একদিকে রুজু থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম শিক্ষা করতে হবে, তাহলেই কামিয়াবী
, ২৪ রমাদ্বান শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী সন, ২৬ আশির, ১৩৯২ শামসী সন , ২৫ মার্চ, ২০২৫ খ্রি:, ১০ চৈত্র, ১৪৩১ ফসলী সন, ইয়াওমুছ ছুলাছা (মঙ্গলবার) পবিত্র দ্বীন শিক্ষা

মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "مَنْ جَاءَهُ الْمَوْتُ وَهُوَ يَطْلُبُ الْعِلْمَ لِيُحْيِيَ بِهِ الإِسْلامَ فَبَيْنَهُ وَبَيْنَ الأَنْبِيَاءِ دَرَجَةٌ وَاحِدَةٌ فِي الْجَنَّةِ
অর্থ: নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, পবিত্র দ্বীন ইসলাম জিন্দা করার জন্য, দ্বীন ইসলামের বোল-বালা প্রচার-প্রসার করার জন্য ইলম তলব করা অবস্থায় কারো মৃত্যু এসে গেলো অর্থাৎ তার ইন্তেকালের সময় হয়ে গেলো, ঐ ব্যক্তি এবং মহাসম্মানিত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে শুধুমাত্র একটা দরজা পার্থক্য থাকবে। সুবহানাল্লাহ!
শুধু নবী-রসূল হওয়া ব্যতীত সমস্ত মর্যাদা সে লাভ করবে। এখানে দেখা যাচ্ছে যে, ইলম তলব করা অবস্থায় ইন্তেকাল করলে কতো ফযীলত যা বলার অপেক্ষাই রাখেনা।
মহাপবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে আরো ইরশাদ মুবারক হয়েছে-
اُطْلُبُوا العِلْمَ مِنْ المَهْدِ الَّى اللَّحْدِّ
অর্থ: তোমরা দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত ইলম তলব করো অর্থাৎ জন্মের পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইলম তলব করো।
আর ইলম মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে আসে। এই ইলম মুবারকই সকলকে দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত শিক্ষা করতে বলা হয়েছে। এখন কথা হচ্ছে এই ইলম মুবারক কেন তলব করবে? পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে সেটাই বলা হয়েছে যে, পবিত্র দ্বীন ইসলাম কে জিন্দা করার জন্য, দ্বীন ইসলামের বোল-বালা প্রচার-প্রসার করার জন্য ইলম তলব করে এবং সে অস্থায় যদি সে ইন্তেকাল করে, তাহলে দেখা যাবে যে, সে এত মর্যাদার অধিকারী হবে শুধু নবী-রসূল হওয়া ব্যতীত সমস্ত মর্যাদা সে লাভ করবে। সুবহানাল্লাহ!
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বুঝা গেলো যে, ইলম এটা একটি পবিত্র বিষয় যা মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে আসে আর সেটাই হলো দ্বীনি ইলম এবং দ্বীনি ইলম শিক্ষা করতে হবে একমাত্র মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের উদ্দেশ্যে কোন দুনিয়াবী উদ্দেশ্যে ইলম হাছিল করা যাবে না, তাহলেই পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত মর্যাদা পাওয়া যাবে।
সুতরাং আমাদের সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য হচ্ছে একদিকে রুজু থেকে মহান আল্লাহ পাক উনার এবং উনার হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি মুবারক হাছিলের উদ্দেশ্যে দ্বীনি ইলম শিক্ষা করা, তাহলেই কামিয়াবী অন্যথায় কোন কামিয়াবী নেই।
মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাদের সকলকে একদিকে রুজু থেকে হাক্বীক্বী দ্বীনি ইলম অর্জন করে দ্বীন ইসলামের বোল-বালা প্রচার-প্রসার করার তাওফীক দান করুন। আমীন!
-মুহম্মদ ওয়াহিদুর রহমান।
এ সম্পর্কিত আরো সংবাদ
-
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িজ
১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কথিত স্বজন-পরিজন হলেও কাফিরদেরকে বন্ধু বা অভিভাবক হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না
১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
যা খাওয়া হারাম করা হয়েছে
১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
কথিত আহলে হাদীছ বা লা-মাযহাবীদের উৎপত্তি এবং কুফরী আক্বীদাসমূহ (৬)
১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চীশতী আজমিরী সাঞ্জারী রহমতুল্লাহি আলাইহি (৫৭)
১৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুছ সাবত (শনিবার) -
পর্দা রক্ষা করা ফরজ, বেপর্দা হওয়া ব্যভিচারের সমতুল্য
১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার পবিত্র ওয়াজ শরীফ
১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য সমস্ত প্রকার অশ্লীলতাই হারাম
১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
মহান আল্লাহ পাক উনার ওলী হযরত আবূ ইসহাক ইব্রাহীম শায়বানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বিনয়
১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
৩টি বিশেষ নেক কাজ, যা ইন্তেকালের পরও জারি থাকে
১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল জুমুয়াহ (শুক্রবার) -
ছবি তোলা হারাম ও নাজায়িয
১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০০ এএম, ইয়াওমুল খমীছ (বৃহস্পতিবার)