মন্তব্য কলাম
আফ্রিকার দৈত্য মুসলিম প্রধান দেশ- ‘নাইজেরিয়ায়’ আছে- ‘অফুরন্ত তেলের উৎস’ আছে- সবচেয়ে দামী খনিজ ‘লিথিয়াম’, ‘উচ্চ মানের লৌহ আকরিক’ সহ দুর্লভ সব খনিজ।
, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) মন্তব্য কলাম
বিশ্ব লুটেরা, হায়েনা, আমেরিকার- লোলুপ দৃষ্টি এখন ‘নাইজেরিয়ার’ উপর
খ্রিস্টান নিধন চলছে এই মিথ্যা অজুহাতে-
নাইজেরিয়া আক্রমনের ঘোষণা দিয়েছে, বিশ্ব ডাকাত সর্দার- ট্রাম্প।
ইরাক, লিবিয়ার মতই আমেরিকান লুটতরাজের আরেক ভূমি হতে চলছে নাইজেরিয়া।
খ্রিস্টান নিধনের নামে একের পর এক মুসলিম দেশ দখল হলে
কোটি কোটি মুসলিম শহীদের জন্য তো সবার আগে আমেরিকা দখলে
বিশ্ব মুসলিমের উদ্যমী হওয়া উচিত ইনশাআল্লাহ।
নাইজেরিয়া পশ্চিম আফ্রিকার আটলান্টিক মহাসাগরীয় উপকূলে অবস্থিত একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র। এর পূর্ণ সরকারি নাম নাইজেরিয়া যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র। এর পশ্চিম সীমান্তে বেনিন, উত্তরে নাইজার বা নিজে, উত্তর-পূর্বে চাদ, পূর্বে ক্যামেরুন এবং দক্ষিণে আটলান্টিক মহাসাগর তথা গিনি উপসাগর।
এর আয়তন ৯,২৩,৭৬৮ বর্গকিলোমিটার (বাংলাদেশের আয়তনের প্রায় ৬ গুণ, ও পাকিস্তানের আয়তনের প্রায় সমান); আয়তনের বিচারে এটি পশ্চিম আফ্রিকার বৃহত্তম রাষ্ট্র।
২০১৯ সালের প্রাক্কলন অনুযায়ী এখানে প্রায় ২৫ কোটি লোকের বাস। নাইজেরিয়া আফ্রিকার সর্বাধিক জনবহুল ও বিশ্বের ৭ম সর্বোচ্চ জনবহুল রাষ্ট্র। আফ্রিকা মহাদেশের প্রতি ৬ জনের ১ জনই নাইজেরীয়। দেশের কেন্দ্রভাগে পরিকল্পিতভাবে নির্মিত আবুজা নগরীটি নাইজেরিয়ার রাজধানী।
তবে দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে আটলান্টিক উপকূলের উপরে অবস্থিত লেগোস দেশটির বৃহত্তম নগরী (একটি অতিমহানগরী); কানো, ইবাদান, কাদুনা, বেনিন নগরী ও পোর্ট হারকোর্ট অন্যান্য কয়েকটি প্রধান প্রধান নগরী।
নাইজেরিয়া ৩৬টি অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্রীয় রাজধানী অঞ্চল নিয়ে গঠিত একটি যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র যেখানে দ্বিকাক্ষিক আইনসভা আছে। রাষ্ট্রপতিশাসিত শাসনব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি একই সাথে রাষ্ট্র ও সরকারের প্রধান।
নাইজেরিয়ার দুই তৃতায়াংশ জনগণ মুসলমান, যারা দেশের উত্তরভাগে বাস করে ও প্রায় ৩০% খ্রিস্টান, যারা দেশের দক্ষিণাংশের অধিবাসী।
উত্তর নাইজেরিয়ার মুসলমান প্রধান অঞ্চলটিতে ইসলামী শরিয়া আইন প্রবর্তনের চেষ্টা চলছে। এর পক্ষে বোকো হারাম (অর্থাৎ "পশ্চিমা শিক্ষা হারাম") নামের একটি দল উত্তর নাইজেরিয়াতে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে।
নাইজেরিয়াতে একটি উন্নয়নশীল মিশ্র অর্থনীতি ব্যবস্থা বিদ্যমান। অর্থনীতি মূলত খনিজ তেল (পেট্রোলিয়াম) উৎপাদন ও কৃষিনির্ভর।
