আজ বিশেষ সম্মানিত, ফযীলত এবং রহমত, বরকতযুক্ত তথা ঐতিহাসিক ৬ই ছফর শরীফ। সুবহানাল্লাহ! তেরো হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, মুজাহিদে মিল্লাত, শহীদে বালাকোট, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
এ দিবসটির তাৎপর্য অনুধাবন গোটা মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরয-ওয়াজিব।
, ০১ আগস্ট, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
(১)
পাক ভারত উপমহাদেশেও খিলাফত প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। খলীফা ছিলেন সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি।
সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সমধিক পরিচিতি, সুখ্যাতি, অবদান এ উপমহাদেশে বুনিয়াদীভাবে প্রতিষ্ঠিত। সর্ব মহলে বহুল আলোচিত শ্রদ্ধাভরে অনুসৃত।
তাছাউফের তরীকা এবং সুন্নাহ পালনের অধিকতর জজবায় তিনি ছিলেন আলাদাভাবে সুষমামন্ডিত। স্বীয় ক্বওল শরীফে, তিনি মাটি কাটায় সুন্নত, জিহাদ করার সুন্নত, মূলত সব সুন্নতের সমাহারে স্বীয় তরীকায় উন্নত সোপানের কথা ব্যক্ত করেছেন। আলাদাভাবে নামকরণ করেছেন ‘মুহাম্মদিয়া তরীকা’। সুবহানাল্লাহ!
সেই থেকে উপমহাদেশের সব হক্ব সিলসিলাই এ তরীকার সমর্থন, মূল্যায়ন এবং পরিচর্যা করে থাকেন। সুবহানাল্লাহ!
(২)
১৮২১ সালে হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি হজ্জ করতে যান। দুই বছর পর ফিরে এসে তিনি আবার দ্বীন কায়িমের স্বপ্নে মাঠে নেমে পড়েন। মারাঠা শক্তি তখন হিসাবের ভেতরেই ছিল না। অপরদিকে ইংরেজরা ছিল ধারণার চেয়েও বড় শক্তি। হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তৎকালীন ভারতের অভ্যন্তরে যুদ্ধ পরিচালনার কেন্দ্র স্থাপন করেননি। এটি উনার রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতার পরিচায়ক। তিনি উনার কৌশলকে খানিকটা পরিবর্তন করে পাঞ্জাবকে উনার লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করেন।
হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি আট হাজার মুজাহিদ সঙ্গে নিয়ে পাঞ্জাবের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। তবে তিনি সরাসরি পাঞ্জাব যাননি। বর্তমান ভারত ও পাকিস্তান পুরোটা ঘুরে লোকবল সংগ্রহ এবং জিহাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য প্রচার করে করে তিনি আফগানিস্তানে পৌঁছান। কান্দাহার, কাবুল অতিক্রম করে নওশহরে অবস্থান গ্রহণ করেন। সেখানে শিখ রাজা বুখ্য সিং-এর বিরুদ্ধে তিনি যুদ্ধের সিদ্ধান্ত নেন। সে যুদ্ধ জয়ের মধ্য দিয়ে মুসলমানদের সাহস, আগ্রহ-উদ্দীপনা শতগুণে বেড়ে যায়। ১৮২৬ সালে তিনি পাখতুন জাতিগোষ্ঠীর বাসস্থান পেশাওয়ারে পৌঁছান। পাখতুনদের নেতৃত্ব ছিল পাঠানদের হাতে। হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি সেখানে গিয়েই ইসলামী অনুশাসন বাস্তবায়ন করেন।
১৮৩০ সাল পর্যন্ত হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি পুরো পেশাওয়ারের নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছিলেন। তখন মুসলমানরা উনাকে ‘আমীরুল মু’মিনীন’ খেতাবে ভূষিত করে।
(৩)
