মন্তব্য কলাম
অবশেষে জাতিসংঘও স্বীকার করতে বাধ্য হলো নিকৃষ্ট, নির্মম গণহত্যাকারী যুদ্ধাপরাধী ইসরাইল, গাজায় চরম দুর্ভিক্ষ তৈরী করেছে নৃশংস ইসরাইল ক্ষুধার অস্ত্র দ্বারা গাজাবাসীকে শহীদ করছে বর্তমানে গাজা জুড়ে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ চরম দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এছাড়া আরও প্রায় ১০ লাখ ৭০ হাজার মানুষ (গাজার মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ)
, ২৯ ছফর শরীফ, ১৪৪৭ হিজরী সন, ২৫ ছালিছ, ১৩৯৩ শামসী সন , ২৪ আগস্ট, ২০২৫ খ্রি:, ০৯ ভাদ্র, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) মন্তব্য কলাম
গুরুতর ‘জরুরি’ অবস্থায় আছেন। আর ৩ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ (২০ শতাংশ) চরম ‘সঙ্কট’ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন।
গাজায় পাঁচ বছরের নিচে অন্তত ১ লাখ ৩২ হাজার শিশু আগামী জুন পর্যন্ত তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।
এদের মধ্যে প্রায় ৪১ হাজার শিশুর অবস্থা গুরুতর, যাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
শুধু শিশুই নয়, প্রায় ৫৫ হাজার গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীও মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন
গাজায় স্থানীয় খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ৯৮ শতাংশ চাষযোগ্য জমি নষ্ট হয়ে পড়েছে, গবাদি পশুও প্রায় শেষ, আর সমুদ্রে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
'ইসরায়েলের ওপর অর্থবহ চাপ প্রয়োগে আন্তর্জাতিক মহলের ব্যর্থতা, শিশুসহ মানুষ অনাহারে মারা যাওয়ার সময় অলসভাবে দাঁড়িয়ে থাকা - এগুলো যতটা বিভ্রান্তিকর, ঠিক ততটাই নিন্দনীয়।
গাজার দুর্ভিক্ষ আমেরিকা, ইউরোপ, ইসরাইল সৃষ্ট বিপর্যয়, যা জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদ এবং মানবতারই চূড়ান্ত ব্যর্থতা।
গাজায় চলছে নিরন্তর গণহত্যা এবং নিকৃষ্ট যুদ্ধাপরাধ।
আন্তর্জাতিকভাবে এর এখনি বিচার হওয়া দরকার
মুসলিম বিশ্বের আলাদা আন্তর্জাতিক আদালত তৈরি করা দরকার
(১ম পর্ব)
প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের একটি সংস্থা বলেছে, গাজার মানুষ দুর্ভিক্ষে আক্রান্ত। গাজা উপত্যকার পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ 'ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও মৃত্যুর' মুখোমুখি হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেছে তারা।
খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নজরদারির দায়িত্ব পালন করা জাতিসংঘের সংস্থা দ্য ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেইজ ক্লাসিফিকেশন বা আইপিসি বলছে, গাজায় খাদ্য নিরাপত্তা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।
গাজা শহর এবং এর আশেপাশের এলাকা দুর্ভিক্ষের কবলে বলে নিশ্চিত করেছে সংস্থাটি।
সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ দেইর আল-বালাহ এবং খান ইউনিস এলাকাও 'বিপর্যয়কর পরিস্থিতির' শিকার হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
আইপিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার দুর্ভিক্ষ 'সম্পূর্ণরূপে মানুষের তৈরি' এবং এটি 'প্রতিহত করে অবস্থা পাল্টানো' যেতে পারে।
"বিতর্ক এবং দ্বিধাগ্রস্ততার সময় পার হয়ে গেছে। দুর্ভিক্ষ উপস্থিত। এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে," প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আইপিসি হলো জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, সাহায্য গোষ্ঠী ও বিভিন্ন দেশের সরকারের একটি বৈশ্বিক উদ্যোগ। কোথাও দুর্ভিক্ষ ঘটছে কিনা তা নির্ধারণের প্রাথমিক প্রক্রিয়া হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই সংস্থাটিকে ব্যবহার করে।
তাদের ৫৯-পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে "কারও মনে কোনো সন্দেহ থাকা উচিত নয় যে একটি তাৎক্ষণিক, ব্যাপক প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন"।
