাদার জন্য লড়াই অব্যাহত থাকবে। ’
একথা বলার অপেক্ষা রাখে না, কাশ্মীরি জনগণ কাশ্মীরের ভারতভুক্তি কখনোই মেনে নেয়নি। তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও জবরদস্তির মাধ্যমে কাশ্মীরকে ভারতভুক্ত করা হয়। নিরংকুশ আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার বা বৃহত্তর স্বায়ত্ত্বশাসনের জন্য কাশ্মীরি জনগণ সেই ১৯৪৭ সাল থেকে লড়ে যাচ্ছে। এই ন্যায়সঙ্গত লড়াই-সংগ্রাম দমনে ভারত লাগাতার এক চক্ষুনীতি অনুসরণ করে আসছে। এই দমন-দলনে কাশ্মীরের জনগণের মধ্যে এ প্রত্যয় দৃঢ় হয়েছে যে, কোনো অবস্থাতেই ভারতের সঙ্গে থাকা সম্ভব নয়। স্বাধীনতাই একমাত্র মুক্তির উপায়।
বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন, স্বাধীনতা অনিবার্য হলেও কাশ্মীরি জনগণের একটি ক্ষুদ্রাংশ সংবিধানের ৩৭০ ও ৩৫-ক অনুচ্ছেদের সুবাদে ভারতের সঙ্গে এক ধরনের মানসিক নৈকট্য অনুভব করতো। তাদের সেই মানসিক নৈকট্যটিও অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে। বিজেপিসহ সংঘ পরিবারভুক্ত সংগঠনসমূহের কর্তা ব্যক্তিরা হয়তো ভাবছেন, ৩৭০ ও ৩৫-ক অনুচ্ছেদ রহিত করার মাধ্যমে কাশ্মীরকে চিরদিনের জন্য ভারতের অংশ করে নেয়ার কাজটি তারা সম্পন্ন করেছেন। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য সেটা মনে করেন না। তাদের মতে, কাশ্মীরকে চিরদিনের মতো হারানোর একটা পথ রচিত হয়েছে এর মাধ্যমে।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, কাশ্মীর কখনই ভারতের অংশ ছিল না। কাশ্মীরের স্বাধীনচেতা সংগ্রামী জনগণ কখনোই বরিহরাগত আগ্রাসন ও শাসন মেনে নেয়নি। কাশ্মীর ভারতের প্রতিবেশী। তবে কখনোই তা তার অংশ বা অধীন ছিল না। অপূর্ব নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যরে অধিকারী কাশ্মীরকে ভূস্বর্গ বলা হয়। সম্রাট জাহাঙ্গীর বলেছিলেন, ‘আগার ফেরদৌস বেরোয়ে যমিন আস্ত,... হামিন আস্ত, হামিন.... আস্ত, হামিন আস্ত। ’
(পৃথিবীতে যদি কোনো বেহেশত থাকে, তবে তা এখানে, এখানে, এখানে। ) শান্তি ও সৌন্দর্য্যরে কারণে কাশ্মীর সুদূর অতীতকাল থেকে বহিরাগত বিজেতাদের প্রলুব্ধ করেছে। তারা অভিযান চালিয়ে ভূস্বর্গ দখল করে নিয়েছে। কিন্তু সে দখল ধরে রাখতে পারেনি। অন্য কোনো শক্তি তা দখলে নিয়েছে কিংবা কাশ্মীরিরাই স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করেছে। কোনো আগ্রাসী শক্তিই আখেরে কাশ্মীরে টিকে থাকতে পারেনি। এটাই কাশ্মীরের ইতিহাস।
কাশ্মীর সুপ্রাচীন এক জনবসতির নাম। খ্রিস্টপূর্ব তিন হাজার বছর আগে এখানে জনবসতি গড়ে ওঠে বলে ঐতিহাসিকরা মনে করেন। এই হিসাবে এখন থেকে পাঁচ হাজার বছর আগে এখানে জনবসতি ছিল। সম্ভবত হযরত নুহ আলাইহিস সালাম উনার বংশধররাই এখানে বসতি গড়ে তোলেন। প্রতœতাত্ত্বিকেরা কাশ্মীরে প্যালিওলাথিক, নিওলিথিক ও মেগালিথিক-সকল যুগের প্রতœনিদর্শন খুঁজে পেয়েছেন। এসব নিদর্শন কাশ্মীরের জনবসতির প্রাচীনত্বের সাক্ষ্য দেয়। অনেকেই মনে করেন, আদি বাসিন্দাদের অনেকে বিভিন্ন সময়ে হত্যাকা- প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও রোগব্যাধির শিকার হলেও কাশ্মীরের এখনকার জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই আদি বাসিন্দাদের উত্তরাধিকার বহন করছে।
