ঈমানদার উনাদের জন্য হচ্ছে আখিরাত আর কাফিরদের জন্য দুনিয়া
, ২৫ জুমাদাল উলা শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ১১ সাবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ২৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা
مالى ولدنيا انا والدنيا الاكراكب استظل تحت شجرة ثم راح وتركها
“হে ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম আপনি কি জানেন?”
مالى ولدنيا؟
“আমার মধ্যে দুনিয়ার মধ্যে কি সম্পর্ক?”
انا والدنيا الاكراكب استظل تحت شجرة ثم راح وتركها
“আমার মধ্যে দুনিয়ার মধ্যে এমন সম্পর্ক, যেমন একটা ঘোড় সাওয়ারী তার গাছের ছায়ার সাথে যে সম্পর্ক।”
অর্থাৎ ঘোড় সাওয়ারীর সাথে একটা গাছের ছায়ার যে সম্পর্ক, আমার এবং দুনিয়ার মধ্যে তদ্রুপ সম্পর্ক। আমাদের জন্য দুনিয়া নয়।
الدنيا سجن المؤمن وجنة الكافر
“আমাদের জন্য পরকাল রয়েছে, কাফিরদের জন্য দুনিয়া।”
আমাদের জন্য দুনিয়া নয়। আমরা দুনিয়ার জন্য কেন মশগুল হব? আমরা তো মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বত মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতে গরক থাকব। মহান আল্লাহ পাক এবং মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুহব্বতে গরক থাকতে হবে। এজন্য বলা হয়েছে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেছেন,
لوكانت الدنيا تعدل عند الله جناحا بعوضة ما سقى كافرا منها شربا
“মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে দুনিয়ার কদর, দুনিয়ার মূল্য যদি একটা মশার পাখার সমান হতো, তাহলে মহান আল্লাহ পাক তিনি কোন বিধর্মীকে, কোন কাফিরকে এক ঢোক পানিও পান করাতেন না।”
এজন্য এটা চিন্তা ফিকিরের বিষয়। কাজেই হযরত হাতেম আছেম রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, যখন আমি এই পবিত্র আয়াত শরীফ পেয়ে গেলাম, বারবার ফিকির করলাম, তখন আমি আমার অন্তর থেকে দুনিয়ার মুহব্বতটা দূর করে দিলাম। সুবহানাল্লাহ! দুনিয়ার মুহব্বত দূর করে দিলাম। তখন হযরত শাক্বীক্ব বলখী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, হে হযরত হাতেম আসেম রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনি তো উত্তম মাসয়ালা শিক্ষা করেছেন, উত্তম মাসয়ালা শিক্ষা করেছেন। কারণ দুনিয়ার মুহব্বত দূর করে দেয়া সোজা কথা নয়, খুব কঠিন ব্যাপার। মহান আল্লাহ পাক তিনি যার প্রতি সদয় হন, যার প্রতি রহমত বর্ষণ করেন, সেই একমাত্র পারে, তার পক্ষেই সম্ভব। (সংকলিত)
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় বিজ্ঞানীরা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৪)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনারা অবশ্যই সত্যের মাপকাঠি; অস্বীকারকারীরা কাট্টা কাফির (১)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পর্দা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া হারাম
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
পবিত্র কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ উনাদের আলোকে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র দু‘আ বা মুনাজাত (১১তম অংশ)
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত আব্বাস ইবনে আবদুল মুত্তালিব আলাইহিস সালাম (৩)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার দুনিয়ার যমীনে অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম শরীফ যে রোযা মুবারক রাখতেন সে রোযা মুবারক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ১২ই শরীফ উনার দিনে হওয়াটা ছিলো একটি বিরল ঘটনা (২)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত হাযির-নাযির শান মুবারক (১)
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
প্রাণীর ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আল্লাহওয়ালী মহিলা উনাদের তিনটি বৈশিষ্ট্য-
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার)