"আর কোনো বিলম্ব হলে, এমনকি কয়েকদিন দেরি হলেও, দুর্ভিক্ষজনিত মৃত্যুর হার সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে," এটি যোগ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।
আইপিসি নিশ্চিত করেছে যে গাজা এলাকা তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মানদ-ে পঞ্চম পর্যায়ে রয়েছে।
এর অর্থ কী তা বোঝাতে আইপিসি তাদের ওয়েবসাইটে বলেছে- এই পর্যায়ে পৌঁছানোর মানে হলো "পরিস্থিতি মোকাবিলার কৌশলগুলি সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগ করার পরেও যখন পরিবারগুলোয় খাদ্য ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদার চরম অভাব থাকে; ক্ষুধা, মৃত্যু, দারিদ্র্য ও তীব্র অপুষ্টির মাত্রা স্পষ্ট হয়। "
আইপিসির প্রতিবেদনে সংগঠনের দুর্ভিক্ষ পর্যালোচনা কমিটি বা এফআরসি'র উপসংহার রয়েছে।
এর সদস্যরা বলেছেন--গাজা উপত্যকার তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও অপুষ্টি পরিস্থিতির বিশ্লেষণ পর্যালোচনা করার জন্য পঞ্চমবারের মতো এই কমিটিকে ডাকা হয়। এর আগে কখনো এফআরসিকে একই সংকটে এতবার ফিরে যেতে হয়নি।
তারা বলছে, দুর্ভিক্ষের পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে দুরবস্থা কেবল টিকেই ছিল না বরং আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে, ছড়িয়ে পড়েছে।
গাজা উপত্যকাজুড়ে ব্যাপক মানবিক দুর্ভোগ বিদ্যমান এবং খাদ্যের সন্ধানে বের হওয়া বেসামরিক নাগরিকদের হত্যাও অব্যাহত রয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেছে।
কমিটি বলছে, অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান হার থেকে বোঝা যাচ্ছে যে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষগুলো মারা যেতে শুরু করেছে।
"যে মাত্রার সংকট তৈরি হয়েছে এর জন্য একটি টেকসই, বিস্তৃত, বহু-ক্ষেত্রীয় প্রতিক্রিয়া প্রয়োজন। এখনই সিদ্ধান্তমূলকভাবে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে বিপর্যয় এড়ানো কঠিন হবে," বলেছে এফআরসি।
তারা জরুরি ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের যুদ্ধবিরতি অর্জনের জন্য সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগেরও অনুরোধ করেছে।
জাতিসংঘের চারটি সংস্থা গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং 'ক্ষুধা ও অপুষ্টিজনিত মৃত্যু রোধে নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর' আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে।
খাদ্য ও কৃষি সংস্থা বা এফএও, ইউনিসেফ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বা ডব্লিউএফপি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডব্লিউএইচও এই যৌথ বিবৃতি দিয়েছে।
জাতিসঙ্ঘ আনুষ্ঠানিকভাবে গাজায় দুর্ভিক্ষের ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস জানিয়েছে, তাদের এই স্বীকৃতিটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেক দিন ধরেই এ বিষয়ে সতর্ক করে আসছি। অনেক দেরিতে হলেও এখন সেই স্বীকৃতি পাওয়া গেছে।
(২২ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করে সংগঠনটি।
বিবৃতিতে হামাস বলেছে, আমরা বারবার সতর্ক করেছি যে গাজায় অবরোধ আরোপ করে ইসরাইল কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করেছে। এর মাধ্যমে তারা গাজাবাসীকে অনাহারে রাখছে। তাদেরকে খাদ্য, ওষুধ ও পানি সরবরাহ থেকে বঞ্চিত করছে। এসবের মাধ্যমে তারা গাজায় একটি পূর্ণাঙ্গ গণহত্যা চালাচ্ছে। আজ জাতিসঙ্ঘের এই স্বীকৃতি গোটা বিশ্বকে জানাবে যে আমরা কতটা মানবিক বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি।
তারা আরো বলেছে, এই প্রমাণিত বাস্তবতাকে বরাবরই অস্বীকার করে আসছে দখলদার বাহিনী। তারা মিথ্যা দাবি করছে যে গাজায় কোনো দুর্ভিক্ষ নেই। এটি তাদের অপরাধপ্রবণতার বহির্প্রকাশ। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে শিশু, নারী ও অসুস্থদের অভুক্ত রেখে হত্যা করে আর মিথ্যা কথা বলে। এর মধ্য দিয়ে তারা আন্তর্জাতিক সকল আইন সুস্পষ্টভাবে অমান্য করছে।