নাইজেরিয়ার দক্ষিণভাগে নাইজার নদীর ব-দ্বীপ অঞ্চলে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সমৃদ্ধ মজুদ আছে, যা আগামী বহু দশক ধরে ব্যবহার করা যাবে।
চারটি বিশাল তেল পরিশোধনাগারের অধিকারী নাইজেরিয়া আফ্রিকার বৃহত্তম খনিজ তেল উৎপাদনকারী রাষ্ট্র। ১৯৫৬ সালে প্রথম খনিজ তেল উৎপাদিত হয়, এবং দুই দশকের মধ্যেই ১৯৭০-এর দশক থেকে পেট্রোলিয়াম উৎপাদন ও রপ্তানি দেশটির অর্থনীতির প্রধান খাতে পরিণত হয়; বর্তমানে দেশের রপ্তানির ৯৫%-ই খনিজ তেল।
নাইজেরিয়ার খনিজ তেলে গন্ধকের পরিমাণ কম বলে এর মান উচ্চ, এটি বিমানের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া কয়লা ও রাং বা টিন নামক ধাতুর মজুদও আছে এখানে।
সাম্প্রতিক কালে নাইজেরিয়ার সর্বত্র বিপুল পরিমাণে রপ্তানিমুখী শস্য উৎপাদনের লক্ষ্যে বিশাল বিশাল কৃষিপণ্য বাগান বা প্ল্যান্টেশন সৃষ্টি করা হয়েছে। এই বাগানগুলিতে আধুনিক কৃষিযন্ত্র ব্যবহার করে শস্য বুনন, ফলন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্পন্ন করা হয়। এভাবে তুলা, কফি, চা, চিনি ও তৈলাক্ত পাম উৎপাদন করা হয়।
পাম ফলের শাঁস থেকে যে তেল পাওয়া যায়, তা দিয়ে রান্নার পাশাপাশি মার্জারিন, সাবান, মোমবাতি ও রঙ প্রস্তুত করা যায়; নাইজেরিয়া বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম পাম তেল উৎপাদনকারী দেশ। এছাড়া নাইজেরিয়া আন্তর্জাতিক বাজারে কোকো বীজ (চকলেট উৎপাদনে ব্যবহৃত) ও প্রাকৃতিক রবার রপ্তানি করে।
খনিজ সম্পদ, তরুণ শ্রমশক্তি ও অফুরন্ত কৃষিভূমির দেশ নাইজেরিয়া ভবিষ্যতে আফ্রিকার সবচেয়ে সফল একটি অর্থনীতির অধিকারী হবার সম্ভাবনা রাখে।
বর্তমানে নাইজেরিয়ার অর্থনীতির আকার আফ্রিকার দেশগুলির মধ্যে ১ম এবং বিশ্বে ২৪তম। ক্রয়ক্ষমতার সমতার মানদ-ে নাইজেরিয়ার বাৎসরিক স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন প্রায় ১ লক্ষ কোটি মার্কিন ডলার।
নাসারাওয়াতে নাইজেরিয়ার লিথিয়াম মজুত আনুমানিক ১৫০,০০০ টন এবং তা ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী চাহিদার ৫ শতাংশ পর্যন্ত সরবরাহ করতে পারে। ক্রমবর্ধমান বৈদ্যুতিক যানবাহন শিল্পের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান। কোগি স্টেটে উচ্চ মানের লৌহ আকরিক মজুত আছে, যার মধ্যে লোহার পরিমাণ ৬৮ শতাংশে পৌঁছেছে এবং যা ব্রাজিল ও অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া অত্যন্ত ভাল মানের আকরিকের সঙ্গে তুলনীয়।
উল্লেখ্য, নাইজেরিয়াকে ‘আফ্রিকার দৈত্য’ বলা হয়। এর কারণ শুধু এর বিপুল জনসংখ্যা নয়, বরং এর বিশাল অর্থনৈতিক আকার এবং বিশ্ববাজারে খনিজ তেলের (পেট্রোলিয়াম) ক্ষেত্রে দেশটির প্রধান ভূমিকা। নাইজেরিয়ার অর্থনীতির মূল ভিত্তি খনিজ তেল সম্পদ।
