মন্তব্য কলাম
অবশেষে জাতিসংঘও স্বীকার করতে বাধ্য হলো নিকৃষ্ট, নির্মম গণহত্যাকারী যুদ্ধাপরাধী ইসরাইল, গাজায় চরম দুর্ভিক্ষ তৈরী করেছে নৃশংস ইসরাইল ক্ষুধার অস্ত্র দ্বারা গাজাবাসীকে শহীদ করছে বর্তমানে গাজা জুড়ে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ চরম দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এছাড়া আরও প্রায় ১০ লাখ ৭০ হাজার মানুষ (গাজার মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ)
, ২৯ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৫ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৪ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ০৯ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
গুরুতর ‘জরুরি’ অবস্থায় আছেন। আর ৩ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ (২০ শতাংশ) চরম ‘সঙ্কট’ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন।
গাজায় পাঁচ বছরের নিচে অন্তত ১ লাখ ৩২ হাজার শিশু আগামী জুন পর্যন্ত তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।
এদের মধ্যে প্রায় ৪১ হাজার শিশুর অবস্থা গুরুতর, যাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
শুধু শিশুই নয়, প্রায় ৫৫ হাজার গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীও মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন
গাজায় স্থানীয় খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ৯৮ শতাংশ চাষযোগ্য জমি নষ্ট হয়ে পড়েছে, গবাদি পশুও প্রায় শেষ, আর সমুদ্রে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
'ইসরায়েলের ওপর অর্থবহ চাপ প্রয়োগে আন্তর্জাতিক মহলের ব্যর্থতা, শিশুসহ মানুষ অনাহারে মারা যাওয়ার সময় অলসভাবে দাঁড়িয়ে থাকা - এগুলো যতটা বিভ্রান্তিকর, ঠিক ততটাই নিন্দনীয়।
গাজার দুর্ভিক্ষ আমেরিকা, ইউরোপ, ইসরাইল সৃষ্ট বিপর্যয়, যা জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদ এবং মানবতারই চূড়ান্ত ব্যর্থতা।
গাজায় চলছে নিরন্তর গণহত্যা এবং নিকৃষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
আন্তর্জাতিকভাবে এর এখনি বিচার হওয়া দরকার
মুসলিম বিশ্বের আলাদা আন্তর্জাতিক আদালত তৈরি করা দরকার
(১ম পর্ব)
প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের একটি সংস্থা বলেছে, গাজার মানুষ দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত। গাজা উপত্যকার পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ 'ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও মৃত্যুর' মুখোমুখি হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছে তারা।
খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নজরদারির দায়িত্ব পালন করা জাতিসংঘের সংস্থা দ্য ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেইজ ক্লাসিফিকেশন বা আইপিসি বলছে, গাজায় খাদ্য নিরাপত্তা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।
গাজা শহর এবং এর আশেপাশের এলাকা দুর্ভিক্ষের কবলে বলে নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।
সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ দেইর আল-বালাহ এবং খান ইউনিস এলাকাও 'বিপর্যয়কর পরিস্থিতির' শিকার হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আইপিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দুর্ভিক্ষ 'সম্পূর্ণরূপে মানুষের তৈরি' এবং এটি 'প্রতিহত করে অবস্থা পাল্টানো' যেতে পারে।
"বিতর্ক এবং দ্বিধাগ্রস্ততার সময় পার হয়ে গেছে। দুর্ভিক্ষ উপস্থিত। এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে," প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আইপিসি হলো জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, সাহায্য গোষ্ঠী ও বিভিন্ন দেশের সরকারের একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। কোথাও দুর্ভিক্ষ ঘটছে কিনা তা নির্ধারণের প্রাথমিক প্রক্রিয়া হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সংস্থাটিকে ব্যবহার করে।
