ইউনুসের ক্ষুদ্র ঋণ চক্রের বিরুদ্ধে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। ইনশাআল্লাহ!
, ০৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:০০:০০ এএম ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
ক্ষুদ্রঋণ এটি একটি দুষ্টচক্র, যা একবার শুরু হলে তা থেকে বেরিয়ে আসা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে। সাধারণত, উচ্চ সুদের হার, অপর্যাপ্ত তদারকি, ঋণের অর্থের অপব্যবহার, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা পারিবারিক সংকটের মতো অপ্রত্যাশিত ঘটনা এই ঋণচক্র সৃষ্টির প্রধান কারণ। অনেক সময় ঋণগ্রহীতারা ঋণের অর্থ উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ না করে অনুৎপাদনশীল খাতে, যেমন দৈনন্দিন ব্যয় বা ভোগে ব্যয় করে ফেলে, যা তাদের ঋণ পরিশোধের ক্ষমতাকে দুর্বল করে তোলে। ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোর (গঋও) মধ্যে প্রতিযোগিতার অভাব বা একচেটিয়া প্রবণতাও অনেক সময় উচ্চ সুদের হার বজায় রাখতে সাহায্য করে, যা ঋণচক্রকে আরও ত্বরান্বিত করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারী পরিবারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ একাধিক উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ করে, যা তাদের ঋণের বোঝাকে আরও বাড়িয়ে তোলে। অনেক ক্ষেত্রে, একটি ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার ঋণ পরিশোধের জন্য অন্য একটি সংস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়, যা ’ডাবল বোরোইং’ বা ’মাল্টিপল বোরোইং’ নামে পরিচিত। এই প্রবণতা ঋণচক্রকে আরও জটিল করে তোলে, কারণ ঋণগ্রহীতাকে একই সাথে একাধিক ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হয়।
উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকায় অনেক পরিবার একাধিক ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার সদস্য হয়ে পড়ে এবং এক সংস্থার ঋণ পরিশোধ করতে অন্য সংস্থার ঋণের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। ঋণের বোঝা যখন অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন ঋণগ্রহীতা তার সম্পত্তি বিক্রি করতে বাধ্য হয়, যা তাকে আরও দারিদ্রের দিকে ঠেলে দেয়। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণকারী পরিবারগুলোর মধ্যে ১০% থেকে ৩০% পরিবার ঋণচক্রের শিকার হতে পারে, যা ক্ষুদ্রঋণের ইতিবাচক প্রভাবকে অনেকটাই মøান করে দেয়। এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে, কারণ অনেক ঋণগ্রহীতা তাদের ঋণের প্রকৃত অবস্থা প্রকাশ করতে দ্বিধা বোধ করে। ঋণের আকার, ঋণগ্রহীতার আয়, এবং অপ্রত্যাশিত ব্যয়ের পরিমাণ ঋণচক্রের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ক্ষুদ্রঋণের ঋণচক্র ঋণগ্রস্ত পরিবারের উপর বহুমুখী এবং ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলে। এর প্রভাব কেবল অর্থনৈতিক নয়, বরং সামাজিক, মানসিক, এবং স্বাস্থ্যগত ক্ষেত্রেও বিস্তৃত। ঋণচক্রের সবচেয়ে সুস্পষ্ট প্রভাব হলো অর্থনৈতিক। পরিবারের উপর ঋণের বোঝা বাড়তে থাকে, যা তাদের সঞ্চয়ের ক্ষমতাকে হ্রাস করে এবং নতুন বিনিয়োগের সুযোগ বন্ধ করে দেয়। উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগের পরিবর্তে, ঋণের কিস্তি পরিশোধ করাই তাদের প্রধান অর্থনৈতিক কার্যকলাপে পরিণত হয়।
অনেক সময় পরিবারগুলো তাদের সন্তানদের স্কুল থেকে ছাড়িয়ে কাজে লাগাতে বাধ্য হয়, যা তাদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। পারিবারিক সম্পদ, যেমন জমি, গবাদি পশু, বা গহনা বিক্রি করে ঋণ পরিশোধের ঘটনাও বিরল নয়, যা তাদের আরও দরিদ্র করে তোলে। ঋণের কারণে অনেক পরিবার তাদের পুষ্টির মান কমাতে বাধ্য হয়, যা তাদের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। ঋণের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য, অনেকেই উচ্চ সুদে মহাজনদের কাছ থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হয়, যা তাদের অবস্থাকে আরও খারাপ করে তোলে।
ইউনুস প্রচলিত ব্যাংকিং ধারার বিপক্ষে জোরালো বক্তব্য রেখে কৃত্রিম দারিদ্র সৃষ্টির জন্য (পরোক্ষভাবে) তাদের দায়ী করলেও ওই ব্যাংকওয়ালা পুঁজিপতিরা এবং পুঁজিবাদের পশ্চিমা গুরুরা কিন্তু তার উপর সামান্যও নারাজ হচ্ছেন না। এটা এজন্যই যে, সে যাই বলুন বা করুন না কেন তাদের হাতিয়ার ‘সুদ’-কেই সে তিনি অস্ত্র হিসাবে রেখেছেন।
প্রসঙ্গত, এদেশের গ্রামীণ মুসলিম সমাজের মানুষেরা আর্থিক দিক থেকে অসচ্ছল হলেও তারা কিন্তু দ্বীন ইসলামকে ভালবাসেন প্রাণ দিয়ে। এখানকার অধিকাংশ নারী চিরাচরিতভাবেই পর্দার বিধান পালনে অভ্যস্ত এবং সকল বেহায়াপনার বিরোধী। অথচ এ নারীদেরকেই বেপর্দা করেছে ক্ষুদ্রঋণদাতা এনজিওরা। লক্ষ লক্ষ বেকার যুবককে ঋণ না দিয়ে তারা কেন শুধু নারীদেরকেই বেছে নিচ্ছে সে প্রশ্নেরও কোন সদুত্তর পাওয়া যায় না। নারীগণ পর্দায় থেকেও তো সাধ্যমত কাজকর্মের মাধ্যমে সংসারের খরচ নির্বাহে পুরুষের সহযোগিতা করতে পারে, কিন্তু আয়-রোজগারের জন্য তাদেরকে বেপর্দা হতে হবে কেন? নারীদের ঋণ দিতে চাইলে তা ওই ঘরের কোন পুরুষের মাধ্যমে লেনদেন করা যায় না? এ ধরনের অসংখ্য প্রশ্ন রয়েছে অনেকের এবং এসব কারণেই ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের উদ্দেশ্য প্রসঙ্গে ইসলামবিদ্বেষী ও সমাজবিদ্বেষী বলেই দেশবাসী সাব্যস্ত করছেন। সবাই এর অবসান চান।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
৮ লাখ মেট্রিক টন লবণ মওজুদ থাকার পরও অবুঝ অন্তর্বর্তী সরকারকে লবণ আমদানী আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। লবণ শিল্পের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা সংরক্ষণ অবকাঠামোর অভাব অতিশীঘ্র দূর করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
মহিমান্বিত ১৪ই জুমাদাল উখরা শরীফ। আজ পঞ্চম হিজরী শতকের মুজাদ্দিদ, হুজ্জাতুল ইসলাম, হযরত ইমাম গাজ্জালী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ! এ সুমহান দিবস মুবারক উনার তাৎপর্য অনুধাবন করা গোটা মুসলিম উম্মাহ্র জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয় এবং ফজিলতের কারণ।
০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার)












