মন্তব্য কলাম
অবশেষে কাশ্মীরীদের আলাদা মর্যাদা ৩৭০ ধরেও বাতিল করল মুসলিম বিদ্বেষী বিজেপি সরকার কাশ্মীর কি তবে আরেক ফিলিস্তিন হতে চলছে?
দ্বীন ইসলাম বিদ্বেষী বিধর্মী ও বিধর্মীদের চুক্তির কাছে মুসলমান কখনও নিরাপদ নয় (পর্ব-৪)
, ১৮ ই জুমাদাল ঊলা শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৪ সাদিস, ১৩৯২ শামসী সন , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রি:, ০৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) মন্তব্য কলাম
কাশ্মীর ৩৭০ ধারা নিয়ে দীর্ঘ চক্রান্ত
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসকদের শ্রেণিস্বার্থের তাগিদের ভেতরেই লুকিয়ে আছে কাশ্মীর সমস্যার মূল বিষয়গুলো। ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন আমাদের দেশের প্রশাসনিক এবং সেই সময়ের প্রচলিত ঔপনিবেশিক সাংবিধানিক ব্যবস্থার পরিবর্তন নিয়ে আসে। সেই পরিবর্তনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল- ব্রিটিশ শাসিত অঞ্চলগুলোতে আগের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক মানুষের হাতে ভোটাধিকার তুলে দেওয়ার একটা লোক দেখানো প্রচেষ্টা।
এই বিষয়টি ব্রিটিশ কিন্তু স্বেচ্ছায় করেনি। সেই সময়ের জাতীয় আন্দোলন ব্রিটিশকে বাধ্য করেছিল ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনে ভারতবাসীর হাতে ক্ষমতার খানিকটা অংশ তুলে দিতে। ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনে ব্রিটিশশাসিত ভারতের অন্যান্য দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে একটি ফেডারেশন তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
সে প্রস্তাবে ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্ত হতে ইচ্ছুক যে সমস্ত দেশীয় রাজ্য, তাদেরকে একটা instrument ofaccession আওতায় আনার কথা বলা হয়েছিল।
সেই দলিলেই ফেডারেশনের অন্তর্ভুক্তির প্রধান শর্তগুলি উল্লেখ থাকার কথা ছিল। এই শর্তগুলি কিন্তু ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের মূল অংশে উল্লেখ ছিল না। ব্রিটিশ সরকার এই বিষয়ে একটি খসড়া দলিল তৈরি করেছিল।
গোটাপ্রক্রিয়াটি যখন চলতে থাকে তারই মাঝে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। ফলে এইফেডারেশন তৈরির প্রক্রিয়াটা শেষ অব্দি আর ফলপ্রসূ হয়নি। এরপর আসে ১৯৪৭ সাল। ক্ষমতা হস্তান্তর পর্ব। 'ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেনডেন্স অ্যাক্ট' অনুযায়ী দুটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ ভারত এবং পাকিস্তানের জন্ম হয়। আমাদের দেশ ভারতবর্ষের নিজস্ব সংবিধান গৃহীত না হওয়ার সময়কাল পর্যন্ত ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনকে অন্তর্বর্তী সংবিধান হিসেবে ব্যবহার করার কথা ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স আইনে পরিষ্কারভাবে বলা হয়।
১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট, অর্থাৎ ক্ষমতা হস্তান্তরের সময় থেকে ১৯৫০ সালের ২৫ জানুয়ারি মধ্যরাত পর্যন্ত সময়কাল ভারত শাসিত হয়েছিল এই ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইন অনুযায়ী। সেই সময় সেটিকেই ভারতবর্ষের সংবিধান হিসেবে গণ্য করা হতো।
আমাদের মনে রাখা দরকার যে, দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তির ক্ষেত্রে এই ১৯৩৫ সালের ভারত শাসন আইনের যে পরিকাঠামো ছিল, সেটিই কিন্তু ব্যবহার করা হয়েছিল। স্বাধীন ভারতবর্ষের মানুষের তৈরি করা আইনের ধারাতেও দেশীয় রাজ্যগুলির অন্তর্ভুক্তি হয়নি। হয়েছিল ব্রিটিশের তৈরি করা আইনের বলে।
ভারতের স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাসে কাশ্মীরের পূর্বে এক ভয়াবহপ্রজা বিদ্রোহ হয়। পাশাপাশি ঘটে আফ্রিদি দখলদারদের আগ্রাসন। এইসব ঘটনায় কাশ্মীরের ডোকরা হরি সিং ভয়ঙ্কর বিপন্ন বোধ করে। সেই বিপন্নতার ভেতর থেকেই সে শেষ পর্যন্ত ভারতরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। হরি সিংকে এই ভারত ভুক্তির চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করার ক্ষেত্রে শেখ আবদুল্লাহর নেতৃত্বে কাশ্মীরের মানুষের জানকবুল লড়াইয়ের একটা ঐতিহাসিক অবদান ছিল।
চুক্তিতে স্বাক্ষরের সাথে সাথেই হরি সিং ভারতবর্ষের শেষ ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল লর্ড মাউন্টব্যাটেনকে একটি চিঠি লিখে কাশ্মীরের জননেতা শেখ আব্দুল্লাহকে সে রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ করার কথা বলে। সেই নিয়োগ কার্যকরী হওয়ায় জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় শেখ আব্দুল্লাহ নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার হাতে।
মাউন্টব্যাটেনতার পাশাপাশি জনমতের ভিত্তিতে কাশ্মীরের রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের চূড়ান্ত সমাধান করার কথা বলেছিলো।
ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত আইনটির মূল ভিত্তি অনুসারে কাশ্মীরের হিন্দু ডোকরা রাজবংশের হরি সিং ভারতভুক্তির যে দলিলে স্বাক্ষর করে, সেখানে কাশ্মীরের সুরক্ষা, বিদেশনীতি এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা- এই তিনটি বিষয়ে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা ভারত রাষ্ট্রের সংসদের উপরে কিন্তু ন্যস্ত ছিল।
হরি সিং এর স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী কাশ্মীরের সাংবিধানিক সার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ থাকার কথা বলা হয়েছিল। অর্থাৎ, রাজনৈতিক হিন্দুরা যে কাশ্মীরের জন্য পৃথক সংবিধান ইত্যাদি শব্দগুলো ব্যবহার করে থাকেন, এগুলির কোনো মূলগতভিত্তি না থাকলেও, তাদেরই কার্যত অভিন্ন হৃদয় বন্ধু, তথাকথিত হিন্দুস্বার্থ রক্ষাকারী হরি সিং ভারতভুক্তির যে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলো, সেখানে সে স্পষ্টত কাশ্মীরের পৃথক সাংবিধানিক সার্বভৌমত্বের কথা বলেছিলো।
কাশ্মীরের পৃথক সাংবিধানিক সার্বভৌমত্ব ভারতবর্ষের অন্য অংশের কোনো নেতাদের আরোপিত কোনো বিষয় নয়, বা দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরু কিংবা শেখ আবদুল্লাহ আরোপিত কোনো শর্ত নয়। এটি একেবারেই কাশ্মীরের হিন্দু হরি সিং এর আরোপিত শর্ত। হরিসিং ভারতভুক্তির যে দলিলে স্বাক্ষর করেছিলো, সেখানেই আগামী দিনে কাশ্মীর ভূখ-ে ভারতবর্ষের সংবিধান কিভাবে, কতোখানি কাজ করবে, সেই বিষয়টি ভারতবর্ষ এবং কাশ্মীরের পারষ্পারিক আলাপ-আলোচনার ভেতর দিয়ে ঠিক করার কথা খুব পরিষ্কারভাবেই বলা হয়েছিল।
নয়াদিল্লি এবং শ্রীনগরের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ভেতরেও এ বিষয়টি নিয়ে ১৯৪৯ সালের মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত কয়েক মাস ধরে দীর্ঘ আলাপ-আলোচনা চলেছিল। ১৯৪৯ সালের ১৫ এবং ১৬ মে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাইপ্যাটেলের সঙ্গে তারই বাড়িতে দুই পক্ষের ভিতরে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা হয়েছিল। ১৯৪৯ সালের ১৮ মে নেহরু একটি দীর্ঘ চিঠি লেখেন শেখ আবদুল্লাহকে। সেই চিঠিতে নেহরু লেখে-
" …it has been the settled policyof the government of india, which on manyoccasions has been stated both by sardar patel and me, that the constitution of Jammu and Kashmir stateis a matter for determination by the people of the state represented in aConnstituent Assembly convened for the purpose……
jammu and kashmir state now standsacceded to the indian union in respect of three subjects, nameley Foreign Affairs, Defence and Communication. It will be for the Cinstituent Assembly of the State, when cinvened, to determine in what other subjects the state mayaccede …"
নেহরুর চিঠি থেকে এটা স্পষ্ট যে, সেই সময় কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত ছিল- হরি সিংয়ের ভারতভুক্তির চুক্তিতে উল্লেখিত তিনটি বিষয় ছাড়া অন্যান্য প্রত্যেকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত অধিকার কিন্তু জম্মু-কাশ্মীরের নির্বাচিত গণপরিষদের।
দিল্লিচুক্তি সম্পাদিত হওয়ার সময় নেহরুর যে সমস্ত ব্যক্তিগত নোট পাওয়া যায় এবং দিল্লি চুক্তি সংক্রান্ত যে ভাষণ সে সংসদে দিয়েছিলো, তার থেকে এটা খুব পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারা যায় যে, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষদের ভারতীয় নাগরিকত্ব, সেই সব মানুষদের বিশেষ অধিকার এবং সুযোগ সুবিধার বিষয়গুলি সেই সময়ে নেহরুসহ তার সতীর্থদের কাছে যেমন বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল, তেমনি গুরুত্ব পেয়েছিল কাশ্মীরের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছেও।
এই যে জম্মু-কাশ্মীরের নাগরিকদের বিশেষ অধিকার সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে হিন্দুত্ববাদীরা নেহরুকে ঘিরে নানা ধরনের অপপ্রচার করে থাকে, তার প্রেক্ষিতে বলতে হয় জম্মু-কাশ্মীরে কোনো বাইরের মানুষ জমি বা সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে যে বিধি-নিষেধের আওতায় আছে সেই বিধি নিষেধ কিন্তু লাগু হয়েছিল উনিশ শতকের প্রথমভাগে। সেটি লাগু করেছিল হিন্দুরা। হিন্দু ডোগড়া শাসকরা তাদের শাসন প্রতিষ্ঠার একদম প্রথম যুগে, বিশ শতকের প্রথম সময় থেকেই কাশ্মীরে বংশানুক্রমিক প্রজা এই বিষয়টি নিয়ে এসেছিল। সেখানকার হিন্দুরা যাদের বদান্যতাতেই একটা সামাজিক এবং রাজনৈতিক পরিভাষা হিসেবে বিষয়টি উঠে আসতে শুরু করে। (ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












