এক নযরে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বৎসর ভিত্তিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় জিবনী মুবারক (২২)
এডমিন, ০২ রবীউল আউওয়াল শরীফ, ১৪৪৫ হিজরী সন, ২০ রবি’ ১৩৯১ শামসী সন , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রি:, ০৩ আশ্বিন, ১৪৩০ ফসলী সন, ইয়াওমুল ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সাইয়্যিদু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ

কাজেই নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক জানা সমস্ত জিন-ইনসান, তামাম কায়িনাতবাসী সকলের জন্য ফরযে আইন। সুবহানাল্লাহ! উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ পৃথিবীর ইতিহাসে আরবীসহ বিভিন্ন ভাষায় অনেক জীবনী মুবারক লেখা হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো- এ পর্যন্ত উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র শান মুবারক-এ পরিপূর্ণ বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ সম্পন্ন জীবনী মুবারক লেখা কারো পক্ষে সম্ভব হয়নি। প্রত্যেকটি কিতাবেই আক্বীদাগতভাবে তো নানা কুফরী রয়েছেই; এমনকি সন তারীখগুলোও এলোমেলো। না‘ঊযুবিল্লাহ! মুসলমানদের জন্য ফরয ছিলো- সন তারীখগুলো ঠিক করে বৎসর, মাস ও দিন অনুযায়ী বিশুদ্ধ আক্বীদাহ্ মুবারক সম্পন্ন একখানা মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক লেখা। সুবহানাল্লাহ! কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, পৃথিবীর ইতিহাসে আজ পর্যন্ত কেউ এই মহান কাজে হাত দেয়নি। আর বর্তমানে তো এরূপ জীবনী মুবারক লেখার চিন্তা করাটাও একটা অসম্ভব বিষয়। কারণ ছোট-বড় কোনো কিতাবাদিতেই এ বিষয়গুলোর বর্ণনা নেই। তাহলে এটা কি করে সম্ভব?
কিন্তু নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার এবং উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের সাথে রয়েছেন আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, রহমাতুল্লিল আলামীন মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর আলাইহিস সালাম উনার ২৪ ঘণ্টা দায়িমী হাক্বীক্বী দীদার মুবারক ও বেমেছাল তা‘য়াল্লুক্ব-নিসবত মুবারক। সুবহানাল্লাহ! যার কারণে তিনি ঘোষণা মুবারক দিয়েছেন, “তিনি প্রথমে বৎসর অনুযায়ী, তারপর মাস অনুযায়ী, তারপর দিন অনুযায়ী, অতঃপর ঘণ্টা অনুযায়ী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র জীবনী মুবারক প্রকাশ করবেন।” ইনশাআল্লাহ! সুবহানাল্লাহ!
সেই ধারাবাহিকতায় বর্তমান পর্যন্ত যে সকল তারীখ মুবারক ও বিষয় মুবারকগুলো তিনি কায়িনাতের মাঝে প্রকাশ করেছেন, সে অনুযায়ী এক নজরে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খ্বাতামুন নাবিয়্যীন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বৎসর ভিত্তিক মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র বরকতময় জিবনী মুবারক তুলে ধরা হলো-
মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ৪৫তম বৎসর মুবারক (আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র নুবুওওয়াত এবং রিসালাত মুবারক প্রকাশের ৫ম বছর):
* হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনাদের উপর মুশরিকরা যুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক অনুমতিক্রমে সম্মানিত রজবুল হারাম শরীফ মাসে হযরত ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তা‘য়ালা আনহুম উনারা হাবশায় হিজরত মুবারক করেন। সুবহানাল্লাহ! এটি ছিলো সম্মানিত দ্বীন ইসলাম উনার প্রথম হিজরত মুবারক। প্রথমে যাঁরা সম্মানিত হিজরত মুবারক-এ বের হন, উনারা হলেন- সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারা। উনাদের সাথে মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র উম্মুল মু’মিনীন সাইয়্যিদাতুনা হযরত আস সাদিসাহ্ আলাইহাস সালাম তিনিসহ আরো অনেকেই ছিলেন।
সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ আলাইহাস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনারা যখন হাবশায় (আবিসিনিয়ায়) সম্মানিত হিজরত মুবারক করেন, তখন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাদের সম্মানিত খুছূছিয়াত মুবারক সম্পর্কে ইরশাদ মুবারক করেন, “নিশ্চয়ই সাইয়্যিদাতুনা হযরত আন নূরুছ ছানিয়াহ্ আলাইহাস সালাম তিনি এবং সাইয়্যিদুনা হযরত যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম তিনি অর্থাৎ উনারাই হচ্ছেন হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ আলাইহিস সালাম উনার এবং হযরত লূত আলাইহিস সালাম উনাদের পর সর্বপ্রথম হিজরতকারী।” সুবহানাল্লাহ!’
* এই বৎসরের শুরুর দিকে সাইয়্যিদুনা হযরত সাইয়্যিদুশ শুহাদা আলাইহিস সালাম (সাইয়্যিদুনা হযরত হামযাহ্ আলাইহিস সালাম) তিনি সম্মানিত দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন। সুবহানাল্লাহ!
-মুহাদ্দিছ মুহম্মদ আমীন।