তাদের ৫৯-পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে "কারও মনে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে একটি তাৎক্ষণিক, ব্যাপক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন"।
"আর কোনো বিলম্ব হলে, এমনকি কয়েকদিন দেরি হলেও, দুর্ভিক্ষজনিত মৃত্যুর হার সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে," এটি যোগ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
আইপিসি নিশ্চিত করেছে যে গাজা এলাকা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মানদ-ে পঞ্চম পর্যায়ে রয়েছে।
এর অর্থ কী তা বোঝাতে আইপিসি তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে- এই পর্যায়ে পৌঁছানোর মানে হলো "পরিস্থিতি মোকাবিলার কৌশলগুলি সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করার পরেও যখন পরিবারগুলোয় খাদ্য ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদার চরম অভাব থাকে; ক্ষুধা, মৃত্যু, দারিদ্র্য ও তীব্র অপুষ্টির মাত্রা স্পষ্ট হয়। "
আইপিসির প্রতিবেদনে সংগঠনের দুর্ভিক্ষ পর্যালোচনা কমিটি বা এফআরসি'র উপসংহার রয়েছে।
এর সদস্যরা বলেছেন--গাজা উপত্যকার তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও অপুষ্টি পরিস্থিতির বিশ্লেষণ পর্যালোচনা করার জন্য পঞ্চমবারের মতো এই কমিটিকে ডাকা হয়। এর আগে কখনো এফআরসিকে একই সংকটে এতবার ফিরে যেতে হয়নি।
তারা বলছে, দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে দুরবস্থা কেবল টিকেই ছিল না বরং আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে, ছড়িয়ে পড়েছে।
গাজা উপত্যকাজুড়ে ব্যাপক মানবিক দুর্ভোগ বিদ্যমান এবং খাদ্যের সন্ধানে বের হওয়া বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাও অব্যাহত রয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেছে।
কমিটি বলছে, অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান হার থেকে বোঝা যাচ্ছে যে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষগুলো মারা যেতে শুরু করেছে।
"যে মাত্রার সংকট তৈরি হয়েছে এর জন্য একটি টেকসই, বিস্তৃত, বহু-ক্ষেত্রীয় প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন। এখনই সিদ্ধান্তমূলকভাবে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে বিপর্যয় এড়ানো কঠিন হবে," বলেছে এফআরসি।
তারা জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগেরও অনুরোধ করেছে।
জাতিসংঘের চারটি সংস্থা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং 'ক্ষুধা ও অপুষ্টিজনিত মৃত্যু রোধে নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর' আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বা এফএও, ইউনিসেফ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বা ডব্লিউএফপি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও এই যৌথ বিবৃতি দিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় দুর্ভিক্ষের ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, তাদের এই স্বীকৃতিটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেক দিন ধরেই এ বিষয়ে সতর্ক করে আসছি। অনেক দেরিতে হলেও এখন সেই স্বীকৃতি পাওয়া গেছে।
(২২ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে হামাস বলেছে, আমরা বারবার সতর্ক করেছি যে গাজায় অবরোধ আরোপ করে ইসরাইল কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছে। এর মাধ্যমে তারা গাজাবাসীকে অনাহারে রাখছে। তাদেরকে খাদ্য, ওষুধ ও পানি সরবরাহ থেকে বঞ্চিত করছে। এসবের মাধ্যমে তারা গাজায় একটি পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা চালাচ্ছে। আজ জাতিসঙ্ঘের এই স্বীকৃতি গোটা বিশ্বকে জানাবে যে আমরা কতটা মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
তারা আরো বলেছে, এই প্রমাণিত বাস্তবতাকে বরাবরই অস্বীকার করে আসছে দখলদার বাহিনী। তারা মিথ্যা দাবি করছে যে গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই। এটি তাদের অপরাধপ্রবণতার বহির্প্রকাশ। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে শিশু, নারী ও অসুস্থদের অভুক্ত রেখে হত্যা করে আর মিথ্যা কথা বলে। এর মধ্য দিয়ে তারা আন্তর্জাতিক সকল আইন সুস্পষ্টভাবে অমান্য করছে।
