১৩ জন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তাশরীফ মুবারক নেয়ার ধারাবাহিকক্রম মুবারক অনুযায়ী মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি হচ্ছেন- ‘আল হাদিয়াহ্ ‘আশার অর্থাৎ ১১তম’। এজন্য উনাকে ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম’ বলা হয়। তিনি সকলের মাঝে ‘মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম’ হিসেবেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পরিচিতি মুবারক গ্রহণ করেছেন। সুবহানাল্লাহ! তিনি শুধু যিনি খ¦ালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি নন এবং নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি নন; এছাড়া সমস্ত শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক উনাদের অধিকারিণী হচ্ছেন তিনি। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মুহব্বত মুবারকই হচ্ছেন সম্মানিত ঈমান। সুবহানাল্লাহ! আর উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা কাট্টা কুফরী। না‘ঊযুবিল্লাহ! যারা উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান মুবারক নিয়ে চূ-চেরা, ক্বীল-ক্বাল করবে, উনার মানহানী করবে, তাদের একমাত্র শরঈ শাস্তি মৃত্যুদ-।

উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় ইসিম বা নাম মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত রমলাহ্ আলাইহাস সালাম। ’ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুনিয়াত মুবারক হচ্ছেন- ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু হাবীবাহ্ আলাইহাস সালাম’। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আব্বাজান আলাইহিস সালাম হচ্ছেন- বিশিষ্ট ছাহাবী সাইয়্যিদুনা হযরত আবূ সুফিয়ান আলাইহিস সালাম। সুবহানাল্লাহ! আর উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আম্মাজান আলাইহাস সালাম হচ্ছেন- সাইয়্যিদুনা হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার আপন ফুফু সাইয়্যিদাতুনা হযরত ছফিয়্যাহ্ বিনতে আবুল আছ আলাইহাস সালাম। সুবহানাল্লাহ! তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র পিতা-মাতা উভয় দিক থেকেই সম্মানিত কুরাইশ বংশের বিশিষ্ট শাখা উমাইয়্যাহ্ গোত্রের অন্তর্ভুক্ত এবং উভয় দিক থেকে তিনি ৫ম পুরুষে যেয়ে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহু হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে মিলিত হয়েছেন। সুবহানাল্লাহ! মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নসব মুবারকগত দিক থেকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম তিনি ছিলেন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অধিক নিকটবর্তী। সুবহানাল্লাহ! এ সম্পর্কে ইমাম যাহাবী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের মধ্যে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নসব মুবারকগত দিক থেকে কেউই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার চেয়ে অধিক নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিকটবর্তী ছিলেন না। উনার চেয়ে অধিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মোহরানা মুবারক অন্য কোনো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের ছিলেন না। উনার চেয়ে বেশি দূরে অবস্থান মুবারক করা অবস্থায় নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে অন্য কোনো মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হননি। ” সুবহানাল্লাহ! (সিয়ারু আ’লামিন নুবালা’ ৩/১৯৩)

তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালত মুবারক প্রকাশের ১৭ বছর পূর্বে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ২৯শে জুমাদাল ঊলা শরীফ ইয়াওমুছ ছুলাছা শরীফ (মঙ্গলবার) সম্মানিত কুরাইশ বংশে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। সুবহানাল্লাহ!

নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক-এ আসার পূর্বে উনার একটি শাদী মুবারক হয়েছিলেন। সেই ঘরে ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত হাবীবাহ্ রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহা’ নামে উনার একজন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র আওলাদ তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করেন। উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নাম মুবারক অনুযায়ী তিনি ‘সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মু হাবীবাহ আলাইহাস সালাম’ এই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র কুনিয়াত মুবারক গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!

তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সূচনালগ্নেই মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দ্বীন ইসলম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ! সম্মানিত ও পবিত্র হাবশায় দুইবার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হিজরত মুবারক করেন। তারপর তিনি মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র মদীনা শরীফ-এ মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! ৭ম হিজরী শরীফ উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৩রা ছফর শরীফ লাইলাতু সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আইয়্যাম শরীফ নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নিসবাতে আযীম শরীফ অনুষ্ঠিত হন। সুবহানাল্লাহ!

কেউ যদি মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হাবীব মাহবূব, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার অর্থাৎ উনাদের হাক্বীক্বী মুহব্বত-মা’রিফত, নিসবত-কুরবত, রেযামন্দি-সন্তুষ্টি মুবারক পেতে চায়, তাহলে তার জন্য ফরযে আইন হচ্ছেন মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত উম্মাহাতুল মু’মিনীন আলাইহিন্নাস সালাম উনাদের, খাছ করে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আল হাদিয়াহ্ ‘আশার আলাইহাস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান-মান, ফাযায়িল-ফযীলত, বুযূর্গী-সম্মান মুবারক সম্পর্কে জানা, উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র খিদমত মুবারক উনার আনজাম মুবারক দেয়া, উনাকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র তা’যীম-তাকরীম মুবারক করা এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ছানা-ছিফত মুবারক করা সকাল-সন্ধ্যা, দায়িমীভাবে অনন্তকাল যাবৎ। সুবহানাল্লাহ!



-মুহাদ্দিছ মুহাম্মদ আমীন।