দেশটির দক্ষিণ অংশে, বিশেষত নাইজার নদীর বদ্বীপ অঞ্চলে, খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের সমৃদ্ধ মজুত রয়েছে, যা আগামী বহু দশক ধরে ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট।
এই কারণেই ভুয়া অজুহাতে নাইজেরিয়ার তেলের খনি দখলে ও অন্যান্য খনিজ নিতে চাচ্ছে ট্রাম্প
নাইজেরিয়াকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিশেষ উদ্বেজনক দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প দাবী করেছে সেখানে খ্রিস্টানরা ‘মুসলিমদের হাতে হত্যার’ শিকার হচ্ছে। শুক্রবার সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছে, ‘খ্রিস্ট ধর্ম নাইজেরিয়ায় অস্তিত্বগত হুমকির মুখে হাজার হাজার খ্রিস্টান নিহত হচ্ছে। র্যাডিক্যাল ইসলামীবাদী গণহত্যার জন্য দায়ী। তাই আমি নাইজেরিয়াকে বিশেষ উদ্বেগ জনক দেশ হিসেবে ঘোষণা করছি।’
সাধারণত ১৯৯৮ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা আইনের আওতায় বিশেষ উদ্বেগজনক দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত হয় মার্কিন কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক কমিশন ও স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিশেষজ্ঞদের সুপারিশের দ্বারা। এবার সেই সাধারণ প্রক্রিয়া অনুসরণের ধার-ধারেননি ট্রাম্প। বরং সুকৌশলে নিয়মটিকে এড়িয়ে গিয়েছেন। শুক্রবারে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রাম্প জানিয়েছে সে হাউজ অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস কমিটি ও রিপাবলিকান কংগ্রেসমেন রাইলি মোর এবং টম কোলকে ফৌরণের বিষয়ে খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই ভাষা মূলত সংরক্ষণপন্থী রাজনীতিকদের প্রভাবিত করা, যারা নাইজেরিয়ার সংঘাতকে র্যাডিক্যাল ইসলামিকদের দ্বারা খ্রিস্টানদের ওপর হামলার ঘটনা হিসেবে উপস্থাপন করে থাকে। আসলে নাইজেরিয়ার সমস্যা কেবল ধর্মীয় দিক দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।
দেশটির উত্তরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অঞ্চল এবং দক্ষিণের প্রায় খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চল রয়েছে। এই দেশটি দীর্ঘদিন ধরে বোকো হারাম গ্রুপের কার্যকলাপের সঙ্গে লড়াই করছে। ফলে নাইজেরিয়াতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এমনিতেই হয়ে থাকে।
এছাড়া কৃষি ও পানি সংক্রান্ত সম্পদ নিয়েও খ্রিস্টান কৃষক এবং মুসলিম পশুপালকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। নাইজেরিয়ার সরকার এ ধরনের সংঘর্ষকে মূলত ধর্ম ভিত্তিক বলে অস্বীকার করেছে।
ফলে প্রশ্ন উঠছে, নাইজেরিয়ায় কি আসলেই খ্রিষ্টান নিধন চলছে? এ নিয়ে ট্রাম্পের দাবি কতটা সত্য?