কাশ্মীরি জনগোষ্ঠী সকল যুগে সকল ক্ষেত্রে প্রতিবেশী জনগোষ্ঠীর চেয়ে অগ্রসর ছিল বলে অনুমিত হয়। তাদের সভ্যতার বিকাশ ধারা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, প্রত্যক্ষ নিদর্শন ইত্যাদি থেকে সেটা বুঝা যায়। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়, ভারতে যখন ইতিহাস রচনা বা চর্চার কোনো ধারণাই ছিল না, কাশ্মীরে তখন ইতিহাস লিখিত হয়েছে। এইসঙ্গে সংরক্ষণও। খ্রিস্টপূর্ব ১১৮৪ সাল থেকে পরবর্তী সময়ের কাশ্মীরের প্রায় সকল শাসকের বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় ইতিহাস গ্রন্থাদিতে।
শাসনকাল ও শাসকের এ তালিকা থেকে দেখা যাচ্ছে, প্রায় পাঁচশ’ বছর মুসলমান শাসকরা কাশ্মীর শাসন করেছে। কাশ্মীরের সুদীর্ঘ ইতিহাসে মুসলিম শাসনামলটিই ‘স্বর্ণযুগ’ হিসাবে স্বীকৃত। কাশ্মীরে ইসলামের আগমন সম্পর্কে একজন ঐতিহাসিক বলেছেন, আরব থেকে উত্তর ভারত হয়ে ইসলাম কাশ্মীরে এসেছে। কাশ্মীরের একজন শাসক ইসলাম গ্রহণের পর কাশ্মীরিদের অনেকেই ইসলাম গ্রহণ করে। এছাড়া সুফী-দরবেশদের প্রভাবে বিপুল সংখ্যক কাশ্মীরি ইসলাম গ্রহণ করে। এভাবে কাশ্মীর ইসলামী সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের গর্বিত পীঠস্থানে পরিণত হয়। গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে দেখা যায়, কাশ্মীরের মোট জনসংখ্যার ৯৯ শতাংশই মুসলমান। এখনো সেটা বহাল আছে। জম্মুতে মুসলমানের সংখ্যা হিন্দুর প্রায় সমান থাকলেও বর্তমানে হিন্দুর সংখ্যা ৬৫ শতাংশ।
১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগের আগে যখন জম্মু-কাশ্মীর ডোগরা রাজাদের অধীন, তখন তার আয়তন ছিল ২ লাখ ২২ হাজার ৩৩৬ বর্গ কিলোমিটার। এই বিশাল ভূখ- এখন তিন রাষ্ট্রের মধ্যে বিভাজিত হয়ে আছে। ভারতের নিয়ন্ত্রণে আছে প্রায় এক লাখ বর্গ কিলোমিটার, যা মোট ভূমির ৪৫ শতাংশ। পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে আছে ৭৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার বা ৩৬ শতাংশ। আর চীনের অধীনে আছে ৩৭ হাজার বর্গ কিলোমিটার বা ১৬ শতাংশ।
কাশ্মীরের বিভাজন ও কাশ্মীরিদের বর্তমান বিপর্যয়ের সূত্রপাত অনেক আগে। কাশ্মীরে মোঘল শাসনের অবসান ঘটে ১৭৫২ সালে। অতঃপর সেখানে প্রতিষ্ঠিত হয় আফগান শাসন, যা স্থায়ী হয় ১৮১৯ সাল পর্যন্ত। আফগান শাসন কাশ্মীরিদের জন্য খুব সহনযোগ্য ছিল না। কোনো কোনো শাসক সুশাসক ও ন্যায়বিচারক হিসাবে খ্যাতি লাভ করলেও কোনো কোনো শাসক ছিলেন অত্যাচারী ও জনপীড়ক। শেষ পর্যন্ত আফগান শাসকদের দুর্বলতার কারণে ও জনসমর্থন না থাকায় শিখ সাম্রাজ্যের অধিশ্বর রঞ্জিত আফগানদের যুদ্ধে পরাজিত করে কাশ্মীর অধিকার করে নেয়। শিখ শাসন স্থায়ী হয় ২৮ বছর (১৮১৯-১৮৪৬)। এরপর ব্রিটিশ-শিখ যুদ্ধে (১৮৪৫-১৮৪৬) শিখেরা ব্রিটিশদের কাছে পরাজিত হয়।
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা যেতে পারে, শিখ সাম্রাজ্যের অধীনে বেশ কিছু প্রশাসনিক প্রদেশ ছিল যার মধ্যে জম্মু, কাশ্মীর, লাদাখ, বালটিস্তানের গিলগিট উল্লেখযোগ্য। শিখ সাম্রাজ্যের অধীন জম্মুর শাসক ছিলো ডোগরা (হিন্দু বর্ণবিশেষ) জমিদার গুলাব। পরে তিনি লাদাখ ও বালটিস্তানের শাসন কর্তৃত্বও অধিকার করে। শিখ সাম্রাজ্যের অধীন থাকাকালেই ডোগরা জমিদার ব্রিটিশদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। যখন ব্রিটিশ-শিখ যুদ্ধ বাঁধে তখন গুলাব সিং শিখদের পক্ষাবলম্বন করা থেকে বিরত থাকেন। যুদ্ধ শেষে শিখদের পরাজয়ের পর যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তাতে কাশ্মীরসহ শিখ সাম্রাজ্যের কিছু এলাকা ব্রিটিশদের হাতে আসে।