প্রতিরোধ আন্দোলন জানিয়েছে, ইসরাইলের এই মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করা, গাজাবাসীকে অনাহারে রেখে এবং জীবনের সব ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখে ধ্বংসের মুখে ঠেলা দেয়া থেকে গাজার দুই মিলিয়নের বেশি মানুষকে বাঁচানো গোটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক দায়িত্ব।
তারা বলছে, বর্তমানে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে-
যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং অবরোধ তুলে নিতে জাতিসঙ্ঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ।
খাদ্য, ওষুধ, পানি এবং জ্বালানির জরুরি ও টেকসই প্রবেশের জন্য ক্রসিংগুলো অবাধে খোলার ব্যবস্থা।
যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে অনাহারকে ব্যবহারের জন্য দখলদারিত্বকে আইনত জবাবদিহি করা। কারণ এটি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যা।
আইপিসি বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ নাগাদ এই দুর্ভিক্ষের স্তর বিস্তৃত হতে পারে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এবং দক্ষিণের খান ইউনিস এলাকাতেও।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে গাজা জুড়ে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ ফেজ-৫ বা চরম দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এছাড়া আরও প্রায় ১০ লাখ ৭০ হাজার মানুষ (গাজার মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ) ফেজ-৪ অর্থাৎ ‘জরুরি’ অবস্থায় আছেন। আর ৩ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ (২০ শতাংশ) ফেজ-৩ অর্থাৎ ‘সঙ্কট’ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন।
আইপিসি আরও জানিয়েছে, গাজায় পাঁচ বছরের নিচে অন্তত ১ লাখ ৩২ হাজার শিশু আগামী জুন পর্যন্ত তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এটি চলতি মে মাসের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এদের মধ্যে প্রায় ৪১ হাজার শিশুর অবস্থা গুরুতর, যাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
শুধু শিশুই নয়, প্রায় ৫৫ হাজার গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীও মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন এবং তাদের জরুরি পুষ্টি সহায়তা প্রয়োজন।
তথ্য বলছে, গাজায় স্থানীয় খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ৯৮ শতাংশ চাষযোগ্য জমি নষ্ট হয়ে পড়েছে, গবাদি পশুও প্রায় শেষ, আর সমুদ্রে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এর পাশাপাশি পানীয়, স্বাস্থ্যসেবা ও স্যানিটেশনও মারাত্মক সংকটে পড়েছে।
বিশ্বে বৈষম্য, শোষণ, দমন ও হত্যার ভুরিভুরি উদাহরণ থাকলেও ইসরায়েলিরা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যে বর্বর আচরণ করে যাচ্ছে, এমন নজির আর নেই। হলোকাস্টের সময় নাৎসিরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে যে ধরনের আচরণ করেছিল, সেটাই হয়তো এর একমাত্র তুলনা হতে পারে বলে ধরে নেওয়া যায়। গাজাবাসীদের সঙ্গে ইসরায়েলিরা যা করছে, তার সঙ্গে হলোকাস্টের পার্থক্য কী?
গাজায় যা ঘটছে, তার চিত্র একটিবার মনের মধ্যে এঁকে দেখুন। গাজা উপত্যকা ৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ছয় থেকে ১২ কিলোমিটার প্রশস্ত। এর মোট আয়তন ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার। ঢাকার আয়তন ৩০৬ দশমিক ৪ বর্গকিলোমিটার হওয়ায় এর মাধ্যমে গাজার আয়তনের একটা তুলনামূলক আকার ধারণা করে নেওয়া সম্ভব, যদিও জনসংখ্যার তারতম্য অনেক।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম এর তথ্যানুযায়ী বেনিয়া বৃটিশগুলো মুসলিম ভারত থেকে লুট করেছে ১২ হাজার লক্ষ কোটি টাকা প্রকৃতপক্ষে তারা লুট করেছে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র এখনও বন্ধ করলে যা লাভ হবে চালু রাখলে তার চেয়ে অনেক বেশী ক্ষতি হবে ৫৩টি পরিবেশবাদী সংগঠনের দাবী অবিলম্বে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হোক কিন্তু তাদের উপেক্ষা করে পরিবেশ উপদেষ্টা প্রমাণ করছে তার পরিবেশবাদী তৎপরতা অন্য পরিবেশবাদীদের সাথে সাংঘর্ষিক এবং তার পরিবেশবাদী প্রচারণা কার্যকলাপ আসলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য নয় বরং বিশেষ প্রভুর নির্দেশনায় (প্রথম পর্ব)