নাইজেরিয়ায় কথিত খ্রিষ্টান নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ট্রাম্পের দেওয়া সামরিক হুমকির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে দেশটির সরকার। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবুর মুখপাত্র ড্যানিয়েল বাওলা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে কোনো সামরিক অভিযান চালাতে পারে না, কারণ নাইজেরিয়া একটি স্বাধীন রাষ্ট্র।
গত ২ নভেম্বর মার্কিন বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাওলা বলে, ট্রাম্পের এই সামরিক হুমকি বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন নির্ভর এবং তার সাধারণ কৌশলেরই অংশ-প্রথমে চাপ সৃষ্টি করে আলোচনার টেবিলে টানার চেষ্টা।
এর ১লা নভেম্বরে ট্রাম্প দাবি করে, নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টানদের ওপর হামলা বন্ধ না হলে তিনি দেশটিতে সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপের প্রস্তুতি নিতে পেন্টাগনকে নির্দেশ দিয়েছে। সে বলেছে, যদি নাইজেরিয়ার সরকার খ্রিষ্টানদের হত্যাযজ্ঞ চলতে দেয়, যুক্তরাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা বন্ধ করবে, এমনকি প্রয়োজনে সেই দেশটিতে ‘অস্ত্রসহ অভিযান’ চালিয়ে ‘মুসলিম সন্ত্রাসীদের’ নিশ্চিহ্ন করবে। (নাউযুবিল্লাহ)
ট্রাম্প আরও ঘোষণা দেয়, নাইজেরিয়াকে সে ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। যেসব দেশ ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনে ব্যর্থ, তাদের জন্য এটি যুক্তরাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক চিহ্নিতকরণ।
নাইজেরিয়া ট্রাম্পের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। টিনুবু সরকার বলেছে, খ্রিষ্টান ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই দেশটির নিরাপত্তাহীনতার শিকার। ধর্ম নয়, বরং ভৌগোলিক অবস্থানই অনেক সময় নির্ধারণ করে কারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এপি’র অনুসন্ধানেও দেখা গেছে, দেশটিতে খ্রিষ্টানদের পাশাপাশি মুসলিমরাও নিহত হচ্ছেন।
টিনুবুর মুখপাত্র বাওলা বলেন, নাইজেরিয়ায় সামরিক পদক্ষেপের মতো বিষয় দুই দেশের নেতার সমঝোতার ব্যাপার। যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে এমন কিছু করতে পারে না।
নাইজেরিয়ার খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক প্রধান যোসেফ হায়াবও বলেছে, খ্রিস্টান নিধনের অভিযোগ অতিরঞ্জিত।
মূলত: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া বহু বছর ধরে সন্ত্রাস ও গোষ্ঠীগত সহিংসতায় জর্জরিত। দেশটির উত্তরাঞ্চলে সন্ত্রাসী সংগঠন বোকো হারাম এবং অস্ত্রধারী গোষ্ঠীগুলোর হামলায় দুই সম্প্রদায়েরই প্রাণহানি ঘটছে।
গবেষক তাইও হাসান আদেবায়ো বলেন, এই সহিংসতা ধর্মীয় নয়, বরং জটিল সামাজিক ও ভৌগোলিক বাস্তবতার ফল। কে শিকার হবে, তা অনেকাংশে নির্ভর করে কে কোথায় থাকে তার ওপর।
প্রসঙ্গত আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক মহল প্রশ্ন তুলেছেন খ্রিস্টান নিধনের মিথ্যা অজুহাতে যদি আমেরিকা নাইজেরিয়া আক্রমণ করতে পারে
তাহলে সারা বিশ্বে কোটি কোটি মুসলমান শহীদ করার কারণে আমেরিকা কেনো বিশ্ব মুসলিমের আক্রমন স্থল হবে না?
মুসলিম আলেমরা মন্তব্য করেছেন- মুসলিম বিশ্বের উচিত একই কথা প্রচার করে অবিলম্বেই ইনশাআল্লাহ আমেরিকা আক্রমনের হিম্মত তৈরী করা।
-আল্লামা মুহম্মদ ওয়ালীউর রহমান আরিফ।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ইতিহাসের নিরীখে, বর্তমান সংবিধান প্রণেতা গণপরিষদেরই কোন আইনী ভিত্তি বা বৈধতা ছিল না। গত ৫৫ বৎসর দেশবাসীকে যে অবৈধ সংবিধানের অধীনে বাধ্যগত করে রাখা হয়েছিলো এর প্রতিকার দিবে কে? ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের দ্বীন ইসলামের প্রতিফলন ব্যাতীত কোন সংবিধানই বৈধ হতে পারে না কারণ দেশের মালিক ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ইরান ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার জন্য বিশেষভাবে দায়ী সালাফী-লা মাযহাবী ওহাবী মালানারা কারণ তারাই সৌদি ইহুদী শাসকদের প্রশংসা করে, পৃষ্ঠপোষকতা করে তাদের দোষ-ত্রুটি এবং মুসলমান বিদ্বেষী ও ইসলাম বিরোধী কাজ চুপিয়ে রাখে বাংলাদেশসহ অন্যান্য মুসলিম দেশে তাদের কুফরী আক্বীদা প্রচার করে
