সম্পাদকীয়-২
উপদেষ্টাদের সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও ব্যক্তি ফুলে-ফেপে উঠলেও পথশিশুদের পথ দেখাতে ফ্যাসিস্ট সরকারের মতই অন্ধ, বধির, বোকার ভূমিকায় থেকে তারা কী বৈষম্যেরই বিস্তার ক্ষেত্র করে চলছে না? পথশিশুদের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সুফল চাই
, ২৩ যিলহজ্জ শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২১ আউওয়াল, ১৩৯৩ শামসী সন , ২০ জুন, ২০২৫ খ্রি:, ০৬ আষাঢ়, ১৪৩২ ফসলী সন, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) সম্পাদকীয়
সব প্রশংসা মুবারক খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য; যিনি সকল সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক। সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নবী আলাইহিমুস সালাম উনাদের নবী, রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের রসূল, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি অফুরন্ত দুরূদ শরীফ ও সালাম মুবারক।
কিছু টাকা দেন না ভাই, সারাদিন থেকে কিছুই খাইনি। রাস্তায় হাঁটতে গেলে দেখা যায় শিশুরা এরকম দু চার টাকার জন্য প্রতিনিয়ত পিছু লেগে থাকে। এসব শিশুদেরকে আমরা সহজে পথ শিশু হিসেবে জানি।
দেশে রাস্তাঘাটে বেড়ে ওঠা শিশুদের বেশির ভাগেরই তিন বেলা খাবার, মাথার ওপর ছাউনি, কিংবা গায়ের কাপড়ের নিশ্চয়তা নেই। এসব শিশু অপুষ্টি, নিরক্ষরতা, সহিংসতাসহ নানা বঞ্চনার শিকার। রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, মুক্ত জায়গা কিংবা রাস্তার পাশে ঝুপড়িতে রাত কাটে তাদের।
‘দ্য কোয়ালিটি স্টাডি অন চিলড্রেন লিভিং ইন স্ট্রিট সিচুয়েশনস ইন বাংলাদেশ- এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে ৩৪ লাখ পথশিশু রয়েছে। তারা দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘সার্ভে অন স্ট্রিট চিলড্রেন ২০২২’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পথশিশুদের প্রতি ১০ জনের ৮ জনই পথচারীদের দ্বারা নির্যাতনের বা হয়রানির শিকার হয়।
পারিবারিক কলহ, দ্বন্দ্ব, পিতা মাতার বিচ্ছেদ, দারিদ্র্যতা এসব ছাড়াও রয়েছে পিতার মৃত্যুর পর মা অন্য কাউকে বিয়ে করে সন্তানকে পরিত্যাগ করে চলে যায়, আবার মাকে তালাক দিয়ে পিতা নুতন বিয়ে করে সন্তানকে অবজ্ঞা, অবহেলা করে, সৎ মায়ের হাতে শারীরিক নির্যাতন নিপীড়নের শিকার হয়। অনেক শিশু বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। অনেক সময় কিছু কিছু মহিলা মারা গেলে শিশুরা অসহায় হয়ে পড়ে। পিতার কাছে পিতার নূতন বিয়ে করা বৌয়ের কাছে এরা বোঝা হয়ে যায়। অযতœ, অনাদর অবহেলা, বঞ্চনা, অন্যায়ভাবে নির্যাতন ইত্যাদি কারণে কিছু কিছু শিশু গৃহত্যাগ করে পথ শিশুর তালিকায় সংযুক্ত হয়। পথ শিশুদের শতভাগ দারিদ্র্য পীড়িত পরিবার থেকে আগত। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরোর এক জরীপে প্রদত্ত তথ্য জানা যায় এদের ৮২% শতাংশ ছেলে ও ১৮% শতাংশ মেয়ে শিশু। ৩৮ ভাগ শিশু ঘর ছেড়েছে পেটের দায়ে। ৭০ ভাগ শিশু লিখতে পড়তে জানে না। অন্যদের কেউ কেউ ২য় শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া লেখা করেছে। প্রতি ১০ জনের ৭ জন জীবন মানের উন্নয়ন ও শিক্ষা নিতে আগ্রহী। খুবই করুণ ও নির্মম বাস্তবতার মুখোমুখি এসব পথশিশুদের জীবন। খাবারের সমস্যা তো নিত্যদিনের। পরিধেয় কাপড় নেই, অসুস্থ হয়ে পড়লে দেখার কেউ নেই। রাতের বেলা ঘুমানোর স্থান সংকটসহ নানা সমস্যার মধ্যে এরা দিন যাপন করে। শীতকালে কাঁথা, কম্বল ও শীত বস্ত্র ছাড়া ঘুমাতে গেলে এদের কষ্টের সীমা থাকে না। স্টেশনের প্লাটফর্মে যে সব শিশুরা থাকে তাদের কেউ কেউ যাত্রীদের মালামাল বহন করে, বোতল কুড়ায়, আবার কেউ কেউ ভিক্ষা করে যা পায় তা দিয়ে কোনো কোনো সময় একবেলা খাবারের সংস্থান করতে পারলেও প্রায় সময় অভুক্ত থাকে।