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জুয়ার নেশায় বুদ হচ্ছে শিশু-কিশোররা-শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ সাইটই পরিচালিত হয় দেশের বাইরে থেকে অনলাইনে জুয়ায় ছোট ছোট বাজির টাকা দিন শেষে একটি বড় অঙ্কের অর্থ হয়ে দেশ থেকে ডলারের মাধ্যমে পাচার হচ্ছে প্রতিদিন এসব খেলা স্বাভাবিক গেমের মতো হওয়ায় প্রকাশ্যে খেলা হলেও আশপাশের মানুষ তা বুঝতে পারেন না কেবলমাত্র ইসলামী মূল্যবোধের উজ্জীবনেই জুয়া বন্ধ সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
গার্মেন্টসের চেয়েও বড় অবস্থানে তথা বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে অধিষ্ঠান হতে পারে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে শুধু মাত্র এ খাত থেকেই বছরে ১১ লাখ কোটি টাকা অর্জন সম্ভব ইনশাআল্লাহ। যা বর্তমান বাজেটের প্রায় দেড়গুণ আর শুধু অনিয়ম এবং সরকারের অবহেলা, অসহযোগীতা দূর করলে বর্তমানেই সম্ভব প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা অর্জন জাহাজ নির্মাণ শিল্পের সমৃদ্ধি সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং সরকারের গাফলতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জনগণের জন্যও জরুরী। (২য় পর্ব)
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদে মুজাদ্দিদে আ’যম সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার রোবে, দোয়ার বরকতে- কুদরতীভাবে কমে যাচ্ছে ডলারের আধিপত্য বাংলাদেশের রিজার্ভ ডলারে রাখা উচিৎ নয়- এতে লাভ আমেরিকার মুসলিম বিশ্বে অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা বিশেষত মূল্যহীন কাগজী মুদ্রা বাদ দিয়ে সুন্নতী দিনার-দিরহাম মুদ্রা চালু করা আবশ্যক ইনশাআল্লাহ (দ্বিতীয় পর্ব)
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
বিদেশি হাইব্রিড বীজের ফাঁদে দেশের কৃষি। হারিয়ে যাচ্ছে দেশীয় ফসলের জাত, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জীববৈচিত্র্য। ফুলে-ফেঁপে উঠছে বীজ কোম্পানিগুলো।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুশরিক ভারতের প্রতি লা’নত ওদের জনসংখ্যা দিন দিন নিম্নমুখী পক্ষান্তরে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে খোদায়ী রহমত। (সুবহানাল্লাহ) বাংলাদেশে জনসংখ্যার এখন ৬৫ ভাগই কর্মক্ষম এবং জনসংখ্যার বৃদ্ধির হার উর্ধ্বগামী বাংলাদেশ ভোগ করছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের নিয়ামত। সুবহানাল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রসঙ্গ: মধ্যম আয়ের ফাঁদ এড়াতে সতর্কতা তথা মধ্যম আয়ের স্থবিরতা তাওয়াক্কুল আর তাকওয়া অবলম্বনে সব সমস্যা দূর হয়ে অচিরেই বাংলাদেশ হতে পারবে শীর্ষ সমৃদ্ধশালী দেশ ইনশাআল্লাহ
২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
রিজওয়ানার পরিবেশবাদী প্রচারণার বিপরীতে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস স্থাপনে ইতিবাচক বার্তা এবং ইউনুসের পানি ও প্রকৃতি প্রেমের বানীর পরিবর্তে আপত্তি সত্ত্বেও একনেকে রবি ঠগ বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প অনুমোদনে জনগণ তথা নেটিজনের মূল্যায়নটা কী?
২৬ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
যখন কোনো দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুদ্ধবিমান কিনে, তখন তা শুধু একটি বিমান কেনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এর সাথে যুক্ত হয় একাধিক শর্ত, নিষেধাজ্ঞা এবং জটিল টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস
২৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
লাগামহীন ব্যর্থতার পর মাদক নিয়ন্ত্রণেও সরকার চরমভাবে ব্যর্থ। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিজস্ব দুর্বলতার কারণে মাদক নিয়ন্ত্রণে নজরই দিতে পারছে না। উল্টো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্য নিজেরাও জড়িয়ে পড়ছে মাদক ব্যবসায়।
২৪ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