১৮৩১ সালের ৬ই মে জুমুআর দিন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সৈন্যরা শিখ রাজা রনজিত-এর পুত্র শের-এর নেতৃত্বাধীন দশ হাজার সৈন্যের বিশাল বাহিনীর মুখোমুখি হয়। ততদিনে হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার হাতে বাকি ছিল মাত্র ছয় থেকে সাতশ সৈন্য। যৎসামান্য এ রসদ নিয়ে তিনি কাশ্মীরের মানসেহরা জেলার পাহাড়ঘেরা বালাকোট প্রান্তরে যুদ্ধ শুরু করেন।
স্থানীয় মুসলমানরা বিশ্বাসঘাতকতা করে শিখদেরকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিল। যেসব সামন্ত ও পাঠানরা শিখদের অত্যাচার থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে আহ্বান করেছিল, তারাই পরবর্তীতে মুসলমানদেরকে সাহায্য না করে গোপনে শিখদের সাথে হাত মিলিয়েছিল।
দুই ঘণ্টা স্থায়ী বালাকোটের সে যুদ্ধ ছিল কারবালা যুদ্ধের দ্বিতীয় অধ্যায়। মুসলিম বাহিনী চুড়ান্ত বীরত্বের পরিচয় দিয়ে ছোট ছোট দল বানিয়ে শিখদের আক্রমণ করতে থাকেন। রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের এক পর্যায়ে শিখদের অতর্কিত আক্রমণে শাহাদাত বরণ করেন আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি ।
(৪)
মাত্র ৪৫ বছরের জীবনে হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যে তুলনাবিহীন কাজ সম্পন্ন করে দেখিয়েছেন, তার প্রভাব কল্পনার চেয়েও সুদূরপ্রসারী। হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তাজদীদ, উনার জিহাদ, উনার তরীকায়ে মুহাম্মদিয়া যুগ যুগ ধরে উপমহাদেশের মুসলিম সমাজে ইসলামের প্রচার-প্রসার, শিরিক-বিদআতের অপসারণ ও আত্মশুদ্ধির মূল অনুপ্রেরণা হয়ে আসছে। হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রধান দুই খলীফা হযরত মাওলানা কারামত আলী জৌনপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি ও হযরত মাওলানা নূর মুহাম্মদ নিযামপুরী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের সিলসিলাহ বৃহত্তর বাংলা, বিহার, উড়িষ্যা ও আসাম এলাকায় ইংরেজদের প্রতিরোধ, স্বাধীনতা আন্দোলন, ইসলাম প্রচার, হিন্দুয়ানি রসম-রেওয়াজ অপসারণ, মুসলমানদের আত্মশুদ্ধি, ইলমে দ্বীন চর্চা, বাতিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদসহ সর্বোপরি ইসলামের যে পরিমাণ খিদমাত আঞ্জাম দিয়েছে, তা অনন্য।
(৫)
তাছাউফের অধিষ্ঠানে ‘হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি তের’শ হিজরী সনের মহান মুজাদ্দিদ’। সুবহানাল্লাহ!
কিন্তু রেযাখানী নামধারী একটি মহল তারা পূর্ণমাত্রায় হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নামে হিংসা-বিদ্বেষও প্রকাশ করে। অথচ রেযাখানীর নিজস্ব লিখিত কিতাবে পাওয়া যায় রেযাখানী, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে মাটির তৈরী বলেছে। নাউযুবিল্লাহ! এ ধরনের ভ্রান্ত আকিদার লোক হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সম্পর্কেও অপপ্রচার করবে, ভুল বুঝবে, ভুল ফতওয়া দিবে, সমাজে বিভ্রান্তি ছড়াবে এবং বিভক্ত করবে- এটা তো খুবই স্বাভাবিক। সঙ্গতকারণে এদের সমাজ থেকে আলাদা করতে হবে। ওদের অপপ্রচারণাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে ইনশাআল্লাহ। মূলত রেযা খান ইংরেজদের দালালী করার কারণেই এরকম গীবতকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলো। নাউযুবিল্লাহ!
