আনার,ডালিম,বেদানা খাওয়া মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
, ১৩ রবীউছ ছানী শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ৩০ খ্বমীছ ১৩৯১ শামসী সন , ২৯অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি:, ১৩ কার্তিক, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) সুন্নত মুবারক তা’লীম
মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন-
فِيْهِمَا فَاكِهَةٌ وَنَحْلٌ وَرُمَّانٌ
অর্থ : “তথায় আছে ফল-মূল, খেজুর ও আনার। ” (পবিত্র সূরা রহমান শরীফ: পবিত্র আয়াত শরীফ ৬৮)
মহাসম্মানিত মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا مِنْ رُمَّانٍ مِنْ رُمَّانِكُمْ هٰذَا إِلَّا وَهُوَ مُلَقَّحٌ بِحَبَّةٍ مِّنْ رُمَّانِ الْجَنَّةِ.
অর্থ: “হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, প্রতিটি ডালিম জান্নাতের পানির একটি ফোঁটা ধারণ করে। ” (তাফসীরে দূররে মানছুর লিস সূয়ূতী, তারীখে দামেশক)
ফলশ্রুতিতে ডালিমে রয়েছে এমন সব গুণাগুণ যা পৃথিবীর অন্য কোন ফলে নেই।
অন্য বর্ণনায় বর্ণিত রয়েছে-
عَنْ حَضْرَتْ أَبِي عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ تَعَالٰى عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَكَلَ حَبَّةً مِّنْ رُمَّانٍ أَمْرَضَتْ شَيْطَانَ الْوَسْوَسَةِ أَرْبَعِينَ يَوْماً.
অর্থ : “হযরত আবূ আব্দুল্লাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, যে ব্যক্তি আনার বা ডালিম ফল খাবে, এটি তাকে শয়তানের প্রভাব থেকে ৪০ দিনের জন্য পবিত্র রাখবে। ” সুবহানাল্লাহ! (কিতাবুল কাফী)
আনারের উপকারিতা :
১. রক্ত পরিশুদ্ধ করে,
২. শরীরে শক্তি সঞ্চার করে ,
৩. পাকস্থলি পরিস্কার করে,
৪. পরিপাকতন্ত্রের বাধা ও জটিলতা দূর করে,
৫. ডায়রিয়া বন্ধ করে,
৬. হজম শক্তি বৃদ্ধি করে,
৭. স্নায়ুকে শক্তিশালী করে,
৮. কণ্ঠ বা গলা পরিস্কার রাখে
৯. ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখে,
১০. হৃৎপি- ভালো রাখে,
১১. স্কিন ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সার ও ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে,
১২. ভুলে যাওয়া রোগ এলজেইমা প্রতিরোধ করে স্মরণশক্তি বৃদ্ধি করে,
১৩. রক্তস্বল্পতা দূর করে,
১৪. হাড়ের রোগ প্রতিরোধ করে হাড়কে সুস্থ রাখে,
১৫. দাঁতের রোগ প্রতিরোধ করে,
১৬. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে,
১৭. সর্দি-কাশি ভালো করে,
১৮. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে,
১৯. হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়,
২০. ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক সংক্রমণ ঘায়ের প্রতিষেধক,
২১. পেশীর ব্যাথা দূর করে,
২২. ভিটামিন সি, ই, কে সহ উল্লেখযোগ্য পুষ্টির যোগান দেয় ইত্যাদি।
-আহমদ হুসাইন
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক - ২
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ঘুমানোর মহাসম্মানিত মহাপবিত্র সুন্নতী তারতীব মুবারক -১
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
হাত ও পায়ের নখ কাটার মহাসম্মানিত সুন্নতী তারতীব মুবারক
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যেসব দিনে গোসল করা ও গোসলে কি কি ব্যবহার করা মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহাসম্মানিত সুন্নত মুবারক ছেড়ে দেয়া মানেই পথভ্রষ্ট হওয়া। নাউযুবিল্লাহ!
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (২)
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
চিকিৎসা গ্রহণ করা খাছ সুন্নত মুবারক (১)
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৫)
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৪)
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (৩)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (২)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ওযূ করার খাছ সুন্নতী তারতীব মুবারক ও মাসয়ালা-মাসায়িল (১)
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












