আত-তাক্বউয়ীমুশ শামসী” উনার উদ্দেশ্য এবং প্রচলিত সৌর বর্ষপঞ্জির সাথে উনার পার্থক্য (১)
, ২০ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২৯ আউওয়াল, ১৩৯২ শামসী সন , ২৭ জুন, ২০২৪ খ্রি:, ১৩ আষাঢ়, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
১. উদ্দেশ্য
আত-তাক্বউয়ীমুশ শামসী :
মুসলমানরা যেন কাফিরদের গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি অনুসরণ না করেন বরং এই মুবারক বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করার মাধ্যমে পবিত্র কুরআন শরীফ এবং পবিত্র হাদীছ শরীফ উনাদের পূর্ণ অনুসরণ করতে পারেন।
গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি :
ইউরোপের খ্রিস্টানরা ২১শে মার্চে ইস্টার দিবস পালন করতো (যেদিন দিন-রাত সমান হয়)। কিন্তু দেখা গেলো জুলিয়ান বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করলে ইস্টার ডে চলে আসে ১১ই মার্চ। ফলে তারা তাদের এই ইস্টার ডে পালনের জন্যই জুলিয়ান বর্ষপঞ্জি সংশোধন করে গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি তৈরি করে। উল্লেখ্য, ইস্টার ডে হচ্ছে কাফিরদের কাছে সেই দিন, যেদিন তারা মনে করে হযরত ঈসা রূহুল্লাহ আলাইহিস সালাম তিনি ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার তিনদিন পর এই দিনে আবার ফিরে আসে। নাঊযুবিল্লাহ!
ফসলী সন :
ফসলী সন তৈরি হয় মোঘল শাসক আকবরের নির্দেশে। সে হিন্দুদের মনতুষ্টির উদ্দেশ্যে হিজরী সনকে বাদ দিয়ে ফার্সী ভাষায় নতুন একটি সনের প্রবর্তন করে। যাকে ‘ইলাহী সন’ বলা হতো। তার সিংহাসন আরোহণের দিন থেকে এই সন চালু করে। আকবর পরবর্তীতে সে সন অনুযায়ী ফসলের খাজনা আদায় করতো বিধায় একে ‘ফসলী সন’ও নামকরণ করা হয়। এ সনটি যখন প্রচলিত হয়ে গেল তখন হিন্দুরা তাদের বিভিন্ন দেব-দেবীর নামে মাসের ও সপ্তাহের বারগুলোর নামকরণ করে। ফলে একে তখন ‘বাংলা সন’ নাম দেয়া হয়, যা পুরোপুরি হিন্দুদের ধর্মীয় কৃষ্টির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ।
তাই ‘ইলাহী সন’ বা ‘ফসলী সন’ বা ‘বাংলা সন’ যে নামেই নামকরণ করা হোক না কেন, এই সনের মূল উদ্দেশ্য যেহেতু হিজরী সনকে রহিত করে দিয়ে হিন্দুয়ানী কৃষ্টির প্রচলন ঘটানো, তাই এ সন অনুসরণের কোনই প্রয়োজন মুসলমান উনাদের নেই।
২. প্রবর্তন এবং নামকরণ
আত-তাক্বউয়ীমুশ শামসী :
এই সৌর বছর গণনা পদ্ধতি প্রবর্তন এবং নামকরণ করেছেন খ¦লীফাতুল্লাহ, খ¦লীফাতু রসূলিল্লাহ, আল মানছূর, সাইয়্যিদুনা হযরত খ¦লীফাতুল উমাম আলাইহিস সালাম তিনি। সুবহানাল্লাহ!
গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি :
এর নামকরণ করা হয়েছে খ্রিস্টানদের তথাকথিত ধর্মযাজক, দুশ্চরিত্র (যার বিবাহ বহির্ভূত একটি সন্তান ছিল) পোপ গ্রেগরির নামানুসারে। নাঊযুবিল্লাহ!
৩. উৎস
আত-তাক্বউয়ীমুশ শামসী :
এই সৌর বছর গণনা পদ্ধতি পৃথিবীর কোন বর্ষপঞ্জির অনুকরণে তৈরি না করে বরং খাছ খোদায়ী মদদে ইলহাম-ইলক্বা উনার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।
গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জি :
কুসংস্কারাচ্ছন্ন রোমানদের বর্ষপঞ্জি ও তাদের কল্পনা থেকে।
ফসলী সন :
চন্দ্রমাস নির্ভর হিজরী বর্ষপঞ্জি এবং সৌরমাস নির্ভর হিন্দু বর্ষপঞ্জির সংমিশ্রণে মোঘল বাদশাহ আকবর কর্তৃক এর উদ্ভব ঘটানো হয় যাতে মুসলমানগণ হিজরী বর্ষ গণনা পরিহার করে হিন্দু বর্ষ গণনায় অভ্যস্ত হয়। নাঊযুবিল্লাহ!
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
মুসলমানদের জন্য সমস্ত খেলাধুলা হারাম
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সর্বাবস্থায় ছাহিবু লাওলাক, ছাহিবু ক্বাবা ক্বওসাইনি আও আদনা, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সম্মানিত আহবান মুবারক-এ সাড়া দেয়া প্রত্যেক উম্মতের জন্য ফরয; এমনকি পবিত্র নামাযে থাকাকালীন সময়েও
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র ক্বাবলাল জুমুআহ্, বা’দাল জুমুআহ্ এবং সুন্নাতুল ওয়াক্ত নামায উনার শরঈ আহকাম (২)
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বেপর্দা সর্বপ্রকার অনিষ্ট ও ফিতনা-ফাসাদের মূল
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক তিনি কাফিরদেরকে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (৯ম অংশ)
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রসঙ্গ: আনুগত্যশীল বান্দা ও ঈমানদার উম্মতদের জন্য সর্বোচ্চ সন্তুষ্টিমূলক, সর্বাধিক ফযীলতযুক্ত বিশেষ দু’টি আমল
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
গান-বাজনা অকাট্য দলীল দ্বারা সুস্পষ্টভাবে হারাম
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের বেমেছাল ফযীলত মুবারক (২য় পর্ব)
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
যেখানে প্রাণীর ছবি থাকে, সেখানে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করেন না
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
১৭ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