(৬)
ব্রিটিশ ঐতিহাসিক হান্টার তথা ব্রিটিশ লেখকের অনুকরণে ভারতের অধিকাংশ ঐতিহাসিক হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ‘ওহাবী নেতা’ বলে চিহ্নিত করেছে। উনাকে তথা উনার দলবলকে ‘ওহাবী’ রুপে চিহ্নিত করে হান্টার তথা ইংরেজ লেখকদের কি লাভ হয়েছিল? এতে তাদের স্বার্থই বা কি ছিল? উত্তর একটাই, ইংরেজরা উরারফব ধহফ জঁষব ঢ়ড়ষরপু নীতিতে বিশ্বাসী ছিল।
জিহাদী আন্দোলনকে ইংরেজরা ‘ওহাবী’ বলে আখ্যায়িত করেছে পাক ভারতীয় মুসলমানদের সহানুভূতি নষ্ট করে তাদের প্রতি বিতৃষ্ণা ও বিদ্বেষ জাগাবার দূরভিসন্ধি মূলে। এবং ইংরেজরা এ প্রয়াসে এক শ্রেণীর মোল্লা-মওলবীকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছিল প্রচারণা কার্যে।” (ওহাবী আন্দোলন, পৃষ্ঠা-১৪৬)
ঐতিহাসিকগণ বলেছেন, ‘ওহাবী’ কথাটি একটি ভুল প্রয়োগ। অনেক মুসলমান এদের অমুসলমান বলে গণ্য করেন। আসলে বৃটিশরাই তাদের দূরভিসন্ধি চরিতার্থ করার জন্য উনাদের ‘ওহাবী’ বলে যেমন তারা পরবর্তীকালে সন্ত্রাসবাদীদের সম্পর্কে বলত।” (ভারতের মুক্তি আন্দোলনে মুসলমানদের অবদান, পৃষ্ঠা-৪)
* বিখ্যাত ইতিহাসবিদ গোলাম মর্তুজা তার কলকাতা থেকে প্রকাশিত “চেপে রাখা ইতিহাস”- কিতাবের ২০৯ পৃষ্ঠায় বর্ণনা করেন, “হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ওফাত হওয়ার পর যেসব আন্দোলন, বিদ্রোহ বা সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছিলো, সেগুলোকে বিকৃত করে (বৃটিশ রাজশক্তি) তাদের নাম পাল্টে কোনটাকে ‘সিপাহী বিদ্রোহ’ কোনটাকে ‘ওহাবী আন্দোলন’ বলেছে।”
উক্ত কিতাবের ২০৫ পৃষ্ঠায় আরো বর্ণিত আছে, “আলিগড়ের সৈয়দ আহমদ ও বেরেলীর হযরত সাইয়্যিদ শহীদ আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি দু’জনই ইতিহাস প্রসিদ্ধ মানুষ। তবে আলিগড়ের আহমদ সাহেব পেয়েছেন ইংরেজদের পক্ষ থেকে ‘স্যার’ উপাধী, প্রচুর সম্মান, চাকরীর পদন্নতি প্রভৃতি। আর বেরেলীর হযরত সাইয়্যিদ শহীদ আহমদ রহমতুল্লাহি আলাইহি ইংরেজদের পক্ষ থেকে পেয়েছেন অত্যাচার ও আহত হওয়ার উপহার। আর সব শেষে শত্রুদের চরম আঘাতে উনাকে শহীদ হতে হয়েছে।
(৭)
হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে শহীদ হতে হয়েছে আরো অনেক ক্ষেত্রে। উনার ইলমে লাদুন্নী, উনার নিসবত, কারামত সব অনন্য মর্যাদার হলেও রেযাখানীরা সেসব তথ্যকে শহীদ করেছে ও করছে। কেবলমাত্র যামানার মহান মুজাদ্দিদ, ছাহিবু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, ইমামুল আইম্মাহ্, কুতুবুল আলম, মুহ্ইউস সুন্নাহ, মাহিউল বিদয়াহ, গাউছুল আ’যম, আযীযুয যামান, ক্বইউমুয যামান, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, আস সাফফাহ, হাবীবুল্লাহ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি গাযীর ভূমিকায়, মুজাদ্দিদে যামানের ভূমিকায়, ছাহিবে ইলমে লাদুন্নী, ছাহিবে কারামতের অধিষ্ঠানে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন।
যামানার তাজদীদী মুখপত্র মাসিক আল বাইয়্যিনাত শরীফ ৮২তম সংখ্যায় ফতওয়া দিয়েছেন। আরো অনেক সংখ্যায় এবং দৈনিক আল ইহসানে বিরোধীদের কঠিনভাবে ভুল ও বাতিল প্রমাণ করেছেন।
বিশেষ করে আজ তেরো শতকের মহান মুজাদ্দিদ, মুজাহিদে মিল্লাত, শহীদে বালাকোট, আমীরুল মু’মিনীন হযরত সাইয়্যিদ আহমদ শহীদ বেরেলবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যে-
১২০১ হিজরী সনে পবিত্র ৬ই ছফর শরীফ ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) ভারতের উত্তর প্রদেশের রায় বেরেলী শহরের বিখ্যাত সম্ভ্রান্ত সাইয়্যিদ পরিবারে বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেছেন-
সেদিনটিকে আইয়্যামুল্লাহ শরীফ হিসেবে কবুল করেছেন এবং পালনের বিশেষ ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সুবহানাল্লাহ!