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
বাজারে নতুন আলু উঠলেও দাম চড়া, কেজিতে ২০০ টাকা পুরোনো আলু নিয়ে বিপাকে ব্যবসায়ীরা আলু প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উদ্যোগ জরুরি আলু রফতানীতে কমপক্ষে লাখো কোটি টাকা আয় সম্ভব আলুর জাতের মান বৃদ্ধি এবং হিমাগার স্থাপনসহ রফতানীর ক্ষেত্রে সব বাধা দূর করে সরকারকে যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা করতে হবে।
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
প্রশাসন খবর না রাখলেও প্রচ- শীতে মারা যায় হাজার হাজার লোক। চরম ভোগান্তিতে পড়ে কোটি কোটি লোক। সরকারি সাহায্যের হাত এখনও না বাড়ানো মর্মান্তিক। তবে শুধু লোক দেখানো উদ্যোগ গ্রহণই নয়; প্রকৃত সমাধানে চাই সম্মানিত ইসলামী চেতনার বিস্তার। তাহলে ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত এদেশে কোনো আর্তেরই আহাজারি উচ্চারণ হবার নয়।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
ভীনদেশী অ্যাপের ফাঁদে পড়ে বিপথে যাচ্ছে দেশের তরুণ প্রজন্ম। বাড়ছে নারীপাচার, দেশে বাড়ছে অশ্লীলতা ও পর্ণোগ্রাফির প্রচার। কিশোর-কিশোরীদের টার্গেট করেই একটি মহল এসব অপসংস্কৃতির প্রচার ও প্রসার ঘটাচ্ছে। এসব অপসংস্কৃতি নির্মূলে দ্বীন ইসলামই একমাত্র সমাধান।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘উচ্চ সুদহার ব্যবসায়ীরা আর সহ্য করতে পারছেন না। ‘অগ্রিম আয়কর (এআইটি) এবং উৎসে কর কর্তন (টিডিএস) ব্যবসায়ের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে। এআইটি ও টিডিএস আসলে ট্যাক্স টেরোরিজম বা কর-সন্ত্রাস। ব্যবসায়ীরা ‘কর-সন্ত্রাস’ থেকে মুক্তি চান। ব্যবসায়ীরা অগ্রিম আয়কর ও উৎসে করের চাপ থেকে মুক্তি চান।
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
দেশে মজুদ খনিজ সম্পদের অর্থমূল্য প্রায় ৫০ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি কিন্তু উত্তোলনে বিনিয়োগ নাই বললেই চলে অথচ দেশ থেকে অর্থ পাচারের পরিমাণ ২০ লাখ কোটি টাকা সরকারের ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে, দেশে কেন উল্টো বেড়েছে? বিশ্ববাজারে জ্বালানি সহ খাদ্যপণ্যের দাম কমলেও বাংলাদেশে ভোক্তা বাড়তি দামে কিনছে বিশ্বে জ্বালানীসহ খাদ্য পণ্যের দাম ধারাবাহিকভাবে কমছে, কিন্তু বাংলাদেশে সুফল মিলছে না কেন? প্রতিবেশীরা স্বস্তিতে, বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়ছে কেনো?
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা ‘আইএমএফের চাপে’ নতুন করের বোঝা বাড়ছে ৫৫ হাজার কোটি টাকা আইএমএফের শর্ত মানতে গিয়ে সরকারকে জ্বালানি, সার, বিদ্যুৎ এবং সামাজিক খাতে ভর্তুকি কমাতে হয়। এতে সমাজের নিচের স্তরের মানুষের ওপর চাপ বাড়ে।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -২)
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
সম্মানিত দ্বীন ইসলামে কী প্রকৃতির মুহব্বত ও ঋতু প্রিয়তার কথা নেই? নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে শীতকাল যে কত প্রিয় তা অনেকেরই অজানা। শীতে আছে গণীমত (পর্ব -১)
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সন্ত্রাসবাদ নয়; জিহাদী যোগ্যতা অর্জন করা পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ অনুযায়ী ফরয। ৯৮ ভাগ মুসলমান অধ্যুষিত দেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সব নাগরিকের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উন্নত প্রশিক্ষন, যুদ্ধকৌশল, সামরিক সক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এখন সাফল্যের শীর্ষে। সরকারের উচিত- দেশের মর্যাদা বুলন্দ ও দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ত্বকে সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতি সকল প্রকার পৃষ্ঠপোষকতা নিশ্চিত করা।
০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার)