৯ মার্চ, ১৮৪৬ তে এই চুক্তি হয়। এর এক সপ্তাহ পর (১৬ মার্চ) অমৃতসরে গুলাব সিংয়ের সঙ্গে ব্রিটিশদের আর একটি চুক্তি হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী ৭৫ লাখ রুপির বিনিময়ে গুলাব সিং ব্রিটিশদের কাছ থেকে কাশ্মীরসহ পাহাড়ী কয়েকটি জেলার মালিকানা লাভ করে। একটি ভূখ- এবং তার জনগণ এখানেই অর্থের বিনিময়ে বিক্রী হয়ে যায়। এদিকে লক্ষ্য রেখেই মহাকবি আল্লামা ইকবাল কাশ্মীরিদের ‘বিক্রীত জাতি’ হিসাবে অভিহিত করেছেন। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিক আর এস গুলের একটি বক্তব্য উদ্ধৃত করা যেতে পারে। তিনি লিখেছেন, ‘ডাচদের কাছে নিউইর্য়ক সিটি বিক্রি হয়েছিল ১৬১৪ সালে ২৪ ডলারে। রাশিয়ানদের কাছ থেকে ১৮৬৭ সালে আমেরিকা কিনেছিল রাশিয়ান আমেরিকা ৭.২ মিলিয়ন ডলারে। পরে তার নাম হয়েছিল আলাস্কা। কিন্তু ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ১৮৪৬ সালে কাশ্মীর বিক্রির ঘটনা কোনো জাতি বিক্রি হওয়ার সর্বাধিক আলোচিত বিষয়। ১৭০ বছর পরও ৭৫ লাখ রুপির ক্রয়চুক্তি, যা কাশ্মীর থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে অমৃতসরে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, এখনো কাশ্মীরি জাতিসত্ত্বার সমস্যার মূল হিসাবে সামনে আসছে। ’
বস্তুত ১৯৪৭ সালের পর সৃষ্ট কাশ্মীর সঙ্কটের মূল নিহিত রয়েছে ‘বিক্রী চুক্তির’ মধ্যে। এই চুক্তি বলে ডোগরা জমিদার গুলাব সিং কাশ্মীরের মালিক বনে গেলেও কাশ্মীরিরা কখনো তার মালিকানা স্বীকার করে নেয়নি। শিখ সমাজের অধীন কাশ্মীরের শাসক ছিলেন শেখ গোলাম মহিউদ্দীন। তিনি যখন মৃত্যুশয্যায়, তার পুত্র শেখ ইমামুদ্দীন গভর্নরের দায়িত্ব নিয়ে গুলাব সিংয়ের কাছে কাশ্মীর হস্তান্তর করতে অস্বীকার করে। ফলে তাদের মধ্যে যুদ্ধ সংঘটিত হয় এবং যুদ্ধে গুলাব সিং পরাজিত হয়। তখন তার সাহায্যে এগিয়ে আসে ব্রিটিশ সৈন্য।
উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধে শেখ ইমামুদ্দীন পরাজিত হন। অতঃপর ডোগরা জমিদার (রাজা, মহারাজ) কাশ্মীরিদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন ও শোষণের অবিশ্বাস্য অধ্যায়ের সূচনা করেন। ডোগরারা একশ’ বছর (১৮৪৬-১৯৪৭) কাশ্মীর দখল ও শাসন করে। এই সময়ে তারা তাদের বিনিয়োজিত অর্থের সাতশত গুণ বেশি অর্থ কাশ্মীরিদের কাছ থেকে ট্যাক্স-খাজনা বাবদ আদায় করেন। ডোগরাদের অত্যাচার-নির্যাতন ও শোষণ এতই নির্মম ও অমানবিক ছিল যে, ব্রিটিশ কর্মকর্তা লর্ড কিম্বারলি ১৮৮৪ সালে তখনকার ভাইসরয়ের কাছে লিখেছিলো, ‘যদিও হিন্দু পরিবারকে রাজ্যের সার্বভৌমত্ব ন্যস্ত করা হয়েছিল, তবু মুসলমান জনগণের পক্ষে ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ করতে ইতোমধ্যেই বেশি দেরি হয়ে গেছে। ’
বলা বাহুল্য, লর্ড কিম্বারলির বক্তব্যের ওপর যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে ওই ‘হস্তক্ষেপ’ যদি তখনই করা হতো, ডোগরাদের কাছ থেকে শাসন কর্তৃত্ব ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করতো তাহলে কাশ্মীরের পরবর্তী ইতিহাস ভিন্নরকম হতে পারতো। ডোগরা রাজাদের অধীনস্ত জম্মু-কাশ্মীরসহ অন্যান্য এলাকা সরাসরি ব্রিটিশ শাসনের অধিভুক্ত থাকলে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের নীতিমালা অনুযায়ী কাশ্মীর পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হতো অনিবার্যভাবে।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