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার এই নেক অবদান-
আরেকটি অভূতপূর্ব, ঐতিহাসিক তাজদীদ, যার শুকরিয়া জ্ঞাপনে সবারই অগ্রণী হওয়া উচিত ইনশাআল্লাহ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট। সরকারের উচিত, দেশের মানসিক চিকিৎসা ব্যবস্থায় উন্নত করা এবং পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
অবৈধ পথে বিদেশে গিয়ে ভয়াবহ নির্যাতিত হওয়ার পাশাপাশি নিঃস্ব হচ্ছে বহু পরিবার। মানব পাচার রোধে শক্ত ও সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী দরকার।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
আজ মহাসম্মানিত ১২ই জুমাদাল উখরা শরীফ। যা সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ১২ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত। সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার শান মান মুবারক অনুভব করা, মর্যাদা-মর্তবা মুবারক জানা, দয়া-ইহসান মুবারক উপলব্ধি করা সর্বোপরি নেক ছায়াতলে উপনীত হওয়া বর্তমান যামানায় সবার জন্যই ফরজ।
০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
৩ লাখ কোটি টাকা মূল্যের ৯ হাজার একর বেদখল হওয়া রেলের জমি উদ্ধারে অতীতের মত বর্তমান সরকারও ব্যার্থ হচ্ছে কথিত গলদ আইন ও লোক দেখানো উদ্ধার প্রক্রিয়া এবং লোভী জনগণের বিপরীতে খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র চেতনাতেই সফলতা ও প্রাপ্তি সম্ভব ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
স্বামী-স্ত্রীর সহজাত খুনসুটিকে বৈবাহিক ধর্ষণ সংজ্ঞায়িত করার সরকারী উসকানি এখন বাবা-মায়ের শাসনকেও মামলায় গড়িয়েছে। পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস, এল.জি.বি.টি.কিউ আন্দোলনের কুচক্রী, কুশীলবদের কুতৎপরতা রোধে ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানকে এক্ষণি সোচ্চার হতে হবে ইনশাআল্লাহ
০৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
প্রতি বছর সাপের কামড়ের শিকার ৯৬ হাজার মানুষ, মৃত্যু ১০ হাজারের বেশী। প্রতিদিন মারা যায় প্রায় ২৫ জন। অ্যান্টিভেনম সহজলভ্য করতে হবে। দেশেই উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। ইনশাআল্লাহ!
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
জনঘনত্বের কারণে- বেশী তাপমাত্রা, রোগব্যাধি, বায়ূ দূষণ, শব্দ দূষণ, যানজট পানিবদ্ধতা সহ বিভিন্ন দুর্বিষহ ও দমবদ্ধ অবস্থায় বিপর্যস্থ ঢাকা এখন সম্পূর্ণভাবে বসবাসের অযোগ্য। নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে ইনশাআল্লাহ
০২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
মুবারক হো মহিমান্বিত ৯ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ! আজ ক্বায়িম-মাক্বামে সিবতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুল উমাম আল খ¦মিস আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
০১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
দেশের ৪ কোটি মানুষ না খেয়ে থাকে। অথচ বছরে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকার শস্য নষ্ট হয় খাদ্য অপচয় রোধ করতে ‘নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই’- পবিত্র কুরআন শরীফ উনার এই নির্দেশ সমাজের সর্বাত্মক প্রতিফলন ব্যতীত কোনো বিকল্প নেই।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
দেশে মানসিক রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিপরীতে স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ০.৪৪% ব্যয় হচ্ছে মানসিক চিকিৎসায়। রয়েছে মানসিক বিশেষজ্ঞ ও দক্ষ জনবল সঙ্কট।
৩০ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিশ শুহূরিল আ’যম শরীফ, মহাসম্মানিত রবীউল আউওয়াল শরীফ মাস উনার মহিমান্বিত, মহাপবিত্র ৭ তারিখ উনার সাথে সম্পর্কযুক্ত পবিত্র ৭ই জুমাদাল ঊখরা শরীফ আজ।
২৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
নিজেদের ক্যাশিয়ারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য পতিত সরকার দেশের চিনি শিল্পকে ধ্বংস করেছিলো। (নাউযুবিল্লাহ) যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করলে অতীতের মত চিনি রফতানী করা যাবে ইনশাআল্লাহ খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় চললেই সে প্রজ্ঞা পাওয়া সম্ভব ইনশাআল্লাহ!
২৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