ছিন্নমূল এসব শিশুদের বয়স আনুমানিক ৭ থেকে ১৫ বছরের মত হবে। বাজে সঙ্গীদের পাল্লায় পড়ে এদের কেউ কেউ অপরাধ জগতে পা বাড়ায়। মাদক সেবন, ধূমপান, ছিঁচকে চুরি, ছিনতাই ও অনৈতিক কাজে জড়িয়ে অপরাধী হয়ে উঠে। বদ লোকের খপ্পরে পড়ে দালালের মাধ্যমে কোনো কোনো মেয়ে শিশুকে নিষিদ্ধ পল্লীতে চালান দেয়া হয়। ৯৬% ভাগ শিশু কাজ করতে গিয়ে নানাভাবে হেনস্থার শিকার হয়। এছাড়া ৭৬ ভাগ শিশু মানসিক নির্যাতনে দারুণভাবে বিধ্বস্ত হয়ে জীবনের উপর বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়ে।
এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দায়বদ্দতা সবচেয়ে বেশী। বাংলাদেশ শিশু সুরক্ষা আইনে এসব অসহায় শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর দায়িত্ব বর্তমান অন্তর্বর্তী সরাকারের। কিন্তু সরকার করিডোর দিতে বেশী দানশীল, গ্রামীণ ব্যাংক মোটা-তাজা করতে বেশী পটু। প্রধান উপদেষ্টার সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে সমৃদ্ধ করতে ভীষণ কৌশলী ও আগ্রহী।
কিন্তু পথ শিশুদের পথ দেখাতে তারা নিতান্তই ফ্যাসিস্ট সরকারেরই গুণধর প্রতিভু। এরকম মহা বৈষম্য করে। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ফল লোপাটের সরকার ক্ষমতায় থাকার অধিকার অবশিষ্ট থাকতে পারে না।
একটি সুস্থ, সুন্দর, স্বাভাবিক এবং মৌলিক চাহিদাসম্পন্ন জীবন উপহার দিতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য চাই স্থায়ী সমাধান। প্রতি বছর বাজেট প্রণয়নে এই খাতে বিশেষ বরাদ্দ প্রয়োজন। কোমলমতি সুবিধাবঞ্চিত ও হতদরিদ্র শিশুদের জন্য সমন্বিত ব্যবস্থা নিতে হবে ইনশাআল্লাহ।
ছহিবে সাইয়্যিদি সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ মুর্র্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার নেক ছোহবত মুবারক-এ কেবলমাত্র তা লাভ করা সম্ভব। খালিক্ব মালিক রব মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদেরকে তা নছীব করুন। আমীন।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
এসএফবি তথ্যানুযায়ী ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৯৪ লাখ অপরদিকে গত পরশু প্রকাশিত আইওএম পরিবেশিত তথ্যানুযায়ী দেশে বাস্তচ্যূতদের সংখ্যা ৪৩ লাখ দুঃখজনক হলেও সত্য রাষ্ট্র বা সরকারের নিজস্ব তথ্য পরিসংখ্যান নেই। পাশাপাশি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় যথাযথ পদক্ষেপ ও প্রক্রিয়াও নেই। এর সমাধান জরুরী।
১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সত্যিকার উপলব্ধি জাগ্রত হোক সবার অন্তরে। সংস্কারের দাবীদার সরকারকে উপলব্ধিতে সক্ষমতা আনতেই হবে- যে, সত্যিকার ইসলামী অনুপ্রেরণাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং সংস্কারের পরিক্রমা
১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
আজ মহিমান্বিত ২৩শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সুবহানাল্লাহ! সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, আফদ্বালুন নাস ওয়ান নিসা বা’দা রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত উম্মুল মু’মিনীন আস সাবিয়াহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