প্রতিরোধ আন্দোলন জানিয়েছে, ইসরাইলের এই মানবতাবিরোধী অপরাধ বন্ধ করা, গাজাবাসীকে অনাহারে রেখে এবং জীবনের সব ধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত রেখে ধ্বংসের মুখে ঠেলা দেয়া থেকে গাজার দুই মিলিয়নের বেশি মানুষকে বাঁচানো গোটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নৈতিক দায়িত্ব।
তারা বলছে, বর্তমানে কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে-
যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং অবরোধ তুলে নিতে জাতিসঙ্ঘ ও নিরাপত্তা পরিষদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ।
খাদ্য, ওষুধ, পানি এবং জ্বালানির জরুরি ও টেকসই প্রবেশের জন্য ক্রসিংগুলো অবাধে খোলার ব্যবস্থা।
যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে অনাহারকে ব্যবহারের জন্য দখলদারিত্বকে আইনত জবাবদিহি করা। কারণ এটি আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যা।
আইপিসি বলছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে শেষ নাগাদ এই দুর্ভিক্ষের স্তর বিস্তৃত হতে পারে মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এবং দক্ষিণের খান ইউনিস এলাকাতেও।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে গাজা জুড়ে ৫ লাখেরও বেশি মানুষ ফেজ-৫ বা চরম দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতিতে রয়েছে। এছাড়া আরও প্রায় ১০ লাখ ৭০ হাজার মানুষ (গাজার মোট জনসংখ্যার ৫৪ শতাংশ) ফেজ-৪ অর্থাৎ ‘জরুরি’ অবস্থায় আছেন। আর ৩ লাখ ৯৬ হাজার মানুষ (২০ শতাংশ) ফেজ-৩ অর্থাৎ ‘সঙ্কট’ পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন।
আইপিসি আরও জানিয়েছে, গাজায় পাঁচ বছরের নিচে অন্তত ১ লাখ ৩২ হাজার শিশু আগামী জুন পর্যন্ত তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে। এটি চলতি মে মাসের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
সংস্থাটির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এদের মধ্যে প্রায় ৪১ হাজার শিশুর অবস্থা গুরুতর, যাদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
শুধু শিশুই নয়, প্রায় ৫৫ হাজার গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী নারীও মারাত্মক পুষ্টিহীনতায় ভুগছেন এবং তাদের জরুরি পুষ্টি সহায়তা প্রয়োজন।
তথ্য বলছে, গাজায় স্থানীয় খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা প্রায় ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ৯৮ শতাংশ চাষযোগ্য জমি নষ্ট হয়ে পড়েছে, গবাদি পশুও প্রায় শেষ, আর সমুদ্রে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এর পাশাপাশি পানীয়, স্বাস্থ্যসেবা ও স্যানিটেশনও মারাত্মক সংকটে পড়েছে।
বিশ্বে বৈষম্য, শোষণ, দমন ও হত্যার ভুরিভুরি উদাহরণ থাকলেও ইসরায়েলিরা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যে বর্বর আচরণ করে যাচ্ছে, এমন নজির আর নেই। হলোকাস্টের সময় নাৎসিরা ইহুদিদের বিরুদ্ধে যে ধরনের আচরণ করেছিল, সেটাই হয়তো এর একমাত্র তুলনা হতে পারে বলে ধরে নেওয়া যায়। গাজাবাসীদের সঙ্গে ইসরায়েলিরা যা করছে, তার সঙ্গে হলোকাস্টের পার্থক্য কী?
গাজায় যা ঘটছে, তার চিত্র একটিবার মনের মধ্যে এঁকে দেখুন। গাজা উপত্যকা ৪১ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং ছয় থেকে ১২ কিলোমিটার প্রশস্ত। এর মোট আয়তন ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার। ঢাকার আয়তন ৩০৬ দশমিক ৪ বর্গকিলোমিটার হওয়ায় এর মাধ্যমে গাজার আয়তনের একটা তুলনামূলক আকার ধারণা করে নেওয়া সম্ভব, যদিও জনসংখ্যার তারতম্য অনেক।
(ইনশাআল্লাহ চলবে)
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে অর্থনীতি গভীর সংকটে শেষ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি মাত্র ৩.৩৫ শতাংশ দেশের অর্থনীতি তলানী তথা বারোটা বাজার খবর এখন সর্বত্রই ব্যাপক সমালোচিত হচ্ছে
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