আজ মহিমান্বিত ২২শে জুমাদাল উখরা শরীফ! খলীফাতু রসূলিল্লাহ, আফদ্বালুন নাস বা’দাল আম্বিয়া, খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন সাইয়্যিদুনা হযরত ছিদ্দীক্বে আকবর আলাইহিস সালাম উনার সুমহান বিছালী শান মুবারক প্রকাশ দিবস এবং আমীরুল মু’মিনীন, খলীফাতুল মুসলিমীন সাইয়্যিদুনা হযরত ফারূক্বে আ’যম আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র খিলাফত মুবারক গ্রহণ দিবস। সুবহানাল্লাহ!
১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার) -
আজ মহিমান্বিত ২১শে জুমাদাল ঊখরা শরীফ! যা সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, খইরু বানাতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুল ঊলা আলাইহাস সালাম উনার মহাপবিত্র ও বরকতময় বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ করার সুমহান দিবস।
১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
মুবারক হো- মহাপবিত্র মহাসম্মানিত মহামহিমান্বিত ২০শে জুমাদাল উখরা শরীফ। সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, উম্মু আবীহা, বিনতু রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুর রবিয়াহ যাহরা আলাইহাস সালাম উনার এবং সাইয়্যিদাতু নিসায়িল আলামীন, সাইয়্যিদাতু নিসায়ি আহলিল জান্নাহ, সাইয়্যিদাতুনা হযরত সিবত্বতুর রসূল আছ ছালিছাহ আলাইহাস সালাম উনার পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ দিবস।
১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সরকারী ওষুধ লুটের ব্যবসা বহু রকম। জনস্বাস্থ্যের হুমকি বহুবিধ। সংবেদনশীল এ বিষয়টির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের উদাসীনতা বরদাশতের বাইরে
১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার) -
জননিরাপত্তাকে প্রধান কর্তব্য বললেও অন্তর্বর্তী সরকার করুণভাবে ব্যর্থ হচ্ছে কেবলমাত্র খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পথে পরিচালিত হলেই সফল হওয়া সম্ভব হবে ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা দুরূহ হলেও অসম্ভব নয় খিলাফত আলা মিনহাজিন নুবুওওয়াহ্র পরিক্রমায় খুব সহজেই পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব ইনশাআল্লাহ
১০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আরবিয়া (বুধবার) -
জালিম ও তাবেদার সরকারের করে যাওয়া আত্মঘাতী পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সরকারের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা আমলাদের বাধা অবদমন করে পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর পূরো কর্তৃত্বের অধিকার সেনাবাহিনীকেই প্রতিফলিত করে প্রকৃত শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।
০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) -
ভারত সীমান্তে ১৫ বছরে নিহত স্বীকৃত হিসেবে ছয় শতাধিক বাংলাদেশি। প্রকৃত সংখ্যা আরো বেশী। জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো- বাংলাদেশিদের জীবনের কি কোনো মূল্য নেই? বিজিবির আত্মরক্ষার কি কোনো অধিকার নেই? বিজিবি কি দর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে সীমান্ত পাহারা দিবে?
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) -
মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সেনাবাহিনীর গৌরবোজ্জল ভূমিকা যেমন জ্বলজ্বল, উন্নয়নে ঝলমল তেমনি সংকটকালেও থাকুক সমুজ্জল
০৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল আহাদ (রোববার)












